নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সেই একা আমি...খানিকটা পাগলামি...

কাবুলীওয়ালা

ভেবেছিলাম নিজেকে শুধরে নেব; ভুলে ভরা এই জীবনটাকে আবার না হয় আয়নাতে দেখব... হয়ত বেরিয়ে আসবে আপনার ঘুণপোকাটা! কিন্তু আজও আমি স্বীয় সত্ত্বাটাকে তাড়িয়ে বেড়ায়... আমি যেন এক বিবেকের কাবুলীওয়ালা... শুধু সুখের নিত্য নাটকটি ফেরি করি; দুঃখের কালো ছায়াটি মাড়িয়ে...

কাবুলীওয়ালা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ওহুদ থেকে ফিলিস্তিন

০২ রা নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৪২

ওহুদের যুদ্ধ মাত্র শেষ হলো। যুদ্ধের মাঠে শহীদ হয়ে পড়ে আছেন ৮৫জন সাহাবী। কিছুসংখ্যক সাহাবীদের ভুলের কারণে অনেক বড় মাশুল দিতে হলো মুসলিমদেরকে; একটা বড় অংশের সাহাবীদের জীবন দিতে হলো। শহীদ হলেন হামজা রদ্বী'য়াল্লাহু তা'য়ালা আনহু, হানজালা রদ্বী'য়াল্লাহু তা'য়ালা আনহুসহ অনেক নামকরা সাহাবীপ্রমুখ।

চাচা হামজা রদ্বী'য়াল্লাহু তা'য়ালা আনহুর ক্ষতবিক্ষত শরীর দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম। এমন কান্না তিনি আর কখনও কাঁদেননি, সাহাবীরাও তাঁকে এমন কান্নারত অবস্থায় কখনও দেখেননি। কিন্তু তিনি রসূল; তাঁর ধৈর্য তাঁর অনুভূতিকে ছাপিয়ে যায়, তিনি শান্ত হন।

বেশ কিছু সময় পরে হামনাহ রদ্বী'য়াল্লাহু তা'য়ালা আনহা রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে দৌড়ে এলেন। তার ভাই আব্দুল্লাহ ইবনে জাহাশ রদ্বী'য়াল্লাহু তা'য়ালা আনহুর কথা জিজ্ঞাসা করলেন। হামনাহ বিনতে জাহাশ রদ্বী'য়াল্লাহু তা'য়ালা আনহা ছিলেন নবী করীম সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের মামাতো বোন, আম্মাজান যায়নাব বিনতে জাহাশ রদ্বী'য়াল্লাহু তা'য়ালা আনহার আপন বোন আর মুসআব ইবনে উমাইর রদ্বী'য়াল্লাহু তা'য়ালা আনহুর বিবি। নিজেকে সমবরণ করে নরম সুরে বললেনঃ হে হামনাহ, ধৈর্য্যের সাথে আল্লাহর কাছে পুরস্কারের আশা কর; তোমার ভাই আব্দুল্লাহ শহীদ হয়েছে। হামনাহ রদ্বী'য়াল্লাহু তা'য়ালা আনহা বলে উঠলেন, ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজি'উন। রসূলুল্লাহ আবারও বললেনঃ হে হামনাহ, তোমার মামা হামজাও শহীদ হয়েছেন, ধৈর্য্যের সাথে আল্লাহর কাছে পুরস্কারের আশা কর। হামনাহ রদ্বী'য়াল্লাহু তা'য়ালা আনহা আবারও বলে উঠলেন, ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজি'উন। রসূলুল্লাহ পুনরায় বললেনঃ হে হামনাহ! শান্ত হও, ধৈর্য্য ধর আর আল্লাহর কাছে পুরস্কারের আশা কর; তোমার স্বামী মুসআবও শহীদ হয়েছে। এবার আর হামনাহ রদ্বী'য়াল্লাহু তা'আলা আনহা নিজেকে ধরে রাখতে পারলেন না, হাউমাউ করে কেঁদে উঠলেন। তার কান্না দেখে নবীজীও নিজেকে সমবরণ করতে পারলেন না। টপটপ করে নিশ্চুপ অশ্রুধারায় সিক্ত হলেন। হঠাৎ যেন চারিদিকের বাতাস ভারী হয়ে উঠল।

আজকে নবীজী বেঁচে থাকলে হয়ত এমন করেই স্বামীহারা-পুত্রহারা-ভাইহারা ফিলিস্তিনী মা-বোনদের সান্ত্বনা দিতেন। তাদের দুঃখে দুখী হয়ে তাঁর মুবারক চোখযুগল সিক্ত হত অশ্রুধারায়। কত মা-ভাই-বোনেরা যে তাদের একই পরিবারের সদস্যদের হারিয়ে নিঃস্ব-একাকী হয়ে গেছে তার হিসেব নেই। আল্লাহ তাদের এই শাহাদাতকে কবুল করুন, তাদেরকে জান্নাতের মেহমান বানিয়ে দিন আর আমাদের বলিয়ান করুন ঈমানী শক্তিতে যাতে করে আমরাও তাদের পদাঙ্গ অনুসরণ করতে পারি, শাহাদাতের তীব্র বাসনাকে লালন করে জিহাদের পানে।

এই যুদ্ধ আমাদের সবার আর বিজয় একান্তই আল্লাহর। বেঁচে থাকার অধিকার তারই যে জালিমের জুলুমে মৃত্যুভয়ে ভীত নয়।


আসিফুল আলম
সিডনী, অস্ট্রেলিয়া
০২.১১.২০২৩


(ছবিতে সদ্য শহীদ একটি ফিলিস্তিনী পরিবার)

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৫৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


যুদ্ধ করা কোন ভদ্রলোকের কাজ নয়।

০২ রা নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:১৭

কাবুলীওয়ালা বলেছেন: ভাই context না বুঝে কলমযোদ্ধা হওয়াটাও বিবেচকের কাজ না।

২| ০২ রা নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:২০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


আপনি কি সত্যি অস্ট্রেলিয়াতে থাকেন?

