![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।
জেলা প্রশাসক কোন জন প্রতিনিধি নয়। তারা সরকারি ক্যাডার। রাজনীতিক দলের সাথে জেলা প্রশাসকদের সরাসরি সম্পর্ক খুব ভয়ংকর ব্যাপার। ডিসিদের সাথে সবসময় ক্ষমতাসীনদের এতো বেশি দহরম-মহরম ও তেলা-তেলির সম্পর্ক কেনো? এর ফলে আসলে কিন্তু দু’পক্ষই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
মানুষ কখনও নির্দলিয় নয়। দ্বায়িত্বের সময় দ্বায়িত্ব পালন করতে হবে। কর্ম টাইমে কোনো রাজনীতিক দলের নাম ভাঙ্গিয়ে কাজে ফাঁকি দেয়া চলবে না। আমি অবাক হয়ে হা হয়ে গেছি, যখন জেলা প্রশাসকরা জন প্রতিনিধি, মেয়র, কাউন্সিলর, ইউনিয়ন পরিষদ, স্কুল ম্যানেজিং কমিটিকে ভেঙ্গে দিতে বা অপসারন করার ক্ষমতার জন্য লাফাচ্ছে।
যদি জেলা প্রশাসক স্থানিয় সরকার কে নিয়ন্ত্রন বা বাধ্যতামূল অপসারন করাবে, তাহলে নির্বাচনের মানে কি? আর লোকাল গভমেন্ট রুরাল ডেভেলপমেন্টের দরকার কি? এগুলো আমলা পলিটিক্স। পলিটিশিয়ানদের সাথে আমলাদের এতো পাল্লা কিসের?
এখন আমাদের ভেবে দেখতে হবে, এল.জি.আর.ডি কে কিভাবে আমলা মুক্ত করা যায়। বিশেষ করে এল.জি.আর.ডি এর সচিব, উপসচিব, অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ন সচিবের আদৌ দরকার আছে কিনা? জনপ্রতিধিদের মন্ত্রনালয় থাকা উচিত না- তাঁদের জন্য থাকবে স্বায়েত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। কিন্তু স্থানিয় সরকার প্রতিনিধিরা দলিয় ব্যানারে নির্বাচিত হবে। তাহলে আমাদের এই গ্রামের সাধারণ মানুষের প্রতিনিধিরা ব্যাক্তিত্ব নিয়ে বাঁচতে শিখবে।
শুধু অন্যায্য পদোন্নতির মাধ্যমে ডিসি, এডিসি প্যানেল নির্বাচন করা যাবে না। যিনি একটি জেলার সমস্ত চাকুরিজীবিদের ম্যানেজমেন্টে সক্ষম বা সরকারি কর্মকর্তাদের দ্বারা সর্বোচ্চ সেবা ও কাজ করাতে সক্ষম তারা ডিসি হবে।বর্তমানে যেসব জেলা প্রশাসকদের ম্যানেজমেন্টে অদক্ষ বলে মনে হবে। সেখানে ঐ ডিসি কে সরাসরি ও.এস.ডি. করে দক্ষ প্যানেল গড়ে নেয়া হবে।
প্রয়োজনে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মাধ্যমে দক্ষ জেলা প্রশাসক নিয়োগ করা হবে। তবুও একেকটি জেলার গভারমেন্ট ম্যানেজমেন্ট নিয়ে দুষ্টামি করা যাবে না। স্থানীয় সরকারকে অনেক সময় এই সব ডি.সি., টি.এন.ও. দ্বারা জনপ্রতিনিরা কম হ্যারেজমেন্ট হয় নি। গম চুরি করে ডিসি, টিএনও, ম্যাজিস্ট্রেট আর নাম পড়ে জনপ্রতিনিধিদের। আসলে এই অযুক্তিক ম্যানেজমেন্টাল রিলেশনের জন্য ক্যাডার দ্বারা এল.জি.আর.ডি. প্রতিদিন পরোক্ষ ভাবে ধর্ষিত হচ্ছে। যা সরকার প্রধানদের চরম অপমান ছাড়া কিছু না। প্রেসিডেন্ট, প্রাইম মিনিস্টার অনেক সময় এই চক্রের কাছে বন্ধি হয়ে যায় আর সেই সাথে নিজ পলিটিক্যাল দলের দলিয় মানুষদের ও চোখের কাঁটা হয়ে যায়। কাজ করার ইচ্ছে থাকলেও কাজ করতে পারে না। আবার কাজ শুরু করলেও কাউয়াদের চাপে বা অপকৌশলে সঠিক সময়ে কাজ করানো সম্ভব হয় না। এখন এই মুহুর্ত কোনো জেলা বা উপজেলার থানা পরিষদে গিয়ে দেখুন, উদাহরন সরূপ পরিসংখ্যান অপিসে গিয়ে দেখুন অনেকে অফিসেই আসে নি। আবার যারা এসেছেন তাদের কাজ নেই বলে বসে থাকছে। আসলে কি কাজ নেই। সপ্তাহে মাত্র ৫দিন আট ঘন্টা করে কর্মসময়। এর মধ্যে সবাইকে কাজ করানোর মতো যোগ্যতা ক’জন ডিসি, টি.এন.ও দের আছে?
