নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ

আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশ ও ভারতের কিছু সমস্যা (পর্ব-৫)

২৩ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:১৭

৬। সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা ও অভ্যন্তরিন নিরাপত্তাঃ টু-সুইট-সিস্টার বাংলাদেশ ও ভারতের জন্য জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা খুব বেশি জরুরী এবং চ্যালেঞ্জপূর্ণ কাজ হয়ে আজ চোখের সামনে ভেষে উঠছে। আমাদের বুঝতে হবে সন্ত্রাসবাদ সন্ত্রাসবাদ করে আমরা যে লাফাচ্ছি তার মূলগুলো আসলে কোথায়। ইতিমধ্যে আমি আপনাদের সাথে কিছু কিছু বিষয় শেয়ার করেছি যার মধ্য থেকে আপনারা হয়তো সন্ত্রাসী সংগঠন গুলোর একটি স্ট্রাকচার ঠিকই বুঝতে পেরেছেন। আমার প্রশ্ন হলো বাংলাদেশ অথবা ভারতের একেকজন কুখ্যাত অপরাধী কিকরে কোন আইনের ভিত্তিতে ইউ.এস.এ. ও ফাস্ট ওয়র্ল্ডের কান্ট্রি গুলোতে অবাধে ঘুরে বেড়ায়? কোন আইন এমন অধীকার দিয়েছে যে বাংলাদেশ ও ভারতের কোনো অপরাধী বিশ্বের অন্য কান্ট্রিতে অপরাধী বলে গণ্য হবে না? এই রকমের আইন তৈরি করেছিলো কারা? কিসের জন্য এই রকম আইনের জন্ম হয়েছিলো? আশা করি আপনারা জানেন ও বোঝেন যে কেনো এই সব অপরাধীদের সুযোগ দেয়া হয়। এর ফলে কি ফাস্ট ওয়ার্ল্ড কি শান্তিতে আছে? অবশ্যই না। ঐ সব খারাপ মানুষদের একটি অপছায়া সবসময়ই থেকে যায়। এক দেশের অপরাধী অন্যদেশে গিয়ে যতই শেল্টার লাভ করুক না কেনো, ঐ সব কুলঙ্গারদের অপরাধ ভাবনা কিন্তু সাথেই থেকে যায়। আমাদের বুঝতে হবে এই সব বাজে ব্যবস্থার কারণে বিশেষ কিছু কোয়ালিটির মেন্টালিটি সম্পন্ন মানুষের মেধা তৈরি হয়। যে মেধা শুধু বাজে কৌশল, বাজে আকাঙ্খা, বাজে ভাবে ভাবতে শেখে এবং সবকিছু জোড় জবরদস্তি ও বাজে ফাঁকিবাজি কৌশলের মাধ্যমেই পেতে চায়। এরকম অপরাধী অপরাধ করে করে স্বাভাবিক বা অস্বাভাবিক জীবন কাটিয়ে পরপারে চলে যান। তারপরও তাদের বাজে প্রভাব আমাদের এই গোটা বিশ্বে পড়ে থাকে। সেখান থেকেই অনেক অনেক জঞ্জালের সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের ইন্টারপোলের বর্তমান আন্তর্জাতিক অপরাধী বিনিময় বা অন্য যে কোনো অপরাধ সংক্রান্ত চুক্তি করে তেমন কোনো লাভ হচ্ছে না কারণ আমাদের এই আইনগুলো একদম নড়বড়ে ও স্বার্থে ভরা অবস্থান নিয়ে প্রকাশ পাচ্ছে। আমার প্রস্তাব হলো বাংলাদেশ বা ভারতের কোর্টে একজন অপরাধীর সাজা হয়ে গেছে কিন্তু অপরাধী পালাতক অবস্থায় ইউ.এস.এ. বা অন্য কোনো রাস্ট্রে আছেন। এমতাবস্তায়, ঐ অপরাধীকে নিজ দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসার তেমন দরকার নাই বরং ঐ অপরাধীর প্রাপ্ত সাঁজা পালাতক অবস্থায় যে দেশে আছে সেই দেশে বসেই পেতে হবে। আমি আরও স্পষ্ট করে বলছি, মনে করুন বাংলাদেশ বা ইন্ডিয়ার একজন অপরাধীর ৬মাস জেলে খাটার সাঁজা প্রদান করা হয়েছে। এখন সেই অপরাধী ইউ.এস.এ. বা অন্য কোনো দেশে পালাতক অবস্থায় আছে। এবার ইউ.এস.এ. তে বসে সেই অবরাধীকে (অপরাধের পুনঃ কোনো তদন্ত বহিঃ রাষ্ট্র হবে না) উক্ত ৬মাসের জেল খাটতে হবে। এই আইন একদম সহজ আইনি ব্যবস্থা বলেই আমাদের কাছে মনে হচ্ছে। আমি টু-টুইন-সিস্টারের বাংলাদেশ ও ভারতের পক্ষ থেকে বলছি প্রয়োজনে আমরা ঐ ৬ মাসের জেলে থাকার যে খরচ হবে তা দিয়ে দেবো। তারপরও এরকম সহজ আইন না হলে অপরাধি সারাজীবন কঠিনের আড়ালে লুকিয়ে থাকার সুযোগ পাবে এবং এই কাজে কোনো ভাবেই কোনো রাষ্ট্রের সর্বভুমত্ত্বের সাথে সাংর্ঘষিক হয় না। এই কাজ হলো সহযোগীতা।



