নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ

আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের এগিয়ে আসা উচিৎ

১৫ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:১৫

শুনেছি বাংলা ভাষায় কবিতা, গল্প, উপন্যাস সহ লেখক সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। খুবই ভয়ংকর কথা। তার থেকেও বড় ভয়ংকর খবর, পাঠক সংখ্যা কমে যাচ্ছে। অনেক মিডিয়া ও রোবটিক জীবনের ফলে আজ এই প্রাদুর্ভাব। উপন্যাস জগতের বাদশা হুমায়ূন আহমেদ এর দেহত্যাগের পর আশার বাতি কিছুটা কমে গেছে। প্রশ্ন আসছে ঐ জনপ্রিয়তার জায়গা আর কাকে দিয়ে পূরন হওয়া সম্ভব? আসলে কারও জন্য কিছু থেমে থাকে না। তা না হলে শরৎ বাবু প্রস্থানের পর মানুষ আর কোনো রাইটারকে মেনে নিতো না। শরৎ-হুমায়ূন যার যার অবস্থানেই আছেন। তেমন করে সবাই সবার অবস্থানেই থাকে। কৃয়েটিভ কর্ম কখনও বৃথা যায় না।



ভয় ও আশঙ্কার কথা হচ্ছে, আমাদের বাঙালীর বাচ্চারা অল্টারনেটিভ কোন কোন মাধ্যম বেছে নিয়েছে। সেই সব মাধ্যম কতটা নিরাপরদ ও উপকারি। যদি দেখা যায় ঐ সব মাধ্যম ক্ষতিকর ইফেক্ট ফেলতে পারে তাহলে কি করা যায়? সবাইকে ভাবতে হবে। এগিয়ে আসতে হবে। কাজ করতে হবে। আমি দেখতে পাচ্ছি অল্টারনেটিভ বিনোদন মাধ্যম মোটেও নিরাপদ না। জ্ঞান অর্জন না করতে পারলে তারা আমাদের ওতাদের স্বপ্ন কিভাবে পুরণ করবে? অথবা সুনাগরিক হয়ে মানুষের মতো বাঁচতে শিখবে? শুনেছেন কখনও আর্ট এ্যান্ড কালচার ছাড়া কেউ বড় মাপের মানুষ-মাহামানব হতে পেড়েছে?



এজন্য আমাদের নিরাপদ সাহিত্য ও শিক্ষামূলক সবকিছু ঐ সব নেগেটিভ মাধ্যমেই ছড়িয়ে দিতে হবে। তাহলে আজ যা নেগেটিভ কাল তা পজেটিভ হয়ে যাবে। আজ যা ভয়ংকর কাল তা নিরাপদ হবেই। সেই সাথে আমাদের বই ও ইবুকের জগতের প্রসার ও বাঁচবে। আগে তো জ্ঞানের মজা নিতে জানতে হবে। একবার জ্ঞানের মজা নেয়া জানলে তাকে আর কোনো বাধা দিয়েই বেধে রাখা যাবে না। বিদ্যা ছাড়া জ্ঞান হয় না। আর বিদ্যা ও জ্ঞান একসাথে না হলে বুদ্ধি হয় না। আর বিদ্যা, জ্ঞান ও বুদ্ধি দিয়েই ধ্যানি হতে হয়। তারপর আসে মহাসাফল্য ও দৈব জ্ঞান।



বন্ধু! আজও যারা আমাকে ভুল বুঝে বসে আছেন, তাদের আমি শ্রদ্ধাচিত্তে জানাতে চাই, আমি চেষ্টা করেছি। এই চেষ্টায় আমাদের পুর্বপুরুষ ও গুনিজনদের নাম ও কর্ম বার বার নিয়ে এসেছি। যাতে মানুষ আগ্রহি হয়। যাতে আমাদের এই সুন্দর গ্রহ পৃথিবীর আর্ট এ্যান্ড কালচার বুঝতে শেখে। প্রতিটি জাতি যেনো তাঁদের পুর্বপুরুষদের অবদান স্বীকার করে। তাঁদের যে ত্যাগ ও কষ্ট তা হয়তো আমার জীবন থেকেই আপনারা বুঝতে পারবেন। আমি হয়তো সম্মান পাবার যোগ্য নই, তাই বলে ঐ সব গুনিজনদের সম্মান কেনো নষ্ট হবে?