শুধু অনুষ্ঠান, স্কুলের স্পোর্টস অনুষ্ঠান, আরো কত অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেয়া ডিসিদের কাজ না। তাঁদের পোস্ট হলো ম্যানেজমেন্টাল। তাঁরা সরকারি চাকর। বক্তৃতা দেবে জনপ্রতিনিধি, বক্তৃতা দেবে সাধারন মানুষ, বক্তৃতা দেবে বিষয় সম্পর্কে যাদের ধারনা আছে।
জনগন কি এইসব সরকারি কর্মকর্তাদের কম দিয়েছে? দেশের সাধারন জনগন ফুটপাতে ঘুমিয়ে হলেও, তাদের বিশাল বড় অট্টোলিকায় থাকতে দিয়েছে। তাদের বডিগার্ড, সিকুরিটি গার্ড, ফুলের বাগানের মালি, দামি গাড়ি ও ড্রাইভার দিয়েছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি পাওয়া। আজ তারা ভুলে গেছে একসময় তাদের চিৎকার করে বই পড়ে বিসিএস পরীক্ষা দিতে হয়েছিলো। ক্ষুধা পেটে স্যাতস্যাতে পরিবেশে থেকে লেখাপড়া করে পরীক্ষার প্রস্ততি নিতে হতো। আজ পেটের ক্ষুধা মিটেছে ঠিকই, কিন্ত মনে মনে ক্ষমতার লোভ এমন ডেঞ্জেরাস পজেশনে চলে গেছে যে, আজ তারা জনপ্রতিনিধিদেরও তাদের গোলাম মনে করছে। একজন জন প্রতিনিধি হবার সাধনা কি আপনাদের ঐ বিসিএস পরীক্ষার থেকে কম? আজ বাধ্যতামুলক অবসর দিয়ে যদি কোনো ডিসিকে জনপ্রতিনিধি হবার পরীক্ষা নেয়া হয়। তাহলে কি হবে? যা হবার তাই হবে। গ্রামের মানুষ তাদের কথা শুনেও বিরক্ত হবে আর ভোট তো বহু দুরের ব্যাপার।
এসব কর্মকর্তারা কিসের শিক্ষিত? এদের মুখের ভাষা শুনেছেন? আমরা ভাষাজ্ঞানে ভুল করে এসব কর্মকর্তাদের বদলে রিকশাওয়ালাদের নাম বসিয়ে দেই। যেমন করে গম চুরির দায় পরে কোনো সহজ সরল কাউন্সিলর, মেয়র, চেয়ারম্যানের ঘারে।
আমাদের দেশে যে টাইপের গনতন্ত্র প্রচলিত বা বর্তমানে প্রতিষ্ঠিত আছে। তাতে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা অনেক বেশি। প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতাকে একটি পাওয়ার হাউজের সাথে তুলনা করা যায়। যেখান থেকে তিনি পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন করা হয়। একজন প্রধানমন্ত্রীর সবথেকে ইম্পর্টেন্ট কাজ হলো সঠিক ভাবে পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন করার মেধা ও জ্ঞান। এটুকু ঠিক ভাবে করতে জানলে দেশ অটোপ্রমোশনের দিকে যাবে।
এতোসব তেলবাজ, অত্যাচারি, ঘুসখোর, দুর্ণীতিবাজ, বেহায়া সরকারি কর্মকর্তা নিয়ে কোন সাহসে ভিষন ২০২১ ঘোষনা করা হয়? ২০২১ দরকার নেই। আগে পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন ঠিকঠাকভাবে করতে শিখুন দেখবেন ২০২১ এর বহু আগেই আমরা অনেক উন্নত হতে পারবো।
বন্ধু! বাংলাদেশ রাষ্ট্র ব্যবস্থার বড় একটি গ্যাপ দেখা যায় ম্যাজেস্ট্রেন্সি পাওয়ার নিয়ে। স্বরাষ্ট মন্ত্রনালয় পরক্ষ ভাবে আইন মন্ত্রনালয় ও বিচার বিভাগ দিয়ে প্রতিদিন অপমানিত হয়। নিজেরা নিজেদের সারাজীবন অপমান করলে কার ভালোলাগে বলুন?
