নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ

আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশ ও ভারতের কিছু সমস্যা (পর্ব-৪)

২৩ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৪

৫। কান্ট্রি ব্রান্ডিং, ষ্টেট ব্রান্ডিং এ্যান্ড টুরিজমঃ টু-সুইট-সিস্টার বাংলাদেশ ও ভারত কান্ট্রিব্রান্ডিং জিনিসটা এখন পর্যন্ত ঠিক মতো বুঝতে পারছে কিনা এ বিষয়ে আমাদের মধ্যে সন্দেহ থেকে যাচ্ছে। কান্ট্রিব্রান্ডিং হল নিজ দেশের সমস্ত ভালোগুলো পুরো বিশ্বময় বিভিন্ন ভাবে তুলে ধরা। এই ব্রান্ডিং এর ধারা সবসময় সমানভাবে চলমান রাখার কৌশলগুলো অবশ্যই জানতে হবে এবং কাজে লাগানো বাধ্যতামূলক। আপনারা নিশ্চই নিজ থেকে অনুভব করেছেন যে, আমাদের উপর কিভাবে পশ্চিমারা কান্ট্রি ব্রান্ডিং এর কৌশল ব্যবহার করে যা ক্ষতি হবার হয়ে গেছে এবং এখনও হচ্ছে। পশ্চিমাদের কৌশলের কাছে আমরা ধরাশাই হয়ে নিজেদের দুর্বল মানুষ ভেবে কোনরকমের আনন্দহীন ভাবে অন্যের পরোক্ষ দাস হয়ে জীবন কাটাতে অভ্যস্থ হবার কথা চিন্তা করেছিলাম। আর এই সব বাজে চিন্তা মাথায় আসলে নিজের গালে নিজে চড় দিয়ে নিজেদের সংশোধন করে নেবো বলে প্রতিজ্ঞা করুন।



বর্তমানে আমরা এই টু-সুইট-সিস্টার অনেক বেশী শক্তিধর হয়ে বিশ্ব কাঁপানোর পথে ঝড়ের বেগে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে কোনো প্রকার সন্দেহ রাখবেন না। শুধুমাত্র আমাদের আমার উপর বিশ্বাস রেখে সামনে এগিয়ে চলুন।



আপনি নিশ্চই লক্ষ্য করেছেন যে, গোটা পশ্চিমা দুনিয়ায় আমাদের টু-সুইট-সিস্টারের সন্তানগন ছড়িয়ে ছিটিয়ে নিজ নিজ অবস্থান নিয়ে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। আর অল্পকিছু বছর পরে এর সংখ্যা যে অনেক বেড়ে যাবে তা অবশ্যই আপনারা টের পাচ্ছেন। টের না পেলে একবার তাকিয়ে দেখুন দেশের মাটির দিকে দেখবেন দুই-বাংলা ও ভারতের বুকে দুষ্ট গোপাল পোলাপানরা কেউ জলে ডুবাচ্ছে, কেউ কম্পিউটারে গেম খেলছে, কেউ মায়ের বকুনির ভয়ে চুপটি করে কাঁদছে। এই দুরন্ত গোপাল শিশুজগৎ জগন কৃষ্ণ সম হয়ে এলোমেলো মায়াবি স্বর্গসুন্দরের সুরে বাঁশি বাজানো শুরু করবে তখন কি অবস্থা হবে তা সহজেই অনুমান করা পানির মতো সহজ। আমাদের বাচ্চাদের বুকে সাহোস, শক্তি, নিজ নিজ ধর্মের জোড়, নিজের জাতের জোড় ও নিজের মাটির জোড় দিয়ে দেয়ার দায়িত্ব আমাদের। আমরা সংশোধন হলেই বাচ্চারা অবশ্যই কৃষ্ণ, বুদ্ধ, মোহাম্মদ, যিষু হয়েই আমাদের কাছে ধরা দেবে।