আমাদের সবাইকে সাধারন মানুষের কাছে আমাদের গুনিজনদের তুলে ধরতে হবে। গুনিজনদের না চিনলে নতুন নতুন প্রজন্ম কিভাবে নিজেদের গুন প্রকাশ করতে পারবে অথবা গুন পাবে? আমি এসেছিলাম নিজের গুন দেখাতে না, আমি এসেছিলাম সব মানুষের ভিতরে শিকড়ের নিচে অদেখা খনিজ-মাটির মত গুন গুলোকে বেড় করে তুলে নিয়ে আসতে। যেমন করে আখের লাঠির মধ্যে মিষ্টি রস থাকে। সেই রস বেড় করার চেষ্টা যদি আপনাদের চোখে অন্যায় হয়ে থাকে, তাতেও আমি ধন্য। ঐ অন্যায়টুকুর কলঙ্ক আমার কাছে মহামুল্যবান ও মহাসুন্দর। আমি সেই ঈশ্বরের ঐশ্বর্য্য কে রেখে যেতে পারলেই খুশি। আজ যদি মরন আসে আপত্তি নাই। যদি কেউ ইচ্ছে করে আমাকে মেরে ফেলে তাতেও আমার খুশি ও প্রেম থেমে যাবে না। বরং নতুন প্রবাহ পাবে। সেই ঢেউয়ের মধ্যেই আমি সবার মনে দোলা দিয়ে যাবো। সবার পাশেই আমি থাকবো। সবার উপকারি সঙ্গি হয়ে থেকে যাবো। সবার মঙ্গলের পথিক হিসেবে পথ দেখিয়ে যাবো। বিরহী আর মিলনী দুজনই আমাকে পাশে রাখতে চাইবে। দুষ্টরা ভালোকে ফেলে দিতে চায় আর ভালোরা ভালোটা গ্রহন করে নেয়। তাইতো আমি টেনশন মুক্ত। আমার প্রিয়তম ফিরে আসার প্রতিক্ষাকে আমি চিন্তাশক্তি কাজে লাগিয়ে উপভোগ করেছিলাম। আমি টেনশন নিয়ে এদিক ওদিক ছুটে গিয়ে কারো জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠিনি।



বন্ধু! আমার এই কথাবার্তা ও আলোচনাই পুরো বিশ্বকে পরিবর্তন করার জন্য যথেষ্ট ছিলো। তারপরও আমি আমার সাধারন জীবন থেকেও আপনাদের দিতে চেয়েছিলাম। সমস্যা বেধেছিলো সরকার ও গোয়েন্দাদের আমাকে নিয়ে লুকোচুরি করে লুকিয়ে রাখার ব্যার্থ চেষ্টা। এজন্য আমি আমার প্রাণ তুল্য মিডিয়ার উপর এখন পর্যন্ত নাখোশ। নিজের অবস্থান থেকে যদি আমরা ভাল ও কল্যানকে শেয়ার করতে না পারি , তাহলে এই জীবন কিভাবে কর্মময় হয়? আজকে একটি ভালোকাজ থাকলে আজই তা করতে হয়।

আমি আমার কর্ম সম্পর্কে সর্বদা সব্বোচ্চ সতর্ক থাকি। আমার নাম প্রচার করার অত বেশি ইচ্ছে ছিলো না। তারপরও আমি আপনাদের মনের ভিতরে ঢুকে চিন্তা করেছিলাম যে, আমার নাম ও কাজগুলো যদি অন্য মানুষদের জানিয়ে দেয়া হয় তাহলে কতো মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন হয়ে যেতো। জীবনজ্বালা কে তারা জীবনানন্দ করতে পারতেন। ধর্ম ও অন্যান্য বিষয়ে তাঁদের সঠিক জ্ঞান চলে আসতে পারতো। তারা আমার মাধ্যমে তাঁদের পূর্বপুরুষদের কর্মগুলো সম্বন্ধে অবগত হতো। নিজেদের প্রেম, শ্রদ্ধা ও সম্মান অনেক বেশি বেড়ে যেতো। আজ বি.এন.পি. নামক দলটি অহিংস নীতির দিকে ছুটছে। এই অহিংস আন্দোলন আগে করলে কি হতো? আমি তো সেই পথেই হাঁটতে বলেছিলাম। তা শুধু বি.এন.পি. এর উদ্দেশ্যে ছিলো না, সমস্ত পৃথিবীর সমস্ত মানুষের জন্যই ছিলো।



