নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ

আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজনৈতিক দলের কার্যালয়

১৭ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:২৪

বালাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি সহ আরো যারা আছেন সবাইকে আমার আন্তরিক প্রীতি, শুভেচ্ছা, সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন করছি। পৃথিবীর প্রতিটি রাজনৈতিক দলের প্রতি আমার ভালোবাসা জ্ঞাপন করছি।



ভেবে নিন, সুন্দর একটি করিডোর বেষ্টিতো ভবনের নকশা করা হয়েছে। অনেক চিন্তা ভাবনা করে সত্যিকারের সৃষ্টিশীল কোনো আর্কিটেক্ট ভবনের ডিজাইন করছে। সেই আর্কিটেক্ট যে নির্দলীয় নিরাপক্ষ মানুষ হতে হবে এমন কোনো কথা নেই। এবার ভাবুন বিল্ডিং/ভবন এরিয়ার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বেশিদিন সময় লাগে নি। একই ডিজাইনের ৬৪ (চৌষট্টি)টি ভবন। যার অবস্থান দেশের প্রতিটি জেলা সদরে। আশেপাশে ফুল ফুটে আছে। পরিষ্কার পরিছন্ন। নিরিবিলি ও সুন্দর পরিবেশ। প্রতিটা বিল্ডিংয়ে একই রাজনীতিক দলের পতাকা উড়ছে। সেই সাথে বাংলাদেশের পতাকাও উড়ে উড়ে আকাশ-বাতাসকে কি যেনো বোঝাতে চাচ্ছে। ৬৪টি ভবন একই সাথে একই কর্মঘন্টার মধ্যে কাজ সম্পন্ন হয়েছিলো। প্রাথমিক পর্যায়ে ৬৪টি জেলা সদরে ৬৪টি ভবন নির্মিত হলো। পরবর্তিতে প্রতিটি সংসদিয় আসনে ১টি সেইম ডিজাইনের ভবন নির্মিত হবে।



উদাহরন স্বরূপ, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, জাতিয়তাবাদি দলের ৬৪টি জেলার ৬৪টি কার্যালয় হয়ে গেছে। দুই ভবনের ডিজাইন দু’রকম। সামনে পাথর দিয়ে বঙ্গবন্ধু মুজিব ও জিয়ার মুরতী, প্রতিকৃতি ইত্যাদি।



এই জিনিসটা একদম জরুরী হয়ে গেছে। দলগুলোর তৃনমূলে যে পরিমান গ্যাপ ও ঝামেলা বেধে আছে, তা সত্যিই অস্বাভাবিক। সবাই কেমন যেনো পাক খেতে খেতে নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছে। দলীয় কর্মসূচিতে মন নেই। সাজানো গোছানো কর্ম পরিবেশ ছাড়া বেশিদিন কাজ করা মুসকিল। আমি একা বলে পারছি। বেশি মানুষ হলে পারতাম না। তারপরও যেটুকু ঝামেলা আসে তা আপনাদের সুন্দর সময় দেখে মেনে নেই।



প্রশ্ন হলো প্রতিটি ভবনের নির্মান খরচ কতো হতে পারে? এভাবে চৌষট্টি টি ভবন করতে কতো টাকা লাগবে? সেই হিসাব আগে বেড় করতে হবে। এর ভিতরে জমি কেনার টাকারও দরকার হবে হবে। দলের নামে ট্রাষ্ট করে সেই জমি রেজিস্ট্রি করা হবে। ট্রাস্টি বোর্ড নিজেরা বসে দ্রুত নির্ধারন করে নিন। ৬৪টি কার্যালয়ের কোনো জমি ডিসপুট মুক্ত হতে হবে। জোড়-জবরদস্তি করে, কলহ প্রবন, সীমানা নিয়ে গন্ডগোল, খাস জমিতে দলিয় কার্যালয় নির্মান করা যাবে না। দলিয় কার্যালয় একটি পবিত্র স্থান। এখানের প্রতিটি ইউনিট হবে কলংকমুক্ত। যাতে কেউ কোনোদিন কিছু বলতে না পারে।



