![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।
বাংলাদেশ কে আজ যদি পোষাকের দেশ বলি তাতে ভুল বলা হবে না। বিশ্বব্যাপি মেড ইন বাংলাদেশ কথাটি ছড়িয়েছে পোষাকের জন্য। শ্রমিক অধিকার, বেতন, অবকাঠামো, আন্দোলন, আগুন লাগা আমাদের শুধু ক্ষতিই করছে না। মূল্যবান সময় নষ্ট করছে।
গার্মেন্ট মালিক ও বাইং হাউস কর্তাব্যক্তিদের দেখলে আমার লজ্জ্বা লাগে। এই লজ্জ্বার কারন আমি বাঙালী। গার্মেন্ট মালিকরা ভালো বাড়ি, গাড়ি ও সহযে বিদেশে যাবার সুযোগ পেতেই মহাখুশি। গার্মেন্ট ফেক্টুরি যদি দর্জি বাড়ীর সাথে তুলনা দেয়া হয়। তাহলে ওরা দর্জি দোকানদার মাত্র।
আমরা কেনো বিদেশি নামি দামি ব্রান্ড কোম্মানির গোলাম হয়েই সুখি হবো। আমাদের ব্রান্ড কোথায়?
ইন্টারন্যাশনাল ব্রান্ডের মার্কেট কেনো বাংলাদেশ পাবে না? এ দোশ ঐ সব স্বপ্নহীন টাকার উপর ভাষা শ্রমিক ঠকানো মালিক পক্ষের। কোনো ভাবেই বিদেশি বন্ধুদের আমি দোষ দিতে পারি না। বিদেশীরা এই সেক্টরের অন্নদাতা সমান।
ইদানিং ফ্যাশন ডিজাইনিং পড়ার ধুম লেগেছে। ফ্যাশন ডিজাইনার বেড় হচ্ছে নাকি ছাগল বেড় হয়? এসব ফ্যাশন ডিজাইনের সামনে একটি কোরবানির ছাগল দিয়ে সাজাতে বলবেন। দেখবেন ছাগলের আন্ডারওয়্যারের সেলাই ছুটে গেছে। মন শক্ত-সামর্থ না হলে কিভাবে সুন্দর সৃষ্টি হবে। বাংলার ছাগল ফ্যাশন ডিজাইনার নিজেই বলিউডের সিনেমা দেখে নিজের পোষাক পড়ে হাট বাজারে ঘোরে। আর যদি গলায় টাই পড়ে – সেই টাই কে দড়ির মতো দেখায়। কার গলায় দড়ি থাকে? (টাই আমার খুব প্রিয়, দয়াকরে কেউ ভাববেন না টাইয়ের প্রতি আমার কোনো অনিহা আছে। তবে গ্রাজিউশনের শর্ত মেনে টাই পড়া ছাগলামি)
আমি একদিন স্বপ্নে একটি আশ্চর্য পোষাক দেখতে পেলাম। স্বপ্নে দেখি কিছু ইয়াং ছেলেপান নতুন এক পোষাকের জন্য মার্কেটে মার্কেটে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সবাই নাচানাচি করছে।
পোষাকের লম্বা ভাবে সোজাসোজি একটি সামান্য মোটা লাইন সম জায়গা ঢেউ খেলে যাচ্ছে। জিন্সের প্যান্ট, টি-সার্ট, সার্ট, স্যুট সবই একই রকমের দুলছে। তবে হালকা ঢেউ খেলানোর জায়গাটি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায়। আমরা কিন্তু ব্যাটারি ও অপটিক্যাল ফাইবার বা কোনো ধাতু দিয়ে এমন পোষাক তৈরি করতে পারি। ব্যাটারি থাকলো কলারের মধ্যে। হাম্পের মধ্যে বা সহজে বোঝা যাবে না এমন কোনো জায়গায়।
বাচ্চাদের জন্যও এরকম পোষাক মার্কেটে ধুম করে হিট হয়ে যাবে। এজন্য বাঙালীদেরই এগিয়ে আসতে হবে। বিভিন্ন কান্ট্রির মিডিয়ায় একই সংগে এ্যাডের পর এ্যাড চালাতে হবে। নমিনিটেড ফেক্টুরি থাকতে হবে। ইন্টারন্যাশনাল শোরুম থাকতে হবে। পোষাকের ইন্টারন্যাশনাল প্যাটেন্ট থাকতে হবে। ফ্যাশন ডিজাইনার সহ কৃয়েটিভ মানুষদের নতুন নতুন পোষাখের আইডিয়া বেড় করতে হবে। আমাদের লেবার কস্ট কম। আমাদের নতুন নতুন সমুদ্র বন্দর হচ্ছে। এই সময়ই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