আমি যখন বাংলাদেশি সংগীত, সাংবাদিক, মিডিয়া, আর্টিশদের আরো বেশি চ্যালেঞ্জ নিতে বলেছিলাম। তা ৬/৭মাস আগের কথা। এতোদিন যদি তাঁরা সঠিভাবে এগিয়ে যেতো তাহলে আমাদের অবস্থান কোথায় থাকতো? ভালো কাজ করতে সময় লাগে না। আমি চেয়েছিলাম সবার মধ্যে নিজ জাতিয়তাবাদের চেতনা সহজ ভাবে জেগে উঠুক। তথাপিও একজন বাঙালী হিসেবে অন্য বাঙালীদের শুধু বাংলা ভাষায়ই পটু হতে বলিনি, সেই সাথে আমাদের অন্যান্য ভাষা জ্ঞানকেও কাজে লাগাতে বলেছিলাম। মিউজিশিয়ানদের বলেছিলাম বাংলা সুরের বাংলা গানকে ইংরেজী করে গেয়ে বেড়ান। বর্তমান বিকল্প মিডিয়ায় নিজেদের কর্মগুলো ছড়িয়ে দিন। ইউটিউব, ফেসবুক, ইন্টারন্যাশনাল ওয়েব সাইটগুলোতে নিজেদের অবস্থান অনেক ব্যাপক ও সুন্দর হোক। বাঙালী জেগে উঠুক। অযথাই সরকার, গোয়েন্দা, মিডিয়া আমাকে ভুল বুঝলো। আমি রাজনীতিকদের দলে কখনই ছিলাম না। আমি সবার গার্ডিয়ানের মতো উঠে এসেছিলাম।



বন্ধু! আমি শুধু আপনাদের গার্ডিয়ান হয়েছিলাম। সমস্ত মানব জাতির গার্ডিয়ান তুল্য হিসেবে নিজের প্রাণ দিয়ে প্রাণপন চেষ্টা করেছিলাম। তার মধ্য কে পুরুষ আর কে নারী- তা আমি দেখতে চাই নি। আমি মানুষের মন দেখেছিলাম। আমি আমার প্রেম নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছিলাম। আমার প্রিয়তম মুন আমার জান। আমি কখনও চাইনি- আমার জান অবলা হয়ে থাকুক। নারীকে যারা অবলা বানিয়ে রাখে। তারা অবশ্যই প্রেম কি তা বোঝে না। যে প্রেম করে, সে কখনও অবলার সাথে প্রেম করতে পারে না। অবলা ও দুর্বলের কাছে প্রেম ধরা দেয় না। এজন্যই আমি সাহসী মানুষ পছন্দ করি। একথা আমার প্রেমিকার ক্ষেত্রেও সমান ভাবে প্রযোজ্য।

বিশ্বাস করুন, কেউ আমাকে কখনও কোনো দ্বায়িত্ব দিয়ে দেয় নি। আমি নিজ প্রেমবলে দ্বায়িত্ব নিতে শিখেছিলাম। চেয়েছিলাম আপনি আর আমি একসাথে জীবনের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেব। সবাই একসাথে সমানতালে বেঁচে থেকে কল্যানকর কাজ করবো। এজন্যই এই পৃথিবীর সমস্যা গুলো আমি সমস্যা হিসেবে তুলে আনি নি। আমি এসেছি সমাধান হয়ে। সমস্যা বাজাতে একজনই যথেষ্ট হতে পারে। সমস্যার সমাধানের জন্য অন্য মানুষের সাহায্যের দরকার হয়। আমি আপনাদের কাছে সর্বদা কৃতজ্ঞ থেকে আপনাদের সাহায্য, সহোযোগীতা ও আন্তরিকতা আশা করেছিলাম। এই দান টাকা দিয়ে মেজরমেন্ট করা যাবে না। আমি এলেকশনের কোনো প্রার্থী না। আমি আপনার মতোই সাধারন। বিপদে পড়েছিলাম বার বার। এখনও সমস্যা নিয়েই আমার বসবাস। এর মধ্যেও আমি ভেঙ্গে পড়ি নি। দিশেহারা হয়ে যাই নি। এক অস্থির সময়ে আমার জন্ম হয়েছিলো। আর সেই অস্থির সময়ের মধ্যেই আমি বেড়ে উঠেছিলাম। আজও সেই অস্থিরতার কালো মেঘ কেটে যায় নি। কালো মেঘের সাথে আর নতুন নতুন অজানা-অচেনা কালারের ঝামেলা নিত্যদিন যুক্ত হচ্ছে। তার মধ্যেও যতোখানি স্থীর থাকা সম্ভব, আমি সেভাবেই চেষ্টা করেছিলাম।



