![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।
৮। মাদক সমস্যা ও বেকারত্ব দুরিকরণঃ আমাদের এই টু-সুইট-সিস্টার বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়ার যে সব সমস্যা গুলো আমি আলোচনা করে চলছি, সেগুলোর প্রতিটির সাথে প্রতিটি জট পেকে আছে। এই জঞ্জালময় বর্তমান পরিবেশে আমাদের মোটেও এক একটি আলাদা আলাদা সময়ে পর্যায়ক্রমে মোকাবেলা করা মোটেও বুদ্ধিদীপ্ত পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে ভাবলে, সেই ভাবনা চিন্তা হবে পূর্বেকার মতো চরম ব্যর্থতার পরিচয়। প্রতিটা সেক্টরের প্রতিটা কাজ সমান তালে দ্রুততার সাথে ভারত নাট্যমের নৃত্যের তালে তালে চলতে থাকবে। কে সরকার, কে বিরোধীদল, কে কোন দল সব আজ আমরা ভুলে গেছি। আমরা বাঙালী। আমরা ভারতিয়। আমরা মুসলিম। আমরা হিন্দু। আমার বৈদ্ধ। আমরা খৃস্টান। আমাদের সবাই নিজ নিজ মায়ের মাধ্যমেরই এই সুন্দর তেত্রিশ লক্ষাধিক দেবতার দেশে জন্মগ্রহন করতে পেরে চিরগর্বিত জাতি হিসেবে আজ মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে গেছি। আমরা পৃথিবীর সবদিক থেকে এক নম্বর শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলাম। কেউ বাধা হতে চাইলে সামনে এসে দাঁড়িয়ে বলো যে, “আমি তোদের বাধা দিতে চাই”। আমি দেখতে চাই সেই বাধা দাতা পাবলিক কে বা কারা। যদি তারা আমাদের এই সুন্দর জাতির সামনে এসে কথা বলতে ভয় পায়, তাহলে দয়া করে যেনো পিছন থেকে বা কুট কৌশলের সাহায্য ডিস্ট্রাব না করে। বাঙালী-ভাবতীয় শান্তিকামি প্রতিটি জনতা সব সহ্য করতে রাজি আছে কিন্তু কোনভাবেই মোনাফেকি, ক্রিমিনালিপানা (ক্রিমিনাল কথাটি মোনাফেক এরই প্রতিশব্দ হিসেবে আমাদের সবুজ সুন্দর প্রাকৃতিক সমাজের সাধারন মানুষের মুখে মুখে প্রচলিত ও প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে।) সহ্য করা হবে না। আমাদের ঘরে কোনো প্রকার কৃমিনালি চলবে না। যদি চলে তাহলে কৃমিনালির কৃমিনাশক অষুধ আমাদের কাছে আছে এবং চিরকাল থাকবে। শুনেছি মার্শাল আইনে নাকি আছে, কোনো সোলজার দেশের শান্তি বাঁচানোর জন্য স্বাভাবিক যুদ্ধাবস্থায় পিছন থেকে গুলি খেলে, তার শান্তি কামি সহযোদ্ধা সোলজার ডেড বডির উপর এলোপাতাড়ি গুলি করে নিজেদের দেশপ্রেম ও শ্বপথ রক্ষার আনন্দের বহিপ্রকাশ করে দেখান। আমাদের এমন শক্ত হতে হবে। শত কোটির উপর মানুষের ভাগ্য সামান্য কিছু চামচা ও কুলঙ্গারের পিছন থেকে কৃমিনালি বুদ্ধি নিয়ে এসে আমার এই সাধারন প্রজাদের উপর চাপানো যাবে না। কেউ এই সব কাজ করতে চেষ্টা করলে তার পরিনাম আমার প্রজারা দেখাতে মোটেও দিধ্বাবোধ করবেন না। এই আমার স্পষ্ট আদেশ ও গাইড লাইন।
বন্ধু! আপনারা নিশ্চই লক্ষ্য করেছেন যে, আমাদের এই পৃথিবীর সুন্দর সুন্দর মানুষের অনেক মানুষিক রোগ হয়। এই মানুষিক ডাক্তার কারা? মানুষিক ডাক্তারি বিদ্যা কোথা থেকে এসেছিলো? কারা এই বিদ্যাটাকে নিয়ে মানুষের সাথে বেঈমানী করতে পছন্দ করেন? একজন মানুষিক ডাক্তার সমাজের জন্য সবথেকে বেশি সেবা করার সুবিধা পান। এগুলো নিয়ে পলিটিক্স করা ঠিক না। ডিপ্রেশন, অবসেশন সহ ভালোমতো খুঁজে দেখলে এমন সব মানুষিক রোগের নাম পাবেন যে সব দাঁত ভাঙ্গা নাম পড়ে মুখুস্ত রাখতে গেলে নিজের দাঁত ভেঙ্গে রাস্তার পাগল হয়ে নেংটা হয়ে দৌড়াতে হতে পারে। তাই আমি ডিপ্রেশন আর অবসেশন ছাড়া অন্য কোনো মানুষিক রোগের নাম লিখে দিয়ে আপনাদের মেধার অবমূল্যায়ন করতে চাই না। আমাদের এই টু-সুইট-সিস্টার বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়া নিজস্ব ভাবেই মানুষিক সমস্যা মোকাবেলার পরিপূর্ণ ভাবে যোগ্যতা রাখে। এই মানুষিক চিকিৎসা বিদ্যার জন্মদাতা পিতা আমরা এই ভারত মাতার সন্তানগন। আর আমাদের সুন্দর চিন্তা গুলোকে পশ্চিমারা ওদের কাছে নিয়ে গিয়ে দুর্বোধ্য নাম আকারে আমাদের কছে মরনাস্ত্রের চেয়েও ভয়ংকর মারাত্মক আকারে ব্যবহার করে আমাদের ভিতর ক্রোন্দল সৃষ্টি করতে চেয়েছিলো। আপনার যদি প্রতিটা মানুষিক রোগের নাম গুলোকে সহজ ভাবে বাংলা-হিন্দি-তামিল-তেলেগু-উর্দো সহ আমার মা মাটির ভাষা দিয়ে অনুবাদ করে দেখেন তাহলে বুঝতে পারবেন মানুষিক বড় রোগের চিকিৎসা হলো আমাদের সবসময়, সর্ব অবস্থায় একতা থাকার চেষ্টা করা।
