নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ

আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশ ও ভারতের কিছু সমস্যা (পর্ব-৬)

২৪ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:৩২

৭। পলিটিক্যাল পার্টি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমঃ প্রাসঙ্গিক আলোচলায় যাবার আগে একটু নিজেদের বিষয় আলোচনা করে নেই। আমি আপনাদের সাথে কোনো কৌশল করতে জানি না। কোনো বাজে কিছু বা ছলচাতুরি আমি আপনাদের কখনও করি না। আমি আপনাদের কখনও অমঙ্গল চাইতে জানি না। আমি আপনাদের সর্বদা মঙ্গল করে দেখাই। আপনার মঙ্গল চিন্তাধারার মধ্যেই আমার চিরস্থায়ী বসবাস। এই বর্তমান সময় এবং বিশ্বের সার্বিক পরিস্থিতিতে আমাকে হয়তো আপনাদের কাছে কখনও কখনও কৌশলী বলে মনে হবে। আসলে আমি সর্বদা চিরন্তন মঙ্গলের মধ্যে মিলেমিশে একাকার হয়ে যাই। আপনাদের অনুভুতি দিয়ে আমি আমাকে অনুভব করে নিতে জানি। এ বিষয়ে কোনো সন্দেহের অবকাশ নাই। আপনাদের সুবিধা মতো করেই আমি আপনাদের অনেক কাছে এসে আপনাদের মতো একজন মানুষ হয়েই আপনার মনের মতো করেই চির মঙ্গলের পথ দেখাতে পছন্দ করি। আপনারা হয়তো আমার সম্বন্ধে ভেবে থাকতে পারেন। আমি আমার ভাষার ব্যাঞ্জনা, মেধা, জ্ঞান, পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি, বিজ্ঞান বা অন্য যে কোনো ধরনের বস্তু দিয়ে আপনাদের সামনে আমার ভাষা এমন ভাবে উপস্থাপন করছি যাতে করে আপনাদের মেন্টাল ইল্যুশন তৈরি হচ্ছে। বিশ্বাস করুন আমি মোটেও ছল চাতুরি করে আপনাদের কাছে থাকার মতো যোগ্যতা আমার নেই। আমি শুধু আপনার আর আমার মধ্যে লুকিয়ে থাকা চিরসত্যের প্রস্পুষ্ঠিত রূপকে দেখাতে চাই। আমার উপর পরিপূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন করুন। অনেক দিনের, অনেক রকমের মিথ্যা দ্বারা প্রভবিত সংস্কার, শাস্ত্র, বাজে নিয়মকানুন, বাজে সমাজ ব্যবস্থার, কুসংস্করের মধ্যে থাকতে থাকতে আমার অস্তিত্ব সম্পর্কে আপনাদের মনে হয়তোবা সন্দেহ জাগতে পারে। আবার এমনও হতে পারে যে, আমার কথাগুলো উপলব্ধি করার সময় আপনার কাছে সত্য বলে মনে হচ্ছে এবং পরবর্তিতে আগের কুঅভ্যাস-বাজে ভাবনার বলে আমাকে বিশ্বাস করে নিতে কষ্ট হচ্ছে অথবা মনে “না” ভেষে উঠছে। চিরন্তনের সামনে অন্তরে ভেষে ওঠা এই “না” শব্দটিই হলো আপনার বাধা। এই “না” কে পায়ে পিষে চিরতরে মেরে ফেলুন। দেখবেন আমার চিরন্তনের মধ্যে আপনাকে আমি কিভাবে স্থায়ী ভাবে নিয়ে অনেক বেশি যতন করে রাখবো।