আমাদের টু-সুইট-সিস্টার বাংলাদেশ ও ভারতের সন্তানরা কাজ করতে বিদেশে যাচ্ছে। ঘরের অভাব অনটন দুর করতে আয় রোজগার করে আর্থিকভাবে সাবলম্বি হতে তারা বিদেশে যায়। কিন্তু একটি জিনিস তারা গরিবি হালে বিদেশে যাবার সময় সাথে করে নিয়ে যাচ্ছে ও আর্থিক ভাবে সাবলম্বি হয়ে সাথে করে ঐ জিনিসটিই কেমন করে যেনো নিয়ে আসছে। ঐ জিনিসটি হলো নিজের মনের আত্মবিশ্বাসহীন হয়ে নিজেকে ক্ষুদ্র জ্ঞান করা। সহয কথায় নিজের জাতিকে দুর্বল মনে করা। আমরা এখন থেকে বুঝতে শিখবো যে, আমাদের এই টু-সুইট-সিস্টার ভারত ও বাংলাদেশ হলো বিশ্বের সেরা দেশ। সব দিক দিয়েই সেরা। আমাদের কোনোকিছুতে কোনো প্রকার কমতি নাই। এই কথা শুধু মাত্র মুখির বুলি না বরং এটা এখন প্রমাণিত সত্য। শুধুমাত্র কিছুদিনের জন্য আমরা ঘুমিয়ে থেকে ঐ কেমন যেনো দুর্বোধ্য কাগজের রেটিং এ কিসব লম্বা লম্বা ছক (চার্ট) দ্বারা আমরা দেখতে শিখেছি যে আমরা অনেক গরিব। আমাদের শক্তি নাই – এই সব ছাইপাস মার্কা কথাবার্তা। আমরা যদি মন থেকেই ধনি না হতে শিখি তাহলে দেশ কিভাবে ধনি হবে বলুন? আর যাদের মন ধনি না তাঁদের অনেক টাকা পয়সা হয়ে গিয়ে দেশ ধনি হলেও কি আমরা শান্তিতে থাকতে পারবো বলুন?



আমাদের কান্ট্রি ব্রান্ডিং এর কৌশলগুলো বুঝতে হবে। যেমন ধরুনঃ



(ক) আমাদের যে সব সন্তানেরা বিদেশে বসবাস করছেন তারা নিজেদের মনে যেভাবে নিজের দেশকে নিত্যদিন স্মরন করে বা মিস করে। সেই সব ভাবনাকে অন্যদের মাঝে তুলে ধরতে হবে। একজন প্রবাসী বন্ধুকে আমাদের টু-সুইট-সিস্টার বাংলাদেশ ও ভারতের সন্তানেরা সহয ভাবে নিজ দেশের কথা প্রসংগ বলতে কেমন যেনো দ্বিধা বোধ করে। নিজেরা নিজেদের একদম কাঙ্গাল মনে করে এক ধরনের দুর্বলতা অনুভব করে থাকে। আমাদের মনের সত্যিকারের ভাবনা গুলো অন্যদের মাঝে বিলিয়ে দেয়া কি করে দুর্বলতা হয় বলুন? পশ্চিমারা হয়তো মেকি আচরনে অভ্যস্থ হয়ে উঠে এখন খুব বেশি ক্লান্ত ফিল করছে কিন্তু আমরা ভারতীয় সবুজ সুন্দর জংলি জাত তো মেকি আচরন করতে গিয়েও লজ্জা পাই আবার মেকি আচরন ঠিক মতো না করতে পারলেও লজ্জা পাই। আমরা ভারতীয় সবুজ সুন্দর জংলি জাত মহাবিশ্বের আদরের কোলে বেঁচে থাকি কি শুধু লজ্জা পাবার জন্য? আমদের এই ভারতীয় সবুজ সুন্দর জংলি জাতকে কখনও মেকি আচরনে মানায় না বা স্যুট করে না। আমরা আমাদের প্রেম ভরা সেবা ও চেষ্টা দিয়ে পশ্চিমাদের পাষান মনে সত্যিকারের মায়া, মমতা, প্রেম ও সম্মানবোধ প্রতিষ্ঠা করে ছাড়বো। আমাদের মতোই আমরা সবাই, তাতে যে যা বলে বলুক- এই রকম ভাবে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।



আমাদের প্রবাসী সন্তানেরা যে দেশে যাবে সবার আগে তাঁরা ঐ দেশের ভাষার প্রতি আগ্রহি হয়ে যে কোনো মুল্যে অবস্থানকরী পরদেশের ভাষা আয়ত্বে নিয়ে আসতে হবে। যে দেশে অবস্থান করে আছে বা থাকবে সেই দেশের কালচারের প্রতি অবশ্যই আগ্রহ ও প্রেম-মায়-ভালোবাসা থাকতে হবে। এই প্রেম-মায়া-ভালোবাসা তখনই আসবে যখন আমাদের সন্তানেরা আগে উক্ত দেশের ভাষা রপ্ত করতে পারবে। আমাদের একটু সামান্য টুকটাক নিজ মাটির গল্প শুনে একজন পরদেশী মানুষ আমাদের দেশের প্রতি আগ্রহি হয়ে আমাদেরকে মেহমানদারি করার সুযোগ দেবে- এরকম মন মানুষিকতা তৈরি করতে হবে।