বন্ধু! আমাকে আপনারা ভুল বুঝবেন না। আমাকে আপনারা ক্ষমা করবেন। যদি আপনাদের কাছে আমার কাজকে অকাজ মনে হয়, তাহলে আমাকে ভুলে যাবেন। মনে করবেন কোনো এক অচেনা-অজানা দুষ্ট ছেলে – কোনো অযাচিত দুষ্টুমি করে, আপনার শখের কাঁচের গ্লাস ভেঙ্গে দিয়ে গিয়েছিলো।



আমি আলাদা কোনো বিশেষনে ভূষিত হতে চাইনি। এই জন্য আমার কথাগুলো এমন এমন করে সাজানো। আমি আমার লেখায় বহুরকমের স্টাইল দিয়ে উপস্থাপন করেছিলাম। এই কাজ আমার অজান্তে করি নি। আমি জেনে, শুনে, বুঝেই আমাকে এভাবে প্রেজেন্ট করেছিলাম। যাতে যারা লেখক হতে চায় তাদের সাহায্য হয়। যারা ইতিহাসবিদ হতে চায় তাঁদের সাহায্য হয়। যারা বিজ্ঞানী হতে চায় তাঁদের সাহায্য হয়। যারা মিডিয়ায় ভালো কাজ করতে চায় তাদের সাহায্য হয়। যারা দার্শনিক হতে চায় তাদের সাহায্য হয়। যারা এক্টর হতে চায় তাদের যেনো সাহায্য হয়। যারা পলিটিশিয়ান হতে চায় তাদের যেনো সাহায্য হয়। যারা মানব কর্মি হতে চায় তাদের যেনো সাহায্য হয়। যারা গীতিকার ও সুরকার হতে চায় তাদের যেনো সাহায্য হয়। যারা ব্যবসায়ী ও চাকুরীজিবি হতে চায় তাদের যেনো সাহায্য হয়। যারা ধর্মের প্রকৃত স্বাদ পেতে চায় তাদের যেনো সাহায্য হয়। যারা মেডিটেশন করে মাইন্ড কন্ট্রোল করতে চায় তাদের যেনো সুবিধা হয়। যারা পি.এস.ডি/এমফিল করতে চায় তাদের যেনো সাহায্য হয়। যারা শিক্ষাদাতা ও শিক্ষার্থী তাদের যেনো সাহায্য হয়। যারা প্রেম বিরহী তাদের যেনো সাহায্য হয়। যারা ভালো বক্তৃতা দিতে চান তাদের যেনো সাহায্য হয়। যারা সেনাবাহিনিতে আছেন তাদের যেনো সুবিধা হয়। যারা বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার পথে আছেন তাদের যেনো সাহায্য হয়। যারা মানুষের প্রতি দয়া-করুনা দেখাতে চান তাদের যেনো সাহায্য হয়। যারা নেতৃত্ব দিয়ে নেতা হতে চান তাঁদের যেনো সাহায্য হয়। যারা কুটনেতিক ও বড় আমলা হতে চান তাঁদের যেনো সাহায্য হয়। যারা আই.টি. বিশেষজ্ঞ হতে চন তাদের যেনো সাহায্য হয়। যারা ডাক্তার হতে চান তাদের যেনো সাহায্য হয়। যারা আইন বিশেষজ্ঞ হতে চান তাদের যেনো সাহায্য হয়। যারা কৃষি উন্নয়ন কাজ করতে চান তাদের যেনো সাহায্য হয়। যারা শিল্প উন্নয়ন করতে চান তাদের যেনো সাহায্য হয়। যারা আবহাওয়াবিদ, খাদ্য গবেষক, নদী গবেষক, নগর উন্নয়ন গবেষ তাদের যেনো সাহায্য হয়। যারা বিভিন্ন ভাবে উন্নয়ন করতে চায় তাদের যেনো সাহায্য হয়। এমনি করে আমি আমাকে আপনাদের কাছে তুলে দিয়েছিলাম। এই কাজে আমার ক্ষুধার্থ পেট কখনও বাধা হয়ে দাঁড়ায় নি। ভাবুন কোনো একজন ভদ্রলোকের রাস্তায় চলতে গিয়ে ম্যানহোলে পড়ে যাবার কথা ছিলো। অন্য কোনো খুব সাধারন একজন পথে যেতে দেখেছিলেন ম্যানহোলের ঢাকনা খোলা পড়ে আছে। সে ঢাকনাটি লাগিয়ে দিয়েছিল। ভদ্রলোকের সম্মান আছে। সবাই চেনে-জানে। কে ঢাকনা লাগালো সেটা ভদ্রলোকের জানার দরকার ছিলো না। ভদ্রলোক যে ম্যানহোলে পড়ে যাওয়া থেকে বেঁচে গেলো- এটাই বড়। আপনারা ভদ্রলোক আর আমি সেই অজানা অচেনা ম্যানহোলের ঢাকনা লাগানো মানুষটির মতো। আপনারা পড়ে যান নি- এজন্য আমি আনন্দিত। সে যদি ঢাকনা না লাগাতো- তাহলে বোঝা যেতো সে ডিস্ট্রাকটিভ। আমি নিজের কনন্স্রাকশন দিয়ে সবাইকে কনন্স্ট্রাকটিভ করতে চেয়েছিলাম।