বিজ্ঞানের দু’জন দেবতা পয়গম্বর নিউটন ও আইনস্টাইনের দু’টি সুত্র দিয়ে আপনারা মহাবিশ্বের সব কিছুই বুঝতে পারেন। একটি হলো “সকল ক্রিয়ার একটি বিপরিত প্রতিক্রিয়া আছে” আর অন্যটি হলো “আপেক্ষিক তত্ত্ব”। এই দুটো সূত্রকে দুটো ফুল মনে করে পাশাপাশি নিয়ে এসে মালা গেঁথে আমার ভাষা, আমার মানব জীবন বা অন্য সবকিছু হিসেব করে নেন দেখবেন সব মিলে যাবে। আপনাদের যত দেশের যত প্রকার মানুষের অনুভুতিই থাকুক না কেনো সবকিছু দিয়েই আপনারা আমাকে ভুল প্রমাণিত করতে পারবেন না। আপেক্ষিক তত্ত্ব মনের ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রযোজ্য। মনের এই আপেক্ষিকতা আছে বলেই আমরা সব ধরনের পরিস্থিতিতে আপনার মাঝে চিরস্থায়ী ভাবে চির জীবন্ত হয়ে থাকি। আপনাদের শত শত কোটি মানুষের অযুত-নিজুত-কোটি অনুভুতি দিয়েও আমাকে দেখতে চান, দেখবেন আমি সমস্ত চিন্তাশক্তির মধ্যে আছি। আমি এমন কোনো অনুভুতি নাই যা দিয়ে আমাকে মিথ্যে প্রমান করতে পারবেন বা আমাকে কোনোভাবেই ধ্বংস করতে পারবেন না। আমার যে চিন্তাধারা নিয়ে আপনাদের মাঝে কথা বলে যাচ্ছি তার একমাত্র রক্ষক আমার সৃষ্ট্রিকর্তা। আমাকে আপনারা যখন, যেভাবে, যে বিষয় দিয়েই দেখুন না কেনো আমি আপনার কাছে এসে ধরা দেবো। এই বিশ্বাস অন্তরে রেখে দিন। আমি একজন মানুষ হিসেবে খুব স্বাভাবিক ভাবেই আপনাদের কাছে এসেছি। আমার যা কিছু আছে সব আপনাদের জন্যই নিবেদিত। এই মানব জীবনে আমি কিছুই সংগে করে নিয়ে আসি নি যা নিয়ে আপনাদের কাছে বড়াই করে বেড়াবো। আমার নাম আপনাদের মতো কিছু মানুষ কাকরাইল মসজিদ, ঢাকা, বাংলাদেশে বসে মাসহারা করে দিয়ে দিয়েছেন। আপনাদের দিয়ে দেয়া নাম যদি আপনারা আমার কাছ থেকে কেড়ে নেন তাহলে কোনো অসুবিধা নাই। আমি এই পৃথিবীতে নাম করবার জন্য আসি না বরং আমি মহাশক্তি নিয়ে আসি আপনাদের মহাদুর্যোগ থেকে অনন্তকাল ধরে রক্ষা করবার জন্য।



আমার স্বদেশ জন্মভূমি বাংলার বাঙালী জাতের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৮ অক্টোবর তারিখে জুলিও কুরি বিশ্বশান্তিতে পুরষ্কার পদকে ভূষিত হয়েছিলেন। আমার জন্ম তারিখ আমার মিতালী বন্ধু বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ রাসেল ও আমার সিতা-রাধা-রজকিনি-যুলেখা-জুলিয়েট-বেহুলা-লাইলী-শিরি সমতুল্য প্রিয়তম মুন এর জন্মদিনের তারিখ ১৮ অক্টোবর। এটা একটা মিল। আমি চাই আমাদের এই মানব প্রজাতি সবার মধ্যেই মিলের চিন্তা স্থায়ী ভাবে থাকুক। এই মিলকে প্রতিষ্ঠিত করাবার দ্বায়িত্বপূর্ণ কাজ নিয়েই আমি আপনাদের সামনে সদানন্দভাবে নিজেকে উপস্থাপন করে চলি। আপনার অন্তরে যদি একবার সব ভালো জিনিসকে মিল করার প্রবনতা তৈরি করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে নিতে জানেন, দেখবেন আমাকে চেনার থেকেও বেশি চেনা বলে মনে হবে। এবং এই চেনা কখনও ফুরাবে না বরং চিরন্তন শান্তির মাঝে আপনাকে আমি নিয়ে আদর ভরা সম্মানের সাথে চিরকিশোর-তরুন করে রেখে দেবো। চিরসত্যের শরাব সুধার নেশা কখনও ফুরায় না। আপনাদের এই চিরসুন্দরের পথে শুধু একটি বাধা আর তা হলো “মিথ্যা” কথা বলা। কখনও মিথ্যা কথা বলবেন না। মিথ্যা দ্বারা যে ঈশ্বরকে পাবেন তিনি নকল ঈশ্বর বা শয়তান-অসুর-দানব বা অন্য যে কোনো খারাপ নামেই ডাকুন না কেনো। আপনারা মানুষে মানুষে মিল না খুজে অমিল খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন বলে অমিল এসে আপনাদের অস্তিত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেয়েছিলো। আপনার নিজের অন্তরে যে মিস্টার অমিল চিন্তা মহাশয় জেগে উঠে আসে, তিনিই স্বক্ষাত শয়তান-ভগবান বা নকল আল্লাহ্। আমরা বুঝে শুনে যেমন স্বর্ণ রেখে এমিটিশোন কিনি না ঠিক তেমন ভাবে নকল আল্লাহ্ কে লাথি মারতে মারতে জীবনের চরম আনন্দকে উপভোগ করে আমাদের সৃষ্ট্রিকর্তা একমাত্র আল্লাহ্ এর সহায় নিতে শিখবো। এই অঙ্গিকারের প্রতি পুরোপুরি বিশ্বাস রেখে এই মুহূর্তেই শ্বফথ গ্রহন করুন।