অর্থের সংস্থাপন হবে দলের ভিতর থেকে। আগে ট্রাস্টের ফান্ডে ৬৪টি ভবন তৈরির টাক ৩ (তিন) মাসের মধ্যে জমা করতে হবে। দলের প্রতি ভালোবাসা থাকলে এই টাকা ও স্ট্রাকচার প্লান করতে আরো কম সময় লাগার কথা। রাজনীতিকদের চোখের সামনে কম টাকা লুটপাট ও ঘুস আকারে উড়ে উড়ে গেছে। সেই তুলনায় এই ৬৪টি দলিয় কর্যালয় নির্মান ব্যয় খুব সামান্য পরিমান বলেই মনে হওয়া স্বাভাবিক। যে পেশা থেকে দল ও মানুষের প্রতি বেশি ভালোবাসার প্রকাশ দেখানো যায়। সেই দলের কার্যালয় সুন্দর করতে সবাই এগিয়ে আসবেন। দলিও ডোনার তো বিবেক করে যে পরিমান অর্থ দিতে পারেন। তা দলিয় ট্রাস্টের ফান্ডের একাউন্ট নম্বরে পৌছে দিবেন। যারা কোন দলের উপরপর্যায়ের পদে আছেন তারা যে যা পারেন তাই দিয়ে দলিয় কার্যালয় নির্মানে এগিয়ে আসবেন। যাদের হাতে নগদ টাকা নেই। তারা তাদের কোনো বাগানবাড়ী, রেস্ট হাউজ বা অন্য এক বা একাধিক জমি বিক্রয় করে দলিয় কার্যালয় গড়ার জন্য অবদান রাখবেন।



যারা এই কার্যালয় গড়ার কাজে অর্থ দিবেন। তাদের নাম প্রতিটি কার্যালয়ের নিচে স্থায়ী ভাবে টানানো থাকবে। টাকার পরিমানের ভিত্তিতে এই লিস্ট হবে না। এই লিস্ট হবে, “আগে আসলে আগে পাবেন” ভিত্তিতে।



প্রতিটা কার্যালয়ের নির্দিষ্ট জায়গায় ক্যান্টিন থাকবে। উন্নত খাবার পরিবেশন করা হবে। প্রতিটা দলিয় কার্যালয়ে দলের কাউন্সিলিং টিম থাকবে। তাদের কাজ হবে সদস্য সংগ্রহ করা ও দলের আদর্শ, চেতনা এবং আগামীর স্বপ্নগুলো বাস্তবতার আলোকে প্রকাশ করবেন।



প্রতিটি দলিয় কার্যালয়ে কমপক্ষে ১০টি একই রকম রুম থাকবে। যাতে দশজন নেতা/সাংসদ আলাদা রুমে অবস্থান করে নিজ এলাকার লোকজন নিয়ে মানব কল্যানে নিজেদের নিয়োজিত করতে পারে। ১০টি রুমের ভ্যালু হবে সমান সমান। কোনো প্রকার ক্রোন্দল বা স্পেশাল/ভেরি ভেরি স্পেশাল রুম বা কার্যালয় বানানো যাবে না। প্রতি দশটি রুম যদি ভরাট করা যায় তাহলে সারাদেশে উচমানের ৬৪০জন নেতা তৈরি হবে। নির্বাচনের আগে তারা কমন রুমে বসে দলিয় মনোনয়ন টিম, দলিয় কর্মিদের গোপন ভোটে ও যোগ্যতার ভিত্তিতে (এ যোগ্যতা শিক্ষাবোর্ডের শিক্ষাগত যোগ্যতা না) দলিয় মনোনয়ন দেয়া হবে। অন্য সবাই ঐ প্রার্থিকে মেনে নিতে বাধ্য থাকবেন। এবং নির্বাচনে জয়লাভের জন্য সর্বাত্তক চেষ্টা করবেন।