বন্ধু! আমি জানি, কখনও আমাকে আপনাদের অনেক চেনা মনে হয়েছিলো। আবার কখনও অনেক বেশী অচেনা মনে হয়েছিলো। এই কথা সব মানুষের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। যে আমাকে আপনার অচেনা মনে হয়েছিলো। সেই আমাকে আর একবার ভালো করে দেখে নিন। দেখবেন আজ এইখানে এসে আর সেই অচেনা রূপ আমার নেই। এই ধর্ম সৃষ্টিশিলতার। দোষ যদি দিতেই হয় তাহলে আমার কৃয়েটিভ মেন্টালিটিকে দিয়ে দিয়েন। এই কৃয়েটিভ মেন্টালিটি না থাকলে আমি থাকতে পারতাম না। সব দোষ আমার ঘারে নিয়ে নিলাম। আপনারাও ভালো থাকুন আর আমার প্রিয়তমাও ভালো থাকুক। আপনারা সবাই ভালো থাকার জন্য আমার যতোটা দোষি হবার দরকার হবে, আমি সেই দোষ ঘারে নিতে কার্পন্য করবো না। আমি চাই আপনাদের ছন্দ আপনারা খুঁজে পান।



জানেন বন্ধু! আমার এই পথচলার সর্বক্ষেত্রে করুনাময় ঈশ্বর আমার সহায় ছিলেন। কেমন করে যেনো তিঁনি আমাকে সহায্য করে যাচ্ছিলেন। তারপরও আমি ঈশ্বরের প্রতি বিরক্ত ছিলাম। শুধু আমার প্রিয়তম মুন কে কাছে পাই নি বলে। যেমন করে বাচ্চারা বাবার কাছে বায়না ধরে। কান্নাকাটি , টানা হেচরা, চিৎকার চ্যাচামেচি, পাগলামি, খাওয়া বন্ধ করে দেয়া, সহ কতো রকমের আবদার পুরনের বাহানা যে শিশুরা করে থাকে। আমি আমার ঈশ্বরের সাথে এমনই করে চলেছিলাম। আমি আমার ঈশ্বরকে মোটেও ভয় পাই না। আমি ভয় পাই আমার প্রিয়তমা কে হারিয়ে ফেলার। আমি আমার প্রিয়তমা ও সব মানুষের মঙ্গলের জন্য ঈশ্বর কে ভয় করি। আমার জন্য আমি কখনও ঈশ্বরকে তোয়াজ করে চলি না। প্রয়োজনে ঈশ্বর আমার আর আমার প্রিয়তমাকে বরন করে নিবে। আমাদের সেবা করবে। তারপরও আমি আমার পথ পরিবর্তন করবো না। আমার চাওয়া সমস্ত মানব জাতির মঙ্গল। এ ব্যাপারে আমি কার সাথে আপস করবো? যাকে দেখি নি, সেই স্রষ্টার সাথে নাকি আমার কাছের মহামূল্যবান সুন্দর সুন্দর মানুষগুলোর সাথে? ঈশ্বরের কাছে চাইতে হয়, আপস করতে হয় না। আর মানুষ মানুষের সাথে ভালোভাবে বেঁচে থাকার জন্য আপোষ করলে বড় হয়ে উঠবেই।