দেখুন আমি আপনাদের মতো একজন মানুষ হয়েও আপনাদের কাছ থেকে আমার শ্বফথ গ্রহন করে দ্বায়িত্বভার গ্রহন করতে হয় নি। আমি আমার এই সুন্দর গ্রহ পৃথিবীর মহারাজাধিরাজের দ্বায়িত্ব নিজ থেকেই নিয়ে নিয়েছি। আমাকে শ্বফথ গ্রহন করতে হয় না। আমি চাই আপনারা সবাই পৃথিবীর মহারাজাধিরাজ হয়ে যাবেন। আপনাদের স্রষ্টা আপনাদের সব কিছু দেবার ক্ষমতা একক ভাবে সংরক্ষন করেন। তিনি হিসাব ছাড়াই আপনাকে সবকিছু দিয়ে দিতে জানেন তারপরও তিনি তার সিস্টেমের ব্যতিক্রম ঘটান না। তাহলে আপনি কেনো সিস্টেম কে ধ্বংস করতে চাইছেন? এই সিস্টেম ধ্বংস করার চেষ্টাও করেন ঐ রায় বাহাদুর শয়তান সাহেব।



এবার মূল প্রসংগে আসি, ঈশ্বর আমাদের দলবদ্ধ ভাবে চলতে বলেছেন। মানব জাতির জন্য এর সবথেকে বড় প্রমাণ হলো নিজ নিজ পরিবার। তিনি মানবজাতিকে পরিবারের মজা নিতে বলেছেন। পরিবারের প্রধান কোন সমাজে মা আবার কোনো সমাজে পিতা। বর্তমান মানুষের মধ্যে অনেকের পিতা জীবিত আছেন অনেকের পিতা পরলোকে প্রবেশ করে গত হয়ে গেছেন। তাই বলে কি পিতার সাথে সাথে পিতৃত্বের চেতনাও কি গত হয়ে গেছে? আমাদের মানব জাতির নারি পুরুষের মধ্যে মাতৃত্ব ও পিতৃত্ব সুলভ মনোভাব নিজ থেকেই তৈরি হয়ে যায়। এই সুন্দর মনোভাব থেকে শুধু স্বার্থপরতা টুকু বাদ দিয়ে দেখুন, দেখবেন আপনি সব মানুষকেই সেবা করতে জানবেন। স্রষ্ট্রা একটি জাতির আশির্বাদ স্বরূপ জাতির পিতা প্রেরন করেন। তিনিই জাতির পিতা হন যার মধ্যে স্রষ্টা প্রদত্ব প্রবল রূপে পিতৃত্ব সুলভ চেতনা মারাত্বক লক্ষ্যনিয় ভাবে সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করে নেন। একটি জাতির জন্য একজন জাতির পিতা স্রষ্টার চরম আশির্বাদের প্রকাশ। আপনারা কখনও নিজ জাতির জাতির পিতাকে অসম্মান করে স্রষ্টার করুনা পাবার যোগ্যতা রাখেন না।



কল্পনা করুন, এক বাগান গাছগাছালি। যার মধ্যে বটবৃক্ষ সহ শত রকমের বৃক্ষ আছে। এবার দেখুন সব গাছই কিন্ত এই ধরিত্রি মাতার শরির থেকে নিজেদের খাবারের চাহিদা মিটিয়ে পরিপুষ্ট হয়ে উঠছে। মোটা, চিকন সর্বপ্রকার গাছই কিন্তু ঐ নিরিহ চিরসুন্দর মাটির মমতা ভরা অকৃপন রস মাটি থেকে শিকরের সাহাজ্যে গ্রহন করে নিচ্ছে। ধরুন একটি গাছের শিকড় ভালোকরেই সুন্দর স্বাদযুক্ত প্রয়োজনীয় উপাদান মাটি থেকে টেনে নিয়ে এসে গাছের প্রান শক্তি যোগাতে চাচ্ছে। দেখাগেলো কিছু সংখ্যক ডালপালা, নোড, কুড়ি, পাতা ও কান্ড ঐ রস গ্রহন করার যোগ্যতা নাই বলে প্রান শক্তি পাচ্ছে না। তাতে কি আপনি শিকরের দোষ দিতে পারবেন? আমাদের এই টু-সুইট-সিস্টার বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়ার পলিটিকাল দলগুলোর অবস্থা হয়েছে এমন।