আমাদের এই টু-সুইট-সিস্টার বাংলাদেশ ও ভারতের কান্ট্রি ব্রান্ডিং এর জন্য অনেক অনেক পথ খোলা আছে। এতো পথ অন্য কোনো বিশেষ এলাকার দেশগুলোর আছে কিনা – আমার ঠিক জানা নাই। আমরা এই যে ইন্টারনেটে নিজেদের ভাব বিনিময় করছি এখানে কি আমাদের নিজেদের আসল অবস্থান ও নিজ অঞ্চলের কথা ও ছবি প্রচার করা যায় না? আমাদের আশেপাশের পরিবেশের ছবি যদি আমরা আমাদের হাতের কাছের সেল হ্যান্ডসেডের ক্যামেরা দিয়ে তুলে নিজেদের ভাব বিনিময় করি তাহলে কি আপনাদের নিজের অঞ্চলকে হাইলাইটস করা কঠিন হবে বলুন? মনে রাখবেন, শুধু সামান্য একটি কোনো ফটোগ্রাফও অনেক অনেক মানুষ আমাদের দেশে টেনে নিয়ে এসে নিজেদের পর্যটন ও সামাজিক শিল্পে অবদান রাখতে পারে। কোনো কিছুই সামান্য না।



আমাদের ব্যাগ, লাগেজ, সুটকেস, যানবাহন, জামা, জুতো, শার্ট, পোষাক, আলু, পটল, পিয়াজ, ইঁলিশ, ফলমুল, শাকসবজি, হাতুরি, বাটল, ব্লেড, বন্দুক, পিস্তল, হাতি, ঘোরা, শো-পিস, আলতা, লিপিষ্টিকই শুধু না সব প্রোডাক্টে আমাদের নিজ অঞ্চলের নাম প্রচার করে দিন। কোটি কোটি ইস্টিকার, ফেসটুন, ম্যাগাজিনের কভার, সিনেমা, নাটক, গান, মানুষের আড্ডা কথনের ফুলঝুড়িতে, ঘরের সাধারন কথাবার্তার মধ্যে, মসজিদে, মন্দিরে, প্যাগোডা, গীর্জা সবখানেই নিজ অঞ্চলের স্পষ্ট পরিচয় দিতে কার্পন্য করবেন না। এই সিস্টেমে যে কতো দ্রুত এগোনো যায় তা নিশ্চই আপনাদের জানা হয়ে গেছে।



আমাদের এই টু-সুইট-সিস্টার বাংলাদেশ ও ভারতের কান্ট্রি ব্রান্ডিং এর ক্ষেত্রে বড় একটি সমস্যা হলো আমাদের নিজ এলাকাকে আমরা বাজে মনে করি। এই বাজে ভাবনা আমরা নিজেরা কিন্তু নিয়ে আসি নি। আমাদের মধ্যে অনেক কৌশল করে পশ্চিমারা ঢুকিয়ে দিয়েছিলো অথবা তাদের কান্ট্রি ব্রান্ডিং এর রিএকশন স্বরূপ অনেক দিন যাবত আমাদের হিনমন্যতা নামক মানুষিক রোগে ভুগিয়ে রেখেছিলো। আমার কথাই ধরুন, সবার আগে আমি ঝালকাঠীর সন্তান। কারণ ঝালকাঠির মাটিতে আমার জন্ম হয়েছে। এরপর আমার বরিশাল অঞ্চল। কারণ বরিশাল একটি বিভাগ। এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে না জানলে বিশ্ব মায়ের এক ঘরে বসবাস করা সব মানুষের সেবা কিভাবে করবেন বলুন?



