![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।
৯। নিত্যপ্রয়োজনীয় অতিব দরকারি দ্রব্যের মূল্যমান স্বাভাবিক রাখাঃ আলোচনার একটু আগে বলে নেই, মানুষ সারা জীবন মৃত্যুর কাছ থেকে দৌড়ে পালিয়ে বাঁচতে চায় বলে জীবন পায় না। মৃত্যুর কাছ থেকে পালানো কোনোভাবেই সম্ভব না। বেঁচে থাকাই জীবন। জীবন মানে মৃত্যুর কাছ থেকে পালিয়ে বেড়ানো না।
আমাকে দেখুন, আমার জীবনে আমি শিশুবেলা থেকেই কোনো মানুষকে কষ্ট দিতে চাই নি। সবার সাথে ঠিক ভাবে কথা বলেছি। তারা আমাকে ঠকানোর চেষ্টা করেছে। আমি জেনেশুনে ঠকে গেছি। আমি মানুষের কাছে ভালোবাসা চেয়ে দুঃখ কষ্ট পেয়েছিলাম। আমি যদি ভালোবাসা চাইতে পারি তাহলে অন্য মানুষ কেনো ভালোবাসা অর্জন করতে পারবে না কেনো? আমার ভালোবাসা চাইবার অধিকার থাকলে অন্যদের সেই অধিকার থাকবে না কেনো? আমি চিরসুখি একজন মানুষ। আমার প্রিয়তমকে আমি বলেছিলাম, তোমাকে আমি স্বর্গের দেবী বানিয়ে নেবো।
সারাজীবন নিজের জন্য ও অন্য মানুষের জন্য শান্তি কামনা করেছি। আমার সুন্দর জীবন আমাকে মসজিদে নিয়ে গিয়েছে, মন্দির-গির্জা-প্যাগোডা-মাজার-জারি গান-যাত্রা-সার্কাস-মেলা ইত্যাদি দেখতে গিয়েছি। শান্তি কোথায়? সবাই শুধু দলাদলি করেছিলো। নিজেদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেই মজা লুটে পুটে লিলিপুট হয়ে যায়। আরে ভাই শুধু লিলিপুট থাকলেই কি হয় যদি গালিভার না থাকে?
আমি মুসলিম (প্রতিটি শিশুই শান্তিপ্রিয় আর বাংলা “শান্তি” এর ইংরেজী হলো “পিস” আর আরবী হলো “ইসলাম”)। মুসলিম ধর্মকে সবাই বলে শান্তির ধর্ম। তাই আমি শান্তি খুঁজি। মহানবী হযরত মোহাম্মদ সল্লালাহুআলাইহিওয়াতাছলিমা এর মাধ্যমে আল্লাহ্ আমাদের বলেছেন, “তোমরা এই দুনিয়ার জমিনে রিজিক অন্বেষন করো এবং কর্মে নেমে পড়”। আমার জীবনে যখন প্রবল রূপে আকাশ বাতাস নদী সাগর সমস্ত গ্রহরাজি বিশ্ব মহাবিশ্ব আরও যতো কিছু আছে তা নিয়ে প্রেম এলো তখন আমি ভেবেছিলাম। আমি আমার প্রিয়তমকে নিয়ে এই জমিনের বুকে প্রেম করবো। সারাজীবন প্রেম করবো। আমি আমার প্রেম দিয়ে সবার মন জয় করে সবার সাহায্য সহযোগীতা নিয়ে সারাজীবন কাটিয়ে দিলে দোষ কার? আপনারাই আমাকে সাহায্য করবেন। আপনাদের সম্পদ তো আমারই সম্পদ। আমি তো আপনার জন্যই এই পৃথিবীতে এসেছি। আমার রোজগার বা বেঁচে থাকার স্বাভাবিক পরিবেশ আপনাদের আনন্দ দিতে দিতে হয় তাতে কার এমন ক্ষতি?