এমনও দেখা গেছে আমরা না বুঝেই অনেক গাছের শিকড়কে অস্বিকার করতে চেয়েছিলাম। এই অস্বীকার করার মনোভাবই আমাদের নেতৃত্বের অগ্রগতি সহ বিভিন্ন বিষয়ে অনেক ক্ষতি করে দিয়েছে। এখন থেকে আমরা প্রতিজ্ঞা করছি আমরা আর কোনো দিন নিজেদের শিকড়ের ছুড়ে দেয়া খাদ্যরসের স্বাদ থেকে বঞ্চিত থাকবো না।



বাগানে যেমন ছোট বড় গাছ থাকে ঠিক তেমনই ছোট বড় রাজনীতিক দল থাকে। সবাই একই মাটি থেকেই রস গ্রহন করবেন তাতে দোষ কোথায়? একই মাটির রস গ্রহন করলেও গাছের আকাড় আকৃতি ও ফল-ফুল ভিন্ন ভিন্ন হবে তারপরও বৈচিত্র ফুরাবে না।



বি.জে.পি. নামক রাজনীক দলের মানুষ কেনো কার্লমার্কসের বই পড়বে না? আবার ইসলামী শাসনতন্ত্র নামের দল কেনো রামায়ন পড়বে না? বই কি দোষ করেছে? আমাদের দলীয় আদর্শের চেতনা চিরন্তন সত্যের কোনো একটি প্রবাহমান সুন্দর ধারা হয়ে উঠবে। কিন্তু সেই চেতনা একাধিক হতে পারে কারন স্রষ্টা আমাদের দলিয় একটি আবেশের অনুভুতি পরিবার থেকেই দিয়ে দিয়েছেন। আমরা যা করবো সব মানব কল্যানের জন্যই করবো।



এই জন্য আমি বলি, টু-টুইন-সিস্টার বাংলাদেশ ও ভারতের রাজনীতিক দলের ম্যানেজমেন্ট ঢেলে সাজিয়ে সুন্দর করে তোলবার সময় এসেছে। এখনি সবকিছু ঠিকঠাক করে নিন। প্রতিটি রাজনীতিক দলই এক একটি চিরন্তন সত্য আদর্শ- শিক্ষার সুন্দর একটি বাহন। আমরা আমাদের প্রাণ প্রিয় রাজনীতিক দলগুলো দিয়েই খুব সহজেই এই কালের হাওয়ায় গরীব, দুঃখি ও অসহায় হওয়া বাংলাদেশ ও ভারতের অশিক্ষিত একাংশ মানুষকে শিক্ষিত করে তুলতে পারি।



আমাদের এই টু-সুইট-সিস্টার বাংলাদেশ ও ভারতের প্রতিটা রাজনীতিক দলের মধ্যে দু’ধরনের নেতা-কর্মি-সমর্থক দেখা যায়। একদল ফুল টাইম আর একদল পার্ট টাইম ভাবে নিজ দলের নীতি আদর্শকে প্রতিষ্ঠার জন্য চেষ্টা চালায়। আমরা কিভাবে টাকা দিয়ে মানুষের মন কেনার চেষ্টা করি? মানুষের মন জয় করতে হবে আপনার মনের শক্তি দিয়ে। অর্থকরি হলো বস্তু আর মানুষের মন হলো জীবন্ত প্রাণ। প্রাণ দিয়ে প্রাণকে জয় করে সামনে এগিয়ে যাওয়াই হলো আসল রাজনীতি।



এই টু-সুইট-সিস্টার বাংলাদেশ ও ভারতের প্রতিটা রাজনীতিক দলকে নিজেদের পায়ে দাঁড়ানোর নিয়মিত চেষ্টা করে যেতে হবে আর এই চেষ্টা তখনই সফল হবে যখন দলের বেশিরভাগ অংশ সত্য আদর্শকে নিজেদের মনে ধারন করে নিবে। আমাদের বুঝতে হবে আমরা যে ধরনের রাজনীতির গণতন্ত্র ধার স্বরূপ বা জোড় পুর্বক চাপিয়ে দেয়া জঞ্জাল রূপে পেয়েছি তা আমাদের চাপিয়ে রেখে মুক্ত স্বাধীন ন্যায্য অধীকার থেকে বঞ্চিত করে রাখবার জন্য এসেছিলো। বাংলাদেশ ও ভারতে যত মানুষ এই মূহুর্তে জীবিত আছেন – এই দ্বায় ভার তাঁদের কারও ঘারে চাপানো ঘোর অন্যায় বলেই বিবেচিত হয়। এই দোষ আমাদের কিছু পুর্বপুরুষদের ভুল কর্মের মধ্য দিয়ে অথবা বাজে পরিস্থিতির স্বীকার বলে গন্য করে নিজেদের সান্তনা দেয়াই বরং ভালো হবে।



