![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিচের ২টা কাহিনী আমার আম্মুর মুখে শোনা ... কেমন লাগলো জানাবেন :
১.
আম্মু যখন ৭-৮ বছর বয়স তখন ম্যাট্রিক পরীক্ষা দেয়ার জন্য রওশন নামের আম্মুর এক দূর সম্পর্কের খালা আম্মুদের বাড়িতে এসে উঠে । আম্মুদের গ্রামের স্কুলেই ওনার পরীক্ষার সিট পড়েছিলো । তো আম্মুর ওই খালা ছিলেন অসাধারণ সুন্দরী ...ওনার মাও ।আম্মুর ওই নানীর (রওশন নানীর মা )কিছু সমস্যা ছিল... জ্বীনের আছড় টাইপের ...এটা আম্মুরা সবাই জানতো.. পরীক্ষা শুরু হবার কয়েকদিন আগে আম্মুর খালার বাড়ি থেকে খবর আসলো যে ওনার আম্মু খুব অসুস্থ । রওশন নানীর সাথে আম্মুও গেলেন ওনাদের বাড়িতে। গিয়ে দেখেন আম্মুর নানী আর বেঁচে নেই। আসল কাহিনী আর আম্মুর খালা কে কখন ও জানানো হয় নি । আম্মুরা পরে যে কাহিনী শুনতে পান তা হলো :
কয়েক দিন ধরেই আম্মুর ওই নানীর পাগলামী বেড়ে গিয়েছিলো । ঘটনার দিন ওনি সন্ধ্যা বেলা গোসল করে সুন্দর একটা শারী পরে খুব সাজগোছ করেন। তারপর রাতের বেলা কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান । সবাই যখন টের পেয়েছে ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। তখন ছিল পাট শুকানোর মৌসুম ... সবাই ঊঠানে শুকাতে দেওয়া পাট কাঠি টান দিয়ে নিয়ে মশালের মত করে জ্বালিয়ে ওনাকে খুঁজতে বের হয় । ওনাদের বাড়ির পিছনে একটা বিশাল বাঁশ ঝার ছিল । সবাই সেটার কাছাকাছি যাওয়ার পর একটা আলোর ঝিলিক বাঁশঝারের এক মাথা থেকে অন্য মাথায় ছুটে যায় । সবাই খুব ভয় পেল । কিন্তু কয়েক জন সাহসী লোক বাঁশঝারের পিছনে চলে আসে । সেখানে একটা কর্দমাক্ত খালের মত ছিল । সেখানে তারা যা দেখেছিলেন তা চিন্তাও করলে এখনও আমার গা শিউরে উঠে... কাদার মধ্যে আম্মুর নানীর শরীরটা মাথা নিচে আর পা উপরে দিয়ে দাবানো ছিলো...
২.
এর পরের কাহিনি টা আমার আম্মুর আপন চাচীর । তাঁরও ছোটো বেলা থেকেই সমস্যা ছিলো ... কিন্তু আমার নানা ( আম্মুর চাচা ) ওইটা জানতেন না । তাঁদের প্রথম সন্তান হবার পর সমস্যা আবার শুরু হয় । পাগল পাগল আচরণ শুরু করেন তিনি ... নিজের ছোটো বাচ্চার ও যত্ন নিতেন না । নানা তাঁকে ঢাকায় নিয়ে ডাক্তার দেখালে অনেক ওষুদ দেন... কিন্তু নানী ওষুদ গুলো না খেয়ে বিছানা আর দেওয়ালের মাঝের ফাঁক দিয়ে সব ফেলে দিতেন । একদিন আমার ঐ নানার একটা শালিসে যাবার কথা ছিলো । রাত্রে শালিস বসার কথা । সন্ধ্যা সময় তিনি হঠাৎ বিছানার পাশের চিপায় অসংখ্য ট্যাবলেট-ক্যাপ্সুল আবিষ্কার করে বসেন । প্রচন্ড ক্রোধে তিনি নানীকে চড় মেরে বসেন । নানী কোনো রকম টু শব্দও করেন না । গালাগালি করে নানা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান ।
রাত গভীর হলে শালিস জমে উঠে ।জোছনা রাত ছিলো ওই দিন । ওই দিন এক ঘাগু চোরের বিচার হচ্ছিলো । হঠাৎ এক লোক নানাদের বাড়ি থেকে দৌড়ে এসে খবর দেয় যে নানীকে কোথাও খুঁজে পাওয়ায়া যাচ্ছে না । নানা শালিস ভেঙ্গে তাড়াতাড়ি বাড়িতে ফিরে তাঁর মায়ের কাছে শুনেন যে, রাতে খাবারের জন্য ডাকতে এসে দেখেন যে সারা ঘর খুব সুন্দর করে ঘুছিয়ে রেখে পায়ের জুতা দেয়ালের সাথে দাঁড় করিয়ে রেখে নানী দরজাটা আস্তে করে খুলে চলে গেছেন । সাথে সাথে লোক ছড়িয়ে পড়লো চতুর্দিকে নানীর খোঁজে । শেষে নদীর তীরে নানীর পরনের শারীটা খুঁজে পাওয়া যায় । নানিকে আজও খুঁজে পাওয়া যায়নি...