“বাংলাদেশ পুলিশ” এক হিসেবে একটি পঙ্গু বাহিনি করে রাখা হয়েছে। পুলিশের অসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) ও এস.সি.দের কতটুকু ক্ষমতা দেয়া আছে? আর সেই তুলনায় সিভিল হয়েও ম্যাজেস্ট্রেট, টি.এন.ও., ডিসি, এডিসিদের ক্ষমতা অনেক বেশি। এতো বেশি এক্সিকিউশন ক্ষমতা তাদের থাকা উচিত না। এগুলো দেশের স্বাভাবিক পরিবেশ রক্ষার জন্য শত্রু।
বন্ধু! আজ যদি অসিদের মেজেস্ট্রেন্সি পাওয়ার দেয়া হতো তাহলে কি বহু মানুষের জীবনে স্বস্তি আসতো না? পাড়া, মহল্লা, এলাকা, গ্রাম, শহরের বহু সাধার ঘটনাকে নিয়ে টানা হেচরা করা লাগে। এই দোষ কি পুলিস প্রশাসনের? যে বিবাদ এক জায়গায় বসে মিটানো সম্ভব, সেই ঝামেলা সরাসরি চলে যায় চালান নামক ঘটনার মধ্য থেকে। এখানে কারা আসলে লাভবান হচ্ছে? সত্যিকার অর্থে কোনো পক্ষই না। সবাইকে অতিরিক্ত বোঝা নিতে হচ্ছে। সেই সাথে সবথেকে বেশি কষ্ট পাচ্ছে আমার দেশের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ।
বাংলাদেশ আর্মির কোনো একটি টিমকে বা কোনো একটি পজিশনকে যদি স্থায়ীভাবে ম্যাজেস্ট্রেন্সি পাওয়ার দিয়ে রাখা হতো তাহলে কি আমাদের সুবিধা হতো না?
খাদ্যে ভেজাল, ভেজাল ঔষধ, রেজিস্ট্রেশন ও ডাইভিং লাইসেন্স বিহিন স্থল জান ও নৌজান, বি.এস.টি.আই., কন্সস্টাকশন সেক্টর ইত্যাদি সব জায়গার অনিয়ম দুর করতে মেজিস্ট্রেন্সি পাওয়ার মোবাইল কোর্ট সাজানো ছাড়া উপায় নাই। আর সেই ক্ষমতা যদি ওসি/এএসপি/এআইজি ও সেনাবাহিনীর টিমকে দেয়া হয়। তাহলে কি আমরা সুন্দর ভাবে অনেক সমস্যা স্থায়ী ভাবে মিটাতে সক্ষম হতাম না?
