নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ

আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশ ও ভারতের কিছু সমস্যা (পর্ব-২)

২১ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:১৯

রাজনিতিক দলের ফান্ডামেন্টাল সোর্সের স্বচ্ছতাঃ টু-সুইট-সিস্টার বাংলাদেশ ও ভারতের পলিটিক্যাল পার্টিগুলোর একটি বড় সমস্যা হলো পার্টির আর্থিক উৎসের ব্যাপারে অস্পষ্টতা। এই একটি সামান্য ফাঁকার জন্য অনেক বেশি দুর্নীতির সুযোগ থেকে যাচ্ছে এবং ভালমানের রাজনিতিক ব্যক্তিত্বের বিকাশে সমস্যা হচ্ছে। রাজনিতিক দলের আর্থিক সোর্সের গড়িমসি ও মৃদু অসংকোচ বা লজ্জা আমাদের রাজনিতিক ব্যাক্তিত্বদের তো বটেই সেই সাথে রাজনিতিক দলগুলোকে সহযেই ব্লাকমেইলিংয়ের ফাঁদে ফেলে কিছু কিছু অসাধু উদ্দেশ্য সাধন করা সম্ভব হচ্ছে। সাধারণ জনতা এটুকু অন্তত বোঝে যে, সৎ/অসৎ ব্যবসায়ীদের ডোনেশন, চাঁদাবাজি সহ বিভিন্ন খাত থেকে দলের অর্থের যোগান হয়। আমার কথা হলো একটি রাজনিতিক দল যদি বৈধ ভাবে কিছু কিছু বৈধ ব্যবসা পরিচালনার মাধ্যমে অর্থ ইনকাম করে দল ও মানুষের কল্যানে ব্যায় করে তাতে কোনো অসুবিধা হবার কথা না। পলিটিক্যাল পার্টির ফিনান্সিয়াল সোর্স স্পষ্ট হলে দুর্নীতি গ্রস্থ যে কাউকে সহযেই আইনের আওতায় নিয়ে আশা যাবে। এর বড় কারণ লিডার ও কর্মিদের মাঝে বড় একটি আত্মবিশ্বাস তৈরি হবে। একটি রাজনিতিক দলের যদি এক বা একাধিক লিমিটেড বিজনেস থাকে আর সেই উৎস থেকে দলের ব্যায় নির্বাহ করা যায়, তাহলে সেই আর্থিক পরিমান জনগনের সামনে তুলে ধরলে তো দল ও দলীয় কর্মিদের দলের প্রতি ও দলীয় শক্তিশালি সুশাসনের প্রতি আস্থা-বিশ্বাস বেড়ে যেতে বাধ্য। যারা বাস্তবতা অনুধাবন করতে পারবেন তারা বুঝবেন যে, সাধারন মানুষের সামান্য চাঁদা দিয়ে এই যুগে একটি পলিটিক্যাল পার্টির ব্যায় নির্বাহ করা সম্ভব হওয়া মোটেও যুক্তিযুক্ত মনে হয় না। যে সব ব্যবসায়ীরা দলীর ফান্ডে ডোনেশন দিয়ে মানবসেবা করেন বা করতে চান তাদের নাম ও টাকার আর্থের পরিমান যদি জনগনের সামনে তুলে ধরা হয় তাহলে সেটা তো অবশ্যই গর্বের ব্যাপার। একটি পলিটিক্যাল পার্টির যদি একাধিক ট্রাস্ট থাকে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মিয় প্রতিষ্ঠান, বৃত্তি, উপবৃত্তি সহ বিভিন্ন ধরনের আয় ও অলাভজনক সেবা প্রতিষ্ঠান থাকে তাহলে অসুবিধা কোথায়?



আমাদের বুঝতে হবে পার্টির জায়গায় পার্টি আর সরকারের জায়গায় সরকার। যদি সব দলের ইনকাম সোর্স ওপেন থাকে তাহলে সরকার দলিয় প্রভাব কোনো ভাবেই ঐ সব বৈধ ব্যাবসায়ী স্বেচ্ছা অনুদান ও দলিয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উপর না পড়ে তাহলে অসুবিধা কোথায়?



এখন কথা হলো, পলিটিক্যাল পার্টির এই ফান্ডের স্বচ্ছতাকে প্রকাশ না করে লুকোচুরি করতে গিয়ে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। নিশ্চই সৎ রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ এ ব্যপারে আমার থেকে অনেক বেশি জানেন ও নিজের অবস্থানের লিমিটেশন বুঝতে পারেন। এগুলো এমন এক দুঃখ যা প্রকাশ করা যায় না বরং নিজেদের কাছে হাস্যকর মনে হয়।



টু-সুইট-সিস্টার বাংলাদেশ ও ভারতের রাজনৈতিক দলগুলোর এখনই এই ব্যপারে নজর দেয়া খুব বেশি প্রয়োজন। আমাদের বুঝতে হবে শুধু মাত্র ডোনেশন দিয়ে একজন নেতা হয়ে যাওয়া ঠিক না যদি না তার মধ্যে নেতৃত্বের গুনাবলী না থেকে থাকে। এই আর্থিক লুকোচুরি থেকে রাজনিতিক দলের মধ্যে গ্রুপিং তৈরি হয়। এখন ধরুন একজন আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল ব্যক্তি বিশেষ কোনো দলের নীতির প্রতি সমর্থন ও একত্মতা প্রকাশ করে দলের ফান্ডে আর্থিক সাহায্য করলে তা তো প্রতক্ষ্য ও পরক্ষ ভাবে মানবসেবার মধ্যেই গণ্য হয় আবার সেই সাথে স্বচ্ছতাও নিশ্চিত হয়। এখন ধরুন এক ব্যাক্তির অনেক টাকা কিন্তু তিনি নেতৃত্ব দিতে পছন্দ করেন না তারপরও তার অবদান কি খাটো করে দেখা যাবে বলুন?