বন্ধু! সামনের শুভ সময় আসবে তখনই যদি এখনই আমরা আমাদের এগিয়ে নিয়ে যেতে শিখি। আমরা ব্রান্ডিং ও মার্কেটিং এ কাঁচা। আমাদের কাদানে গ্যাস, পিস্তল, বন্দুকও আমদানি করতে হয়। তাহলে অস্ত্রাগার আছে কিসের জন্য। আমাদের কি মেধা নেই যে আমাদের বাহিনিকেও আমরা সাহায্য করতে পারছি না? কেনো কিনবো আমরা বিদেশে তৈরি অস্ত্র। প্রয়োজনে নতুন মডেলের ১০-৫টা কিনে, দেখে বুঝে, নিজেরা তৈরি করে নেবো। ভালো আইটেম অন্যদেশের জন্য রেখে দেবো। আনকমন প্রোডাক্ট থাকলে কাস্টমার অটো দৌড়ে আসবে।
আজ গার্মেন্ট মালিকদের অকাজে নয় ব্যবসায়িক কাজে একতাবদ্ধ হতে হবে। একক ইনভেস্টমেন্টে কাজ না হলে গার্মেন্ট মালিক সমিতির মাধ্যমে জয়েন্ট ভেঞ্চর তৈরি করে পোষাক তৈরি করুন।
আমাদের প্রডাক্ট কস্ট ও কিছু বাধাধরা পলিসি দিয়ে ঠকানো হয়। আমাদের কোটা ভিক্ষা করতে হবে না। বাংলাদেশ এমন কিছু পোষাক নিয়ে সবার মাঝে আবির্ভুত হবে, যা ছাড়া বিদেশীরা নিজেদের ন্যাংটা মনে করবে। আগে আমাদের কান্ট্রির পোডাক্ট ইমেজ বাড়াতে হবে। কথায় কথায় সরকারকে ডাকলে হবে না বা সরকারকে দোষ দেয়া যাবে না। কৃয়েটিভিটি সব থেকে বড় সরকার। সেই সরকারকে নিজের অন্তরে জাগিয়ে তুলে শুধু সামনে এগোবেন। আমি আপনাদের পাশে আছি। কোনো স্টকলট বা মিসসিপমেন্ট নামক শর্ত থাকবে না। এগুলো দুপক্ষরই টেনশন বাড়ায় কিন্তু লাভ হয় এক পক্ষের।
প্রয়োজনে মিস সিপমেন্ট/ব্যাকলডের পন্য বাংলাদেশ বিমানে করে বিদেশে নিয়ে গিয়ে নিজেদের কেনা বা ভাড়া করা শরুমে ফেলে রেখে গাইড হিসেবে ডেকে ডেকে বিক্রি করবো। আমরা শুধু ঝুট ব্যবসায়িদের দৌড়াত্ব দেখি কিন্তু কখন ঐ সব কিছু বিদেশি পোষাক দালালদের দেখি না। যারা ব্যাক শিপমেন্ট অথবা নষ্ট হওয়া প্রোডাক্ট কিনে বিদেশি হয়ে নিজ দেশের মানুষকেই ধোকা দেয়। আর বদনাম হয় আমার বাংলাদেশের সরকার ও নিরিহ গার্মেন্ট কর্মি-শ্রমিক-মালিক-ম্যানেজার-মার্সেনটাইজারদের। খারাপ মানুষের জন্য আমার মানুষরা কেনো কষ্ট পাবে।
ইউ.এস.এ. কে রাষ্ট্রদূত পরিবর্তন করতে বলেছিলাম। তারা তা করেছে। আমি ইউনাইটেড স্টেট অব এমেরিকার জনগনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমার মতো গরিবদের কথা রাখার জন্য। এবার আমরা একে অপরকে পন্যের খেইলে সাহায্য করতে পারি। ইউ.এস.এ. ও বাংলাদেশ যৌথ ভাবে কিছু পন্য তৈরি করতে পারে। তাতে ইউ.এস.এ. এর দুর্বল হয়ে যাওয়া অর্থনীতি স্ট্রং হতে পারে। এই উপকার দু’পক্ষ একসাথে দুজনকে করতে পারি।
বৃটিশ এ্যামিরিকান টোবাকো থাকলে এ্যামিরিকান-বাংলা প্রোডাক্ট কেনো বিশ্বজয় করতে পারবে না। আমাদের অনেক কিছু আছে। অনেক র মেটিরিয়ালস আছে। সামান্য সুপারি গাছের সংখ্যা সহযে বাড়িয়ে পেইন্ট এর কাঁচামালে বাংলাদেশ বিশাল ভাবে এগোতে পারে। শ্রীলংকা আজ পেইন্ট প্রোডাক্টে সয়ংসম্পন্ন ও প্রচুর পরিমান রপ্তানি করছে। আমরা কেনো পিছিয়ে থাকি?