মানুষ পুলিশকে ভয় পায়, তাদের সামাজিক স্টাটাস আজ প্রশ্নবিদ্ধ। যে ঘুস খায় না, তাকেও ঘুসের বোঝা মাথায় নিয়ে মারা যেতে হয়। পুলিশ কি করবে? যদি তাঁদের হাতে ম্যাজিস্ট্রেন্সি জাজমেন্টের ক্ষমতা থাকতো তাহলে তাদের টাকার বিনিময়ে গোপনে আসামি ছেড়ে দেয়া লাগতো না। শুধু উপরস্থ সৎ কর্মকর্তাদের চাপে পুলিশ বাহিনি জীবন পেতো।
রাজারবাগ সহ বাংলাদেশ এর পুলিশ লাইন, পুলিশ ফারিগুলো অবস্থা দেখেছেন? ওখানে কি মানুষ বাস করার মতো পরিবেশ আছে? ডিসিরা থাকবে সেমি বেহেশত মার্কা বাড়ীতে আর আমর দেশের সোনার সন্তানরা ওদের চাকর হয়ে। সারারাত ঘামে ভেজা ঘাম বিনিময় করে, মশার কামর খাবে।
আমি বরিশাল পুলিশ লাইনের পাশ দিয়ে যাবার সময় দেখেছি। দেখেছি পুলিশ মেসের জানালার তারকাটা ছুটে গিয়ে কপাট হেলে পড়েছে। দু’টি তারকাটার দাম কতো? একজন এসে মেরে দিলেই শেষ। এজন্য দায়ি উর্ধতন কর্মকর্তা। তারা নিজেরা নিজেদের পরিবেশকেও ঠিক করতে জানে না। তাইতো বিল্ডিং রিপেয়ারের নামে কোটি কোটি টাকা লুটপাট হবার সুযোগ থেকে যায়। প্রতিটি সরকারি কর্মকর্তাদের সেলফ ডিফেন্সিভ হতে হবে। নিজের টেবিল চেয়ার মোছার জন্য পিয়ন নিয়োগ দেয়া হয় নি। পিয়ন আপনাদের চাকর না। পিয়ন হলো পরিবাহক ও সাহায্যকারি। এই গ্যাপটুকু রেখে চলতে হবে। নিজেদের যেমন রুটিন ওয়ার্ক ঠিক করে নেবেন, ঠিক তেমনি পিয়ন বা ফোর্থ ক্লাস ইমপ্লোয়ার দের রুটিন ওয়ার্ক ঠিক করে দিবেন। নিজেদের কাজের বাহক হবে পিয়ন। তাদের আপনারা আপনাদের ঘুষের বাহক করে রেখেছেন। তাহলে পিয়ন কার? জনগনের নাকি ঐ সব দুর্ণীতি গ্রস্থদের?
আমাদের দেশের প্রতিটি জেলায়, উপজেলায় ডিসি, এসপি, এডিসি, জজ, টিএনও দের সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত বাড়ি গুলো দেখলেই বোঝা যায়, কারা যেনো আমাদের উপর উপনিবেশ শাসন চালাতে চায়। ঐ সব বাড়িগুলো স্পেস কমিয়ে, অন্যান্য কর্মকর্তাদের জন্য কোয়াটার তৈরি করে দেয়ার ব্যাবস্থা গ্রহন করুন। জেলায় নতুন কোন কর্মকর্তা/কর্মচারি পোস্টিং নিয়ে অথবা ট্রান্সফার হয়ে এলে তাদের জন্য অস্থায়ি রেস্ট হাউজ স্থাপন করুন। যাতে দু’চার রাত কাটাতে পারে। বাকি সময় বিডিং হিসেবে ভাড়া দিবেন। নতুবা বঞ্চিত মানুষ ওদের মহলে রাত কাটাবে।