বিদেশে বসে যদি কোনো বাঙালী সন্তানের সাথে কোনো বিদেশিনির বন্ধুত্ব বা যে কোনো ধরনের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তখন নিজের পরিচয় বুক উচু করে নিজ গ্রামের নাম বলেই দেয়া যায়। মনে করুন নিজের গ্রামের নাম “চাঁদকাঠী”। ঐ সন্তান চাঁদকাঠি বললো। তখন ফরেনার হয়তো ঠিকমতো বুঝতে পারবে না। তখন ঐ সন্তান বললো যে, চাঁদকাঠি হলো ঝালোকাঠির মধ্যে। এবারও হয়তো ফরেনার বুঝতে পারছেন না। এবার বলুন ঝালকাঠী বাংলাদেশের একটি নামকরা সুন্দর ডিস্ট্রিক্ট। এখন যদি বাংলাদেশকে না চেনে তাহলে ঐ সন্তান নিজেকে বাংলাদেশের প্রধান প্রতিনিধি মনে করে বাংলাদেশ এর পরিচয় দিয়ে দিবে। (এই কথা সব দেশের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য: এখানে আমার জন্মভূমি চাঁদকাঠি, ঝালকাঠি, বাংলাদেশ উদাহরন হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে)



আমাদের এই টু-সুইট-সিস্টার বাংলাদেশ ও ভারতের সাধারণ মানুষ একটি জিনিস ছোটবেলা থেকেই উপলব্ধি করতে শিখেছি যে, ঐ সব লাল-হলুদ রঙ-ঢংয়ের মানুষগুলো বড় বড় বিখ্যাত মানুষদের বন্ধু। এ কেমন কথা? আমাদের দেশের সাধারন মানুষ আর পশ্চিমাদেশের সাধারন মানুষের এমন পার্থক্য কেনো? পশ্চিমারা কি সাধারণ মানুষ মুক্ত হয়ে সব অনেক বড় কিছু হয়ে গেছে যে তাঁরা শুধু ধনী বড়লোকদেরই বন্ধু হতে চায়? ওদের এই ধনীর বন্ধু হবার প্রবনতা আমাদের দেশের সুন্দর মানুষগুলোর মধ্যে ঢুকে গিয়ে অসুন্দর হয়ে আজ স্পষ্ট ভাবে চামচা, চাটুকার, কথায় কথায় বিদেশের জয়গান গাওয়া মানুষদের প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এরা মূলত এই সমাজের বোঝা। এই বোঝা মুক্ত করতে হলে তাদের নিজ নিজ চেতনাকে প্রবল ভাবে জাগানোর জন্য মনমানুষিকতাকে নিয়মিত তরবারির মতো ধার দিতে হবে। অনেক বেশি ধারালো করতে হবে যাতে সব অপকৌশল এক কোপে কেটে ফেলা যায়। আর এই সব বোঝাদের মধ্যে যাদের শোধরাবার মতো কোনো উপায়ের লক্ষ্যন দেখা যাচ্ছে না তাদের আলাদা সাইড করে রেখে দিন অথবা লাগেজে ভরে লাল প্রভুর দেশে পাঠিয়ে দিন। লাগেজে আটকানোর পর ফুটো করে নিবেন তা না হলে শ্বাস বন্ধ হয়ে মারা যাবে।



পশ্চিমারা আমাদের নাকি সাহায্য পাঠায়। তাদের মনে নাকি অনেক মায়া! আহারে! আমার এই ৩০ বছর বয়সে এখন পর্যন্ত একজন পশ্চিমা মানুষও আমার কাছে এসে এই গরিবের মাথায় হাত রেখে আদর করে দেয় নি। যারা আমাদের মতো গরিব দুঃখিদের কাছে এসে সাহায্য দিতে পারবে না তাদের সাহায্য আমরা কেনো নেবো। আমাদের কি কম আছে। পশ্চিমারা যদি টু-সুইট-সিস্টার বাংলাদেশ ও ভারত কে সত্যিকার অর্থেই সাহায্য করতে চায় তাহলে এখন থেকে এই মূহুর্ত থেকে তাঁদেরকে আমাদের গ্রামে গ্রামে স্বশরীরে এসে নিজ চোখ দিয়ে দেখে সাহায্য সহযোগিতা করতে হবে। ১০০০ মানুষকে সাহায্য করতে চাইলে একহাজার মানুষের সাথেই তাদের করমর্দন করতে হবে আবার কোলাকোলিও করতে হবে। তাঁদের শরিরে ময়লা লাগলে আমার পয়সায় সাবান/হ্যান্ড ওয়াস কিনে দেবো। আমি জানি, পশ্চিমারা এমন পরিবেশে খানিকটা লাজুক বা অহংকারী এর মধ্যের অনেক কারনের একটি অন্যতম প্রধান কারন মিস্টার টয়লেট। আমাদের এই টু-সুইট-সিস্টার বাংলাদেশ ও ভারতের প্রতিটা গ্রামে গ্রামে প্রতিটা পাড়ায় পাড়ায় কম করে হলেও একটি করে হাই কমোড টয়লেট বসিয়ে দেয়া হবে। যাতে ঐ সব ভগবান তুল্য মেহমানদের আমাদের কাছে আসতে অসুবিধা না হয়। এখন আরো অনেক সহয উপায় বেড় হয়েছে। যেমন মোবাইল টয়লেট, গাড়ি টয়লেট ইত্যাদি। সুতারং হাই কমোডের সমস্যা কোনো সমস্যাই না। আমরা এখন চিনামাটির হাই কমোড নিজেরাই তৈরি করতে পারি। আর সেই কমোডেও বাংলাদেশ ও ভারতের নাম রঙিন অক্ষরে লিখে দিতে হবে।