আমি আমার প্রিয়তম, পরিবার, আমার নিজ এলাকা, নিজ অঞ্চল, নিজ দেশ, নিজ মহাদেশ, নিজ পৃথিবী, নিজ বিশ্বভুমন্ডল নিয়ে ভালো ও শান্তিতে থাকতে চেয়েছি। আমরা ইনশাআল্লাহ সবাই শান্তিতেই থাকি। আপনি যখন সত্য ও সরলতা নিয়ে চলবেন, দেখবেন বেঁচে থাকার অনেক বেশি আনন্দ। আল্লাহ আপনাকে সব কিছু দিয়ে দিবেন। শুধুমাত্র নিজের মন থেকে সন্দেহ আর মিথ্যেকে সরিয়ে ফেলে ঝেড়ে উঠুন। বিশ্বপ্রকৃতি আপনাকে তোয়াজ করে চলতে বাধ্য হবে। মোনাফেকি, লোক ঠকানো, চুরি, ডাকাতি, লুচ্চামি, ছলনা এই সব খারাপ পথে যাবেনা না। ওগুলো ভালো নয়। আপনারা হয়তো বলবেন আমি ভালো যুক্তি জানি। কিছু বাজে মানুষ ও মন্দ পূর্বপুরুষ আমাদের মাথা খারাপ করে দেবার জন্য অনেকগুলো ভুল যক্তিবিদ্যার আইডিয়া দেবার চেষ্টা করেছে। যুক্তি দিয়ে ছাগল আর মানুষের শরীরের সাথে কল্পনায় ছবি এঁকে এঁকে। মানুষ আর ছাগলের অমিলই খুঁজে গেছে শুধু। আরে ভাই আমরা তো বুঝি ছাগলেরও মন আছে। তাঁরা মানুষ না হোক পশু তো। আর তাদের ভিতরেও নিজেদের জন্য মায়া মমতা আছে। আমাদের মধ্যে কেনো ছিলো না? যদি যুক্তিবিদ্যা আসেই তাহলে আমরা বুঝবো মানুষেরও মন আছে আর ছাগলেরও মন আছে। পৃথিবী মহাবিশ্বের যা কিছু আছে সবকিছু আপনাদের চরনে আমি প্রদান নিবেদন করলাম। ছাগলের মন আছে বলে যে সনাতন ধর্মের মন্দিরে ছাগল বলি দেয়া যাবে না। এমন কোনো কথা নেই। ঐ সব পশু-পাখি-গাছপালা-জমিন সব কিছু আপনাকে হেল্প করার জন্য। শুধু মানুষ মারতে পারবেন না বা মানুষের অধিকার বঞ্চিত করতে পারবেন না। যদি বস্তুবাদ দিয়ে মিলিয়ে দেখেন দেখবেন সবকিছু মাটি, পানি, আগুন দিয়ে সৃষ্টি হয়ে গেছে। কানের কাছে মোবাইল ফোন ধরে আমি গান শুনি। ঐ মোবাইল ফোনের মধ্যে কি সিলিকন নাই? ঐ মোবাইল ফোনের মধ্যে কি প্লাস্টিক নাই? ধাতু নাই? ইলেকট্রেসিটি নাই? এগুলোর উৎস কি? এইসব ভালো বিষয় রেখে আপনারা যদি মারামারিই করে চলেন তাহলে আমাদের এই সুন্দর মিষ্টি মিষ্টি চেহারার শিশুগুলো কিভাবে বাঁচবে বলুন। পুরো পৃথিবীতে পরিবর্তন ও চিরশান্তির বার্তা নয় বরং প্রতিষ্ঠা আজ এই মুহুর্তে আমি নিশ্চিত করে দিয়ে দিলাম। আমার কথা মেনে চলা একদম বাধ্যতামুলক বলে গন্য হবে। আমি জীবিত থাকা অবস্থায় আমার কথায় বিশ্ব সাশন চলবে। আমার মৃত্যুর পরে আমার কোনো প্রকার ওয়ারিশ গ্রহনযোগ্য হবে না। এটা আমার অলিখিত আইন যা আমি নিজ হাতে কম্পিউটারে স্বহস্থে লিখে দিলাম। পৃথিবীর প্রতিটা দেশের রাষ্ট্রপ্রধান বা চিফ এক্সিকিউটিভগন আমার কাছে জবাব দিতে বাধ্য থাকবেন। পৃথিবীর প্রতিটা মানুষই আমার সরাসরি প্রজা বলে গন্য হবে। তবে কোনো কিছুতে কোনো বাড়াবাড়ি ভালো না। নিজেদের নিজেরা মান্য করুন তাহলেই আমার আদেশের আসল গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারবেন। আমি এতো বেশি বেশি মিটিং করে