পুলিশ ও আর্মির যাদের ম্যাজেস্ট্রন্সি পাওয়ার দেয়া হবে। তাদের কাজের স্বচ্ছতার জন্য ডিজিএফআই ও সিআইডির প্রশিক্ষিত বিশেষ গোপন বাহিনি কাজ করবে। যা সরাসরি রাস্ট্রপ্রধান ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌছে যাবে। কোনো অনিয়ম পাওয়া গেলে সাথে সাথে চাকুরী নট। নো এক্সকিউজ। বিরধী দল উপভোগ করবে কিন্তু সরকারের এই অবস্থান নিয়ে কোনো ব্রিফিং বা হানিকর কথা বলতে পারবে না। যদি বলে মিডিয়া তা স্কিপ করবেন।
ডিসি কোর্ট, ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট স্থায়ী ভাবে চিরতরে বিলুপ্ত করা দরকার। যারা টাকার/ঘুসের বিনিময় আসামী ছেড়ে দেয় তাদের থেকেও বেশি ভয়ঙ্কর যারা নিরিহ সাধারণ মানুষকে দিনের পর দিন ঘুরিয়ে, টাকা/ঘুস তো নেয়ই, সেই সাথে সঠিক বিচারও করার যোগ্যতা নাই। দেশে কতো কি ট্রাইবুন্যাল, বেঞ্চ, বিডিআর বিচারালয় ইত্যাদি নতুন নতুন কোর্ট তৈরি হয়। এগুলো স্থায়ী নয়। স্থায়ী কোর্ট হিসেবে পুলিশ কৃমিনাল কোর্ট স্থাপন করা দরকার। হত্যা ও দেশদ্রহী কেস ছাড়া বেশিরভাগ ফৌজদারী কেস পুলিশ কৃমিনাল কোর্টে নিস্পত্তি হবে। সাজার ক্ষেত্রে অর্থদন্ডে প্রধান্য দিতে হবে। এতে সরকারের আয় হবে। আবার জেল খানার কয়েদিদের বেচে খাওয়া জেলার সাহেবের ভুরিও কমবে। ঘুস কমতেও বাধ্য।
ম্যাজেস্ট্রটদের গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কর্মকর্তা ম্যানেজমেন্ট বলয়ে স্থাপন করা হবে। তারা বিচার নিয়ে মাথা ঘামাবে না। দেশের উন্নয়নে নিজেদের চাকুরী জীবনকে ধন্য করে নিবে। রিটার্ডের পর হাসিখুশি জীবন কাটাবে। জীবনের প্রকৃত আনন্দ পাবে বলে আমার ধারনা নয়, আমার বিশ্বাস।
আমার কথা শুনতে হবে। যখন একজন মেম্বর অব পার্লামেন্ট বিনা সুল্কের গাড়ীতে চরে বা আমদানি করেন, তখন এই কাজের গিবতকারী বাংলাদেশ ব্যাপি দেখা যায়। ডিসি সাহেব যে দিনের পর দিন সরকারি বিলাসবহুল গাড়ী ব্যাবহার করেও দেশের সাধারন মানুষের সাথে বেঈমানি করে চলছে, গাড়ীর সাথে গাড়ীর তেল চুরি ও মেরামত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সেই লজ্জ্বা আজ আমি আমার ঘারে করে নিয়ে নিলাম। আপনারা এখন থেকে ভালো হয়ে যান। যারা দেশের সাধারণ জনগনকে ধোকা দেয়, তাদের বড় পরিচয় তারা বাঙালী না। আর ননবাঙালীদের অত্যাচার কেনো আমরা সহ্য করবো। দেশ স্বাধীন করেছে কারা? ঐ উপনিবেশ মার্কা এলিট সোসাইটি নাকি আমাদের মতো নিরিহ সাধারন মানুষ? তাহলে কেনো মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিলো? তাহলে কেনো আমার নিরিহ নিরঅপরাধ নানাভাইয়ের জীবন দিতে হয়েছিলো?
