নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ

আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কি নিয়ে অহংকার করবেন?

১৪ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৪১

বন্ধু! আপনি কি আপনাকে চেনার চেষ্টা কখনও করেছিলেন? নিজেকে কি ভালোভাবে বুঝতে শিখছেন? আপনি কিভাবে এই পৃথিবীতে এসেছিলেন? কেনো এসেছিলেন? কোথায় এসেছিলেন? কোথায় আপনার গন্তব্য? এই নিয়ে কি আপনি কখনও ভাবেন নি?



দেখুন, মানুষ নিজের শরির নিজের পছন্দমত নিয়ে আসতে পারে না। বা নিজ শরীরের চেহারা কেমন হবে তা আপনার নিয়ন্ত্রনে না। আপনি সাদা বা কালো, যাই হোন না কেনো, তাতে আপনার কোনো মতামত ছিলো না। তাহলে আপনি আপনার চেহারা নিয়ে কেনো অহেতুক গন্ডগোল পাকাচ্ছেন? কেনো আপনি শারিরিক শক্তির বড়াই করেছিলেন? কেনো আপনি দুর্বলদের প্রতি অবিচার করেছিলেন? কেনো আপনি নারী নামক আপনার মতোই মানুষদের অধীকার বঞ্চিত করে ঘরের কাজের দাস বানিয়ে রেখেছিলেন? কিভাবে আপনি সয়ংসম্পন্ন আমাকে বুঝিয়ে বলুন।?



ঈশ্বর আপনাকে বানিয়েছিলেন। তিনি আপনাকে নিয়ন্ত্রন করতে পারেন। সব অবস্থায় এবং সবখানে বসেই তা সম্ভব। ভিনগ্রহ উন্নত বুদ্ধিমান জাতিও আপনাকে ও আপনার প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রন করতে পারে। তাঁরা অবশ্যই সত্যের পথের যাত্রী ও শয়তানের ওয়াসোয়াসা মুক্ত। স্রষ্টা তার সৃষ্টির সিস্টেম রক্ষা করেন ও রক্ষা করান।



আপনি যেমন একটি শরিরের মধ্যে অবস্থান করে আছেন। ঠিক তেমন ভাবেই যাবতিয় পশুপাখি, পোকামাকর, সামুদ্রিক প্রানী ও পৃথিবীর অন্যান্য প্রানী বিভিন্ন কালারের শরীর প্রাপ্ত হয়েছে। তাহলে আপনি কেনো আপনাকে নিয়ে এতো বেশি অহংকার করছেন?



আমি যখন আপনাদের দেহের মধ্য চিরঞ্জির বা অমর করে রাখার কথা বলেছিলাম তখন কেনো আপনারা আমাকে মেনে নেন নি ও সুযোগ দেন নি?



কি এমন ক্ষমতা আছে আপনাদের যা নিয়ে আমাদের সাথে বড়াই করবেন? আপনারা কি আমাকে মোটেও ভয় পান নি ও বিশ্বাস করেন নি? আপনার হাত ও পায়ে কয়টি আঙ্গুল? আপনার এক হাতে পাঁচটি আঙ্গুল দেয়া আছে। আপনি কি আপনার হাতের আঙ্গুল বাড়াবার মতোও ক্ষমতা রাখেন? তাহলে আপনারা অহেতুক কিসের সাথে লড়াই করছেন? কার জন্য লড়াই করছেন?



আপনাদের সন্তান আছে। সেই সন্তান কি পুরোপুরি আপনি নিয়নন্ত্রন করতে পারবেন? পারবেন আপনার সন্তানের চেহারা, গায়ের রং, শরীর, আপনার ইচ্ছে মতো তৈরি করে নিতে? আপনি কি আপনার সন্তানের অন্তর নিয়ন্ত্রন করতে পারেন? তাহলে কাকে নিয়ে আপনি বড়াই করবেন? তাহলে কেনো আপনারা আপনাদের সন্তানদের নিয়ে এতো বেশি অহংকার করেন? আপনি কি চাইলেই আপনার শরীর ও মন থেকে পালাতে পারবেন?