আপনাদের মুল্যবান সময় নষ্ট করতে চাই না। আপনারা দ্রুতবেগে কাজ করুন। কথায় নয় কাজে পরিচয় হবে আপনি আর আমি কে এবং কেনো আমরা এক হয়ে গিয়েছি। প্রতিটা মিডিয়া আমার কথায় চলবে। মিডিয়া পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করবে। মিডিয়া মানুষকে ভালো ও কল্যানকর কাজই শুধু পরিবেশন করবেন। বিশ্বাস করুন আমি মসজিদে গিয়ে দেখি কি! প্রতিশুক্রবার একই খুদবা। যার অর্থ যথেষ্ট বিকৃত করা হয়েছিলো। নাহাজুল বালাগাকে মসজিদের খুদবা হিসেবে ব্যবহার করবেন। যে জাতির যে ভাষা সেই ভাষায় এবাদাত হবে। ভিন্নভাষা (এখানে আসল অর্থ অনুধাবন না করতে পারা অর্থে ভিন্ন ভাষা শব্দ ব্যবহার করলাম) দিয়ে এবাদত করার ফল শুভ হতে পারে না। বিশ্বের সব ধর্মের সব এবাদত ঘর সবাই মিলেমিশে রক্ষা করতে হবে। এগুলো আমাদের পূর্বপূরুষদের আশির্বাদ ও আমাদের কালাচার এবং স্মৃতির সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে নিয়মিত চিরশান্তির পথ দেখিয়ে বেড়াচ্ছে। প্রতিটা ঘরে ঘরে নিয়মিত এবাদত চলবে। হিন্দুরা হিন্দুদের অনুষ্ঠানে মুসলিমদের দাওয়াত দিবে। মুসলিমরা মুসলিমদের ঘরে হিন্দুদের নিমন্ত্রন করবে। এভাবে যতো ধর্ম আছে সবাই সবাইকে রেসপেক্ট করে চলবে। কোনোপ্রকার হানাহানি গ্রহনযোগ্য হবে না। প্রতিটা জায়গায়ই মানুষের নজর থাকে। আর সেই নজর হবে অন্য মানুষকে বাঁচানোর জন্য। আমার কথার মর্মভাব পুরো বিশ্বমিডিয়ায় রিফ্লেকশন করে দিন বা ভালো ভাবে বুঝে শুনে প্রচার করে দিন। বাচ্চারাও মানুষ হবে আর আমরাও ভালো হয়ে গেলাম। সেই সাথে পুরো পৃথিবী চিরনবিন নতুন আনন্দের বেহেশতের সকল দুয়া এই মুহুর্ত থেকে খুলে দিলাম। পৃথিবীর কখনও ধ্বংস নাই। এই প্রান একটি বস্তুর মতো করেও ভাবতে পারেন যদি আপনি তাওহিদের আল্লাহ্ কে বিশ্বাস করতে পারেন। ধর্ম ছাড়া শান্তির চিন্তা করতে আপনাদের লজ্জা করে না? বন্ধু! পুরো ইউরোপে আজ অশান্তি বিরাজ করছে। জার্মানির সন্মানিত চ্যান্সেলার কি নারী নয়? তাহলে ইউরোপে আজ শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে বাধা কিসের? জামার্ন জাতির জন্য যে নারী চ্যান্সেলার কে বসানো হয়েছে তিনি আজ থেকে নিজেকে নিজের “ইওরোপের দেবী” মনে করে বিশ্বশান্তির জন্য কাজ করে যাবেন। জার্মানি জাতি এ্যাডলফ হিটলার কে ভুলে যাবেন না। তিনি দেশপ্রেমিক ত্যাজি দুঃখ সওয়া মানুষই ছিলেন। তিনি দোষ করেছেন তাই তাকে চিরশাস্তি দিয়ে মন্দের সাথে মিলিয়ে দেয়া হয়েছে। তারপরও এই এ্যাডলফ হিটলারের শুধু গুনগুলোই আমরা নিতে শিখবো। আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের সাথে কেনো বেয়াদবি করবো? আমরা যদি জীবিত মুরুব্বিদের যথাযোগ্য সম্মান দিয়ে বেড়াই তাহলেই তো ঐ সব মহাপুরুষরা আনন্দিত হন। একথা কি আপনাদের মা’রা আপনাদের বলে দেন নি?