মেম্বর অব পার্লামেন্টদের এক্সিকিউশন পাওয়ার ও ডিসি, টিএনও সহ আমলাদের এক্সিকিউশন পাওয়ারের সাথে সাংর্ঘষিক অবস্থান থাকবে? এই যাতাকলের মধ্যে উপজেলা পরিষদ আর ইউনিয়ন পরিষদ ও দোটানায় পড়ে যায়।
ক্ষমতাসিন দলিয় চেয়ারম্যানদের আক্কেল জ্ঞান কেমন? তাদের দলিয় সংসদদের নিয়ে সংসদের বাইড়ে আলাদা ভাবে প্লান-পরামর্শ করে না কেনো? ক্ষমতা না থাকা অবস্থায় আমলাদের অবস্থান কি হয় তা আজ তারেক রহমান ও খালেদা জিয়ার চেহারার মধ্যে ফুটে ওঠে। চাটুকার ও তোষামোদকারী দেশের বোঝা তো বটেই, সেই সাথে এই মর্মে সংবিধিবদ্ধ সতর্ক করা হলো “চাটুকর তোষামদকারি চামচারা দেশে ও মানুষের জন্য ক্ষতিকর, এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মৃত্যুর কারণ”। যা সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে লেখা থাকে। দেশ বিদেশের সব সিগারেটের প্যাকেটে যা যা লেখা থাকে ও আঁকা থাকে তার প্রতিটি গুন এই সব চামচাদের মধ্যেই আছে। সুতারং নো স্মোকিং এ্যান্ড কিল স্মোকিং।
বন্ধু! বিশ্বাস করুন আমি কোনো দল ব্যাক্তি বা সরকারের সমালোচনা করছি না। আমি শুধু অনিয়মের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। আপনারা সকলেই আমার সংগী। আপনারা আমার হামসফর। আপনারা আমার মিতা। এজন্যইতো আজ আমাদের মিতালি সাগরের ঢেউয়ের থেকেও শক্তি শালি হয়ে উঠেছে। স্রষ্টা নিজেও আজ কেঁপে কেঁপে আমাদের পক্ষে চলে এসেছেন। তিনি আপনার ও আমার বিষয়ে সর্বদা জ্ঞাত আছেন।
অনিয়ম সিস্টেমের দেশের টাকা দিয়ে আমি কি করবো? টাকা দিয়ে কি কিনবো? ভেজাল। সিস্টেম ভ্যাজাল বলেই এই সব ভ্যাজাল মহামারীর দেখা মিলেছে। পৃথিবীতে এসেছি কি ভ্যাজাল খাবার গ্রহন করে, ভ্যাজাল মোনাফেকি ও গিবত মার্কা কথা শোনার জন্য। পৃথিবীতে এসেছি কি টিটকারি, তোষামোদি দেখার জন্য?
কোন বা কার সাহসে ডিসিরা জনপ্রতিনিধিদের বাধ্যতামুলক অপসারনের ক্ষমতা চায়? আর এর বিচার করার মতো যে আমি আছি, তা তারা একবারের জন্যও মাথায় আনলো না? আজ “জয় বাংলা” স্লোগানের আড়ালে “জয় অহংকার” শব্দটি এসে গেছে। সেই জয় বাংলাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে হবে।
বন্ধু! আমাদের দ্রুত এই সব কাজ করতে হবে। মেম্বর অব পার্লামেন্টগন দ্রুত বিল তৈরি করুন। চিপ-হুইপ, হুইপ, দলিয় চেয়ারম্যান ও সাধারন মানুষের সাথে আলোচনা করুন। আমি যা বলেছি তা করতে হবে। আমি আমার ভালোর জন্য অর্ডার দিচ্ছি না। আমি আপনাদের ভালোর জন্যই কথা বলি। উপজেলা পরিষদের দ্বায়-দ্বায়িত্ব ঠিক করে দিন। প্রয়োজনে উপজেলা পরিষদ কে বিভেদ মেটানো, জমি সংক্রান্ত সমস্যা ও সালিসি কোর্টের ক্ষমতা প্রদান করা যাবে। এগুলো নিয়ে ব্যাস্ত থাকলে ওরা সাংসদ ও জেলা-উপজেলা দলিয় কমিটির সাথে ঝামেলা বাধাবে না। মধ্যবর্তি শ্রেনি ঐ ডিসি আমলারা। তারা খাদ্য পন্যের মনোপলি খেলোয়ার স্টক ব্যবসায়ীদের মতো। ওদের দোষ নেই। দোষ আইন ও সংবিধানের। এই কারনেই মেম্বর অব পার্লামেন্টদের আইন প্রনয়নের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। এম.পি.দের আইন প্রনয়নের প্রতি মনোযোগ নেই। তাদের মনযোগ যে দিকে তার কথা আমি মুখে বলতে চাই না, আপনারা বুঝে নিন।