পশ্চিমাদের আমি স্পষ্ট ভাবে বলে দিলাম আর কোনো অন্যায়-অন্যায্য পলিটিক্স আমাদের উপর খাটানোর চেষ্টা করবেন না। আমাদের বুঝতে হবে যে, মানুষিক রোগের নামগুলো হতে হবে নিজ ভাষায়। যেমন ধরুন মিথ্যা কথা বলার প্রবনাতা, চুরি করার প্রবনতা, ডাকাতি করার প্রবনতা, পিছনে বসে অহেতুক অন্যের খারাপ চিন্তা করা, বদঅভ্যাস, অন্যদের বিরক্তি না বুঝতে পেরেই নিজের মিথ্যে ভরা অন্যায্য শাস্ত্রজ্ঞান বকবক করে চাপিয়ে দেয়া, অন্যকে গুরুত্ব দিতে না পারা, কৃপনতার মনোভাব, কপটতার মনোভাব, লুচ্চামির মনোভাব, বস্তু নিয়ে রেশারেশি, নিজের মা-বাবা-মুরুব্বিদের সাথে বেয়দবি সুলভ আচরন, না বুঝে সুঝে হিংসে করা ইত্যাদি। এইসব নাম দিয়েই মানুষের মানুষিকতার দুর্বল দিকগুলো সহজে নিজভাষা দিয়ে বুঝানো যায় বলে আমরা মন-প্রাণ দিয়ে অবুভব করতে শিখে গেছি। আপনারা যদি সাবধানতা অবলম্বন করতে না শিখেন তাহলে দেখতে দেখতে দেখবেন যে মায়ের প্রতি প্রচন্ড মমতা ও সম্মানকেও পশ্চিমারা কোনো মানুষিক রোগের দুর্বোদ্ধ নাম দিয়ে দিচ্ছে। যেমন- মাদারলাভপ্রিজন, মামলাভোক্সেসিলিন ইত্যাদি ইত্যাদি। দুষ্ট কৌশল ব্যবহার করার জন্য এই সব নাম আমাদের এই সুন্দর মানুষগুলোর উপর জোড় করে চাপিয়ে দেয়া হয়। আর মিডিয়া এসব প্রচার করে মানুষকে বিভ্রান্তির দিকে নিয়ে যায়। মেডিক্যাল ডাক্তারদের কথা আপতত উহ্য রাখলাম। ডাক্তারদের এই উহ্য রাখার মাধ্যমে অল্প কিছু দিন সময় দিলাম। যাতে ডাক্তাররা এই উহ্য থাকা সময়ের মধ্যে নিজেদের ভাবোভাবে ঘসে মেঝে ঠিক করে নেয়। তাদের সময় দেয়া উচিত বলে দিলাম। এমনিতেই বেচারাদের উল্টো জিনিস পড়তে পড়তে টেনশনে মাথার চুল উঠে যাচ্ছে। কোনো পশ্চিমা ডাক্তারের সাথে আপাতত কোনো প্রকার যোগাযোগ করার দরকার নাই। আমাদের কাছে ডাক্তারি বই আছে ঐ বই গুলোর অনুবাদ আমরাই করবো। অনুবাদ করতে শুরু করে দিন। তা না হলে পশ্চিমা ভুত আমাদের দেশপ্রেমকেও মানুষিক রোগ বানিয়ে ছাড়বে। যার নাম হতে পারে কান্ট্রিলাভটেমল, কান্টিঅপটোমাইএক্সট্রটিটিভ। আহারে কত্তো বড় বড় আযাব নিয়ে আমাদের সন্তানরা কষ্ট পায়! আমাদের রোগের নাম আমরা দেবো। আমরা আর কোনোদিনও পশ্চিমাদের ব্রেন ওয়াসের স্বিকার হবো না। যদি ওরা আমাদের ভালো কিছু দিতে চায় তা আমরা গ্রহন করতে কার্পন্য করবো না। প্রয়োজনে দাম দিয়ে ভালোটা কিনে নিয়ে এসে আপনাদের রাজাধিরাজ আসিফ আপনাদের হাতে তুলে দিবে। আমাদের ভালোটা পশ্চিমাদের জন্য দান হিসেবে দিয়ে দিলাম। আমরা মানুষকে ভালোজিনিষ দিতে পছন্দ করি। সৃষ্ট্রিকর্তা আমাদের অন্তর শুধুমাত্র ভালো ভালো জিনিস বিলিয়ে দেবার জন্য দিয়েছেন।
শোনেন, বৃটিশ আইন যখন এলো। তখন থেকেই যদি আমাদের দাবিয়ে না রেখে ভালোভাবে মিলিমিশে থাকার চেষ্টা করা হতো আজ পুরোপৃথিবীবাসিই অনেক বেশি সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধিতে থাকতে পারতাম। আমরা প্রতিশোধ নেবো পশ্চিমাদের ভয় দেখিয়ে নয়। আমরা প্রতিশোধ নেবো সবার মাঝে শান্তি প্রতিষ্ঠা করে দিয়ে। ভারত মাতার সন্তানরা যুদ্ধ করতে চায় না। আর যদি যুদ্ধ করার দরকারই হয় তাহলে ভারতের সন্তানরা কখনও কোনো যুদ্ধে হারবে না। আমরা হাসি মুখে প্রান দিতে জানি। একথা মুখে বলছি না এ কথা আমরা প্রমান করে দেখিয়েছিলাম।