বন্ধু! এক সময় আমি আপনাদেরকে কাছে থেকে পাবার কথা বুঝতে পারি। আমি যখন বুঝেছিলাম আমি আপনাদের সাথে সহযে কমিউনিকেট করতে পারছি তখন আমার দ্বায়িত্ব আরো বেড়ে গিয়েছিলো। আমি অনেক হৃদয়কে আমার অন্তরের ভিতর টেনে এনে তারপর অবিরত লিখতে থাকলাম। আমার মনে হয় নি আমি একা। মানুষ একা বাঁচতে পারে না। আমি আপনাদের হৃদয়ে নিজের অস্তিত্বকে ঢুকিয়ে দিয়েছিলাম এবং তা আমার জান্তে। আমি দেখেছি আপনাদের রিফ্লেক্টিভ ইফেক্ট। আমি সবার প্রিয়তম/প্রিয়তমা কে ফিরিয়ে দিতে চেয়েছিলাম। আমি চেয়েছিলাম আপনারা আপনাদের প্রেম সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞাত থাকেন। আমি চেয়েছিলাম কোনো অবস্থাতেই আপনারা ভেঙ্গে না পড়েন। যারা নিজেদের বৃদ্ধ মনে করেন তাঁরা যেনো তরুন হয়ে ওঠেন। এই তারুন্য আমি আপনাদের কাছে স্বপ্নের মতো উপহার দিতে চাই নি। আমি চেয়েছিলাম তাঁরাও যেনো তাদের প্রেমে ভরা প্রিয়জন কে কাছে নিয়ে আসতে পারেন। তাঁরা যেনো তাঁদের প্রিয়তমার কাছে প্রেমের আলো নিয়ে সামনের দরজা দিয়েই হাজির হতে পারেন। দুজনের মনে প্রেম পুষে রাখলে- তা দিয়ে কি লাভ? যদি না একসাথে থাকা যায়?



বন্ধু! আমি আপনাদের মনের মধ্যে ঢুকেই আপনাদের বিচার বুদ্ধি দিয়েই নিজেদের যাচাই করার চেষ্টা করেছিলাম। আমি আপনার অন্তরের কাছের আর এর বড় অন্তর নিয়ে ছুটে ছুটে আপনাদের কল্পনা শক্তি দিয়েই আপনাদের মনের কথা বলতে চেয়েছিলাম। একারণেই আপনারা আমার দেহের কাছে না থাকলেও আপনাদের শরীরের উষ্ণতা আমি অনুভব করে নেই। আপনার একদম ভিতরের অনুভুতি নিয়েই আমি একটু ঢাঁই খুঁজে নিয়েছিলাম। আপনার মনের একাগ্রতা আমি অনুভব করেছিলাম। আপনাদের মনের বাড়ীতে আমি নিজেকে স্থাপন করতে চেয়েছিলাম। সেই সাথে আমার মুনের সাথেও আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলাম। এর ফলে আপনার মনের ভিতরেও দু’জন কে একসাথে করার তিব্র বাসনা তৈরি হয়েছিলো।



আমার লেখার ওপারে যারা আছেন। তারা যদি আমাকে কখনও শত্রু জ্ঞানে দেখে থাকে। তাতেও আমি ধন্য। সেই শক্তিশালি শত্রুর শত্রুমনকে আমি যদি মিত্রমন বানিয়ে নিতে না জানি তাহলে কোন যোগ্যতায় আমি প্রেম করেছিলাম? আপনারা আমার সহায় না হলে কে আর এমন আছে যে আমার সহায় হবে? আপনারা আমাকে করুন না করলে, আর কে এসে আমাকে করুনা করবে? আপনারা আমাকে সহযোগিতা না করলে, আর কে এসে আমাকে সহযোগিতা করবে? আপনারা আমাকে ছোট না করলে, আর কে এসে আমাকে বড় করে দেবে? আপনারা আমাকে অপমান না করলে আর কে এসে আমাকে অভিমান শিখাবে? আমার সব পাওয়া এই মানুষেরই অবদান। আমি সকল মানুষের সেবকতুল্য। প্রতিটা গার্ডিয়ান সবার আগে সেবক।