আমদের এই টু-সুইট-সিস্টার বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়ার বর্তমান রাজনিতিক ব্যক্তিবর্গ অনেক বেশি অসহায় হয়ে এটুকুও ভাবতে ভুলে যেতে বসেছিলাম যে, এই যে দলিয় অর্থের অস্বচ্ছতার লুকুচুরি খেলা আমাদের মধ্যে আমরা নিয়ে আসি নি বরং এই জিনিসটি আমাদের মধ্যে কৌশল করে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছিলো। আপনারা যদি দেশ ভাগের ক্ষনিককাল আগে ও পরের রাজনিতিক দলের বিশ্লেষন করে দেখেন তাহলে এই কুট কৌশল বুঝতে মোটেও বেগ পেতে হবে না। আমার মতে রাজনিতিক দলের নিজস্ব খেলাধুলার জন্য লিমিটেড ক্লাব ও রাস্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় ক্লাবের শাখা থাকে তাহলে কিশোর ও যুব সমাজের উপকারই হবে। একটি রাজনিতিক দল তাদের আর্থীক ফান্ড নিশ্চিত করার জন্য মাল্টিপারপাস, সমবায় ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান, মাইক্রোক্রেডিট, এনজিও সহ বিভিন্ন ধরনের আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্পষ্ট পরিচয় দান পূর্বক পরিচালিত করা যেতে পারে। এভাবে একটি দলের মধ্যে প্রকৃত গনতন্ত্র চলে আসে।



আপনাদের নিশ্চই বুঝতে বাকি নেই যে, আমাদের এই টু-সুইট-সিস্টার বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়ার সেনাবাহিনির ভিতর ব্যবসা ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে যা একটি কুট কৌশল মাত্র। সেনা কল্যান সংস্থা সহ বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের দেখা মেলে।



আপনারা অবশ্যই বোঝেন যে, একটি পলিটিক্যাল পার্টি যখন ক্ষমতায় থাকে না তখন দল চালাতে অনেক সময় হিমসিম খেতে হয় আর এখান থেকেই দূর্নীতির শুরু হয়। দল ক্ষমতায় না থাকলে দলের সৎ ত্যাগী ঝানু রাজনিতিবিদদের বাসার হারিপাতিলের মধ্যে ইঁদুর, তেলাপোকা বক্সিং শুরু করে দেয়। কমরেড মুজাফফর আহমেদের মতো লিডারদেরও ঠিক মত সংসার চালাতে না পেরে শুকিয়ে কাঠ হতে যেতে হয়েছিলো। আমি নজরুলের একটি লেখায় এই তথ্য পেয়েছি যে, আর্থিক অস্বচ্ছলতার জন্য কমরেড মুজাফফর আহমেদের শরীরের ভর ৩৬-৩৭ কেজি হয়ে গিয়েছিলো এবং সেই সাথে রোগতো আছেই। এখন থেকেই আমাদের এই ব্যাপার গুলো সহজ ভাবে অনুধাবন করতে হবে। এখন ডিজিটাল আই.টি. যুগ। দলের অর্থের সোর্স ইন্টারনেটে সহযেই প্রকাশ করা যাবে। মনে রাখবেন মানুষ বা দল তার নিজের দুর্বলতা নিজেই ঢাকতে চায় তারপরও অসাধু মানুষ ঐ দুর্বলতার সুযোগ নিতেই বেশি পছন্দ করে। আর যারা শুভ চিন্তা চেতনার অধিকারী তারা অন্যের দুর্বল দিক ও দোষ আঙ্গুল তুলে দেখিয়ে দেয় এবং পারলে সমাধানও দিয়ে দেয়। এটা মানব ধর্মের স্বাভাবিক নিয়ম মাত্র।



সামরিক বাহিনির সদস্যরা চাকুরি থেকে মাইনে পান কিন্তু ক্ষমতায় থাকা দলের মুষ্টিমেয় কিছু পোস্ট নেয়া মানুষ ও ক্ষমতায় না থাকা দলের নেতারা কার কাছ থেকে মাইনে নেবেন বলুন? যারা ফুলটাইম রাজনিতির সাথে যুক্ত তারা কার কাছ থেকে মাইনে নেবে বলুন? এখন বলুন সেনাবাহিনির চাকুরি করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বেশি দরকারি নাকি রাজনিতিকদের জন্য নির্দিষ্ট দলের ব্যবসা বা বৈধ ইনকাম সোর্স থাকা বেশি দরকারি?



তাই আমি টু-সুইট-সিস্টার বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়ার সব রাজনিতিক দলের নির্বাহি ব্যাক্তিবর্গের নিকট আমার এই প্রস্তাবনা ভেবে দেখার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ করছি।



চলবে.....

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.