যারা স্থায়ীভাবে ও অস্থায়ীভাবে দলিয় কার্যালয়গুলোতে কাউন্সিলিং এ নিযুক্ত থাকবেন। তাদের ঐ কাজকে কর্মসংস্থান হিসেবে গন্য করা যাবে। প্রতিমাসে ওদের বেতন প্রদান করা হবে।



বন্ধু! প্রতিটা দলিয় কার্যালয় হবে ডিজিটাল সুবিধা যুক্ত। প্রতিটি কার্যালয়ে বসে দলের সদস্যর ডাটা এ্যান্টি করা হবে। পরে একই ডাটাবেইজে সব ডাটা অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এই সব পিসি থাকবে ইন্টারনেন ছাড়া। যাতে দলের অভ্যন্তরিন ডাটা দেশি/বিদেশি গোয়েন্দা নজরদারির বাইড়ে থাকে। আর কিছু পিসি থাকবে ইন্টারনেট সংযুক্ত। প্রতিটি কার্যালয়ের একেকটি ফেসবুক অফিসিয়াল ফ্যান পেইজ থাকবে। দরকার হলে ওয়েবসাইটও থাকবে। নির্দিষ্ট কিছু কন্টাক নম্বর থাকবে। যাতে দলের কোনো সদস্য বিপদে পরলে হট-লাইনে ফোন দিয়ে, দলের সাহায্য পেতে পারে।



দলিয় কাজ ছাড়া অন্যকোনো পেশাগত কাজ দলিয় কার্যালয়ে বসে করা যাবে না। যেমন ডাক্তারের চেম্বার, উকিল-ব্যারিস্ট্রারের পরামর্শখানা ইত্যাদি। প্রতিটা কার্যালয়ের নির্দিষ্ট ফান্ড দিয়ে অসহায়-গরিব বা বিপদে পরা গরিব সদস্যদের ঋণ দেয়া হবে। যা সুদ বিহীন সহজ কিস্তির মাধ্যমে পরিশোধ করা যাবে।



বন্ধু! আজকের এই আয়োজনকে আপনারা কোনো ভাবে ব্যার্থ স্বপ্ন ভেবে ভুল করবেন না। আমাদের এই সময় যদি দলগুলোর ম্যানেজমেন্ট ও দলিয় কার্যালয়গুলো ঠিক না করা যায় তাহলে রাজনীতি বড় রকমের ক্ষতি গ্রস্থ হবে। সরকারি ও বিরোধীদলের বাইড়েও অন্য এক বা একাধিক শক্তি দেশ নিয়ে খেলা করার সুযোগ পাবে। আমাদের বুঝতে হবে এন.জি.ও. গুলোর শাখা অফিসের অভাব নেই। যদি অন্য কেউ রাষ্ট্রিয় ম্যানেজমেন্টের উপর ভাগ বসায় তাহলে দেশে শান্তি আসবে না। তাছাড়াও এই মুহূর্তে রাজনিতিবিদদের একটি বিশাল বড় খড়া চলছে। বলতে পারেন প্রকৃত রাজনীতিবিদদের আকাল পড়েছে। সেই সাথে একটি আধপাকা অতিচালাক জেনারেশন গ্রো করেছে। আমরা যদি সময়ের সাথে গ্রহনযোগ্য নেতৃত্ব গঠন করতে ব্যার্থ হই। তাহলে কপালে দুর্ভোগ আছে। এমন না যে, আমি কোনো রাজনীতিক দলের সদস্য বা আমি কোনো দলের কাছে সংস্কারপন্থি। আমি আপনাদের উপকার করার জন্য হাত বাড়িয়েছিলাম মাত্র। যদি কারও দরকার হয় আমি উপকার করবো, প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেব। কিন্তু কোনো দলের সদস্যপদ কখনও দাবি করবো না। বা নিজেও কোনো দল গঠন করবো না। আমি আপনাদের পাশে দাঁড়াতে চাই মাত্র। আপনারা নেতৃত্ব চালিয়ে যান। আমি আপনাদের পশে চিরকাল আছি। আমার কাছে কোনো দল বড় নয়। আমার কাছে ব্যাক্তির ব্যাক্তিত্ব অনেক বেশি মুল্যবান। আমি ঐ টুকুই আপনাদের মধ্যে দেখতে চাই। এই সামান্য চাওয়াকে আপনারা যদি দৃষ্টতা ভাবেন। তাতে অসুবিধা নাই। তবুও আমার কথা শুনুন ও এক্সিকিউশন করুন। এভাবেই সবার মঙ্গল হয়।