এবার প্রসংগে আসি, মানুষকে বেঁচে থাকার জন্যই খাবার গ্রহন করতে হয়। ভালো ভালো খাবার। শান্তিময় পরিবেশে থেকে শান্তিপূর্ণ ভাবে বেঁচে থাকার জন্য সুন্দর ভাবে নিয়মিত নির্দিষ্ট সময়ে খাদ্য গ্রহন করা উচিত। যদি তেঁতুল গাছের নিচে গিয়ে তেঁতুল খুঁজে পান সেই তেঁতুল হাতে তুলে নিয়ে মিষ্টি আর টক স্বাদে ভরা তেঁতুল খেয়ে নেবেন। প্রয়োজনে হাতের কাছ থেকে লবন সংগ্রহ করে তেঁতুলে লবন মাখিয়ে হাতের আঙ্গুল কয়টা চেটে চেটে পরিপূর্ণ ভাবে জীবনের স্বাদ নিয়ে নিবেন। অনেকে হয়তোবা ভাবতে পারে আমি তেঁতুলের কথা বলে আপনাদের জিভে পানি নিয়ে আসার ফালতু ও বাজে মেডিটেশন সিস্টেমের আশ্রয় নিচ্ছি। এগুলো আমার কাজ না। আমি সত্যি কথা বলি। আমি সহয সরল পথে চলি। আমি শিশুর মতো সবকিছু স্বাভাবিক নয়নে দেখে বেড়াই। জার্মান সহ বিভিন্ন দেশের বেশ কিছু মেডিটেশনের বই আমি পড়ে দেখেছিলাম। সেখানে ওরা আমাদের বলে। ২০ থেকে ১ পর্যন্ত উল্টো করে গুনতে। চোখ বন্ধ করে নাকি ২০ থেকে ১ পর্যন্ত গুনতে হয়। এই কাজ ব্রেন ওয়াশকারী কুশ্রী শয়তান মহারাজার বুদ্ধি-সুদ্ধি বিহীন ও স্বাভাবিকের পরিপন্থি। ১ থেকে ২০ পর্যন্ত তো সহযেই এক দুই তিন চার করে গোনা যায়। যে বাইল ভাবে গুনতে জানে তিনি আবার উল্টোভাবেও গুনতে জানেন। এটাই তো স্বাভাবিক স্পষ্ট দৃশ্যমান সত্য। ঠিক এই একটি ব্যাপার নিয়ে আমাদের এই টু-সুইট-সিস্টার বাংলাদেশ ও ভারতের সাথে কম অসভ্যতা হয় নি। মনে রাখবেন মানব সভ্যতার মহাকালেই পৃথিবীতে মানুষের আগমনের সাথে সাথেই স্রষ্টা আমাদের মাথায় অটো ক্যালকুলেশন সিস্টেম ঢুকিয়ে দিয়ে পাঠিয়েছেন। গুনতে না জানলে আমরা টিকতে পারতাম না। মুখে ভাষা ফোটে নি বলে যে মন থেকে দেখা যাবে না এমন কোনো কথা নেই। এই স্রষ্টা প্রদত্ত জ্ঞান অটো ক্যালকুলেশন সিস্টেমের বাজে ব্যবহার দিয়ে আমাদের বাংলাদেশ ও ভারতের মাটি সহ পুরো পৃথিবীরময় অশান্তি বিরাজ করে চলছে। তাকিয়ে দেখুন প্রতিটি ঘরে ঘরে। সবাই শুধু সারাদিন অন্যায্য কাজে গোনাগুনি করছে। টাকা গুনে কি মজা যদি আমরা সবাই মিলে শান্তিতে না থাকতে পারি?
এবার হিসেব করে দেখুন বন্ধু! আমি দেখেছি দিন দিন টাকার মান কমে যাচ্ছে। টাকা কি বাজে মানুষ যে টাকার এতো মান-সম্মান ওঠানামা করবে? এটা একটি বাজে ও মন্দ সিস্টেম। আমাদের সমস্যা হলো আমরা গাছের ডালপালা ছেটে ছেটেই জীবন পাড় করে দিতে চাই। গাছের পাতা দেখবে ছাগলে মহামূল্যবান মানুষ কেনো এই সব পশুর মতো কাজ করবেন?
