নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ

আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঈসরাইল ও প্যালেস্টাইন এর দোষ নেই :: দোষ আমাদের

১৩ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:২৭

আমি কোনোভাবেই একক ভাবে ঈসরাইল ও প্যালেস্টাইনের জনগনকে দোষ দিতে পারি না। তাঁরা তাঁদের সীমানা সক্রান্ত ও জাতিগত সামান্য কিছু সমস্যায় আছে মাত্র। যে বিভেদকে স্থায়ী বন্ধুত্বে রুপান্তর করে মিটিয়ে ফেলা খুব বেশি সহজ।



আজ আমার ভাবার সময় নেই কে ইহুদি আর কে ফিলিস্তিনি মুসলিম? আমি দেখি মানুষ মারা যাচ্ছে। মায়ের কোল খালি হচ্ছে। সন্তানহারা বাবা কাঁদছেন। স্ত্রী বিধবা হয়ে যাচ্ছে। ভাই, বোন, আত্মিয়-স্বজন, প্রতিবেশি কষ্ট পাচ্ছে। সমাজের শান্তি বিনষ্ট হচ্ছে। আমার মতোই লাল রক্তের মানুষ গুলো ভালো নেই। লাল রক্ত ঝড়তে ঝড়তে এতোদিন পার হলো – সমাধান এলো না। স্থায়ী তো দুরের কথা অস্থায়ী শান্তিও এলো না।



ওদের কষ্ট ও মৃত্যু দেখে আমি কিভাবে শান্তিতে বিশ্বকাপ ফুটবল দেখি বলেন? মানুষ যদি স্বাভাবিক জীবন ধারনের অধিকারটুকু না পায়, তাহলে আমার বেঁচে থেকে কি লাভ?



ঈসরাইল ও প্যালেষ্টাইন দু’টি আলাদা স্বাধীন রাষ্ট্র। ইহুদি মুসলিম দুটি আলাদা ধর্মের নাম মাত্র। কোনো ধর্মই অশান্তির পক্ষে না। ঐ দু’টি স্বাধিন রাষ্ট্রের পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করার অধীকার আছে। যখন কোনো নিরিহ মানুষ নির্মম হামলার মাধ্যমে হত্যার স্বীকার হয়, তখন অন্য মানুষের এগিয়ে আসতে হয়। মানুষ মানুষকে বাঁচাবে, সাহোস যোগাবে, সাহায্য করবে, বিবাদ মিটিয়ে দেবে – এটাই স্বাভাবিক সত্য। আজকে সেই স্বাভাবিক সুন্দর মানুষগুলো কোথায়। মানুষের অধিকার রক্ষায় স্বাধীন দেশের সীমানা রেখা বাধা হতে পারে না।



ইসরাইল ও প্যালেস্টাইন নামক দুই জনের সংসারে আগুন লেগে আছে। নিয়মিত সেই আগুন জ্বলছে। দু’ই দলের কেউই কোনোকিছুতে আগুন নিভাতে পারছে না। এখন কি করা উচিৎ? নিশ্চই আমাদেরই ছুটে যাওয়া উচিত এরং বিবাদের আগুন না নেভা পর্যন্ত পাশে থাকা উচিৎ।



ওখানের দেশদুটিতে মানুষ মারা যাচ্ছে। মানুষ মারা কোনো খেলা নয়। আর ইসরাইল-প্যালেস্টাইন, ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার মতো ফুটবল দলের খেলা নয় যে, আমরা একটি দেশের সমর্থন করে মজা দেখবো।



ইসরাই-প্যালেস্টাইনে এখন পর্যন্ত যতো মানুষ নির্বিচারে ও অন্যায় ভাবে অস্বাভাবিক মৃত্যু বরন করেছে- তার পুরো দ্বায়ভার আমাদের ঘারে এসেই ঠেকে। আমরা বিবাদ মিটানোর চেষ্টা আন্তরিকতা ও ভালোবাসার মাধ্যমে করতে চাই নি বলেই এতো অঘটন ঘটেছে। আমরা এর জন্য দায়ী।



আমি সবসময়ই বলি “ঈসরাইল” বাংলাদেশের বন্ধু। আমরা অনেকদিন দুরে থেকেছিলাম। আর দুরে থাকবো না। স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের যদি ইসরাইল এর পক্ষ হয়ে প্যালেষ্টাইনের কাছে মাফ চাইতে হয়। তাহলে সেই ক্ষমা ভিক্ষায় আমাদের কোনো আপত্তি নাই বা ছিলো না। যদি স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের ইসরাইলের পক্ষ হয়ে যুদ্ধ করা লাগে করবো। যদি নিরাপত্তা ও শান্তি রক্ষার জন্য আমাদের বাংলাদেশ সেনাবাহিনির দরকার হয়, আমরা সেই সাহায্য করার জন্য প্রস্তুত আছি। তবুও রক্তের খেলা বন্ধ করে ছাড়বো –ইসশাআল্লাহ্ ।



পিছনের বিগত দিনগুলোতে কার দোষ ছিলো তা আজ আমরা ভুলে গেলাম। আমাদের কাছে আজকের বর্তমান দুরবস্থার চেয়ে বড় কোনো বিষয় নাই। এই বর্তমানকে যদি আমরা শান্তিময় না করতে পারি। তাহলে ভবিষ্যত শান্তি কি করে আসবে?



আমরা মানুষের জীবন মরন সমস্যাকে কোনোভাবেই ইস্যু হিসিবে জিয়িয়ে রাখতে পারি না। আমাদের মিডিয়ায় মানুষের রক্তের গন্ধ মাখানো খবর আর পরিবেশন করতে চাই না। যেখানে অপমৃত্যুর খবর আসে, সেখানে আমরা মানব মুক্তি ও বিশ্বশান্তির পথ দেখিয়ে দেবার মতো মহৎ সুন্দর কাজ করতে পারি।



কোনো দেশ, কোনো প্রতিষ্ঠান, কোনো সংঘ কোন্ পদক্ষেপ নিলো তা আমাদের দেখার সময় নেই। আমরা শুধু বুঝি নিরঅপরাধ মানুষ কুৎসিত ভাবে মৃত্যু বরন করছে। যাতে তাঁদের দোষ ছিলো না। আমরা বুঝি আমাদের বাংলাদেশ রাষ্ট্র এগিয়ে এসেছে। কেউ তাঁদের পাশে না দাঁড়ালেও আমরা আছি ও থাকবো।



কত মানুষ মারা গেছে সেই হিসেব করার মত সময়ও আমাদের নাই। তা ছিল গত সময়ের ঘটনা। আমরা চাই আজ ও আগামীদিন সামান্য কারণে মানুষকে মারা যাবে না। বাংলাদেশ অবশ্যই এই বিভেদ মিটানোর মতো পুরোপুরি যোগ্যতা রাখে।



তারপরও কৃতজ্ঞতা পাশে অন্য রাষ্ট্রকেও আমাদের পাশে এসে একসাথে কাজ করার জন্য বিনীত ভাবে বলছি।



আমি যেদিন বলেছিলাম ঈসরাইল কে বাংলাদেশ স্বীকৃতি দিয়ে দিবে। মনে রাখবেন ঐ দিন থেকেই ঈসরাইল এর স্বীকৃতি হয়ে গেছে।



ঈসরাইল ও প্যালেস্টাইন জাতির জয় হোক ও স্থায়ী শান্তি আসবেই। এরপর পিছনের সব রক্ত ভুলে সবাই একসাথে মিলেমিশে থাকবে। আমিন।



ইতি

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্

বরিশাল, বাংলাদেশ।



https://www.facebook.com/asif.ud

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.