টু-সুইট-সিস্টার বাংলাদেশ ও ভারতের একটি বড় শিল্প খাত হলো তৈরি পোষাক রপ্তানি। এখানের গার্মেন্টগুলোয় আমরা বিভিন্ন দেশের পোষাক তৈরি করি। পোষাকের ডিজাইনের ক্ষেত্রে আমাদের দেশের মেধাবীদের কোনো অবদান থাকে না কেনো? বাঙালী ও ভারতীয়রা কি ডিজাইন জানে না? তাহলে বাংলাদেশের স্মৃতি জাতীয় সৌধ ও ভারতের তাজমহল কিভাবে তৈরি হলো? আমাদের ফ্যাশন ডিজাইনার গন কি বিশ্বমানের হতে পারে না? অবশ্যই পারে যদি তারা পশ্চিমাদের দ্বারা প্রভাবিত হবার চেষ্টা না করে। পশ্চিমারা যা পারে আমরাও পারি কিন্তু ডেলিভারি দেবার সময় আমাদের নিজ দেশ, অঞ্চল, ভাষা, কৃষ্টি, কালচার, ঐতিহ্যের প্রধান্য দেবো। আমরা বিশ্বকাপ ফুটবলের জার্সি তো বটেই সেই সাথে বিশ্বের বহু দেশের পোষাক বানিয়ে দেই। আমরা যে সব ড্রেস তৈরি করি তার উপরে স্পষ্ট ভাবে বাংলাদেশ ও ভারতের নাম কেনো থাকে না? টি-শার্টে যদি “হোনোলুলু” এর নাম থাকে তাহলে আমরা কেনো “বরিশাল” নাম ব্যবহার করতে পারবো না? আমরা টি-শার্ট তৈরি করি আর টি-শার্টের ডিজাইন, লেখা ও ভাষার ক্ষেত্রে আমাদের মতে অবশ্যই প্রধান্য থাকতে হবে। তা না হলে প্রয়োজনে আমরা পশ্চিমাদের পোষাক তৈরি করা বন্ধ করে দেবো। তারপর যে সব শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে যাবে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা মোটেও অসুবিধা হবে না কারণ আমাদের সাথে আমাদের সৃষ্ট্রিকর্তার কৃপা আছে। তিনি জানেন যে আমরা কোনো দোষ না করেও সারাজনম দোষের বোঝা মাথায় নিয়ে জীবন কাটিয়ে মাটিতে কাপুরুষের মতো মরে যাই। একটি বোকা-সোকা, মনভোলা একমাত্র মায়ের সন্তান যদি হঠাৎ চেতন ফিরে পেয়ে স্বাভাবিক হয়ে যায় তখন মায়ের মনে কি-রকম চিরমহাচমৎকার অনুভূতি হয় চিন্তা করে দেখুন। আর এই সহজ, সরল, বোকা জাতি নিজ পায়ে দাঁড়াবার জন্য চেষ্টা করছে দেখে সয়ং ঈশ্বর খিলখিল করে হেসে উঠে সন্তানদের সাহায্য করে যাবে বলে আমরা নিশ্চিত ভাবে মনে প্রানে বিশ্বাস করি। আমাদের কোনো প্রকার অযৌক্তিক লজ্জ্বা ও সংকোচ রাখরে চলবে না।