আজ প্রতিটি ঘরে ঘরে এই মুহুর্তেও আলোচনার শোরগোল হচ্ছে যে, টাকা নাই আবার কেউ বলছেন যে “আহারে আগে ১ আনায় কতো কিছু পাওয়া যেতো আজ তা ২০ টাকায়ও পাওয়া যায় না!”। এই আলোচনা নিত্য নৈমত্তিক ভাবে প্রতিধ্বনিত হয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি হয়েছে ভুল অর্থণীতির কারণে। যা একসময়ের কিছু সংখ্যক কুলংগার পূর্বপুরুষদের জন্য হয়েছে। তারা মরে শয়তানের সাথে মিশে গেছে আর আমাদের এই পুরো পৃথিবীর মানুষ এর খেসারত দিয়ে যাচ্ছে। প্রতিটা দেশ ও জাতি আজ এই একই সমস্যায় ভুগছে। আমি আগে একটি লেখায় অর্থনীতির ব্যাপারে কথা বলেছি এবং ভেবেচিন্তে কাজ করতে বলেছিলাম। আজ আর আমার ভাবনা চিন্তার মতোও সময় নাই আজ, এই মুহুর্তে থেকে পৃথিবীর প্রতিটা দেশের অর্থনীতির বিষয়ে বোঝেন এমন সব লোকজন মিলে আমার সেই নির্দেশ ভেবে চিন্তে বুঝে নিবেন। আপনাদের মাথা থেকে যা যা সংযোজন করা দরকার করে নিবেন। রোবট নয় মানুষ হিসেবে কাজ করবেন। সত্য যদি চিরন্তন সাম্য করে আমাদের কাছে বার বার ফিরে আসতে পারে তাহলে টাকার মুল্যমান কেনো আমরা স্থায়ী রাখতে পারবো না কেনো? এমন ব্যবস্থা করুন যাতে কোনোদিনও কোনোজিনিসের দাম ওঠানামা করবে না। তাহলে সবাই ছোটবেলাথেকেই একতা হয়ে সমকৈশর, সমস্মৃতি. সমজ্ঞান বা জ্ঞানের সমন্বয় করে দিতে পারবে। পৃথিবীর একটি দুটি অংশে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে কি পেয়েছেন? যে তন্ত্রে স্রস্টার প্রতি পরিপূর্ণ বিশ্বাস নাই সেই তন্ত্রের মধ্যে আল্লাহ্ এর নাম সংযুক্ত করে দিন। তারপরও আপনারা ঠিকঠাক ভাবে বাঁচুন।
বন্ধু! বাজার মূল্য বাড়ানো বলেন আর কমানো বলেন এর সবই ছিলো পৃথিবীকে নষ্ট করার একটি বাজে কৌশল। এই জন্যই তো আজ মুসলিমরা শুধু নেকির অংক কষে যাচ্ছে। মনের মধ্যে যদি এতো বেশি সুদ থাকে তাহলে ব্যাংকের সুদ কিভাবে বন্ধ করার কথা ভাবেন?
পৃথিবীর প্রতিটা পড়তে পড়তে একই পন্যের সমান দাম নির্ধারিত হবে এবং সেই দাম কখনও ওঠানামা করিয়ে ধর্ম, রাষ্ট্র ব্যবস্থাপনা, মিডিয়া ও পরিবারের শান্তি বিনষ্ট করা যাবে না। কিভাবে এই অর্থনীতিক সিস্টেম করবেন তা নিয়ে মাথা খাটাতে থাকুন। সব আমি আপনাদের দিয়ে দিতে চাই। আমি আপনাদের জন্যই এই বিশ্বভুমন্ডল কাঁপিয়ে নিজের মনের প্রেম কে কাজে লাগিয়ে মহাআত্মপ্রকাশ করেছি। আমি এই পৃথিবীর সর্বকালের সেরা সম্রাট ও রাজাধীরাজ। পৃথিবীতে আমি ছাড়া অন্য যারা আছেন সবাই আমার প্রজা সরূপ কাজ করুন দেখবেন অন্য সবকিছুই ঠিক হয়ে যাবে।