আমাদের এই টু-সুইট-সিস্টার বাংলাদেশ ও ভারতের প্রতিটা রাজনীতিক দলের ভিত্ত্বিমূল হবে “একেশ্বর/তাওহিদ/খোদা একজন/একমাত্র ঈশ্বর/আল্লাহ্ এক ও অদ্বিতীয়/সৃষ্ট্রিকর্তা আছেন এবং তিনি সব জানেন ও দেখেন” এইসব নীতিতে। তা না হলে আপনারা শান্তির আশা করতে পারেন না। প্রতিটা রাজনীতিক দলের কার্যালয় গুলোকে সুন্দর করে গড়ে তুলুন। বাংলাদেশ জাতিয়তাবাদী দল ও আওয়ামী লীগ এর প্রধান কার্যালয় দেখলে কান্না আসে। এতো সাধারন ভাবে এক একটি দলের প্রধান কার্যালয় থাকবে কেনো? সবগুলো রাজনীতিক দলের দলিয় কার্যালয়গুলোকে আধুনিক ডিজিটালাইজড করে গড়ে তুলুন। আমাদের সাধারন মানুষ গরিব বলে কি আমাদের দলিয় কার্যালয়কে গরিবের মতো মলিন মুখে রাখতে হবে। এ কেমন কথা? আসলে আমাদের মন গরিব হয়ে গেছে। মনের মধ্যে অন্ধকার ঢুকে আমাদের আলোর ঝকঝকে তকতকে চিরআনন্দ নিতে দিচ্ছে না। এক ঝাড়া দিয়ে মন থেকে সব অন্ধকার দুর করে ফেলুন। প্রতিটি রাজনীতিক দলের প্রতিটি দলিয় কার্যালয় একটি পবিত্র স্থান। এর পবিত্রতা রক্ষা করুন। একটি দলিয় কার্যালয়ে বসে, বই পড়ে, কম্পিউটার ঘেটে, মিডিয়া ঘেটে, মুরুব্বিদের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে মানুষ হয়ে মানুষের সেবা করা শিখবে। দলিয় কার্যালয় থেকে শিক্ষা গ্রহন করে এমন সব রাজতীতিবিদদের বেড় করে নিয়ে আসবেন যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তো বটেই, নিজেরাই একেকটি ইউনিস্টিটিউট হয়ে উঠবে। এই সুন্দর সুন্দর মানুষের দেশে কেনো অসুন্দর দলিয় কার্যালয় থাকবে?



টু-সুইট-সিস্টার বাংলাদেশ ও ভারতের প্রতিটা রাজনীতিক দলের সাথে সংশ্লিষ্ট মানুষদের বুঝতে হবে যে, আগে মানুষ এই পৃথিবীতে এসেছে তারপরে মসজিদ, মন্দির, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, দলিয় কার্যালয়, ক্লাব ইত্যাদির জন্ম হয়েছে। মানুষ আগে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার দরকারে ঘর-বাড়ি, মসজিদ, মন্দির, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, দলিয় কার্যালয়, ক্লাব, অন্যান্য সামাজিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে। একেকটি মসজিদ-মন্দির-প্যাগোডা-গির্জা-শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আগে আপনার আমার মতো কোনো মানুষ কল্পনা করেছে তারপর এই চিরসুন্দর পৃথিবীর মাটিতে তা স্থাপিত হয়েছে। এই মসজিদ, মন্দিরের জন্য মানুষ কেনো জীবন দেবে? শুধু মাত্র একটি মাত্র কারণ ছাড়া মানুষ তাঁর মহামুল্যবান জীবন দিতে পারে না আর তা হলো অন্য কোনো শান্তিকামি মানুষকে বাঁচানোর জন্য। মানুষ মানুষকে বাঁচিয়ে রাখবে এটাই স্বাভাবিক। মানুষ মানুষকে ক্ষমা করবে এটাই স্বাভাবিক। মানুষ মানুষের সাথে সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য আপোশ করবে এটাই স্বাভাবিক। মানুষ মানুষকে যথাযোগ্য মর্জাদা দেবে এটাই স্বাভাবিক। মানুষ মিথ্যা থেকে বিরত থাকবে এটাই স্বাভাবিক। মানুষ নিজের প্রেম ভালোবাসা দিয়ে স্রষ্টার আরাধোনা করবে এটাই স্বাভাবিক। আমরা এই অভাগা জাতিগুলো না বুঝে আমাদের গতিপথ হারিয়ে যেতে বসেছিলাম। তাই আমাদের গঙ্গা-পদ্মা-যমুনা-মেঘনা-ধলেশ্বরী-ইছামতি-সুগন্ধা-বিঁষখালী-ব্রহ্মপুত্র-তিস্তা-কাপ্তাই-তেতুলিয়া-ধানসিড়ি-স্বরস্বতি সহ হাজার নদী আজ তাদের আপন পথে গতিপথ হারিয়ে গতিহীন হয়ে যেতে বসেছিলো। আমরা আমাদের গঙ্গা মায়ের কোলে গঙ্গাস্নান করে আর পদ্মা মায়ের বুকে পদ্মা গোসল করে নিজেদের পাপ ধুয়ে-মুছে নিয়ে সামনে এগিয়ে গিয়ে নদীর সম্মান রক্ষা করতে কোনো প্রকার আপোস করবো না। সোজা ভাবে বলতে চাই পশ্চিমা অপকৌশল এই বাংলাদেশ ও ভারতের রাজনীতিক সমাজ থেকে ছাড় পোকা মারার মতো গরম পানি ঢেলে মেরে ফিলবো। এইসব অপকৌশলের দ্বায়ভার আমাদের এই পবিত্র মাটির সুন্দর মানুষগুলো বোঝার মতো নিজেদের ঘারে বহন করে চলবে না। এগুলো পৃথিবীর জঞ্জাল। আগে জঞ্জাল সরাবার জন্য সুদৃঢ় প্রত্যয় শ্বফত গ্রহন করুন।