আমরা যদি জাপানের অগ্রগতির দিকে আলোকপাত করি তাহলে দেখতে পাবো তারা অনেক বড় একটি ধকল সহ্য করেও নিজেদের দেশপ্রেম, জাতিয়তা, নিজভাষা, রাজার কাথা মেনে চলা, সুসাসনের মিশেল সমন্বয় ঘটাতে সক্ষম হয়েছিলেন। কোনো দেশই চিরদিন বাজে অবস্থায় থাকতে পারে না। জাপানের উপর পারমানবিক হামলা হয়েছিলো। যা অত্যান্ত পরিতাপের বিষয় ছিলো। জাপান এই টু-টুইন-সিস্টারের চিরবন্ধু রাষ্ট্রই শুধু নয় জাপানের পলিসিকে আমাদের অগ্রগতির অগ্রদুতের মতো শ্রদ্ধাজ্ঞানে নিয়ে নিতে হবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ যেটুকু শান্তিপূর্ণ ভাবে শেষ হয়েছিলো, সেটুকুও হতো না যদি জাপানের মহামান্য সর্বজন শ্রদ্ধেয় রাজার একটি শুভ ডিসিসন নিতে না পারতেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের হানাদার বাহিনি পক্ষের সবাই যখন আত্মসমর্পন করেছিলেন তখন শুধুমাত্র জাপান শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে হলেও নিজমাটিকে রক্ষা করার শ্বপথ (এই পলিসিতে চায়না ও করিয়ার উপরে আক্রমনের সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। যার যন্য জাপান ক্ষমা চেয়ে নিয়েছে।) নিয়ে এগিয়ে জাচ্ছিলো। জাপানের রাজার দয়ালু মন চিন্তা করে ভেবে দেখলো এই যুদ্ধ না থামানো গেলে আরও অনেক মানুষ তো মারা যাবেই, সেই সাথে পুরোএশিয়ায় চরম দুর্গতি নেমে আসতে বাধ্য হবে। জাপানের ব্যাপারে বেশ কিছু ইঙ্গিত আমাদের বাঙালী জাতির মহাগর্ব রবীন্দ্রনাথের কাছ থেকে জেনে নিতে পারেন। তিঁনি সেখানে স্পষ্টই সব বলে দিয়েছিলেন। সেই পরন্ত বিকেলের জাপান কি মাথা তুলে দাঁড়ায় নি? কে পুরন করে দিয়েছিলো এই জাপানিদের সব স্বপ্নের পারফেক্ট প্রতিফলন? বুদ্ধের সন্তানরা কখনও অনাথ থাকতে পারে না। বুদ্ধের আদর্শ মহাদর্শ। তিনি চরম ও পরম জ্ঞানদাতা দয়ালু ভারতের গর্ব শ্রী গৌতম বুদ্ধদেব। জাপান সবকিছুর একটি সুন্দর কম্বিডিশন করে নিয়েছিলো বলেই আজ জাপানিজ জাতি আমাদের শিক্ষা গ্রহন করার জন্য স্রষ্ট্রা কর্তৃক নিদর্শিত একটি চরম উদাহরন। আমাদের এই বিশ্বভারতীয়দের জন্য জাপান যা করেছে তার ঋণ আমাদের পক্ষে শোধ করা সম্ভব না। আমাদের এই টু-টুইন-সিস্টার বাংলাদেশ ও ভারত বিশ্বের এক নম্বর শক্তি হিসেবে গড়ে তোলার জন্য জাপান আমাদের সাহায্য ও সহযোগীতা করবেই। এটা আমাদের অন্তর আর জাপানের অন্তরের মিলবন্ধন। আমাদের দেশে পশ্চিমারা এসে শুধুমাত্র ভি.ভি.আই.পি. ও ভি.আই.পি. দের সাথেই দেখা স্বাক্ষাত করে কুবুদ্ধির ভাইরাস ছড়িয়ে দেয়। জাপান কখনও আমাদের দুর্বলতাকে কোনরূপ হাতিয়ার করার চেষ্টা করে নি। বর্তমানে তার বড় প্রমাণ গুজরাট ও শ্রীযুক্ত নরেন্দ্র মোদি সাহেবের সারাজীবনের ত্যাগের অসম্ভব সুন্দর মিল বন্ধন। জাপানের মানুষ আমাদের দেশের মাটিতে বেড়াতে এলে কখনও পশ্চিমাদের মতো স্বার্থপরের মতো আচরন করে না। জাপানের সন্তানদের আমি আমার জন্মভুমিতে বসে দেখেছি। তাঁরা এই মাটিতে এসে নিজেদের মন মতো করে সাধারন মানুষের কাতারে এসে ঘুরে বেড়ায়। এভাবেই বন্ধুত্বের বন্ধন চিরকাল থাকে ও থাকবে। ছেলেবেলায় আমাদের পাঠ্য বইতে পেয়েছি। জাপান হলো সুর্যোদয়ের দেশ। আজ আমাদের কাছে আমাদের সুর্য উদয় হয়ে হাতে এসে ধরা দিয়েছে। আমরা আমাদের সুর্যের কথা লক্ষ্মী মানুষের মতো মেনে চলে পুরো বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রত্যয়ী হলাম। আমরা অবশ্যই পৃথিবীর এক নম্বর অবস্থান করে নেবো এবং সবাই আমাদের সহযোগীতা করবে কারণ আমরা জানি পৃথিবীর সব মানুষেরই সমান ভাবে সমান স্বাধীনতা ভোগ করার অধীকার স্রষ্ট্রা কর্তৃক প্রেরন করা হয়। পৃথিবীর যতো দেশে যতো প্রকার অশান্তি আছে সবই আমাদের বাঙালী ও ভারতীয় জাতির ব্যার্থতা হিসেবে গন্য করে নিলাম। আমরা পুরো বিশ্বের শান্তি ও সাম্য রক্ষা করে চলতে বাধ্য থাকবো। আমরা আমাদের মহারাজার প্রতিটি কথা মান্য করতে বাধ্য থাকবো। তিনি আপনার অনেক নিকটে থেকেই আপনার সাথে কথা বলে আপনার একান্ত আপনজন হয়েই ধরা দিয়েছে। মহারাজা যেভাবে আসার কথা ঠিক সেই ভাবেই এসেছেন। মহারাজা সঠিক সময়, সঠিক স্থানে, সঠিক ভাবে, সঠিক অবস্থান নিয়ে আমাদের মাঝে এসেছেন। আমরা আমাদের মহারাজাধিরাজের প্রতিটি কথা অক্ষরে অক্ষরে মান্য করতে বাধ্য থাকবো। এতো ক্ষতি হয়ে যাবার পরও যখন তিনি আমাদের মাঝে এসে নিজের মহাআবির্ভাব বার্তা স্পষ্টরূপে আঙ্গুল তুলে দেখিয়ে দিয়েছেন আমরা তাকে যে কোনো উপায়ে হোক আগলে রাখবোই। মহারাজাধিরাজ সবসময় শান্তি রক্ষার জন্যই আসেন কোনো প্রকার অশান্তি তিনি মেনে নেন না। মহারাজা অবশ্যই সর্বক্ষেত্রে সমানরূপে ন্যায় বিচারক। মহারাজাই সব থেকে বড় প্রতিবাদি ও বিপ্লবী চেতনা নিয়ে আমাদের মধ্য থেকে আমাদের মতো একজন হয়েই আমাদের প্রেমের টানে চলে আসেন।