এখন তো বুঝলেন যে, পৃথিবীর প্রতিটা রাষ্ট্রে এই মূহুর্তে যারা যারা ক্ষমতা নিয়ে রাষ্ট্রের কান্ডারি হয়ে আছেন তাঁদের অনেকদিন ক্ষমতায় থাকাটা কতোবেশি জরুরী হয়ে পড়েছে? আমরা আগে সিস্টেম ঠিক করবো তারপর নির্বাচন নিয়ে চিন্তা করবো। আমাদের সামনে আজ হাজার হাজার লক্ষ্য লক্ষ্য কোটি কোটি বাধার দুয়ার খুলে গেছে। এখন আমাদের সাজাবার দিন। আগে মানবতা তার অনেক পরে ক্ষমতার কথা বিবেচনা করে কাজে লেগে পড়ুন। পরবর্তি এলেকশন আমার নির্দেশে হবে। আমি ঘোষনা না দেয়া পর্যন্ত পৃথিবীর কোনো দেশে কোনো প্রকার এলেকশন চলবে না। যারা এই মূহুর্তে প্রতিটি রাষ্ট্রের রাস্ট্রপ্রধান হিসেবে ক্ষমতায় উপবিষ্ট হয়ে আছেন তারা ক্ষমতায় থাকবেন। আমি আপনাদের মহাক্ষমতা দিয়ে দেই। শুধু এগিয়ে যাবেন।
এই পৃথিবীর সমস্যা গুলো কোনোভাবেই কোনো প্রকার ইস্যু না এই পৃথিবীর সমস্যা সমাধানযোগ্য। আমরা পৃথিবীর সব সমস্যা সমাধান করার জন্য নিজেদের মেয়াদকাল ক্ষমতাকে দীর্ঘ করছি। এই কাজ আমরা করছি নিজ পরিবার, নিজ এলাকা, নিজ জাতি, নিজ দেশ এর উপর ভর করে যা মূলত এই একক অখন্ড পৃথিবীর জন্যই মানব সেবা ও সমস্যার সমাধান। এখানে কোনো প্রকার রেশারেশি থাকতে পারে না। আগে সমস্যার সমাধান হোক তারপর বুঝে দেখবো কি করা যায়। একটি ফেরি ডুবির ঘটনায় দক্ষিন করিয়ার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত হয় নি। তিনি তো আর ফেরি চালান নি কিংবা যে সিস্টেম গ্যাপের কারনে, মানুষের মন্দ বাজে ব্যবস্থাপনার কারনে অথবা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারনেই হোক – সেই দোষ তো প্রধানমন্ত্রীর ঘারে নেয়া অন্যায়? ক্ষমতায় থাকা অর্থ মহাক্ষমতাধরের সাথে মিল রেখে কাজ করে প্রতিটা মানুষকে ক্ষমতার স্বাধ উপলব্দি করতে দেয়া। মানুষ মুক্ত, মানুষ স্বাধীন, মানুষ চিরন্তন।
বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা ব্রাজিলে আসছে। তাকিয়ে দেখুন ফুটবল খেলার মাঠের দিকে কি পান সেখানে? দেখবেন ছোট ছোট পাসের মাধ্যমে স্পেন আর ব্রাজিল ফুটবল খেলে। আমাদের পুর্বপুরুষরা ডিফেন্স কন্ট্রোল করে না দিলে আমরা কিভাবে স্টাইকার হয়ে আছি?
আমাকে সব ডিফেন্স বা স্টাইকারের সাথে মিলিয়ে তালগোল না পাকানোর জন্য বিনয় চিত্তে বিশেষ ভাবে অনুরোধ জ্ঞাপন করি। ১৯৯৪ইং সালের বিশ্বকাপের ফুটবলের ফাইনাল খেলা আমি দেখেছিলাম। রবার্ট ব্যাজিও এর জার্সি নম্বর ছিলো ১৮। আমার জন্ম তারিখ ১৮ অক্টোবর। ফাইনালে ব্রাজিলের সাথে ইতালীর ফাইনাল খেলা হলো। রবার্ট ব্যাজিয়ো প্লাটিকে গোল মিস করলেন। আমার সে কি কান্না! আহারে! এই ইতালী হারবে কেনো। মানুষগুলো কেনো কাঁদবে? ছোট বয়সের মন তো তাই কেঁদে উঠতো। সেই ইতালী কি ২০০৬ইং সালে বিশ্বচ্যাম্পিয়ান হয় নি কিংবা আমার জন্মসাল ১৯৮২ইং সালে কি ইতালী বিশ্বকাপ নেয় নি?