সব রাজনীতিক নেতা ও ধর্মিয় নেতা সমমানের না। কিন্তু সব নেতাই কোনো না কোনো সত্য ও মানব কল্যানের আদর্শে এসে মিলে যায়। তাই বলে সময়ের সাথে সদা প্রবাহমান শিক্ষনবিশ সাধারন মানুষ ও নেতাদের কোনোভাবেই এই সব ত্যাগী আদর্শবান নেতাদের ভুলে যাবার অধীকার নাই। কেউ কেউ মমতাময়ী ধরীত্রীমাতার বুকে জেগে ওঠা গাছের মোটা শিকড়ের মতো, কেউ কেউ চিকন শিকড়ের মতো, কেউ কেউ গাছের কান্ডের মতো, কেউ কেউ গাছের ডালের মতো, কেউ কেউ পাতার ভিতরে স্পষ্ট রাইনারী স্ট্রাকচারের মতো আবার কেউ কেউ পাতার মতো। যাকে যে স্থানে রাখার তাকে সেই স্থানে রাখতে হবে। গাছের মূল সবার আগে দরকারী। ডালপালা ঝেটে ফেললেও আবার গজাবে। মানুষ যদি শিকড় নিয়ে মাদবারী করার চেষ্টা করে গাছের মাথায় লাগায় আবার গাছের ডালকে শিকড় করে সাজায় তাহলে এই কাজ কি কোনো মানুষিক ভাবে সুস্থ্য মানুষের কাজ? আপনারা নিজেদের চিন্তায় নিজেরা কেনো গোলকধাঁধা ভরে দিচ্ছেন আর তার বদলে পাচ্ছেন শুধু বাজে টেনশন। আর এই টেনশন নিয়েই মাটির বুকে মিশে যাচ্ছেন।



সব নেতারই দরকার আছে। সবার আগে গাছের মোটা শিকড়ের রস টেনে খাবার যোগ্যতা রাখতে হবে। তা না হলে কারও রাজনীতি করার অধীকার নাই। বিশ্বের সব ত্যাগি নেনাই সব মানুষের সম্পদ। মাও-সে-তুং, নেতাজী সুবাস চন্দ্র বসু, শেখ মুজিব, মহত্মা গান্ধী, আব্রাহাম লিংকন, চার্চিল, এ্যাডলফ হিটলার, ট্রুম্যান, লিনসন ম্যান্ডেলা, জিন্নাহ, ফজলুল হক, লেলিন, নেহেরু, কেনেডি, কামালপাশা, চিত্তরঞ্জন, মুজাফফর, জৈতি বসু, সহরোওয়ার্দী, বন্দেরনায়েক, মার্কস, চে গুয়েভারা সহ আরো যারা আছেন তাঁদের সবাই আমাদের জন্য অনেক মূল্যবান আদর্শের চেতনা রেখে গেছেন। এই সব নেতা মহানেতাগন আমাদের জন্য মাটির বুকে লুকিয়ে থাকা বিভিন্ন খনিজ উপাদানের মতো। আমাদের চিন্তায় যার যার আদর্শ চেতনা আপনার সাথে মিলে যাবে তা প্রচার ও প্রকাশ করুন, নিজের মধ্যে তাঁদের গুন গুলোকে নিয়ে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে উঠুন। তাদের কথাবার্তা ডিজিটাল মাধ্যমে ভয়েস ফরমাটে ছড়িয়ে দিন। এই সব দেহহীন মানুষদের নিয়ে টানা হেচড়া করে নিজেদের বিষিয়ে তোলা কি কোনো সাধারন মানুষের স্বাভাবিক কাজের মধ্যে পড়ে?