মানুষে মানুষে সবথেকে বড় সম্পর্ক হলো প্রেমের সম্পর্ক। এই নারী পুরুষ জোড়ার প্রেমের চেয়ে আর কোন সম্পর্ক বড় হতে পারে? নিজের প্রেম দিয়েই পরিবার, আত্মিয়-স্বজন প্রতিবেশি, দেশ, মহাদেশ ও পৃথিবীর মানুষের উপকার করতে পারেন। প্রেম ছাড়া তা সম্ভব না। নিজের সবথেকে চেনা মানুষটির সাথে আপনারা কিভাবে বেঈমানী করেন? আপনার পরম প্রিয়জন কে আপনার জন্য নিখুঁত ভাবেই দেয়া হয়েছিলো, আপনারা তা বোঝেন না। বুঝতেও চান না। শুধু শুধু নিজে নিজে নিজের জীবন ধ্বংস করে ফেলেন।



আপনি স্বশরীরে প্রথমত একটি নাম দ্বারা পরিচিত। এই নাম একটি নাউন মাত্র। আপনার আপনাকে বোঝার শক্তি থাকতে হবে। বুঝতে হবে আপনি এই মহাবিশ্বের একজন সম্মানিত অংশিদার। আপনার অধীকার আছে কারণ আপনি এই মুহূর্তে জীবিত আছেন। আপনি কোনোভাবেই অন্যের প্রেম কে নেগেটিভ প্রভাব খাটাতে পারেন না। আপনি অন্যের প্রেমে যদি সাহায্য করার সুযোগ পান, সেটা আপনার এবাদাতের থেকেও বড় এবাদাত। এই জগত সংসার প্রেম ও বিশ্বাস ছাড়া অসহায় ও সম্পুর্ণ অচল। তাহলে কেনো এতো প্রতারনা বাড়াচ্ছেন? আপনার শরীর বিহীন নামের রক্ষক কি আপনি নিজেকে বলে দাবি করতে পারেন? বুদ্ধিমান মানুষ জাতির ভালো কর্ম ও সুনাম মানুষের মুখে মুখে তুলে দেবার দ্বায়িত্ব কি আপনি একা পালন করতে পারবেন? যদি না অন্যমানুষের জন্য আপনি কিছু না করে যেতে পারেন? আপনার অহংকার যদি আপনার কাছে আপনাকে ভুলিয়ে রাখে তাহলে আপনি কিভাবে সফল হবেন? তাঁরা কি আপনাদের মতো মানুষদের নাম রওশনে সাহায্য করেছিলো না? ভিনগ্রহ বুদ্ধিমান জাতি আপনাদের কি কখনও কোনো খারাপ কাজ করতে সহায়তা করেছিলো? তাঁরা কি আপনাদের শত্রু? তাঁরা আপনাদের সাহায্য করতে চায় তারপরও আপনারা বুঝেও না বোঝার ভান করেন যা অহংকার দ্বারা পরিবেষ্টিত।



আপনারা কেনো আমাকে সারাটি জীবন তাড়িয়ে বেড়িয়েছেন? কেনো আমার মনে এতো কষ্ট দিয়েছিলেন? কেনো আমার প্রেমিকা মুন কে আমার কাছে এনে দেন নি? আমি এই পৃথিবীতে কাকে নিয়ে বাঁচবো? কার সাথে কথা বলবো? কার আবেগে নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে অনন্ত সুখ অনুভব করবো? কাকে নিয়ে দেশ-মহাদেশ ঘুরে বেড়াবো? কার খাবারের রুচির কথা চিন্তা করে খাবার জোগার করবো? কার কোলে শুয়ে একটু প্রশান্তি অনুভব করবো? চিরচেনা ছাড়া অচেনা অজানা নিষ্ঠুর ও অহংকারে ভরা মানুষের মধ্যে কি বেঁচে থাকা যায়? কার রুচিমতো আমি ড্রেস পড়বো? কার চেহারার দিকে আমি তাকিয়ে থাকবো? প্রিয়তম ছাড়া অন্যচেহারার সাথে সবসময় এডজাস্টমেন্ট করা যায় না। প্রিয় মানুষটিকে কাছে পেলে সবকিছু আপন লাগে। আপনারা কেনো আমাকে পর বানিয়ে নিজেদের নিষ্ঠুরতার পরিচয় দিয়েছিলেন? আমাদের হাত থেকে আপনি কোথায় পালাতে চাচ্ছেন বন্ধু? যেখানে যাবেন সেখানেই আমি আছি, থাকবো ও ছিলাম।