যখন মেম্বর অব পার্লামেন্টরা বিপথে যায় তখন তাদের ম্যানেমেন্টাল হেড দলিয় চেয়ারম্যানকে সব ম্যানেজ করে নিতে হয়। যদি মেম্বর অব পার্লামেন্টদের সাথে দলের চেয়ারম্যানরা এতো গ্যাপ রাখেন তাহলে কোন যোগ্যতায় দলিয় চেয়ারম্যানের পদে বোঝা হয়ে বসে আছেন? পদ ছেড়ে দিন নতুবা পদে থেকে ম্যানেজমেন্টে দক্ষ হয়ে উঠুন। দেশের ক্ষমতাসিন দল কোনো লিমিটেড কোম্পানি না। যে ম্যানেজমেন্টের চ্যায়ারম্যান অনেক বেশি দুরে থাকবে। দলের প্রানশক্তি মেম্বর অব পার্লামেন্ট, গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের দুরে রেখে কোনো পলিটিক্যাল পার্টিই সফল হয়েছে। তাঁদেরকে আপন জনের থেকে বড় আপনজন ভাববেন। তাঁরা নির্বাচিত না হলে আপনারা প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন না। মেম্বর অব পার্লামেন্টকে কেনো লবন চোরা, আটা চোরা, গম চোরা, ছাতু চোরা, রিলিফ চোরা, দুম্বার মাংস চোরা বলে মানুষ গালি দেবে বা অপবাদ লাগাবে? এইসব চুরির কাজ কি এমপির হাতে নাকি লোকাল গভমেন্টের হাতে। মধ্যখান থেকে ডিসি, টি.এন.ও. চুরি চামারি করে জনপ্রতিনিধিদের মাথায়ো দোষ মুছে, ট্রান্সফার হয়ে, অন্যকোনো জেলায় গিয়ে নিজের সন্তানকে জেলাস্কুলে ভর্তি করতে ছুটে যায়। শুধু সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য জেলা স্কুলের সিট বরাদ্দ থাকবে? অন্যরা কি মানুষ না?
আমি ক্লাস সিক্সে ভর্তির জন্য ঝালকাঠি গভমেন্ট স্কুলে ভর্তি পরিক্ষা দিতে গিয়েছিলাম। ইচ্ছে করেই পরিক্ষায় ঊর্ত্তিন হই নি। বাসায় বকা খেয়েছি। তারপরও আমি যে স্কুল পছন্দ করি নি, সেই স্কুলে ভর্তি হই নি। মাঝে মাঝে মনে হয় যে লেখাপড়া করেছি। তা না করলেই হয়তো ভালো হতো। এত চোর বাটপারের মধ্যে বসবাস করার থেকে গ্রামে গিয়ে কৃষিকাজ করাও ভালো। চোখের সামনে এতোবেশি চোরের চেহারা দেখার দরকার হবে না।
পুলিশ কৃমিনাল কোর্টে দুটি অপশন থাকবে। একটি হলো আপোষ মিমাংসা। আর একটি হলো সাধারন ফৌজদারি মামলা নিষ্পত্তি। আপস মিমাংসার জন্য ৩ (তিন) কার্যদিবসের বেশি সময় নেয়া যাবে না। আপস মিমাংসার নামে একাধিক তারিখ বা দিন সময় নষ্ট করা যাবে না। অর্থাৎ স্পট রেজাল্ট আসবে। আপোষ মিমাংসার রায়ের উপর কোনো ধরনের আপিল প্রযোজ্য হবে না। আপোষ মিমাংসার জন্য ফি ধার্য হবে। এই ফি ও অর্থদন্ড প্রদান করা হলে, সেই অর্থ সরাসরি সরকারি সংশ্লিষ্ট খাতে জমা দিতে হবে।