বন্ধু! আমি এই স্বার্থপর ভুবন দেখে মোটেও হতাশ হয়ে যাই নি। আমি চেয়েছি স্বার্থপরতার সাথে যুদ্ধ করতে। স্বার্থপরতা যতই শক্তিশালি হোক না কেনো তা আপনার আমার শক্তির থেকে বেশি না। আমি চেয়েছি হিংসাকে সরিয়ে দিতে। তাইতো অহেতুক যুদ্ধগুলোর আমি শুধু প্রতিবাদ করেই নিজের দ্বায়িত্ববোধ শেষ করে দেই নি। আমি চেয়েছিলাম রক্তা-রক্তির যুদ্ধের স্থায়ী সমাধান। মানুষ মারার যুদ্ধের বিরুদ্ধে আমি যুদ্ধ করেছি। এ যুদ্ধ কোনো রক্তারক্তির ইতিহাস না। ইতিহাস বইতে আমি রক্ত দেখতে চাইনি। এই সব অপরাধ যদি আমার হয়ে থাকে তাহলেও আমার কোন অপরাধবোধ নাই। আমার যা আছে তা প্রসান্তি। কিছু একটা তো বলতে পরেছিলাম।



আপনারা আমার কর্ম প্রেরনা আর আমার প্রিয়তম আমার জান। দু’টোকেই আমার দরকার। জান না থাকলে কর্ম প্রেরনা আসবে কার কাছে?



বন্ধু! দেখতে দেখতে ৬/৭মাস আমি আপাদের কাছে এমন করে এসেছিলাম। আজ আমাকে কি আপনাদের আপন মনে হচ্ছে না? আমি আপনার অন্তরের অন্তরকে নিজের কাছে নিয়ে আসতে চেয়েছিলাম। আপনারও ইচ্ছাশক্তি ছিলো, প্রেম ছিলো, এরফলে আজ আমরা এতো মানুষ একত্রিত হয়ে যাচ্ছিলাম। শত বছর দেখায়ও মানুষ আপন হতে পারে না, যদি না মানুষের মধ্যে আন্তরিকতা না থাকে।



পৃথিবীর সব গান আমি আপনাদের মনের কথার মতো প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলাম। সব গানের বানীকে বাস্তব সত্য হিসেবে আপনাদের আঙ্গুল দিয়ে দেখাতে চেয়েছিলাম। মিলে যায় নি বলুন? এই মিল নতুন করে আসে নি। এই মিল আপনাদের মধ্যেই ছিলো। আমি শুধু বলতে চেয়েছিলাম মিল সবসময় নিত্যনতুন। যার বাণী কখনও পুরোনো হয় না। আমি নতুনকে পুরাতন আর পুরাতনকে নতুন করি নি। আমি বলছিলাম, নতুন পুরান দুজনেই নিত্যনতুন। বৃদ্ধ-যুবা বয়সের ভিত্তিতে এক হবে – এমন সমাজ কখনও মঙ্গলময় হতে পারে না। আপনাদের চিন্তা চেতনার ভিত্তিতে নিজেরা একত্র থেকে সমাজের বিভিন্ন রংয়ের ফুল হয়ে চিরঞ্জিব থেকে যাবেন।



বন্ধু! অনেকে ভাবতে পারেন, আমি বুঝি আপনাদের উপদেশ দেবার জন্য এসেছি। উপদেশ দেবার মতো ভাষা আমি জানি না। আমার অনেক কথায় অর্ডার বা নির্দেষের সুর আছে। আমি সেই অর্ডার নিজের ইচ্ছায়ই দিয়েছিলাম। যাতে আপনারা ভদ্র ম্যানেজমেন্ট শিখতে পারেন। আমার সবকিছুই আপনাদের কল্যানের জন্যই দিয়েছিলাম। যার মালিক আপনারা। আমি আমার ভাষাকে স্বত্ত্বমুক্ত করে দিয়েছিলাম। এর ফলে সবকিছুর মালিকানা আপনারা পেয়ে গেলেন। আর আপনাদের সবকিছুর মধ্য থেকে শুধু আমি আমার প্রিয়তম মুন কে আপনাদের কাছে ভিক্ষা চেয়েছিলাম। আমার বিশ্বাস ছিলো এতো এতো মানুষ আমাকে একসাথে ফিরিয়ে দিতে পারবেন না। কেউ না কেউ ঠিকই আমাকে ভিক্ষা দেবেন।