বন্ধু! প্রতিটি কার্যালয়ে কোনো প্রকার নিজ এলাকা/মহল্লার গরম চলবে না। যে ১০জন ১০টি চেয়ার দখল করে থাকবে তাদের এখানে আসতে হবে রাজনীতি দিয়ে, কোনো প্রকার টাকা ও পেশিশক্তির জোড়-জবরদস্তি চলবে না।



কেন্দ্রীয় ভাবে একটি কার্যালয় থাকবে ঠিকই তারপরও প্রতিটা কার্যালয়ই আলাদা আলাদা ভাবে আর্থিক ফান্ড ডেভেলপ করবে। সংশ্লিষ্ট জেলা কমিটি এই অর্থ সংগ্রহের দলিয় ডোনার ম্যানেজ করবেন এবং নিজেরাও দলের ফান্ডে অর্থ রাখবেন। তাতে একটি সুন্দর প্রতিযোগিতা দেখা যাবে এবং একতা আসবে।

এমন কিছু দলিয় নেতাদের ঠিক করবেন যারা মোবাইল টিমের মতো কাজ করবে। ৩দিন-২দিন-১সম্তাহ ব্যাপি সময়কাল তারা বিভিন্ন অফিসে সফর করবেন ও প্লান পরামর্শ দিবেন। তারা রাতে সার্কিট হাউজে থাকবেন না। তারা থাকবেন দলিয় কার্যালয়ের শয়নকক্ষে। যদি কোনো ক্ষমতাসীন পোস্ট থাকে তাহলে সার্কিট হাউজে থাকা লাগতে পারে। সে বিবেচনা আপনাদের নিজস্ব।



দলের চেয়াম্যান ও অন্যান্য বড় পোস্টের মানুষদের কাছে সব কর্মির ডাটাবেইজ থাকবে। যে ডাটাবেইজে কর্মী-সমর্থকদের কন্টাক নম্বর অন্তর্ভুক্ত থাকবে। কোনো জেলায় কোনো রাজনীতিক, প্রকৃতিক, মানসৃষ্ট সমস্যা, আগুনলাগা, এক্সিডেন্ট, হরতাল-অবরোধের মতো ঘটনা ঘটলে ইনস্টান্ট ফোন করবেন। সাথে সাথে দলের মানুষ একত্র হবে। ফালতু কাজে হাউকাউ করবেন না। যদি গাড়িতে থাকেন, গাড়িতে বসে বসেই ফোনে তদারকি করে নিবেন এবং সাথে সাথে অর্ডার দিতে কার্পন্য করবেন না।



দলিয় কার্যালয়ে অবস্থান কালিন সময়ে যদি কোনো সরকারি প্রশাসনিক কাজের দরকার পরে। নিজ দ্বায়িত্বে নিজে সরকারি অফিসে ছুটে গিয়ে কাজ সেরে আসবেন। কোনো অবস্থাতেই সরকারি দ্বায়িত্বে রত কর্মকর্তাদের নিজ কাজের জন্য দলিয় কার্যালয়ে ডাকবেন না। নিজেরা নিজেদের চেয়ার টেবিল গুছিয়ে রাখবেন। নিজের হাতে পরিস্কার করবেন। দলিয় কার্যালয় স্থাপনার কোনো প্রকার সৌন্দর্যহানী ও নোংড়া করা হলে কেন্দ্রীয় কমিটি বা দলের চেয়ারম্যান শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে বাধ্য থাকবেন। বিপদের সময় কে দলিয় কর্মি সেটা বড় কথা নয়। সবার বিপদে ছুটে যাবেন। কে সরকারে আছে আর কে সরকারে নাই সেটা কোনো অযুহাত হতে পারে না। প্রতিটা জেলা সদরের পরিষ্কার পরিছন্ন রাখার দ্বায়িত্ব নিজেরা নিয়ে নিবেন। সাধারণ মানুষের বয়স্ক শিক্ষা ও স্বাক্ষরজ্ঞান করে গড়ে তোলবার দ্বায়িত্ব নিজেরা নিয়ে নিবেন। সরকারি কর্মকর্তাদের কাজে অবহেলা দেখলে সরাসরি দলিয় কার্যালয়ের ই-মেইল এ্যার্ড্রেস থেকে মিডিয়ায় প্রেরন করবেন। মিডিয়া কর্মি ভাই-বোনেরা খোঁজ খবর নিয়ে, সত্যতা যাচাই করে মিডিয়ায় তুলে ধরবেন।