মনে করুন আমাদের টু-সুইট-সিস্টার বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়ার বড় ভাই সমতুল্য রাষ্ট্র চায়না এর কোনো অপরাধী চায়নায় অপরাধ করে ভারতে পালাতে এলো আর ভারত সেই সন্ত্রাসীকে কিছু বললো না। এর ফলে কি হয়? অবশ্যই ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয় তা আপনারা ভালোকরেই বুঝতে পারছেন। বড় ভাইয়ের ঘরে ডাকাতি করে বোনের বাড়ীতে এসে জামাই আদর পাবে এ কেমন কথা? আবার এক বোনের বাড়ীতে বসে স্মাগলিং এর গডফাদার হয়ে অন্য বোনের বাসায় এসে মেহমানের মতো হয়ে থাকবে এটা কোন ধরনের কথা? ঐ অপরাধী ভাই বোনের সংসারে স্বাভাবিক শাস্তি বিহিন অবস্থায় যত্নের সাথে থাকার অধীকার পায় কি করে? এই ভাই বোনের সংসারের সাথে ঐ অপরাধীর সম্পর্ক কি? ঐ অপরাধী আমাদের ভাই বোনের কি এমন আত্মিয় হয়? ঐ অপরাধী থাকার পিছনে কোন স্বার্থ লুকিয়ে থাকে? এর উত্তর অবশ্যই আপনাদের জানা আছে। তাই এইসব কথাবার্তা বেশি দীর্ঘ করতে চাই না তারথেকে বলে রাখি প্রয়োজনে এই ধরনের আইন সর্বপ্রথম টু-সুইট-সিস্টার সর্বপ্রথম চালু করে সন্ত্রাস দমনে একটি নতুন অধ্যায়ের জন্ম দেবে তাতে অন্য কোনো রাষ্ট্র আসুক বা না আসুন তাতে কিছু যায় আসে না।



আমরা টু-সুইট-সিস্টার বাংলাদেশ ও ভারত বিনা দোষে অনেক অনেক কলঙ্ক জ্বালা পেয়েছি আর আমরা অন্যের কলঙ্ক নিজেদের ঘারে নিতে চাই না। আজ এই মুহুর্ত থেকে আমরা সহয ও সত্যের পথে থাকার প্রতিজ্ঞা করছি, আমরা অবশ্যই সব কিছু সহয করে ভাবতে জানি। আমদের তেমন কঠিন কোনো আঁকাবাঁকা বাজে চিন্তার দরকার নাই। আমরা যদি ভালো পথে থাকি আমাদের সামনে যতো বড় সমস্যাই আসুক না কেনো তার সহজ সমাধান আমরা খুব সহজেই পেতে পারি। অনেক দিন তো কিছু কিছু ত্যাঁরা বাঁকা মানুষদের উপরের চাকচিক্যতে ভুলে, তাদের কে ভালো ও স্টাইলিস্ট মনে করে, তাদের মতো হবার চেষ্টা করে, অনেক দুঃখ সইতে হয়েছে এবং আমাদের আসল পথও দুর্বোধ্য ও দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিলো। এখন থেকে আমরা সহজ ও সরল পথে থেকেই সব সমস্যার সমাধান করতে শিখে গেছি।



আমাদের আধা-সামরিক বাহিনিকে কি আমরা দুর্বল করে রেখেছি নাকি সিস্টেমের মধ্যেই গলদ রেখে দেয়া হয়েছিলো? আমাদের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের মধ্যে ও আধা সামরিক বাহিনির প্রধান কার্যালয়ের মধ্যে কারা ইচ্ছাকৃত গ্যাপ তৈরি করে রেখেছিলেন? কেনো রেখেছিলেন? এই গ্যাপ কি এতই দীর্ঘ যে এতগুলো বছর হয়ে গেলো তারপরও গ্যাপ বাড়ে ছাড়া কমে না?