মনে রাখবেন, মাননীয় শয়তান সাহেব কে স্রষ্ট্রা কতৃক স্রষ্টার ফৌজদারী আদালতের (ইংরেজীতে যাকে বলে ক্রিমিনাল কোর্ট) বিচার দ্বারা চিরতরে অনন্তকালের সাজা দেয়া হয়েছিলো এবং এই সাজা চিরন্তন। সেই অসুরের শসুর ইবলিস শয়তানের সাঁজা আমাদের দেশের সহজ, সরল, স্বাভাবিক, সুন্দর ও মিষ্টি মায়া ভরা মানুষগুলো কেনো ভোগ করবে? এসব কারণেই তো গ্রামের সাধারন ভিলেস পলিটিক্সে কৃমিনাল পদের মানুষগুলোকে সহজেই মানুষ কৃমিনাল বলে ডেকে ডেকে শয়তানের স্পষ্ট উপস্থিতি জানান দেয়ার রীতি তৈরি করে নিয়েছে। আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ এখনও অনেক সৎ জীবন যাপন করতে অভ্যস্থ। আমি তাঁদের রক্ষা করতে উদয় হয়ে আপনাদের কাছে কথা বলছি।



আমাদের এই টু-সুইট-সিস্টার বাংলাদেশ ও ভারতের রাজনীতিক দল গুলোর কর্মীসকল ও ছাত্রদের নিয়মিত রুটিন ওয়ার্কের মধ্যে রাখুন। তাঁরা গান শুনবে, এবাদাত করবে, বই পড়বে, তথ্য সংগ্রহ করবে, দেশের সববয়সি মানুষদের শিক্ষা দেবে, শারিরিক পরিশ্রম করবে, ডিফেন্সিভ তর্ক করবে, দলের ফান্ড থেকে আর্থিক সাহায্য সহযোগীতা পাবে, চাঁদাবাজি থেকে বিরত থাকবে, মিথ্যা কথা বলা থেকে বিরত থাকবে ও ভালো কাজে নিজেদের নিয়োজিত করবে। আমাদের বাংলাদেশ ও ভারতের রাজনীতিক প্রতিটি দলের নাম, মনোগ্রাম, পতাকা বিশ্বব্যাপি পরিচিতি করার ব্যবস্থা গ্রহন করুন। মিডিয়ায় নিজেদের দলের এ্যাড দিতে থাকুন। বিশ্ব মিডিয়ায় আমাদের রাজনীতিক দলের নামগুলো ছড়িয়ে দেবার ব্যবস্থা গ্রহন করুন। ইন্টারনেট সহ আর যতো যা আছে সবখানে নিজ নিজ মতাদর্শের দলের বিস্তার ঘটান। মানুষের শরীর স্বাভাবিক রাখার জন্য ঘুমের দরকার হয় তাই বলে সত্য-স্বাধীনতা-সুন্দরের চেতনা যে ঘুমিয়ে যাবে তা আপনারা কোন আক্কেলে ভেবেছেন?



আমাদের টু-সুইট-সিস্টার বাংলাদেশ ও ভারতের প্রতিটা রাজনীতিক দলের কর্মিদের হাতে দলের নাম, মনোগ্রাম, ডায়ালোগ সমৃদ্ধ রুটিন নোট বই তুলে দিন যেখানে সবাই সবার প্রতিদিনের কর্মের ঘন্টা কি করে কাটিয়েছে তা স্পষ্ট উল্লেখ থাকবে। প্রতিদিনের জবাবদিহিতা প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে উপরোস্থ পোস্টের কর্মির নিকট দিতে বাধ্য থাকবে। কর্মিদের ভালো কর্মের ভিত্তিতে পোস্ট পজিশন নির্ধারিত হবে। দলের কোন কর্মি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পিছনের বেঞ্চের ছাত্র আর কোন কর্মি সামনের বেঞ্চের ছাত্র তা দলের কাছে প্রধান্য পাবে না। সমর্থিত দলের জন্য নিজেকে কতখানি প্রয়োজনীয় করে নিজেকে সপে দিতে শিখেছে তা হবে মেজরমেন্টের প্রধান মাপকাঠি।



