নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ

আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশ ও ভারতের কিছু সমস্যা (পর্ব-৩)

২২ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:৩৯

৪। নারী নীতিঃ আপনারা ভালোকরেই জানেন আমি নারী-পুরুষের অধীকারের ব্যপারে আলাদা ভাবে ভাবতে পছন্দ করি না বা কোনো প্রকার বৈশম্যের ভাবনার প্রকাশ আমার নীতি বিরোধী। নারী-পুরুষ ভেদজ্ঞান না করে সমান অধিকারের মাধ্যমে মানুষ ভাবা বাঞ্চনীয়। টু-সুইট-সিস্টার বাংলাদেশ ও ভারতের একটি বিশাল বড় শক্তির সুসংবাদ হলো জনসংখ্যার ভিত্ত্বিতে আমাদের নারী ও পুরুষের ভারসম্য একদম সমান সমান। অর্থাৎ নারী পুরুষের বর্তমান রেশিয় ৫০% (সামান্য +/-)। এবার আপনি নিশ্চই নিজে নিজে উপলব্ধি করেছেন যে, আমাদের এই টু-সুইট-সিস্টারের বিশাল জনসংখ্যাকে প্রকৃত অর্থে কাজে লাগাতে না পারার কারণে আমাদের অর্থনীতি প্রবল বেগে মাথাচারা দিয়ে মাথা উচু করে দাঁড়াতে পারছে না। স্পষ্ট ভাবে লক্ষ্যনী আমাদের ৫০% মানুষকে আমাদের পূর্বপুরুষদের ভুলের কারণে টু-সুইট-সিস্টারের ঘারের বোঝা বানিয়ে নিজেরাও শান্তি পাচ্ছি না আর ঐ সব নারীদের অবস্থা একদম জনমদুঃখি ভারতমাতার মতো হয়ে আছে।



এই অবস্থা থেকে উত্তোরন একান্ত ভাবে বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের ঘাবড়ে যাওয়ার মতো কোনো নেগেটিভ অবস্থা এখন নাই। আমাদের সমস্যা আমরাই মিটাতে সক্ষম হয়ে গেছি।



আমাদের বুঝতে হবে, মিডিয়ার বিশাল বিশাল ভয়াভহ কিছু বাজে ইফেক্টে/রিফ্লেকশনের জন্য অত্যান্ত নিরব কৌশলে নারীদের মধ্যেই বিরাট আকারের শ্রেণী বিন্যাস হয়ে গেছে। আমাদের সমাজ ব্যবস্থার নারীদের গেট আপ, নিরাপত্তা মেন্টাল হেলথ স্বাভাবিক রাখার জন্য খুব জরুরী পদক্ষেপ নেয়া দরকার। আমরা শুধু শুধু মিডিয়ায় পশ্চিমা ড্রেস এনে ঢুকিয়ে দিয়েছিলাম কিন্ত এর প্রভাবে সমাজে যে কত বড় অশান্তি হচ্ছে তা এখন হারে হারে বুঝতে পারছি। আমি মোটেও পশ্চিমা পোষাখের দোষারূপ করতে পারি না। আমাদের মধ্যে ব্যালেন্সিভ মনোভাব ছিলো না। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে আমাদের এই টু-সুইট-সিস্টার বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়ার পরিবেশের অবস্থা, সামাজিক অবস্থা ও ধর্মিয় অবস্থা মাঝারী মানের রক্ষনশীল প্রকৃতির। আমি হাজার চেষ্ঠা করলেও বাংলাদেশ মাতা ও ভারত মাতা কে বোরখা পড়াতে পারবো না আবার ভারত মাতাকে পাশাপাশি দাঁড়া করিয়ে শাখা-সিঁদুর পড়াতেও পারবো না। এই গুলোকে আমরা যুগের হাওয়া ভেবে ভুল করি, আসলে কিন্তু তা না আমাদের সভ্যতা, প্রকৃতি ও ঐতিহ্য এমন ভাবেই গড়া। আমরা যখন এই মাঝারী মানের রক্ষনশীল অবস্থা থেকে বাইড়ে চলে যাই তখনই বড় কোনো বিপদ প্রবল বেগে এসে আমাদের কেমন করে যেনো আমাদের মাথায় উঠে আমাদেরই শাসন-শোষন-বঞ্চনা নিয়ে বসে থাকে। এই ধরনের আর সুযোগ আর মহাঅনন্তকালের মধ্যে আর কোনোদিনও দিয়ে দেয়া যাবে না।