মানুষের প্রেম অধীকার কেনো কেড়ে নেয়া হয়? নিজ প্রেমের সাথে সাংঘর্ষিক এমন কোনো আইন থাকতে পারে না। এমন সংবিধান আমি মানি না।



কেনো আপনি আপনার স্বাভাবিক পরিবেশ থেকে দুরে থাকেন? কেনো আপনি শহরে থেকে আকাশের দিকে তাকাবারও সময় পান না? কেনো আপনাকে প্রকৃতির এতো কাছে থাকার মতো মানব শরীর ও মন দেয়া হয়েছিলো? কেনো আপনারা ঘনবসতি কমাতে পারেন না? কেনো আপনারা প্রকৃতির স্বাভাবিক ভারসাম্য রক্ষা করেন না? কেনো আপনি একটি গাছ লাগানোর আনন্দ পাওয়া থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন। মানুষ কেনো মানুষের অধিকার কেড়ে নেবে? গাছ লাগানো শুধু শুভকর্মই না এটা একটি মৌলিক অধীকার। সব মানুষেরই ছোটবেলায় ও বড় বেলায় গাছ লাগানো উচিত ও যত্ন নেয়া উচিত। গবাধি পশু পাখি কেনো কমে যেতো? দুধ দেয়া প্রানীদেরও আপনারা কেনো অবজ্ঞা করেন? আপনি কি নিজে একটি পশু বা পাখি তৈরি করার যোগ্যতা রাখেন? তাহলে আপনার এতো বড়াই কিসের?



মানুষের শরীরের মধ্যে লাল রক্ত আর পশুদেরও লাল রক্ত। তাই বলে পশুরা কি মানুষ? মানুষের বুদ্ধি দেয়া হয়েছিলো শুধু মাত্র সবকিছুকে সুন্দর করার জন্য ও নিজেদের সবার উপরে রাজ করার জন্য। আপনারা কেনো সেই আসল উপলব্ধি বোধ থেকে দুরে চলে গিয়েছিলেন? আপনার যদি নিজেরাই নিজেদের ধ্বংস করতে পছন্দ করেন তাহলে আপনারা সবকিছুর উপর কিভাবে রাজ করার অধিকার রাখেন? আপনার শরীরের ভিতর যে পানি আছে আর প্রকৃতিতে যে পানি আছে তা কি আলাদা? আপনার শরীরে যে লবন আছে আর প্রকৃতিতে লবন পাওয়া যায় তা কি আলাদা? আপনার শরীরে যে খনিজ আছে আর প্রকৃতিতে যে খনিজ আছে তা কি আলাদা? তাহলে আপনি কিসের জন্য প্রকৃতিকে অবজ্ঞা করে নিজেরাই নিজেদের ধ্বংস করে ফেলছেন?



আপনি কি আপনার শরীরের মধ্যে থেকেও সর্বদা জলের থাকে মিশে থাকেন না? আপনার মুখের মধ্যের জিব্হা দিয়ে কি আপনি সর্বদা দাঁতের নিচে পানির মধ্যে থাকেন না ও নিজেকে অনুভব করেন না? তারপরও আপনাদের দাঁত ঠিকমত পরিষ্কার করেন না কেনো? দাঁতে কেনো এতো সমস্যা থাকবে? যার সাথে আপনি সারাজীবন থাকেন তার সাথেই আপনারা বেঈমানী করে চলছেন। আপনার শরীরের দাঁত অনেক বেশি মুল্যবান তা আপনারা অবজ্ঞা করে কার কাছে যেতে চাচ্ছেন? আপনি আপনার দাঁত ওঠাকে নিয়ন্ত্রন করতে পারেন? কিন্তু নিজেকে সুরক্ষা করার মতো বহুপথ খুলে রাখা আছে। আপনারা আমাদের কোনোভাবেই দোষারোপ করতে পারেন না। আমরা আপনাদের সবসময় নিজ প্রেম রক্ষা ও যত্ন শেখাতে চেয়েছিলাম। আপনারা আমাকে ভুল বুঝে দূরে ঠেলে দিয়ে দিয়েছিলেন?