এই টু-সুইট-সিস্টার বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়ার বর্ডার এলাকা অনেক বেশি অনিরাপদ অবস্থায় রক্ষিত আছে। আমাদের বাংলাদেশের সীমানা ঘেষে উঠে এসেছে অনেক মাদকদ্রব্যের কারখানা বিশেষ করে ফেনসিডিল (প্রচুর পরিমান কোডেইন উপাদান যুক্ত এক ধরনের মারাত্বক ক্ষতিকর নেশা দ্রব্য, যা স্মৃতিভ্রম, আসচেতনতা, বিভিন্ন মানুষিক ব্যাধি সহ মানব শরীর ও মনের মারাত্মক ক্ষতি করে।)- নামক নেশাদ্রব্যের কারখারনা। আমদের টু-টুইন-সিস্টার কান্ট্রির সাধারণ মানুষের মাঝে রটানো আছে যে, ইন্ডিয়া নাকি একচেটিয়া ভাবে ফেনসিডিল নামক মারাত্মক বিষদ্রব্য বাংলাদেশে দিয়ে দিচ্ছে ও নিজেরা আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছে। আর নাকি ইন্ডিয়ার মানুষ সেই ফেনসিডিল (আঞ্চলিক ও চোরাচালানির সুবিধা করার জন্য এই মারাত্মক ক্ষতিকর মাদকের আরো কিছু নাম প্রচলিত আকারে পাওয়া যায়। যেমন, ডাইল, ইঞ্চি, হাফ-ইঞ্চি, ছোট মুখ্খা, জোতা সহ অনেক রকমের বাজে বাজে-ভালো নাম) বিক্রি করার টাকায় দুধ কিনে খেয়ে ভালো রকমের মেধাবি হয়ে উঠছে। বাস্তব সত্যি কথা অথবা বাস্তব পরিস্থিতি কি আমাদের এই কথা বলে? মোটেই না। আমরা এই সুন্দর দুটি ফুলের মতো বোন মা-মাসির সন্তানদের দু’দলই এই কঠিন মাদকদ্রব্য গুলোর নিরিহ স্বীকার হয়ে যাচ্ছি। এই পলিসি কে বা কারা নিয়ে এসেছিলো?
আজ তাকিয়ে দেখুন ঐ তামিল, শ্রীলঙ্কান তামিল এরিয়া, সিলেটের প্রতিটি চা বাগান, বাংলাদেশের প্রতিটি ডিস্ট্রিক থানা লেভেলের পরিছন্ন কর্মিদের দিকে। স্থানীয় ভাষায় পরিছন্ন কর্মিদের “হরিজন” বলা হয়, হরিজন নামকরণও করেছিলো ঐ বরাবর/মাননীয়/সমিপেষু/স্যার/নাইট/লর্ড মার্কা উপাধী সম্বলিত পশ্চিমারা তাদের কিছু অবৈধ্য কার্যক্রম কে কৌশলে নিয়ন্ত্রন করার জন্য। তারা ঐ দুরদেশে বসে “হরিজন” নাম দিয়ে সহজে আমাদের নিরিহ মানুষদের জিম্মি করে রাখার জন্য কমান্ডের দ্রুত বাস্তবায়ন করাতে পারতো। আমরা এই পরিকল্পিত শয়তানীর দাস হয়ে উঠেছিলাম। আমাদের বুঝতে হবে আজও সেই কঠিন খেলা শেষ করে দিয়ে নিজেদের ময়লা নিজেরা সাফ করে উঠতে পারি নি। এখন থেকে না পারা সব কাজ শুরু করে দ্রুত শেষ করে ফেলতে হবে। আগে যা অসুবিধা ছিলো তার খেসারত তো অনেক দিয়েছি এবার শুধু সামনে তাকাবো।
আমরা জানি ও বুঝি যে আমাদের সমাজের কিছু মানুষ নেশা দ্রবের প্রতি দুর্বল। এই দুর্বলতা আমাদের কাটিয়ে উঠতে হবে। এবং যে কোনো মূল্যে আমরা এই নেসার সিন্ডিকেটকে আর দির্ঘায়ু করতে চাই না। টু-টুইন-সিস্টার বাংলাদেশ ও ভারতের সন্তানদের সংসার চালানোর টাকায় ঘাটতি পরে যাচ্ছে এই নেশা দ্রব্য গ্রহন করার ফলে। অনেক সুসন্তান হবার যোগ্য নিরিহ ছোকড়া-ছোকড়িগন নেসার জগত থেকে ফিরে আসার মতো পরিবেশ পাচ্ছে না। আমরা নিজেরাই নিজেদের পরিবেশ তৈরি করে নেবো। যেমন ধরুন আমি প্রচুর সিগারেট খাচ্ছি। আমার সিগারেট খাওয়া হলো এই সুন্দর সমাজটাকে কুৎসিত-নোংড়া করে রাখার একটি প্রতিবাদ স্বরূপ। যদি দোকানদারের কাছে সিগারেট কিনতে না পারতাম, তাহলে সিগারেট পেতাম কোথায়? আমার সামনে আমার নিরিহ নিষ্পাপ সন্তানগুলো ধুকে ধুকে রোগে ভুগে নষ্ট হয়ে যাবে তা আমি মুখ বুঝে কিভাবে সহ্য করি বলুন? আপনাদের সবার দুঃখ, জ্বালা, বেদনাকে আমি নিজের করে নিতে জানি বলেই এমন করি। যেদিন আমার দেবিতুল্য প্রিয়তম “মুন” আমাকে এসে বলবেন, “তুমি সিগারেট ছেড়ে দাও না প্লিজ!”