টু-সুইট-সিস্টার বাংলাদেশ ও ভারতের প্রতিটি রাজনীতিক দলের দলিয় যে কোনো স্তরের যে কোনো পোষ্ট পাবার জন্য নকল মুক্ত পরিক্ষার ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। যে নিজেকে অর্থ ব্যবস্থাপনায় দক্ষ মনে করে ঐ সংক্রান্ত পোস্ট পজিশন পেতে আগ্রহি তাঁর জন্য উক্ত বিষয়ের উপর প্রশ্ন করা হবে। যে সভাপতির আসন পেতে চান, তিনি নিজের ধাপগুলো সাফল্যের সাথে সমাপ্ত করে স্বাভাবিক নীয়মে উঠে আসবেন। রাজনীতিক দলের সহ-সভাপতির মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তরের পদের জন্য একাধিক পদ তৈরি করাটা বোকামি ছাড়া কিছু না। এই একাধিক সহ-সভাপতি থাকার ফলে আমাদের এই সুন্দর দেশের সুন্দর সুন্দর রাজনীতিক দলের মধ্যে বিশাল বড় গ্যাপ লক্ষ্য করার মতো। এর ফলে দলের মধ্যে গ্রুপিং সৃষ্টি হয়। আর এই গ্রুপিং এর ফাঁকার সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের বাজে চিন্তাধারার বাহকরা শয়তানের অন্যতম প্রধান প্রবাহক হয়ে পড়েন। রাজনীতিক দলগুলোর মধ্যে আহব্বায়ক পোস্ট গুলো কে সৃষ্টি করলো? আহব্বায়ক আর সভাপতি দুটো পোস্টই যে দৃশ্যমান আছে তা আমরা হাসপাতালের ইমাজেন্সিতে ঘুরে দেখলেই বুঝতে পারি। আর এই সবের সুফল যে আজ কোনো সরকারী কর্মকর্তার শালীর বিয়েতে রোস্ট-পায়েস-পোলাউ-গহনা-কোরাল মাছের থান দেখলেই বুঝতে পারি। একদিকে মানুষ ঐ শালীর বিয়ের প্যান্ডেলের আশে পাশে খাবার সংগ্রহের জন্য কুকুরের মতো তিব্র তেজ দীপ্ত চোখে ঘোরাঘুরি করে অন্য দিকে অসৎ টাকায় অন্যরা কোকোকলা স্পাইটের বুদ বুদি দেখে হাসাহাসি করে নিজেদের শয়তানী চেহারাকে আবার অম্লান করে রাখতে চায়। আমরা সকল খারাপকে ধ্বংস করে দেই।

আজ আমাদের সামনে শুধু উজ্জ্বল ভবিষ্যতই আমরা দেখবো আর কিছু নয়। আমরা উজ্জ্বল ভবিষ্যতকে টেনে হেচরে হোক আর যেভাবেই হোক না কেনো নিজেদের কাছে এনে এই চির অভাগা জাতির দাস বানিয়ে রাখবো। এই আমাদের স্পষ্ট গন্তব্যের পথ। অনেক কষ্ট করেছি আর করবো না। আমাদের এই সহজ, সরল, মায়াভরা, প্রেমভরা, নিরিহ, সুন্দর ও সাবলিল হাসিখুশি জাতিটার উপরে অনেক বিপদের বাজে ঝড় বয়ে গেছে। এখন আমরা আর কোনো কিছুকে ভয় পাই না। ভয় পাওয়া মানুষের ধর্ম না। ভয় পাওয়া অসুরের কাজ। আমরা আজ আমাদের সৃষ্ট্রিকর্তার নাম ক্বলবে গেঁথে নিয়ে আমাদের আসল পরিচয় পুরো বিশ্ব জাহানকে দেখিয়ে দেবার জন্য কাজে নেমে গেছি। কোন শক্তিই আমাদের এই পথ চলাকে থামাতে পারবে না। আমাদের এখন শ্বফত করার মতোও সময় নেই। মনে রাখুন আমাদের শ্বফত ঐ শহিদের রক্তের লাল রং দিয়েই বহু আগে করে নিয়েছিলাম। এই বাংলাদেশ ও ভারতের মাটির বুকে যে লাল রঙের শহীদের রক্ত দ্বারা আলপোনা আঁকাছিলো তা দেখে সয়ং খোদাও দিবানিশি বৃষ্টি ঝড়িয়ে তাঁর কান্নার কথা আমাদের বুঝিয়ে দিতে চান। আজ আমরা সব বুঝে গেছি। আজ আমরা সব জেনে গেছি। এই মাটি আমার। এই মাটির উপর আমার মানুষ ছাড়া অন্য কোনো মানুষের রাজ চলবে না। আমাদের এই মাটির রাজা, মহারাজা সব আমরাই। আমরা কোনো কুটনীতি শিখতে চাই না। আমরা আমাদের সত্য কথাই বলে যাবো। আমরা জানি পুরো বিশ্বের সকল নীতির মহানীতি হলো বুঝে শুনে সত্যকে চিনতে শেখা ও সদা সত্য কথা বলা। ওরা দুর্ণীতি করলে করুক আমরা আমাদের সত্য বুকে ধারন করেই শান্তির কথা বলে যাবো। এই আমাদের পথচলা শুরু করলাম। মুক্তি না মেলা পর্যন্ত আমরা কোনোভাবেই থামবো না।





চলবে............

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.