আমি আগেও বলেছি এখনও বলছি আমলা ও পলিটিক্যাল পারসনদের মধ্যে ইগো থাকতে পারবে না। মোনাফেকি বন্ধ করতে হবে। কোনো আমলা মন্ত্রীর পিছনে বসে বলতে পারবে না যে, “এই শালা মেট্রিক পাশ! খালি পান খায় আর ছাগলের পাতার মতো ঘুসই চেনে, কয়দিন থাকবে ওর ক্ষমতা, ২/৩/৪/৫/১ বছর?” । এই কথা মনে আসলে তা সরাসরি সামনা সামনি বলতে হবে। মন্ত্রী সাহেবদেরও কড়া মেজাজের হলে চলবে না মুখের উপরে অধিনস্তের সত্য কথা যতোই বাজে ভাবে উপস্থাপিত হোক না কেনো তা মেনে নেবার মন মানুষিকতা থাকতে হবে। শুধু সিনেমার মতো ডায়ালোগ দিলে চলবে না যে, “ঐ অসি আমি তোকে বান্দরবন/অরুনাচলে পোষ্টিং দিয়ে অনেক দুরে পাঠিয়ে দেবো। সারাজিবন পস্তাবি বদমাস!!!”। এই সব কথাবর্তা বলা ভালো না। এই সব বাজে কথাবর্তায় কখনও ভালো রেজাল্ট আশা করা যায় না। মন্ত্রীকে বুঝতে হবে তিনি একজন মানুষ এবং তিনি খুব সুন্দর করে ভেবে চিন্তে কথা বলতে জানেন। মন্ত্রী সাহেব শুধু সাস্তি দেবার জন্য মন্ত্রীর চেয়ারে বসেন নি, তিনি বসেছেন নিজ জাতির নিজ দেশের মানুষগুলোকে শান্তি দেবার জন্য। শান্তির জন্য যতো ইচ্ছে কলম ও ক্বলবের জোড় চালাতে ইচ্ছে হয় চালান কিন্ত সাস্তির জন্য জোড়াজোড়ি ছেড়ে দিন। আমাদের বুঝতে হবে আমরা ভালোভাবেই এবং বিনারক্তপাতেই সবকিছু পেতে পারি।



একজন মানুষ হয়তো টাকা দিয়ে কিছু সময়ের জন্য সাফল্যে লাভের ভান করে থাকতে পারে, সেই সাফল্য মোটেও স্থায়ী হয় না। মানুষ সফল মানুষদের জয়গাঁথা শত চেষ্টা করলেও অস্বীকার করতে পারে না। ভান করে যে সাফল্য অর্জন হয়েছে বলে মনে হয় তা আসলে মূলত নতুন কোনো ব্যার্থতার আগমন বার্তাই হয়। আমরা আমাদের শুভ চিন্তাকে কাজে লাগালে কোনোদিনও অসফল হতে পারি না। আমাদের এই মানব জীবন কোনো প্রতিযোগীতা না। আমাদের এই মানব জীবন হলো সবকিছু সুন্দরভাবে অর্জন করে নেয়ার জন্য এবং এইজন্য সবার আগে অশুভ ইচ্ছাকে চিরতরে দাবিয়ে রাখতে জানতে হবে।



আপনি যদি খুব বিপদে পড়েছেন বলে মনে করেন তাহলে নিজের মনের দিকে তাকিয়ে দেখুন সমাধান আপনার হাতেই দেয়া আছে। এটা জানা কথা। আমাদের সবসময় সৃষ্ট্রিকর্তার নাম নিজের অন্তরে স্থায়ী ভাবে প্রতিষ্ঠা করে রাখতে জানতে হবে, তাহলে আপনার কোনো সমস্যাকেই আর সমস্যা মনে হবে না।





চলবে.........................

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.