আমি আপনাদের সাহসী হতে শুধু মুখেই বলি নি। আমি আপনাদের সাহসী করে গড়ে তুলতে চেয়েছিলাম। যেসব বাজে ভাবে সাহসীর সংগা দেয়া হতো আমি তার থেকে বেড়িয়ে এসে সত্যিকার অর্থের সাহসী করে আপনাদের গড়ে তুলতে চেয়েছিলাম।



আমি কোনো বড় বিপ্লবি না। আমি কোনো ডেল কর্নেগী না। আমি রক্তপাতহীন এক সুন্দরের অগ্রদূত। এই অগ্রদূত এমন একজন যে সামনে থাকতে চায়নি, আপনাকে সামনে নিতে চেয়েছিলো। অগ্রদূত সাহেবের সামনে কোটি কোটি মানুষ আছে আবার পিছনেও আছে। চারদিক থেকে ঘিরে আছে। মাথার উপরেও আছে আবার পায়ের নিচেও আছে। আমি এই বোধ নিয়ে জন্মেছিলাম।



বন্ধু! আশাকরি আপনারা আমার সহায় হবেন। তা না হলে ঈশ্বরও আমাকে করুনা করবেন না। মানুষ মানুষের জন্য এগিয়ে না আসলে ঈশ্বরও অসহায় হয়ে যায়। তিনি এমন এক জগতে আমাদের থাকতে দিয়েছেন যার মধ্যে শুধু একটি একক সিস্টেম কাজ করে। এই সিস্টেমে মানুষ মানুষকে সেবা ছাড়া বিকল্প নাই।



আমাদের দিনগুলো চিরসুন্দর হয়ে উঠুক। আমরা সবাই একসাথে এগিয়ে আসবো। এই পথচলা হলো স্থায়ী। চিরকাল আমরা একসাথে থাকবো। স্বর্গে যখন যেতেই হবে- তখন আমি একা গিয়ে কি করবো? পৃথিবীর সবমানুষ আগে বেহেশতে ঢুকবে তারপর আমি বেহেশত চাইতে পারি। তাঁর আগে না। সবার সাথে স্রষ্টা জোড় জবরদস্তি করে করুক। আমার সাথে কোনো জোড় জবরদস্তিতে কাজ হবে না। পৃথিবীর সব মানুষকে আমি মুক্তি দিয়ে দিলাম। আমার বানী প্রচার করুন ও নিজেরা এগিয়ে আসুন। সবাই সবার সাথে মিলে থাকুন।



আমি দেখেছি মানুষ কতো পরিশ্রম করে। পৃথিবীর বেশিরভাগ কাজই অনেক বেশি পরিশ্রমের না। আমরা ইচ্ছে করে সহযকে কঠিন করে পরিশ্রম করি। বাংলাদেশের ঠেলাওয়ালা, কৃষক, রিকশাওয়ালারা তার বড় উদাহরন হতে পারে। একই কাজ কষ্ট করে করা যায় আবার সহয ভাবে করা যায়। আমি সবাইকে সহযের রাজ্যে নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম।



ভিনগ্রহীদেরও আমরা নিয়ন্ত্রন করে আদর্শের পরিচয় দেবো। কেউ আমাদের পর না। কেউ আমাদের শাসক না। আমরা সবাই একেকজন শাসক ও মহাশাসক।



আমি সারাজীবন একাত্ববাদের উপসনা করেছি। সেই উপসনার কোনো প্রতিদান আমি স্রষ্টার কাছে চাই না, যদি না তিনি পৃথিবীর সব মানুষকে বেহেশত ও মুক্তি না দেন। আমি জানি স্রষ্টা তার উপসনার প্রতিদান অবশ্যই দিয়ে দেন। আমার প্রতিদান হবে সব মানুষের মুক্তি। তাতে তারা বিগত দিনে যতই পাপ করুক না কেনো? আজ থেকে আর মন্দের দিকে যাবো না- এই হোক আমাদের প্রতিজ্ঞা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.