০৩ রা নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৩১

কাবুলীওয়ালা বলেছেন: ভাই, সন্দেহ একটা রোগ! মুসলিমদের একে অন্যের প্রতি ভালো ধারণা থাকা উচিত।

৩| ০২ রা নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:১০

নতুন বলেছেন: ওহুদের যুদ্ধ মাত্র শেষ হলো। যুদ্ধের মাঠে শহীদ হয়ে পড়ে আছেন ৮৫জন সাহাবী। কিছুসংখ্যক সাহাবীদের ভুলের কারণে অনেক বড় মাশুল দিতে হলো মুসলিমদেরকে; একটা বড় অংশের সাহাবীদের জীবন দিতে হলো। শহীদ হলেন হামজা রদ্বী'য়াল্লাহু তা'য়ালা আনহু, হানজালা রদ্বী'য়াল্লাহু তা'য়ালা আনহুসহ অনেক নামকরা সাহাবীপ্রমুখ।

রাসুল সা: এর প্রসং্গ যখন তুলেছেন।

হামাস যেই আক্রমন করেছে সেটা কি রাসুল সা: অনুমুতি দিতেন, যখন হামাস ১২০০ ইসরাইলী হত্যা করলে তার জবাবাে ১২ হাজার ফিলিস্তিনি মারা যাবে সেটা হামাস জানে???

৪| ০২ রা নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৪৪

বাকপ্রবাস বলেছেন: প্রয়ই এমন কমেন্ট পাই যেটা হল, হামাস সন্ত্রাসী, সে কেন হামলা করল ইত্যাদি। এটা বলে ফিলিস্তিনে নারী শিশু সহ সবাইকে মারার পক্ষে রায়টা দিয়ে দিতে চাইছেন। দোষটা হামাসের মানা গেল। তাদের যা ইচ্ছে করুক। সাধারণ ফিলিস্তিনি, নারী শিশুদের মারার লাইসেন্স কেন ইসরাইলকে দিচ্ছে মুসলমান ভাইয়েরা। তাদের অভিমত ইসরাইল এমনটা করবে তাদের রাইট আছে।
ধিক্কার জানাই এমন বুঝ ব্যাবস্থার

৫| ০২ রা নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: নবীজি যুদ্ধ বন্ধ করেন নাই। নবীজি যুদ্ধ পছন্দ করতেন। এই জন্যই আজ মুসলমানরা জঙ্গী হচ্ছে।

৬| ০২ রা নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৪

নতুন বলেছেন: বাকপ্রবাস বলেছেন: প্রয়ই এমন কমেন্ট পাই যেটা হল, হামাস সন্ত্রাসী, সে কেন হামলা করল ইত্যাদি। এটা বলে ফিলিস্তিনে নারী শিশু সহ সবাইকে মারার পক্ষে রায়টা দিয়ে দিতে চাইছেন। দোষটা হামাসের মানা গেল। তাদের যা ইচ্ছে করুক। সাধারণ ফিলিস্তিনি, নারী শিশুদের মারার লাইসেন্স কেন ইসরাইলকে দিচ্ছে মুসলমান ভাইয়েরা। তাদের অভিমত ইসরাইল এমনটা করবে তাদের রাইট আছে।
ধিক্কার জানাই এমন বুঝ ব্যাবস্থার


আপনি কি বুঝতে পারছেনা না কি বুঝতে চাইছেন না সেটাই আমি বুঝতে পারছিনা।

হামাস খুব ভালো করেই জানে ইসরাইলীদের ক্ষমতা।

এখন হামাস ১২০০ ইসরাইলী মেরে যদি ১২ হাজার ফিলিস্তিনি যায় তবে সেই পদক্ষেপ কি বুদ্ধিমানের কাজ?

না কি আলোচনার মাধ্যমে যেন এই সমস্যার সমাধান হয় তার জন্র কাজ করা???

৭| ০২ রা নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:১৯

রানার ব্লগ বলেছেন: হামাস বেকুবের মতো কাজ করেছে। তাদের উচিত ছিলো সাধারন গাজা বাসিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। আপনি বল্লার বাসায় টোকা দেবেন বল্লা আপনাকে চুমা দেবে এমন ভাবাটা আত্মহত্যার সামিল। কিন্তু হামাস টোকা দিয়ে গুহায় ঢুকে সাধারন গাজাবাসিদের মৃত্যুর মুখে ফেলে দিয়েছে। এই হত্যার দায় ইজরাইলী সেনাবাহিনীর যেমন একি ভাবে হামাসের ও। দুই পক্ষই যুদ্ধপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত। ইজরাঈল হামাস ভাই ভাই এক রশিতে ফাসি চাই।

৮| ০২ রা নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:১৩

কামাল১৮ বলেছেন: কাবলীওয়ালার মতোই চিন্তা।আফগানরা এভাবেই চিন্তা করে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.