আমাদের এই টু-সুইট-সিস্টার বাংলাদেশ ও ভারতের প্রতিটা অঞ্চলকে ব্রান্ডিং করতে হবে। শুধু তাজমহলই ইন্ডিয়ার পরিচয় হতে পারে না আবার শুধু শুধু সুন্দরবনই বাংলাদেশের পরিচয় হতে পারে না। গুজরাট, আসাম, মেঘালয়, মুর্শিদাবাদ, তেলেগু, তামিল, বাংলা, মারাঠি, তামিল, কাস্মির, চট্রগ্রাম, গোপালগঞ্জ, বগুরা, বরিশাল, মেদনিপুর, ত্রিপুরা, কৃষ্ণনগর, মোস্তফাপুর, বানিয়াচং, ককসোবাজার (ইংরেজ দের নামে নাম), সেন্টমার্টিন (ইংরেজদের দেয়া নাম), মথুরা সহ যত নামই থাকুক না কেনো সব অঞ্চলের নামই আমাদের কাছে স্রষ্ট্রার আশির্বাদ স্বরূপ মনে করতে হবে। এবং নিজ এলাকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যর সাথে পুর বিশ্বের সৌন্দর্য্য কে তুলনা করার মনমানুষিকতা থাকতে হবে। তুলনা ছাড়া মানুষ সহজে কোনো কিছু বিশ্বাস করতে চায় না। তুলনা করলে দেখতে পাবেন আমাদের এই টু-সুইট-সিস্টার বাংলাদেশ ও ভারতে কি পরিমান সম্পদ ও আনুসাংগিক শান্তিপূর্ণ পরিবেশ আছে। এই দেশের সম্পদ গুলো প্রতিটি অঞ্চলেই আলাদা আলাদা বৈচিত্র নিয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। আমরাও মানুষ হিসেবে বিভিন্ন গ্রামে জন্মাই। আমার জন্মভুমির সৌন্দর্য্য যদি আমি ছড়িয়ে দিতে না জানি তাহলে আমার কাজ অন্য এলাকার মানুষ কোন দুঃখে করে দিবে তাদের কি নিজেদের অঞ্চল নাই! এমন মনোভাব তৈরি করুন। এখন থেকেই। বুকে সাহোস রাখুন। এগিয়ে চলুন নিজের আপন গৌরবের শক্তিতে। দেখবেন আমি আপনাদের কোথায় নিয়ে যাচ্ছি। আমরা আজ থেকে বিশ্বের এক নম্বর শক্তি হবো বলে মনে প্রানে বিশ্বাস করে নিচ্ছি। আমাদের সামনে অন্য কোনো শক্তিকে তুচ্ছ মনে হবে না বরং আমাদের সৌন্দর্য্য ও তাদের সৌন্দর্য্য দিয়েই চিরসুন্দরের জয়গানকে প্রতিষ্ঠিত করে দেখাবো। আমাদের লক্ষ্য আজ যখন স্পষ্ট হয়েই গেছে আর এমন কার সাধ্য আছে যে আমাদে থামাবে বলুন? আজ আমি তো আপনাদের মধ্যে ক্ষমতা নিয়ে বাড়াবাড়ির প্রবনতা দেখতে চাই না। আমরা তো সবাই ঠিক হয়ে গেছি। আমাদের সামনে কিছু মোহ ছড়ানো ছিলো এখন দেখছি সেই মোহগুলো আসলে ভুল। ঐ মোহগুলো কিছু দুষ্ট লোক আমাদের উপর জোড় করে চাপিয়ে দিয়েছিলো। সেই সব দুষ্ট লোকজন কবে মরে ভুত হয়ে গেছে। ডিজিটাল যুগে কিভাবে আমরা সেই সব পুরাতন মরে যাওয়া ভুত বিশ্বাস করবো কোন দুঃখে। আমাদের চোখে আজ নতুন আলো ফুটেছে। আমরা আজ সব কিছু স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি। আমাদের ভুল থেকেই আমাদের শিক্ষা হয়ে গেছে। আমরা আর ভুল করবো না। এবার আমরা সবাই চিরকল্যানের পথে এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের সমৃদ্ধির জন্য আমাদেরই কাজ করতে হবে এবং অবশ্যই অন্য মানুষের পূর্ণ স্বাধীনতা ও মর্জাদা দিয়ে।