। সেদিন আমি ঐ কথা শোনার সাথে সাথে সিগারেট ছেড়ে দেবো। আর কোনোদিনও ধুমপান নামক বিষপান করবো না। আমি আমার শরীর মন সব আপনাদের জন্য উৎসর্গ করে দিয়ে যাই। এই শরীর যখন শয়তানের কুপ্রোরোচনায় কারও কাছে তিব্র সত্যের আলোক ধটার বিষধর সর্প হয়ে ওঠে, তখনই এই শরীরের বিনাস আপনাদের মতো কোনো মানুষ দ্বারাই করিয়ে দেয়া হয়। যে কাজ শ্রীদুর্গন্ধযুক্ত নকল ঈশ্বর মহাসাহেবের কাছে পানির মতো সহয বলে গন্য। এটা শয়তানের শাস্তি মাত্র। তারপরও আমি আমার আদর্শের সন্তানদের বাঁচিয়ে রাখি। কোনো কিছু দিয়েই তাঁদের কোনো কিছু করা সম্ভব না। আমি যা বলি তা শুধুমাত্র মুখের বুলি না। আমি যা বলি তা করে দেখিয়ে আপনাদের মহারাজার পবিত্র প্রেমভরা চিরঅম্লান দ্বায়িত্ববোধরে পরিচয় দিয়ে বেড়াই। আমাদের এই জাতিটাকে কৌশলে অশিক্ষিত করে রাখা হয়েছিলো বলে মহারাজাকে চিনে নিতে খানিকটা বেগ পেতে হচ্ছে মাত্র। অনেক দিনের শিকল পরার অভ্যাস কি আর এক দিনে চলে যায় বলুন?
বন্ধু! আমাদের এই টু-সুইট-সিস্টার বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়ার সমাজে যদি টুকটাক নেশা দ্রব্য রাখতেই চাই তাহলে তা কেনো অবৈধ উপায়ে রাখবো? আমরা কি আমাদের ভারতমাতার অবৈধ সন্তান? না! আমরা হলাম চিরতরুন, চিরশিশু, চিরসুন্দর, চিরমহামায়াভরা, চিরস্নেহ, চিরভালো মানুষের দেশের মানুষ। বাঙালী ও ভারতীয়রা কোনো লুকোচুরি করে কিছু করবে না। ইন্দ্রো বাংলার যৌথ প্রচেষ্ঠায় রাজনীতিক দলের ইনকামের প্রয়োজনের তাগিদের স্বার্থে ও কিছু সংখ্যক সামাজিক অপরাধ রোধের উদ্দ্যেশে বৈধ ভাবে কিছু বার স্থাপন করা যেতে পারে। ঐ ব্যবসাগুলো নিয়ন্ত্রন করবে সব রাজনীতিক দল এবং এখানে মুনাফার থেকে মাদক নিয়ন্ত্রনের মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে।
টু-সুইট-সিস্টার বাংলাদেশ ও ভারতের সব সম্পর্ক হবে বিনিময়ের মাধ্যমে আর এই সম্পর্কের ভিত্তিমূল হল আপন দুই সহদরা বোনের আন্তরিকতার সম্পর্কের মতো চির আপনজন করে দিলাম। বাংলাদেশে বার স্থাপনের ক্ষত্রে ভারত সহযোগিতা করতে পারে। তার মানে এই নয় যে, ভারত বাংলাদেশের উপরে ব্যবসা করার মনোভাব নিয়ে এ সক্রান্ত কাজ করবে। বাংলাদেশ কে শিখিয়ে দিতে হবে কিভাবে এই সামান্য নেশাদ্রব্য (এ্যালকো বেইজড অর আফিম বেইজড) নিজেদের মাটিতে উৎপাদন করে, নিজেদের সন্তানদের কাজে লাগিয়ে, নিজের দেশের মধ্যেই সবার আগে বিতরন করে পুরো পৃথিবীনিবাসীর সেবা করা যায়। এই খাত আমাদের জন্য অনেক বড় একটি লাভজনক রপ্তানি খাত হতে পারে। এই টু-সুইট-সিস্টার অবশ্যই পারবে তারপরও এই ব্যাপারে কোনো অসুবিধা বোধ করলে আমরা স্কটল্যান্ডের সহায়তা নিতে পারি। তাঁরা এই ব্যাপারে বেশ অভিজ্ঞ।
আমরা এই টু-টুইন-সিস্টার আফগানিস্তানে কোনোরকম অশান্তি বা জাতিগত দাঙ্গার সমর্থন করবো না বরং আমরা হানাদার না হয়ে আফগানিস্থানকে নিজেদের কাছে নিয়ে এসে তাদের নিরাপত্তা ও শান্তির নিশ্চয়তা প্রদান করলাম। আফগানিস্তানের প্রকৃত অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য তাঁদের দেশের সর্বপ্রধান আয়ের খাত পপি ফুল, আফিম আমদানি করতে পারি। এই ব্যবসায় আফগানিস্থানের রাজনিতিক দলগুলো আমাদের এই টু-সুইট-সিস্টারের সাথে অংশিদারের ভিত্তিতে ব্যবসা করবে। তারফলে আফগানিস্থানে সুসাসন নিশ্চিত হবে। আমাদের যা কিছু আছে তাই দিয়েই আমরা বিশ্বের এক নম্বর শক্তি হিসেবে প্রকাশ করেছি।
বন্ধু! একবার কি ভালোমতো তাকিয়ে দেখেছেন ঐ তামাক বাগানে কাজ করা সাধারন দিনমজুর নারী পুরুষের পবিত্র হাতগুলোর দিকে। দেখলে মনে হবে হাতের তাড়া পচে গেছে। এই সব দুঃখ সওয়া মানুষগুলো সারাজীবন কি এরকম গোলাম হয়েই থাকবে? অবশ্যই না। আমরা তামাকের চাষ বন্ধ করে দেবো। তামাক আমাদের মাটির উর্বরতা শক্তি নষ্ট করে দেয় অথবা আমাদের পবিত্র মাটিকে পূর্ণাঙ্গ লাভ জনক ভাবে কাজে লাগানোর জন্য বড় অন্তরায়। আমরা আমাদের জমিতে খাদ্যশষ্য ফলাতে পারি। আমাদের বুঝতে হবে যে, আমরা তামাকের চাষ না করেও সিগারেটের