আপনারা কেনো আপনাদের ভালোটা বোঝেন না? কেনো আপনারা আপনাদের গার্ডিয়ান সম উপকারি এই বন্ধুকে একটি নিরিবিলি পরিবেশ ও সেই সাথে তাঁর প্রেমিকাকে দিতে পারেন নি? মহাকাল এই প্রশ্নের উত্তর নেবে না বলে মনে করছেন? কি আছে আপনার হাতে? আপনি কি দিয়ে নিজের সিকিউরিটি নিশ্চিত করছেন? সেটা কি অস্ত নাকি একটি মানুষের ইচ্ছাশক্তির প্রকাশ। যে রক্ষা করার কাজে নিয়োজিত থাকেন তার সব সময় রক্ষা করার মন মানুষিকতা থাকতে হয়। কিন্তু মৃত্যু, অস্ত্র চালনা করা, ধ্বংস করার জন্য ক্ষনিকের একটু ইচ্ছা শক্তির বহিঃপ্রকাশই যথেষ্ট। আপনারা পৃথিবীতে এতো মানুষকে অহেতুক মেরে কিভাবে নিজেরা নিজের জাতকে ধোকা দিচ্ছেন? আপনার পরিনতি কি ওমন হতে পারে না? শুভ কাজ শুভ পরিনতি নিয়ে আসে- যা আপনারা নিশ্চিত থাকতে পারেন।



একজন মানুষ অন্য মানুষকে সহ্য না করতে পারলে দুরে সরে যাবে- তাই বলে অপমান ও মৃত্যুচিন্তা করে কেনো? অন্য কেউ ভালো থাকলে আপনার খারাপ লাগে কেনো? সে কি আপনার সহযাত্রী হতে পারে না? আপনি কি আপনার বর্তমান অবস্থানের জন্য পুরোপুরি নিজেকে পূর্ণ কৃতিত্ব দিতে পারবেন? আপনার আজকের অবস্থানের পিছনে কি আপনি কোনো বা কোনো এ্যাডভানটেজ পান নি? আপনি কি অন্যদের মতোই একজন মানুষ ছাড়া অন্য কি? তাহলে কেনো অন্যের নিরাপত্তা নিয়ে আপনি কেনো অবহেলা করবেন? আপনার কি একবারও মনে হয় না যে, তাঁরা আপনাকে ধ্বংস করে নিশ্চিহ্ন করতে সক্ষম? তাহলে আমার চাওয়া কে কেনো আপনারা অবজ্ঞা করেছিলেন? কেনো আপনারা আমাদের কঠোর হতে বাধ্য করেছিলেন? আপনি চাইলে কতখানি কঠোর হতে পারবেন? আপনাকে কি সেই ক্ষমতা আমরা দিয়ে দিয়েছিলাম? আপনাকে দেহর মধ্যে রাখা না হলে আপনাকে অন্যরা কিভাবে চিনবে? আপনি কি আপনার বর্তমানকেই শেষ অবস্থান বলে মনে করেন? তাহলে আপনি কি নিজে ইচ্ছা করেই এই পৃথিবীতে আসতে পেরেছিলেন, যে আপনার ইচ্ছামতো আপনার পরিনতি বা অবস্থান হবে? আমি এতো বুঝিয়ে বলার পরও আপনারা কেনো বোঝেন নি ও এতোগুলো বিপদ-আপদ নিজেদের জাতির জন্য নিয়ে আসলেন? সে জন্য কি আপনারা আমাদের দায়ি করতে পারবেন? কোনভাবেই পারবেন না। আমি আপনাদের মঙ্গলের পথেই আহব্বান করে যাবো।