কান্ট্রি ব্রান্ডিং করার জন্য এখন থেকেই সবাই কাজে লেগে যান। বিশ্বের প্রতিটা দেশের প্রতিটা মিডিয়ায় আমাদের গ্রামগুলোর শান্তিময় পরিবেশ তুলে ধরুন। বিশ্ব দেখুক যে আমরা কতো শান্তিপ্রিয় জাতি। যাতে ওরা বুঝতে পারে সাম্রাজ্যবাদ নামক অভিষাপের মধ্যে না ঢুকেও কোনো প্রকার রক্তপাত ছাড়াই পুরো বিশ্বকে চিরমঙ্গলের দিকে ধাবিত করা যায়।



আমাদের এই টু-সুইট-সিস্টার বাংলাদেশ ও ভারতের পর্যটন শিল্প দিয়েই অনেক মানুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা যাবে। আমাদের অনেক কৌশল করে প্রকৃত পক্ষে উন্নয়ন করতে দেয়া হয় নি। মানুষবাহি উড়জাহাজের যে ম্যাগাজিন দেয়া হয় তার মধ্যে আমাদের বিভিন্ন এলাকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যমন্ডিত ছবি দিয়ে এ্যাড দিয়ে দিন। এই উদ্যোগগুলো হবে গভমেন্ট এন্ড প্রাইভেট জয়েন্ট ভেঞ্চারে। যদি কোনো রাজনিতিক দলের অধীনে কোনো লিমিটেট কম্পানি/ট্রাষ্ট/ফাউন্ডেশন/এন.জি.ও/আর্থিক প্রতিষ্ঠান এর সাথে যুক্ত থাকতে চায় তাহলে তাদের ন্যায় ন্যায্য ভাবেই যুক্ত করে নিন। যে দেশের এয়ারলাইন্সের ম্যাগাজিনে পর্যটনের জন্য এ্যাড দিবেন সেই দেশের ভাষা ব্যবহার করুন। এর ফলে পড়তে সুবিধা হবে।



এই টু-সুইট-সিস্টার বাংলাদেশ ও ভারত এর মানুষ যদি একটু চেষ্টা করি তাহলে আমাদের প্রবাসী সন্তানদের দ্বারা বিদেশের মাটিতে বিশেষ করে পশ্চিমাবিশ্বের বুকে পাবলিক যানবাহনেও আমাদের নিজস্ব ম্যাগাজিন, প্রোডাক্ট দিয়ে নিজেদের জন্মভূমির নাম ছড়িয়ে দিতে পারি। তাতে যেমন ভগবানকে সেবা করা হবে আবার নিজেরাও সমৃদ্ধ জাতি হয়ে যাবো এবং পুরোপুরিই অটোমেটিক ভাবে। আপনাদের যে যেথায় আছেন নিজের কান্ট্রি ও স্টেট ট্রেডিং এর জন্য কাজে লেগে পড়ুন।