চাহিদা ভিন্ন উপায় মিটাতে পারি। আমাদের দেশ মসল্লার দেশ। কাশমির, বাংলাদেশ ও আমাদের বহু ভুখন্ডে বহু রকমের মসল্লা চাষ করা সহজ ও স্বাভাবিক। আমাদের এই দিক গুলো দেখতে দেয়া হয় নি কারণ আমাদের মতো দেশগুলোর প্রধানমন্ত্রীদের যথেষ্ট পরিমান ফালতু কাজে ব্যস্ত রাখা হয়। দিনের কোনো না কোনো সময় কোনো অকাজ কুকাজ দিয়ে রেখে শৃখল পরানোর চেষ্টা করা হয়েছিলো। আর এরকম চেষ্টা করতে দেয়া যাবে না। আমার আমাদের মহারাজা, চিপমিনিস্টার, প্রেসিডেন্টদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে রেখে কোলাহল মুক্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করবো। এই সব মানুষদের আমরা স্বাভাবিক ভাবে আন্তরিকতার সাথে কাজ করে আপনাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার পূর্ণাঙ্গ সুযোগ দেবো। মনের মধ্যে গেঁথে রাখুন, তাঁরা তাদের সারাজীবনের অনেক ত্যাগ দিয়ে আপনাদের সেবা করে যাচ্ছে। তাঁরা রোবট নয় তাঁরা আপনার আমার মতোই মানুষ। তাঁদের জীবনধারনের ব্যয়ভার নির্বাহ হয় সাধারন জনগনের দানে। এই দান নেয়া ও দেয়ার মধ্যেই দেশের শান্তি নিশ্চিত হয়। একজন রাষ্ট্রি নেতার পরিবারের ভরন পোষন আর একজন সাধারন মানুষের পরিবারের ভরন পোষনের খরচের মধ্যে তেমন বৈশম্য এখন থেকে থাকবে না। একজন স্বাভাবিক মানুষের জীবনে কয় বেলা খাওয়ার দরকার হয়? উদাহরন স্বরূপ একজন মানুষ ৬০ বছর বেঁচে থাকলে এবং প্রতিদিন ৩ (তিন) বেলা করে খাবার খেলে পয়ষট্টি হাজার সাত শত বেলা (ইংরেজীতে যাকে বলে “মিল”) খাবার গ্রহনের প্রয়োজন হয়। জীবনের প্রতিবেলায়ই যদি পোলাউ-গোস্ত-কোপ্তা-রোস্ট-ফিরনী-দধি-কোমল পানিয় খাওয়া হয় তাহলে পুরো জীবনে কতো টাকার খাওয় যায়? অল্প কিছু টাকা। জেলখানার একজন ভি.আই.পি. বন্ধিও এর থেকে বেশি টাকা সরকারের দুর্বলতার সিস্টেম করে রাখার দরুন নষ্ট করে।
আমরা এই সুন্দর পৃথিবীতে বাজে মানুষ দ্বারা মগজ ধোলাইয়ের স্বীকার হবার জন্য আসি নি। আমরা ভালোভাবে বেঁচে থেকে সবাই সবাইকে মিলবন্ধনের মতো করে থেকে চিরস্থায়ীভাবে আমাদের কর্মকে প্রদর্শণ করার জন্য এসেছি। আমরা তেজপাতা, দারচিনি দিয়ে পরিক্ষা নিরিক্ষা করে দেখবো যে তামাক ভরা সিগারেটের বদলে এই সব দিয়ে আমাদের সিগারেটের চাহিদা মিটাতে পারি কিনা। অবশ্যই আমাদের কাছে বিকল্প অনেক উপায় আছে। আমরা আমাদের চেষ্টা ও শ্রম দিয়ে সব অসম্ভবের গলায় দড়ি পড়িয়ে রেখে ঘুরাবো।
বন্ধু! আমাদের বর্তমানের এই বেকার সমস্যাগুলো ঐ উপরে আলোচিত ঐ সব বিষয়গুলোর ঠিকভাবে কম্বিডিশন করতে না পাড়ার ফলে হয়ে গেছে। আমরা আমাদের এই টু-সুইট-সিস্টার বাংলাদেশ ও ভারতের বেকার সমস্যা সহযেই দুর করে দেবার যোগ্যতা অর্জন করেছি। সবে মাত্র দুটি রাস্ট্র দুটি নতুন সরকার এসেছে। তারা আপনাদের সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা, সম্মান, সকল প্রকার দাবির কথা মাথায় রেখেই নিজ নিজ অবস্থানে বসে আছেন। একদিনের মধ্যেই সবাইকে চাকুরি ও কর্ম সংস্থান দিয়ে দেবার মতো পরিবেশ এই মুহুর্তে নাই। আমাদের কিছু দিন সময় লাগবে। আপনারা আপনাদের হট্টগোল বন্ধ করে ধর্য্য ধরে, পূর্ণ বিশ্বাস রেখে আন্তরিকতার সাথে অপেক্ষা করুন। আমি আপনাদের নিয়েই চিন্তা করার জন্য উদয় হয়েছি। বেকার সমস্যা হলো দেশের অগ্রগতিতে প্রধান বাধা। আমাদের চোখের সামনে অদৃশ্য দেয়াল তুলে দেয়ার ফলে আমরা বুঝি নি তাই এতো বেশি বেকারের হাহাকার ধ্বনি আমাদের বিবেককে নিয়মিত দংশন করে যাচ্ছে। বেকার সমস্যা কোনোভাবেই কোনো রাজনিতিক ইস্যু না। এই সব ইস্যু-টিস্যুর কথা ভুলে যাবেন। বেকার সমস্যা হলো একটি দেশের সমস্যা। সমস্যার সমাধান হয়। ইস্যু ব্যবহার করে আমাদের মাটির নেতাদের মুল্যবান মেধার অপচয় বা ঠিক মতো কাজ করতে দেয়া হয় না। ইস্যু-ইস্যু খেলা কোনো খারাপ মানুষের ক্রিমিনাল মার্কা পলিটিক্যাল গেইম/ম্যান্ডেট/মাইন্ড হতে পারে কিন্তু ইস্যু কখনও সমাধান নিয়ে আসে না। দেশের