মুজিব-জিয়ার জন্মদিন। ১৫আগষ্ট জাতিয় শোক দিবস বা অন্য কোনো প্রকার অনুষ্ঠানে লোকাল মানুষের কাছে চাঁদা চাওয়া নিষিদ্ধ করা হলো। দলিয় কার্যালয় কোনো শ্রমিক ইউনিয়নের উপর কর্তৃত্ব করবে না। কোনো বড় ছোটো শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ব্যক্তিগতভাবে কোনো দলের সদস্য ও সমর্থক হতে পারেন। কিন্তু দলের যায়গায় দল কাজের জায়গায় কাজ। চাঁদাবাজি চলবে না। নারীর প্রতি পরিপূর্ণ ভক্তি শ্রদ্ধা নিয়ে তাকাবেন ও রক্ষা করবেন। এসব কার্যালয় দলের কোনো উপশাখা না। এটা সরাসরি জেলা কেন্দ্র থেকে মূল কেন্দ্রে মিশেছে মাত্র।



কিছু রাজনৈতিক অডিটর হিসেবে কাজ করবেন। তারা আগাম নোটিশ বা জানানো ছাড়াই যে কোন একটি দলিয় কার্যালয়ে হঠাৎ হাজির হবেন। দলিয় লোকদের সাথে ভাব বিনিময় করবেন। গনহারে এককভাবে চা নাস্তার খাওয়াবেন না। ১০ জন নেতার ১০টি রুম, ও পজিশনগত দিক থেকে প্রায় সমমানের হলেও সবার আর্থিক সামর্থ সমান না। তাই কাউকে কোনো ভাবে ছোট করার কোনো প্রকার প্রশ্নই আসে না। আপনাদের ব্যাক্তিত্ব আপনারা উজ্জ্বল করবেন। তা না হলে নেতা হিসেবে জ্বলে ওঠা যায় না।



প্রতিটি কার্যালয়ে একটি করে লাইব্রেরী থাকবে। লাইব্রেরী থেকে বিনামূল্যে বইপত্র পড়া যাবে। পলিটিক্সে সফল হবার জন্য মাল্টি নলেজ এর কোনো বিকল্প নাই। একবার ধারাটি ঠিকভাবে চালু করতে পারলে আর কোনোদিন তা নষ্ট হবে না। আমরা ঠিকঠাকভাবে গুছাতে জানি না বলে এতো অসুবিধা হয়।



আমাদের আর বসে থাকলে চলবে না। এগিয়ে চলতে হবে। আমাদের নেত্রীত্বের মজা পাওয়াতে হবে। নেতাদের জনপ্রিয়তা দিয়ে কিছুই শেখা যায় না। নেতাদের ত্যাগ থেকে শিখতে হয়। আমার বর্তমান অবস্থা থেকে আপনার তা সহযেই অনুধাবন করতে পারবেন। বড় বড় নেতৃত্ব গুন যার আছে, তারা পারিবারিক অনেক ছোট খাটো জিনিসও বোঝে না। আমাদের চিন্তাশক্তি সবসময় আপনাদের ও সাধারন সমস্ত মানুষের জন্যই ব্যস্ত থাকে। এখানে আমার কোনো কৃতিত্ব নাই, সব কৃতিত্ব আপনাদের। মানুষের জন্যই মানুষ এগিয়ে আসবে। এটাই প্রকৃতির নিয়ম।