আপনারা নিশ্চই অবগত আছেন যে, আমাদের টু-সুইট-সিস্টার বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়ার প্রাপ্ত বয়স্ক কর্মহীন আর্থীক ভাবে অস্বচ্ছ্বল প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের কি পরিমান সামাজিক কটুকথা, সম্মানহীন-স্নেহহীন-প্রেরনাহীন, লাঞ্চনা, বঞ্চনা, অপমান, অপঘাত, অবমাননা দিবা নিশি সইতে হয়। কর্মহীন আর্থীক ভাবে অস্বচ্ছ্বল প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের অবস্থাই যদি এমন হয় তাহলে নিশ্চই বুঝতে পারছেন নারীরা চিরজন্মেরজিম্মি-বন্দি-দাস হয়ে কতো কষ্টে কোনোরকম ভাবে বেঁচে আছেন।



সবার আগে আমাদের নারীদের ইনকাম বৈশম্য দুর করতে হবে। সব ধরনের পেশায়ই নারী-পুরুষ মানুষ হিসেবে গন্য হয়ে একদম সমান পারিশ্রমিক নিশ্চিত হয়ে যেতে হবে। টু-সুইট-সিস্টার বাংলাদেশ ও ভারতের বর্তমান দুই সুইট-গভমেন্টকে জোরে-সোরে প্রচার প্রচারনা ও ভিবিন্ন মাধ্যমে এই কথা প্রতিষ্ঠিত করে দিতে হবে। তাতে যতো বাধাই আসুক না কেনো ঠিকই দেখবেন ঐ বাধাগুলো সত্যের তিব্র চাহনীর সামনে ভেরার মতো “ভ্যা!-ভ্যা!-ভ্যা!” করে ডেকে উঠবে।



নারীদের সংসার, বাচ্চা, ঘর সামলানোর দরকার হয় তাই পার্টটাইম চাকুরী যা আছে এবং আরো যা যুক্ত করা যায়- তা থেকে একচেটিয়া নরীদের সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে। নারীরা ঘরের বাইড়ে বেড় হয় না বলে মানুষিক ভাবে মানসম্মত জনবল হিসেবে তৈরি হতে পারছে না। আমাদের মা, বোন, মাসি, পিসি ও সহধর্মিনিদের ঘরের বাইরের জগত সম্পর্কে সহয ও সাবলিল করে তৈরি করার সুযোগ দিতে হবে। আপনি যদি সামান্য একটি ব্যাপার চিন্তা করে দেখেন যে, এই টু-সুইট-সিস্টার বাংলাদেশ ও ভারতের লোকশিল্প বিশ্বসেরা তা চোখ বন্ধ করে যে কেউ স্বীকার করবে। এই লোকশিল্প তো আছেই সেই সাথে বাহারি টাইপের আইডিয়া কৃয়েট করে নারীমাতাদের হাতে আয় তুলে দিতে হবে। এর ফলশ্রুতিতে তাঁরা স্বাধীন ও ন্যায়-ন্যায্য ভাববে বেঁচে থাকার সাদ তো পাবেই আর সাথে সাথে নারী সংক্রান্ত অপরাধ দ্রুত কমে যেতে বাধ্য হবে। এমনকি টেকনোলজির যে সব আউটসোর্সিং বা নিজস্ব প্লেসে বসে করা যায় এমন সব কাজ নারীদের হাতে তুলে দিলে দেখবেন আমাদের নারীমাতাগন কত বেশি নিখুঁত সুন্দর কাজ করে বিশ্বকে চমকে দিতে সক্ষম হবে।