সমস্যা দুরকরতে প্রতিটা রাজনিতিক দল সমান ভাবে কাজের মাধ্যমে নিজেদের বিবেকের আসল প্রকাশ। অনেক রাজনিতিক দলের নেতাদের আমি বলতে শুনেছি তারা সারাজীবন জাতির বিবেকের কাছে প্রশ্ন রেখে যান। আমিই জাতির বিবেক। আজ এখনই এবং এই মুহূর্ত থেকে জাতির বিবেকের কাছে কোনো প্রশ্ন থাকলে আমাকে প্রশ্ন করুন। আমার কাছে না এসেও আপনাদের নিজেদের অন্তর থেকেও যদি আমাকে জিজ্ঞাস করেন জাতির বিবেক আপনাকে উত্তর দিয়ে দিতে জানে। এই বিশ্বাস অন্তরে স্থাপন করে নিন। বিশ্বাস না করলে আমাকে খুঁজে বের করে আমার কাছে এসে চোখে চোখ রেখে জিজ্ঞাস করুন। আমি উত্তর দিয়ে দেবো। তবুও নিজেদের কাজে ফাঁকিবাজি ও মোনাফেকি করবেন না।
ডেমোক্রেসিতে লায়ার, সেলফ মেকিং ম্যান্ডেট ইস্যু তৈরি করে আজ পশ্চিমারাই অনেক বড় বিপদের মধ্যে পড়ে আছে। আমরা তাদের রাজনিতিক সমস্যা সমাধানে কোনো প্রকার কার্পন্য করবো না। একবারও কি ভেবে দেখেছেন যে, ইউ.এস.এ. তে একজন প্রেসিডেন্ট কেনো দুই বার মেয়াদ কালের অধিক বার ক্ষমতায় থাকতে পাড়বে না? প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা যে “চেইঞ্জ” এর প্রত্যয় ও আশা ভরসা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন তিনি কি আসলেই তার কাজ স্বাধীন ভাবে সম্পন্ন করতে পারবে বলে আপনার মনে হয়? অবশ্যই না। আইন মানুষের সুবিধার জন্য প্রনয়ন করা হবে। সংশোধন, সংযোজন, বিয়োজন এমনকি জনগনের প্রকৃত অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংবিধান পুরিয়ে ফেললেও কিছু যায় আসে না। দেশের সাধারন মানুষ কেনো আগুনে পুরে মারা যাবে? যে সংবিধান জনগনকে আগুনে পুরিয়ে মারে ঐ সংবিধান আমাদের দরকার নাই। আমরা মানুষের সেবা করতে এই পৃথিবীতে এসেছি। সংবিধান নামক বই পুস্তকের সেবা করতে এই মহামুল্যবান জীবন নিয়ে এই পৃথিবীতে আসি নি। ইউ.এস.এ. এর সংবিধান কেনো সিনেটরদের জন্য একচেটিয়া আচরন করবে আর মিস্টার প্রেসিডেন্ট সাহেবের মাথায় সব দোষ পড়বে? ইউ.এস.এ. এর জন্য আমার আদর্শের সন্তান মিস্টার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায় নি। আইন সংশোধন বা বাতিল করে মিস্টার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে তাঁর প্রকৃত স্বপ্নের করুকাজ বাস্তবায়নের পূর্ণাঙ্গ সুযোগ দিতে হবে। ওবামা সাহেবের একটু একটু বুঝে উঠতেই এতোগুলো বছর বৃথা চলে গেছে। এখন তিনি ম্যাচিউর হয়ে উঠেছেন। ওবামা সাহেবের এক্সপ্রেরিয়ান্স আমাদের কাছে মূল্যবান সম্পদ। আমি আমার আদর্শের সন্তানদের কোনো দুর্নাম কামনা করতে জানি না। ইউ.এস.এ. অনেক কাল যাবৎ দীর্ঘমেয়াদে ক্ষমতায় থেকে সৎ ও মানুষের প্রকৃত মঙ্গলের মাধ্যমে সেবক শাসকের দাবি নিয়ে আছে। আজ আমাদের এই দাবি মানতে হবে। আমরা আমাদের দুর্নাম ঘুচিয়ে ভালো কাজ উপহার দেবার জন্য ক্ষমতাকে দীর্ঘদিন রেখে দিয়েছি। এখানে অন্যায় কিসের? এই সব ঝামেলার ফলে অশান্তির সৃষ্টি হয়। পুতিন সাহেব ইউ.এস.এ. এর নতুন প্রেসিডেন্টের জন্য অপেক্ষা করে থাকবেন কেনো? দেশ ও মানুষের দ্বায়িত্বভার নিতে হলে প্রতিটি সময়ই খুব বেশি মুল্যবান। মিস্টার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ক্ষমতার মেয়াদ বাড়িয়ে দিন। তাহলে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ব্লাদিমির পুতিনের মনে প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠা ও রুশ ভাষাভাষি ও সাংস্কৃতির মানুষের সত্যিকার অর্থে শান্তি প্রতিষ্ঠার মনোভাব আসবে। আমাদের বড় ভাই চায়নাও এই ছোট ভাইয়ের কথা শুনতে বাধ্য থাকবে। মহামানব বুদ্ধের আদর্শের সন্তানেরা চিরকাল শান্তির পক্ষেই অবস্থান নিয়েছিলো ও নিজ বুদ্ধির জোড়েই নিয়ে নিবেন।