আর ছোট সাধারন ফৌজদারি মামলা। যার একটি বড় অংশ আসবে বর্তমান নিন্ম আদালত থেকে। আর যে সব পুলিশ ক্রিমিনাল কোর্টে দায়ের হবে। এসব মামলায় বৈধ উকিল/এ্যাডভোকেট নিযুক্ত করা যাবে। এখানে মামলা নিস্পতি হবার পরে কোনো আবদার থাকলে তা নিন্ম আদালতে আপিলযোগ্য বলে বিবেচিত হয়ে, স্বাভাবিক গতি প্রবাহ থাকবে। পুলিশ কৃমিনাল কোর্টে দায়ের কৃত মামলা ৪০ (চল্লিশ) কার্য দিবসের মধ্যে নিস্পতি করার বাধ্যবাধকতা থাকবে। নতুবা এর দ্বায় যাবে রায় প্রদান করা পুলিশ কর্মকর্তার ঘারে। একারনে কোনো সোকাস করা হবে না। সরাসরি অন্য সেক্টরে (এসবি, লাইন/ জেল পুলিশ ইত্যাদি) ট্রান্সফার করা হবে। চর্জশির্ট ও গভির তদন্তের জন্য কোনো আলাদা সময় দেয়া যাবে না। এই মামলার রায় প্রদানে সর্বোচ্চ ৪০ (চল্লিশ) দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ দুটি রায়ের তারিখ/জাজমেন্ট ডেট প্রদান করা যাবে। এর ভিতরেই সুনানি ও রিমান্ড সম্পন্ন করা হবে। প্রয়োজনে পুলিশ বাহিনিতে সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে। একাধিক এএসপি এক থানায় থাকবে। এএসপি(বিচার) পুলিশ কৃমিনাল কোর্টে জজের ভূমিকা পালন করবে। বিচার কালিন সময় বিচারককে অবশ্যই বাহিনির ড্রেস পড়ে নিতে হবে। ওসিদের মোবাইল কোর্ট পরিচালনার ম্যাজেস্ট্রেন্সি পাওয়ার দেয়া হবে। এই সব মোবাইল কোর্ট সরাসরি অর্থদন্ড, মালামাল জব্দ, গাড়ি/বাহন যব্দ ও গ্রেফতারের ক্ষমতা সহ যা যা দরকারি সব ক্ষমতা থাকবে। আমি আর দেখতে চাই না, যে ডিসি অফিসে, টি.এন.ও. অফিসে, ম্যাজেস্ট্রেটের কার্যালয়ে জেলখানার গাড়ী প্রবেশ করুক। সরকারি ম্যানেজমেন্টের জায়গায় জেলখানার গাড়ী কেনো থাকবে?
এমন ভাবেই সামরিক বাহিনির কিছুলোক মোবাইল কোর্ট নিয়মিত পরিচালনা করবেন এবং তারা ম্যাজেস্ট্রান্সি ক্ষমতা প্রাপ্ত হবে। এই মোবাইল কোর্টের গ্রেফতারের ক্ষমতা থাকবে না। তারা পুলিশের হাতে আসামি তুলে দিতে বাধ্য থাকবে। পুলিশ ওখান থেকে পুলিশ কৃমিনাল কোর্টে স্বাভাবিক বিচার করবেন।
বন্ধু! আমাদের আর বসে থাকলে চলবে না। আমাদের আইন প্রনেতা সংসদ সহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধিরা সবাই পরোক্ষ ও প্রতক্ষ্য ভাবে এরকম বিরক্তিকর পরিস্থির শিকার হয়েছিলেন। এখন আইন প্রনেতারা আই প্রনয়ন করবেন আর আমলারা তাদের প্রাপ্ত ক্ষমতা সংসদ থেকে বুঝে পাবেন। এতে আমলারা কলঙ্ক মুক্ত হবে। আর জনপ্রতিনিধিরাও সস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারবেন।
বন্ধু! আপনারা দেখতে পাচ্ছেন যে, আমি কতো প্রতিকুলতার মধ্যেও নিজের কাজকে ভুলে থাকি নি। আপনারা কেনো পারবেন না? আপনাদের তো সবই আছে। একটি কলমের খোঁচায় যদি আমলারা কোটি কোটি টাকা লুটপাট করতে পারে। তাহলে আপনারা কেনো পবিত্র সংসদ ভবনে জনগনের চোখের সামনে বসে আইন প্রনয়ন করে জনগনকে শান্তি দিতে পারবেন না?
আমি শুধু এটুকু দেখাতে চেয়েছিলাম, দেশের জন্য ভালো কিছু কাজ করতে গেলে সংসদ সদস্য, বড় আমলা, বড় ব্যবসায়ী হতে হয় না। শুধু দেশের মানুষের প্রতি অন্তরের টান থাকলেই হয়। অন্তরের টান মানুষের শ্রেষ্ঠ পূজি। আর এই অন্তরের টানের অন্য নাম প্রেম।
আপনাদের সবার প্রতি আমার এভারগ্রীন প্রেমের শুভেচ্ছা ছুড়ে মারলাম। আল্লাহ্ আপনাদের সহায় আছেন।
https://www.facebook.com/asif.ud