![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভেবেছিলাম নিজেকে শুধরে নেব; ভুলে ভরা এই জীবনটাকে আবার না হয় আয়নাতে দেখব... হয়ত বেরিয়ে আসবে আপনার ঘুণপোকাটা! কিন্তু আজও আমি স্বীয় সত্ত্বাটাকে তাড়িয়ে বেড়ায়... আমি যেন এক বিবেকের কাবুলীওয়ালা... শুধু সুখের নিত্য নাটকটি ফেরি করি; দুঃখের কালো ছায়াটি মাড়িয়ে...
✅ যখনই দেখবেন আপনার সামনে কোনও বড় ধরনের বিপদ এসে হাজির হয়েছে, তখন একদমই ঘাবড়াবেন না, বরং ইয়াক্বীন করুন যে এটা আল্লাহতা'য়ালাই পাঠিয়েছেন এবং এর সমাধানও আল্লাহতা'য়ালাই করবেন।
অর্থাৎ, পাঁচমিশালি চিন্তাভাবনা ছেড়ে সরাসরি আল্লাহর দিকে রুজু হয়ে আনুগত্যের দ্বারা সাহায্য প্রার্থনা করুন, দেখবেন তিনি এমনভাবে সাহায্য করবেন, যা আপনার ধারনার ভিতরেও ছিল না।
✅ আরও খেয়াল করে দেখবেন যে, ঐসময় শয়তান আপনাকে ধোকায় ফেলার রকমারি চেষ্টা-প্রচেষ্টা চালাবে। সে আপনাকে বলবে তুমি এটা কর; ওটা কর, এদিকে যাও; ওদিকে যাও, অমুকের কাছে গিয়ে ধর্না দাও; তমুকের কাছে সাহায্য চাও ইত্যাদি, ইত্যাদি!
অর্থাৎ, সে আপনার দিলকে খালিকের থেকে সরিয়ে মাখলুকের দিকে নিয়ে যেতে চাইবে, সে চাইবে এই বিপদময় মুহূর্তে আপনার দিল যেন আল্লাহর দিকে একেবারেই রুজু না হয়, আপনার দিল যেন আল্লাহর আনুগত্যের দিকে ধাবিত না হয়, আর আপনি যেন আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা না করেন!
✅ শয়তানের কাজই হল আগুনের ভিতরে পেট্রোল ঢেলে দেয়া, অর্থাৎ সে আপনাকে সমাধান দেখিয়ে দেখিয়ে আরও বড় বড় সমস্যার দিকে নিয়ে যাবে!
পেট্রোলও যেমন তরল জাতীয়, দেখতে ঠিক পানির মতই, কিন্তু এটা দ্বারা আগুন কখনো নিভানো যায়না বরং আগুন আরও বেশি প্রজ্জলিত হয়! তেমনি বিপদের সময় শয়তানের কুমন্ত্রণা বিপদকে আরও বহুগুন বাড়িয়ে দেয়!
✅ আপনি যদি ঐসময় শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে নিজের নফসকে বাঁচিয়ে আল্লাহর আনুগত্যের দিকে ধাবিত করতে ব্যর্থ হন, তবে নিঃসন্দেহে আপনি ধ্বংসের চোরাবালিতে নিক্ষিপ্ত হবেন! আর যদি খালেসভাবে আল্লাহর উপরে ভরসা করার সাথে সাথে তার আনুগত্যের দিকে ধাবিত হয়ে যান, তবে তিনিই আপনার জন্য যথেষ্ট হয়ে যাবেন, এতে কোনও সন্দেহ নেই!
✅ মনে রাখবেন, হালত আসে বান্দাকে আল্লাহর আনুগত্যের দিকে ধাবিত করার জন্য, বান্দাকে আল্লাহর নিকট থেকে নিকটে নেয়ার জন্য, কিন্তু বান্দা যখন শয়তানের ধোকায় আর নফসের বাধ্যতার কারনে আল্লাহর থেকে বিমুখ হয়ে যায়, সে তখন মাখলুকের দিকে আর মাখলুকের সাহায্যের দিকে ধাবিত হয়, যে কারনে সে আর আল্লাহতা'য়ালার সাহায্যের হক্বদার হতে পারেনা বরং আল্লাহর সাহায্য পাবার অযোগ্য হয়ে পড়ে।
আল্লাহতা'য়ালা আমাদের দিলকে ঈমানের নূর দ্বারা আলোকিত করুন; যাতে আমরা অজ্ঞতা ও জাহেলিয়াতের হতাশা আর শয়তান ও মাখলুকের ধোকা থেকে বাঁচতে পারি, আমিন।
Dr. Asiful Alam
University of Technology Sydney
Sydney, Australia
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২১ ভোর ৫:৫১
কাবুলীওয়ালা বলেছেন: ভাই; আপনার যদি আল্লাহ আর তার সিদ্ধান্তের উপর বিশ্বাসই না থাকে, তাহলে নিজের বিবেচনা থেকে যেকোন কিছু বলা আর করা অনেক সহজ। তার জ্ঞান আর আমাদের জ্ঞানের মাঝে এই একটাই পার্থক্য, আমরা সবকিছুকে বাহ্যিকভাবে দেখে বিবেচনা করি আর আল্লাহ তার অসীম জ্ঞানের সর্ব-দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেন আর তার প্রয়োগ ঘটান।
২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৪১
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: খারাপ লোকরাই শয়তানের পাল্লায় পড়ে,ভালো লোকরা কখনো শয়তানের পাল্লায় পড়ে না।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২১ ভোর ৫:৫৮
কাবুলীওয়ালা বলেছেন: ভাল লোকেরাও শয়তানের পাল্লায় পড়ে, পার্থক্য শুধু এইটাই যে তারা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন আর আল্লাহর কাছের বান্দাদের মধ্যে গণ্য হন। আর খারাপ লোকেরা তাদের বদআমলের কারনে শয়তানের প্রিয়পাত্র হয়ে যায়!
৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: বাহ ভালো তো। নিজে ভুল করে, অন্যায় করে শয়তানের নাম দিয়ে দিবো।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২১ ভোর ৬:০৬
কাবুলীওয়ালা বলেছেন: ভাই রাজীর নুর, আপনি যে কথাটা বলেছেন এইটা আপনি না বলে আপনার শয়তানটাও বলতে পারে!
৪| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:১৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: খুব সুন্দর পোস্ট। এসব পোস্ট কেউ পড়বে না।
ধন্যবাদ আপনাকে
আর দুইনাইতে শয়তানের অভাব নাই
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:২৮
কাবুলীওয়ালা বলেছেন: ধন্যবাদ কাজী ফাতেমা ছবি; পোস্টই করেছি ইসলামী দাওয়াতের নিয়তে, কেউ পড়ুক আর নাই বা পড়ুক ক্চ্ছিু যাই আসেনা। ভাল থাকবেন ইনশাআল্লাহ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৩৭
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: নূহর আমলে নিরপরাধ হাজার হাজার শিশুকে ডুবিয়ে মারলো,সেই আল্লাহ করবে বিপদে সাহায্য।সুথের সময়েও গনহত্যা করেছে।যে গনহত্যা করে সভ্য সমাজে তার বিচার হয়।