আমাদের নারী নেতৃত্বের একটি সাবলিল ধারা তৈরি করার সময় এসেছে। ঘর থেকে না বেড়নের ফলেই নারীরা প্রকৃত ও প্রয়োজনীয় জ্ঞান অর্জন থেকে বিরত থাকতে বাধ্য হচ্ছে। যখন নারী মাতারা কাজ ও নিজস্ব ইনকাম দ্বারা নিজেদের সাবলম্বিতার প্লাটফরমে দাড় করিয়ে নিজেদের আসল আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবে সেদিন নারীদের নেতৃত্ব নিয়ে চিৎকার চ্যাচামেচির যে প্রয়োজন কোনো কালে হয়েছিলো, তাও মানুষ ভুলে যেতে বাধ্য হবে। এখনই প্রবল বেগে নারী জাগরনের সময় এসেছে। আজ এই অভাগা টু-সুইট-সিস্টারের নারীদের কেউ কোনভাবে দাবিয়ে রেখে দাস বানিয়ে রাখার সাহোসও পাবে না। আমাদের মাথার উপর যে কালিমাতা থাকেন তিনি যেমন ভয়ংকরী আবার ঠিক তেমনই মহামায়ময়ী। আমাদের নারীদের যে কতখানী সৎসাহস আছে তা পুরো বিশ্ব আজ থেকেই দেখতে শুরু করবে। এই আমাদের অঙ্গীকার!



টু-টুইন-সিস্টারের পর্যটন শিল্প অবশ্যই বিশ্বসেরা হবার যোগ্য। এই পর্যটন শিল্পের প্রাণ হতে পারে আমাদের নারীমাতাদের অবদান। শুধু মাত্র আমাদের সুন্দর একটি পরিকল্পিত সুযোগ তৈরি করে দিতে জানতে হবে। এটুকু করতে পারলে আমাদের মেধাবী নারীমাতাগন বাকিটুকু নিজেরাই সংসার সাজানোর মতো করে সাজিয়ে নিতে পারবেন বলে আপনি আমি সবাই বিশ্বাস করি।



সত্যিকারঅর্থে গভীর ভাবে ভেবে দেখলে দেখবেন আমাদের সমাজে এমন কিছু মিথ্যে কুসংস্কার কৌশলে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছিলো যে, আজ তার খেসারত নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সব মানুষকে দিতে হচ্ছে। সেই সব বাজে অপয়া কুসংস্কার আমাদের নারীমাতাদের রাঙা চরন দিয়েই লাথি মেরে পায়ে পিষে বিষ পিপড়ার মতো মেরে ফেলতে হবে।



আমাদের এই মুহূর্ত থেকেই এই অর্ধেক অর্কম জনসংখ্যাকে স্বর্নের কর্মকারের মতো দেশের স্বর্নসম মাটির সেবাকারক হিসেবে তুলে নিয়ে আসতে হবে। আমাদের হৃদয় দেবতা যখন আমাদের এতো কাছে আছেন অবশ্যই আমরা আমাদের কাজ দিয়ে পুরবিশ্বকেই পরিবর্তন করে দিতে পারবো। আমরা জানি, ঈশ্বর আমাদের মঙ্গল কাজের সর্ব সহায় হয়ে সর্বদা আমাদের নিকটের থেকেও নিকটেই আছেন। আমরা তাঁর পথ থেকে দুরে সরে গিয়েছিলাম বলেই এতো কিছু এলোমেলো হয়ে গিয়েছিলো। এবার আমাদের এই টু-সুইট-সিস্টারের ফুল বাগানের পানি ঢালা প্রায় শেষ, আর ফুলও প্রায় ফুটবে ফুটবে বলে ফুঁটে উঠেছে।



[যে চারটা বিষয় এখন পর্যন্ত আলোচনা করা হলো সবগুলোই সমানভাবে গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিলে দূর্নীতি সহ অন্য অনেক সমস্যার পাহাড় সমভূমি হয়ে যেতে বাধ্য।]



চলবে.........



https://www.facebook.com/asif.ud

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.