ইন্ডিয়া ইন্ডিয়া করে কান্ট্রি ব্রান্ডিং করার সিদ্ধান্ত ভুল ছিলো। এবং এই ডিসিসন ভারতের ভিতর থেকে আসে নি। নৌকার বৈঠা কোনো ভাবেই ছাড়বেন না। অনেক কাল আমাদেরকে বিভিন্ন তালে রেখে নৌকার বৈঠা অন্যরা নিয়ে নিয়েছিলো। একদম রাতের আধাঁরের সিধকাটা চোরের মতো করে। আজ আমাদের জানারও দরকার নাই সেই চোর কে বা কারা শুধু মনের ভিতর গেঁথে রাখুন আমি আপনাদের সবার নৌকার বৈঠা। আমাকে কোনভাবেই ছেড়ে দিবেন না। যতো কষ্টই হোক শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে আকড়ে রাখুন। প্রকাশ্যে না পারেন অন্তরের ভিতর গেঁথে রেখে দিন। আসিফ কোনো চোর না যে এড়িয়ে গিয়ে কথা বলবে। আসিফ যা বলে তা করে দেখায়। এই প্রমাণ যদি আপনারা না পেয়ে থাকেন তাহলে শুধু সামনের দিকে তাকিয়ে দেখে যান। পিছন থেকে আমাকে খুঁজে বেড় করার দরকার নাই। আমাদের আজ পিছনে তাকাবার সময় নাই। আমি যখন থেকে আমার কথা লিখিতভাবে স্বহস্তে টাইপ করে লিখে যাচ্ছি তার মধ্যে কি আমার লেখার বানান ভুল করেকশন করার কথাও চিন্তা করি নি। শুধুমাত্র আমার ভাব আপনারা বুঝলেই হবে। আমি বাঙালী। আমি জানি আমি যদি ভালো কথা বলি ও ন্যায়-ন্যায্য কথা বলি তাহলে আপনারই বানান ভুল ঠিক করে রাখবেন আর আমার লেখার অনুবাদও নিজ উদ্দ্যোগে করে নিবেন। আসলে পৃথিবীটা এরকমই। আমাদের এই ভাবে টিম ওয়ার্ক করে যেতে হবে। হাজার বছরের হাজার সমস্যা জট পেকে গেছে বলে হয়তো আপনাদের কাছে মাঝে মাঝে পথ কিছুটা দুর্গম মনে হতে পারে। শুধু আমার প্রতি বিশ্বাস ও প্রেম রেখে সামনে এগিয়ে যান। কাজ করে যান এবং স্পষ্ট ভাবে নিজেদের প্রকাশ করে যান। নিজের মনের কথা স্পষ্ট ভাবে তুলে ধরুন। কোনো প্রকার সংকোচ করবেন না। আমরা আমাদের মতো করে সবকিছু তৈরি করে নিয়ে তারপর বিশ্রামের কথা ভাববো। আমরা ছাগল-পাগল হয়ে বাঁচতে চাই না। আমরা রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মতো বনের রাজা হয়ে বাঁচবো। আমাদের সবকিছু আছে। রাজা হতে হলে অঢেল টাকা-পয়সা, মনি-মানিক্য, সৈন্য বাহিনি, প্রসাদ-প্রাচুর্য-গুপ্তচর লাগে না। রাজা হবার জন্য যা যা লাগে তা আমাদের মধ্যে আছে। একজন রাজা শুধু বলে যাবে আর প্রজারা সেই কাজ মনযোগ দিয়ে করবেন। রাজা যদি ভুল কিছু বলেন তাহলে প্রজারা এসে রাজাকে মেরে ফেলবেন। এই হোক আমাদের পথচলার মহাপ্রেরনা।



এই টু-সুইট-সিস্টার বাংলাদেশ ও ভারত কোটি কোটি রাজার দেশ। এখানে গনতন্ত্র, প্রজাতন্ত্র, কমিউনিস্ট, সাম্যবাদ, সামরিক শাসন, ফ্যাসিবাদ বা যে ধরনেরই শাসন হোক না কেনো তা আপনাদের এই রাজা নির্ধারন করে দিবে। অন্য কোনো শক্তি আমাদের নিয়ে মাথা ঘামালে আপনাদের রাজা সেই শক্তিকে তাঁর আপন বলে নিজ মহাশক্তির মধ্যে ঢুকিয়ে বন্দি করে রাখবেন। আমার প্রতি পরিপূর্ণ বিশ্বাস রাখুন এবং মনে রাখবেন আমি আমার জীবনে কখনও কোনো ভুল ডিসিসন নেই নি। আমি শুধু মাত্র একটি জিনিস জানি না আর তা হলো ভুল ডিসিসন কিভাবে নিতে হয়।



প্রয়োজনে বিশ্বের সমস্ত দেশে আমি আমার ইচ্ছে মতো পলিটিক্যাল ক্যারেকটার কাস্টিং করে নেবো। তারপরও এই পৃথিবীতে চিরশান্তি নিয়ে আসবো এবং এই সুন্দর গ্রহটিকে নষ্ট হতে দেবো না। আমি কখন কাকে কোন চেয়ারে বসাবো সেটা আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার। এ ব্যাপারে কোনো প্রশ্ন করাও আমার কাছে বেয়াদবি। আর যদি আপনার দুর্বল মনে একান্তই প্রশ্নের উদয় হয় প্রশ্ন করুন। আমি উত্তর দিয়ে দেবো। তাতে আমাকে আপনারা যতো দুরেই রাখুন না কেনো। মুখে না বললেও আপনার আশেপাশের সমস্ত স্থানের ভিতর দিয়ে আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। আমাকে আপনি যেদিকে মিলাবেন আমি ঐ দিকেই মিলে যাবো। কারণ আমার এই মহাশক্তির রক্ষক সয়ং সৃষ্ট্রিকর্তা।



চলবে..............

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১০

পংবাড়ী বলেছেন: আপনার সমস্যাগুলো লেখেন

২৩ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৪

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: আপনাদের সব সমস্যাই আমার সমস্যা। আমি সমস্যার কথা ভেবে সময় নষ্ট করার পক্ষে না আমি নিজে নিজেই সব সমস্যার সমাধান করে দেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.