ইন্দো-বাংলা শুধু নামেই আছে। আবার বেশিরভাগ মানুষ জানেই না ইন্দো-বাংলা মানে কি? এই সব নাম মুখে মুখে রটিয়ে দিতে হয়। এটা কান্ট্রি কান্ট্রি জয়েন্ট বিজনেস প্রতিষ্ঠান এগুলো নিয়ে অবহেলা করলে দেশের বদনাম হয়। ইন্ডাস্ট্রি ম্যানেজমেন্টে কোনো প্রকার পলিটিক্যাল প্রভাব খাটাবেন না। ইন্ডাস্ট্রি স্বাধীন। তুলনামুলক ভাবে আমাদের বিদ্যুত বিল ও গ্যাস বিল বেশি।
তিতাস কি করে? দিনের নির্দিষ্ট দুটি সময় ঢাকা মেট্রোপলিটন রেসিডেনসিয়াল এরিয়ায় পুরো ফ্লুয়েন্সিতে গ্যাস সাপ্লাই হবে। বাকি সময় গ্যাস বন্দ থাকবে। যাদের বেশি গ্যাস দরকার হবে তারা সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করবে। সারাদিন টিপ টিপ নীল আগুনের থেকে দিনে দু’বার অন্তত ভালো। ঘরের গৃহিনিদের টেনশন কমবে। আর এই টেনশন যখন গালাগালি হয়ে স্বামীর গায়ের উপর পড়ে তাও কমবে।
২২০ ও ৪৪০ দু’টি বিদ্যুত সাপ্লাইয়েরই ইউনিটের দাম সমান হবে। ইন্ডাসট্রিয়াল এরিয়ায় এর ফলে যে টাকা সেইভ হবে তা শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোর মাধ্যমে শোধ করা যাবে। বর্তমানে সবকিছুর দাম বেশি। সবাইকে তা বুঝতে হবে। মালিক পক্ষ যদি সারাজীবন বাজে টেনশনই করে তাহলে নতুন নতুন আইডিয়া বেড় করবে কখন?
আমরা আমাদের ইলেকট্রিক সোর্স নিয়ে ভাববো। দেখবো কিভাবে দ্রুত সব মানুষকে বিদ্যুত সেবার আওতায় নিয়ে আসা যায়। এবং তা হবে নিঃবিচ্ছিন্নভাবে। মিডেলিস্ট সহ অনেক দেশে ১১০ ভোল্টের লাইন আছে। এরকম কোনো পথ বেড় করতে হবে যাতে আমরা বেশি মানুষকে ন্যায্য দামে বিদ্যুত দিতে পারি। ধর্মিয় প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, লিল্লাহ্ বডিং, মাদ্রাসা. রাজনিতিক দলিয় ক্লাব, পাড়ার অনুষ্ঠানে বিদ্যুত চুরি করা হয়। কোনো প্রকার বিদ্যুত চুরি চলবে না। কোনো প্রকার তেল চুরি চলবে না। পেট্রোবাংলার বেশির ভাগ কর্মকর্তাই চোর। এই চোরের জগত কেনো জ্বালানি নিয়ন্ত্রন করবে। আর লাইসেন্স বিহিন মটরবাইক, অবৈধ জায়গার পেট্রোল পাম্প থেকে ওজনে কম দেয়া পেট্রোল/অকটেন নিয়ে একসিডেন্টে মারা যাবে?
যাই হোক, আমি বাংলাদেশের পোষাক ট্রেডিং দেখতে চাই। আমি আপনাদের চিরমঙ্গল কামনা করছি। মানুষ যখন নিজেকে যখন সান্তনা দিতে না পারে তখন ভাগ্যকে দোষ দেয়। এই দোষ দেয়ার একটি উপকার হলো পিছনের খারাপ স্মৃতিকে ভুলে থাকা। আমরা পিছনের খারাপ কথা ভুলে যাই আর ভালোকথা ও প্রেমকে মনে রেখে দেই। আপনাদের উপর প্রেম বর্ষিত হোক।