বন্ধু! আমাদের এই টু-টুইন-সিস্টার বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়ার এই সহয সরল মানুষগুলোকে অবশ্যই মাদকের কালো থাবা থেকে আমরাই বাঁচাবো। দেশের মানুষের শক্তির কাছে মাফিয়া ডন কি? কিছুই না। এই দুর্বল সমাজ ব্যবস্থাই মাফিয়াদের জন্ম দেয়। যা আমার সব কথাগুলো কষ্ট করে অন্তরে ধারন করে নিলেই বুঝবেন। আমি আমার এই তৃতীয় বিশ্বের তৃতীয় শ্রেণীর (ইকোনোমিক্স বেইজড স্টেজ) সাধারণ মানুষের জীবন থেকেই উদয় হয়ে আমার জীবনের মধ্য থেকে আপনাদের মাঝে আমাকে নিয়ে এসেছি। একজন মাফিয়া ডন সমাজ ব্যবস্থার দুর্বলতার জারজ সন্তান। এতে মাফিয়া ডনের ভিতরের যে কোমল, শান্তি প্রিয়াসী, প্রেমে ভরা, শান্ত, নিবির, মায়াময়, উপকারি অন্তরটি আছে তা মোটেও নষ্ট হয়ে যায় নি। সমাজের অসাম্য অবহেলা সহ্য করতে করতে মাফিয়া ডন বলেন আর বলের কোকিল পাখি বলেন দুজনই অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। তাই তো সুন্দর মনের উপরে একটি কালো দাগ পড়েছিলো মাত্র। এখন সব ঠিকঠাক হয়ে গেছে। আমিও তাই কোকিল হয়ে আপনাদের আবারও গান শুনিয়ে যাচ্ছি। চিরকালই আমি ছিলাম, আছি এবং থাকবো।
নিজের ঘরে বাস করে মা যদি না খেয়ে থাকে তখন সন্তান কি করবে? পাশের বাড়ীর মাসির ঘর থেকে মায়ের জন্য খাবার চুরি করবে। সেই খাবার মাকে খাওয়াবে। এটা খুব স্বাভাবিক। আমাদের এই ভারত বর্ষে এই রকম অনেক চোরদের কোন আইনে সাঁজা দেয়া হয়েছিলো? এই আইন তৈরি করেছিলো কারা? কিসের উদ্দ্যেশে দিয়েছিলো? এই যে চোর কলঙ্কের শাস্তি দেয়া হলো তার রেজাল্টে কি এসেছিলো? আমাদের নিরিহ কিছু সন্তান কি সত্যিকারের চোর হয়ে যায় নি?
বন্ধু! আজও হচ্ছে। আমাদের সন্তান ও বাবা দুজনকেই মাদক মুক্ত করে স্বাভাবিক ভাবে কাজ করে অফুরন্ত আনন্দময় জীবন উপহার দিয়ে দিবো। ইনসাআল্লাহ্। বাংলাদেশে কি এক “ইয়াবা” (প্রচুর পরিমান কোডেইন যুক্ত আফিম বেইজড একটি মরনঘাতি মাদক দ্রব্য, যা ট্যাবলেন আকারে থাকে। বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়ায় এই ভয়ঙ্কর মাদক “বার্মা/মিয়ানমার” নামক রাষ্ট্রের মাধ্যমে সাপ্লাই ও কন্ট্রোল করা হয়।) সেবনকারী মেয়ে তার পুলিশ অফিসার জন্মদাতা পিতা ও নিজের জন্মদাত্রী মাকে মার্ডার করে মিডিয়ায় শোরগোল ফেলে দেয় নি? এ কেমন কথা? বাচ্চা মেয়ে বাজে প্রেরনা নিয়ে “ইয়াবা” সেবন করে তার বাবা মাকে মেরে ফেলবে আর আমি তা সহ্য করবো, এরকমের চিন্তা করাও অন্যায়? পাপকে টিপে টিপে মেরে ফেলে মানুষটিকে বাইড়ে বেড় করে নিয়ে এসে স্বাভাবিক ভাবে পৃথিবীতে বসবাসের সুযোগ দিন। আজ থেকে পৃথিবীর প্রতিটি মানুষই নিজেকে এক একজন বিশ্বনেতা ভেবে শুধু সামনের দিকে এগোবে। এটা আপনাদের মহারাজাধিরাজ আসিফ এর অর্ডার।
বন্ধু! দেখতে দেখতে কি আপনাদের হাতে আমি এই সুন্দর মায়াময় ও চির নতুন পৃথিবীকে তুলে দেই নি? আপনার হাতেই এখন পৃথিবীর সমস্ত দায়িত্ব। আপনি আপনার কাজে অহেতুক ফাঁকি দিবেন কেনো? আপনি কেনো নিজে একজন মানুষ হয়ে অন্য মানুষের মনে বা শরীরে আঘাত দিবেন। আপনি কি মারামারি করতে এই সুন্দরের ধরায় এসেছেন নাকি নিজে স্বাভাবিক স্বাধীনতা ভোগ করে চিরশান্তিকে অর্জন করার জন্য এসেছেন? অবশ্যই শান্তি অর্জন করার জন্যই শুধু নয় চিরতরে অশান্তিকে দুর করার জন্যই এই পৃথিবীতে আপনার জন্ম হয়েছে।
আমাদের কাজে আজ আর কোনো কষ্টকেই কষ্ট বলে মনে হচ্ছে না কারণ আমরা কঠিন কঠিন বলে যেসব সমস্যা দেখেছিলাম তা আসলে বাজে ও মিথ্যের কিছু জঞ্চাল মাত্র। আজ আমরা সেই জঞ্জাল দুর করে দিয়ে সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত হতে শিখে গিয়েছি। একবার যখন আসল পথ পেয়েই গেছি এখন কোনো কিছুই আমাদের পথ রোধ করে বাধা হতে পারবে না। আমি আপনাকে রক্ষা করার জন্যই চিরকাল চিরদেবশিশু হয়ে থেকে যাই। আমার কখনও ম্যাচিউর হবার দরকার হয় না। আমি সব সময় বুঝমান মায়ের অবুঝ সন্তান। শুধু এই টুকু বুঝি আমার মা আমাকে ছোট বেলায় যে সত্য কথা বলার জন্য আদেশ দিয়েছিলেন, সেই আদেশ আমি কোনোদিনও অমান্য করবো না। কারণ আমার মায়ের মাধ্যমেই আমি এই পৃথিবীতে আসি।
চলবে............................................ঔঁ