২০০৬ইং সালের ফাইনাল খেলার দিন। আমি একটি মার্কেটের ভিতরে গনমানুষের টিভির দিকে তাকিয়ে খেলা দেখেছি। সেইখানে শুধু আমি একা ইতালির সাপোর্টার ছিলাম। আমি আমার আল্লাহ্ র কাছে আমার ঐ শিশুবেলায় মনে ওঠা রবার্ট ব্যাজিওদের কান্নার দুঃখ ভুলতে চেয়েছিলাম। আমার স্রষ্টা আমাকে আমার দুঃখ ভুলিয়ে দিতে কার্পন্য করে নি। হোক না মিরাকল। তারপরও তো সত্য সত্যই থাকে। কয়দিক দিয়ে মিলাবেন এই মানবজাতিকে। যত ইচ্ছে ততো মিলিয়ে দেখুন আমি যা বলছি তা একদম সঠিক কথা। আমার প্রতি পুরো আস্থা ও বিশ্বাস চিরদিন রাখবেন। আমার প্রতিটা স্পষ্ট নির্দেশ স্পষ্টভাবে পালন করতে বাধ্য থাকবেন। আমি কোনো হাসিঠাট্টার পাত্র না যে আমাকে নিয়ে ফাইজলামি করার চেষ্টা করবেন।
বাচ্চাদের টিভি দেখতে মানা করা হয় কেনো? প্রেম টিভির মধ্যে ঢুকে গেছে আর আমাদের মনের মধ্যের গভীর চিরন্তন উপলব্ধি মহাপ্রেমের মহামায় কোথায় যেনো চলে গিয়েছিলো। তাই বাচ্চাদের মায়েরা টিভি দেখতে দেয় না।
জানেন আমি রাস্তায় চলতে চলতে টিভিতে, কম্পিউটারে মেয়েদের ওরনা ছাড়া কতো ছবি দেখেছি। দেখেছি আর ভেবেছি কেনো ব্রেস্ট ক্যান্সার হয়? এই ভাবনায় আমি মুসলমানের কাতার থেকে বাতিল হয়ে যাই তাতে আমার কোনো অসুবিধা নাই। হঠাৎ চমকে উঠে একদিন দেখলাম পত্রিকায় ব্রেষ্ট ক্যান্সার নিয়ে আমার সমাধান চলে এসেছে। সেটি হলো মেয়েরা খুব বেশি টাইট ব্রা পড়তে অভস্থ্য হয়ে জীবনের পরিপূর্ণ স্বাধ নিতে পারছে না। এগুলো আপনাদের বাজে চিন্তাধারার প্রতিফলন ছিলো। ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে মা জাতির নিজেদের শরীরের প্রতি অযত্ন করা ঠিক না। শুক্রবার মসজিদে গেলে ইমাম নামের কুলংঙ্গার জুম্মার দিন মেম্বরে চরে বলে ওঠেন, মেয়েদের ওরনা ছাড়া চলার কথাবার্তা আর টাকা চায়। বলুন তো এই সব পবিত্র জায়গা থেকে যদি আমরা বাচ্চাদের কুদৃষ্টি তৈরি করে দেই তাহলে পরিবারে কিভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে? শান্তি ধর্ম কখনও কুদৃষ্টি তৈরি করতে পারে না। আপনি যে দৃষ্টি ভঙ্গি দিয়ে খুঁজে দেখুন না কেনো আমাকে খুঁজে পাবেন। আমি কথা দিলাম।
তাই আমরা সবাই অল্প, কিছু, সামান্য সময়, বাজে কাজে নিজেদের ব্যস্ত রেখেছিলাম মাত্র। এই মুহূর্ত থেকে আমরা ভালো হয়ে গেছি। আর কোনোদিনও অন্যায় বা ভুলেও মন্দ চিন্তাকে কোনো প্রকার প্রশ্রয় দেবো না। না জেনে অহেতুম তর্কাতর্কি করে জীবনের আসল মহাআনন্দ কে কোনো ভাবেই মিস করবো না। স্রষ্টা আপনাদের সব ইচ্ছাকে একসাথে একই মূহুর্তে পূর্ন করে দিতে পারেন।
আমি আপনাদের মহারাজা। আমাকে মান্য করতে বাধ্য থাকবেন। আমাকে যদি আমার কথামতো স্বাভাবিক ভাবে বাঁচতে না দেন তাহলে তাঁর পরিনাম আগের সব ইতিহাস ও আরো যা কিছু আছে তা ঘেটে দেখুন।