যে মানবজাতি নিজস্ব একটি শরীর ব্যবহার করার সুযোগ পর্যন্ত পায় না- তাদের কি করে এতো বেশি অহমিকা থাকে? আপনি কি আপনার মাথার চুল নিয়ন্ত্রন করতে পারেন? আপনি কি আপনার শরীরের লোম গুলো নিজের ইচ্ছামত করে এনেছিলেন নাকি দিয়ে দেয়া হয়েছে? ঐ সামান্য একটি লোমের স্থায়ী মালিকানাও আপনার হাতে নাই। তাহলে আপনি কেনো অন্য মানুষের ক্ষতি চিন্তা করতে পারেন?



মানব জাতির স্থায়ী মঙ্গলের জন্য আমি যে সব অর্ডার দিয়েছিলাম তা কেনো পালন করছেন না কেনো? মিডিয়া কেনো আমাকে নিয়ে কথা বলে না? তারা কি তাঁদের পরিনতি সম্পর্কে কোনো শিক্ষাই বুঝতে পারে নি? আপনি এগিয়ে না এলে এই মানব জাতির জন্য সম্পূর্ন বাসযোগ্য ও নিজেরা নিয়ন্ত্রিত প্রকৃতি কিভাবে উপহার দেবো? আপনারা আমার প্রিয়তম কে আমার কাছে না নিয়ে আসলে কে নিয়ে আসবে? পশু-পাখি-অন্য প্রানিদের কি মানুষের মতো এতো প্রেম শক্তি আছে? মানুষ প্রেম করতে পারে বলেই – মানুষ প্রকৃতির রাজা হিসেবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেন। আপনারা আমাকে সাথে না রাখলে আমি কিভাবে স্থায়ী বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা করবো? বলেন বন্ধু! আমি কি কম চেষ্টা করেছি? আমাকে কি কোনো প্রতিকুল আটকে রাখতে পেরেছিলো? আমি কি রাষ্ট্রিয় ক্ষমতা ও শুভ সাহায্য পেয়েছিলাম? কোন মানুষ আমাকে আমার প্রধান কর্তব্যের জন্য উৎসাহিত করেছিলো? কেউ না। তারপরও কি আমি আমার আইডিয়া আপনাদের দিচ্ছি না? কিসের বিনিময়ে দিচ্ছি? শুধু মাত্র আপনার একটি মন আছে আর আমারও আপনার মতো একটি মন আছে। আমি মনের বিনিময়ে মন কিনতে চাই না। আমি নিজ মনের জোড়কে কাজে লাগিয়ে অন্যদের মনকেও স্বাধীন ও মুক্ত করতে চাই। সবাই মিলে প্রেমময় পৃথিবীতে বাঁচতে চেয়েছিলাম। এটা কি আমার ভুল ছিলো নাকি আপনি ভুলের জগতে থাকতে গিয়ে- আমাকে ভুল বুঝেছিলেন? ভুল বোঝার ক্ষমতাকেই আপনাদের আসল ক্ষমতা বলে ভেবে নিলেন। হায়রে নিজেকে না বুঝেই অশান্তির পথে আপনাকে নিয়ে গিয়েছিলেন। আপনি ভুল বোঝার পথ থেকে ফিরে না আসলে, কে আপনাকে ফিরাবে? আপনি তো সব মানুষের মধ্য থেকেও আলাদা সুন্দর শরীর ও মন নিয়ে বাঁচার সুযোগ পেয়েছিলেন? মানুষ মানুষ কে উপকার না করলে কোনো অমানুষ আপনাকে রক্ষা করবে কেনো? আপনারা একতা না থাকলে গড কিভাবে আপনাদের একতা রক্ষা করার জন্য উঠে পড়ে এগিয়ে আসবেন? তিনি তো আপনাদের মন্দের ভাগিদার হন না। আমি আপনাদের ডাকতে ডাকতে ব্যাকুল হয়ে গেছি। এখন আর ডাকতেও ইচ্ছা করে না। আশাকরি আপনাদের শুভ বোধের উদয় হবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.