বন্ধু! দলিয় কার্যালয়ের মধ্যে একটি ব্যামাগার থাকবে। আমাদের নেতাদের ইদানিং ভুরি বেড়ে যাচ্ছে। ব্যামাগারে ছোট বড় সবাই একসাথে নিয়ম করে ব্যায়াম করবেন। কার্যালয়ের সামনে ছোট একটি মাঠ রাখলে ব্যাডবিন্টন, টেবিল টেনিস, টেনিস ইত্যাদি খেলা খেলা যাবে।



আশা করি আমার কথা আপনারা বুঝতে পারছেন। দেখুন বন্ধু! আমাদের আজ নেতাদের বাড়ী কেন্দ্রীক পলিটিক্স থেকে বেড় হয়ে আসতে হবে। নেতাদের পরিবার থাকবে পরিবারের জায়গায়। বাড়ী কেন্দ্রীক পলিটিক্স আমাদের অনেক ক্ষতি করেছে। একজন ভালো মানুষ কোনো দলের সেল্টার নিয়ে পরিচিত মুখ হয়ে গেলেও, পরবর্তিতে অনেক খারাপ হয়ে গিয়ে মানবতা বিরোধী কাজ করার অনেক নজির আমি আপনাদের দেখাতে পারি। আমার থেকে আপনারা এ বিষয়ে আরো ভালো জানেন। কিছু বাজে মানুষের জন্য আমাদের পলিটিক্সকে কোনোভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ করে রাখা যাবে না।



আজ হয়তো আমাকে আপনারা গ্রহন করতে পারছেন না। এমন দিন তেমন বেশি দুরে নয়। যখন পৃথিবীর প্রতিটি পড়া-মহল্লা-গ্রাম-শহর-মেগাসিটির মানুষ আমার সাথে পরিচিত হয়ে উঠবে। আমার নাম তাঁদের অন্তরে ধারন করে নিবে। আর এই কাজে আমি আমাকে অভিনন্দিত করতে পারি না। এই অভিনন্দন আপনাদের প্রাপ্য। যারা কল্যানের দিকে নিজেদের নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন। আমি আপনাদের উপর ভালো প্রভাব খাটাতেই আসি।



প্রতিটা দলিয় কার্যালয়ে নারীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। নারীদের ভিতর থেকে নেতৃত্ব দেয়ার অনেক মেধা বেড় করে নিয়ে আসতে হবে। কোনো প্রকার দলিয় কোটা নারীদের জন্য বরাদ্দ থাকবে না। তারা নিজের যোগ্যতায় মানুষের সাথে প্রতিযোগীতার মাধ্যে আপন বেগে উঠে আসবেন।



বন্ধু! আপনার নিজেদের পরিশ্রম দিয়ে নিজেদের স্বপ্ন পূরন করে নিন। আমি আপনাদের সেবায় নিয়োজিত আছি। আপনাদের সমস্ত মানুষকে বেহেশ্‌ত/স্বর্গে না নিয়ে আমি স্বর্গে প্রবেশ করবো না। এজন্য বলছি সৃষ্টিকর্তার সাহায্য পেতে হলে মিথ্যা ও মন্দ চিন্তাকে না বলুন। সত্য যতই খারাপ শুনাক না কেনো তা বলতে দ্বিধা করবেন না।



জয় বাংলা! জয় পৃথিবী! জয় বিশ্ব!



আপনারা মঙ্গলের পথে এসে গেছেন। ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমার বানি সমস্ত মানবজাতির কাছে পৌছে দিন। বাধা আসলে সেই বাধা আপনা-আপনি দুর হয়ে যাবে। শুধু সৎসহোসটুকু করে দেখুন।



https://www.facebook.com/asif.ud

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.