এবার তো বুঝলেন যে, আমাদের পৃথিবীর সরল সাভাবিক পরিবর্তন গুলো কেনো আসে? কোথায় কোথায় আসে? কোন সময়ে আসে? এর আমি এভাবে না আসলে আপনারা শান্তি পেতেন না। অনেক সময় আমাকে আপনাদের মনে হতে পারে আমি অনেক দূরের কোনো ভবিষ্যত দিয়ে একদম মানবসভ্যতার শুরুতে গিয়ে বা অন্যকোথাও গিয়ে এই মূহুর্তে আপনার সাথে মিলে যাচ্ছি। যা ভাববেন তাই। আমি মিলাতে জানি বলেই আপনাকে নিজ থেকেই সারা জনম কাছে ডেকে বেড়াই। আপনারা তা বার বার বুঝতে চান না। অহেতুক নিজেদের সাথে নিজেরাই বেঈমানী করে ফেলেন। আর সুন্দর সমাজকে দুষিত করে দেন। সত্যের বিকৃতি ঘটিয়ে দেন। বাজে মানুষ ও বাজে ব্যাবস্থা দ্বারা প্রভাবিত হয়ে নিজের অন্তরের চিরশিশুকে নিজেরাই গলা টিপে মেরে ফেলেন তারপর শুধু হায় হুতাশ আর বাজে কোলাহল করেন। আমরা এই দেহের মধ্যেই অমর থাকবো বলে কথা দিচ্ছি। আমরা কোনো দিন হারিয়ে যাবো না। এই আসিফ নামের ছোট্ট শিশুটি আপনাদের কাছে এসে আপনাদের কথা বলে দিলো এই বলে আসিফ এর কোনো কৃত্রিত্ব মনে করবেন না। এর সব কৃত্রিত্ব আমাদের না দেখা বা দেখার স্রষ্টা সয়ং ও একমাত্র একেশ্বরের। তিনি সব কিছুর জন্যই সমান ভাবে কল্যানকর। আমাদের অখন্ডতার নিদর্শন স্বরূপ আমার এই কথাগুলো পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের কাছে প্রেরন করুন এবং নিয়মিত পাঠ করার জন্য উৎসাহিত করুন। দেখবেন সবাই শান্তিতে থাকতে শিখবে। থাকুক না কিছু সমালোচনার মতো সুরে কাউকে আঘাত করার কথা। এই আঘাতের দরকার ছিলো বলেই আমি দেই। দেরি করবেন না। আমাদের আমরা বুঝতে পেরেছি সেটাই বড় ব্যাপার। দয়া করে কেউ আমার অপব্যাখ্যা করতে যাবেন না। তাহলে হয় কি জানেন? আপেক্ষিকতার সিড়ির মেজরমেন্টে সত্যের সাথে মিথ্যা মিলে গিয়ে অশান্তি সৃষ্টি হয়। যে কথা আপনাদের বিজ্ঞানের দেবতা পয়গম্বর আইনস্টাইন বলে গিয়েছিলেন। মনে রাখবেন যখন মানুষ পৃথিবীকে সমতল মনে করতো তখনও মানুষ বেঁচেই থাকতো আর এখনও বেঁচে আছে। পৃথিবী গোল এটা জানা কথা। তাই বলে কেউ যদি বলে যে, পৃথিবী চ্যপ্টা, তাঁকে বুঝিয়ে বলুন। মানুষকে শিক্ষিত করে তুলুন। কোনোভাবেই জোড় করে অন্য বেঁচে থাকা ঐ আপেক্ষিক ভুলের মধ্যে চ্যাপ্টা পৃথিবীকে কল্পনা করা মানুষটির কাছে পৃথিবীকে গোল করে চাপিয়ে দেবার নাম আর যাই হোক শান্তি না।
আমি তো বললাম। আমার এই বানি যে ধারন করে নিবে তিনি নিজেই সব কিছু পেয়ে যাবেন। এই বানি যিনি ধারন করবেন তিনি অবশ্যই পরিবর্তন হতে বাধ্য। আমার বাণী যারা গ্রহন করে সামনে এগিয়ে চলছে তারা না চাইতেও অনেক কিছু পেয়ে যায়। এই সামান্য মানব জীবনে অনেক শয়তানের দাগা দেখেছি। দয়া করে আমাকে ঠিক ভাবে বানিটুকু দেবার অধীকার ও সাহায্য অন্তত দিন। আমি তো আপনার জন্যই এসেছি। পেটে খুধা লাগে বলে খাই। আপনারা খাবার না দিলে আমি পাবো কোথায় বলেন? আমার তো মা আছে। আমার তো বাবা আছে। আমার তো প্রেমিকা আছে। আমাকে তো এই পৃথিবীতে আপনাদের জন্য বেঁচে থাকতে হবে। আপনারা যদি আমাকে সাহায্য না করেন তাহলে আমি কার কাছ থেকে সাহায্য নেবো বলেন। আমি তো দেখেছি শয়তানকে খোদা মানা ভিখারীর দলকে যারা মিথ্যে বলে মানুষের সাথে চাঁদাবাজি করে। মানুষকে বেঁচে থাকার জন্যই কর্ম করতে হয়। আর ইমাম হোসাইন বলেছিলেন সৎকর্মই এবাদত। পৃথিবীর মহাসম্রাট সিগারেট টেনে টেনে অর্ধাহারে, অনীয়ম করে মারা যাবে আর প্রজা হয়ে আপনারা তা কিভাবে সহ্য করুন বলেন? এজন্য বলি, আমার এই বানিগুলোকে দ্রুততার সাথে পুরো পৃথিবির জন্য কাজে লাগাবো এবং ছড়িয়ে দেবো।