পরবর্তীতে হুজুরদের কাছে গেলে ওনারা জ্বীন সাধনা করে বলেন ... নানীকে জ্বীনেরা তাদের দেশে নিয়ে গেছে ... জ্বীনদের পক্ষ থেকে নাকি প্রস্তাব করা হয়,আমার এক খালাতো বোনের (তাজমিম আপু, উনার বড় ছেলে আগামী বার S.S.C দিবে) বিনিময়ে তারা নানীকে ফেরত দিতে পারে... বলাই বাহুল্য রাজি হয়নি কেউই...
২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৪৭
ধাতবগোলক বলেছেন: নাহ,আমার মোটা মাথায় ধরে নাই
২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৯
প্রকৃত দেশপ্রেমিক বলেছেন: ১ম ঘটনাটার ব্যাখ্যা দিতে পারব।এই দুনিয়ায় ব্যাখ্যাতীত কিছু নাই
৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:১১
মিনার বলেছেন: ভাই ব্যাখ্যা দিন না, একটু পড়ি
২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৪৮
ধাতবগোলক বলেছেন: এসকল ঘটনা শুনে ভয় পেতে ভাল লাগে,ব্যাখ্যা শুনতে ইচ্ছা করে না
৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:১৯
রাসেল মাহদুদ বলেছেন: হুমম, প্রথম ঘটনা পড়ে মনে হলো উনি গাছে উঠে বসে ছিলেন, কোন ভাবে পড়ে গিয়েছেন খালের ভেতর। পড়ার সময় মাথা নিচের দিকে থাকায় মাথা কাদার ভেতরে ঢুকে যায়। দ্বিতীয় ঘটনা তো আরো সহজ...
২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:০০
ধাতবগোলক বলেছেন: মনে হয় না খালের ঠিক মাঝে কোনো গাছ ছিলো...
৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৪৩
মিতাহামিদা০০৭ বলেছেন: জ্বীন জাতি আছে ,এটা কুরআন ও সুন্নাহ দিয়ে প্রমাণিত । আমরা জ্বীনের কথা শুনেছি । তবে যাদের উপর জ্বীনের আছড় হয় ,তাদের চোখে চোখে রাখতে হয় ! আর হাদিসে মানুষকে তিনটি সময় বাইরে একাকী যাওয়ার ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে - সেটা হল -১.ঠিক মধ্যরাতে , ২.ঠিক দুপুর বেলা ,যখন সুর্য মাথার উপর থাকে , ৩ . ঠিক সন্ধ্যেবেলা । তখন জ্বীনেরা চলাফেরা করে । (খারাপ জ্বীনেরা তখন সুজুগ নেয়।)
কয়েকদিন আগে ঢাকার স্কুলের এক ছেলে গ্রামের বাড়ী থেকে বেড়ায়ে এসে নানারকম অসংলগ্ন আচরণ করতে শুরু করে ! তাঁর মা আমার কাছে এসে বিস্তারিত বললে , আমি বিভিন্ন ঘটনা ও সময় শুনে , বিষয়টি আঁচ করতে পেরে একজনের কাছে পাঠালাম। তিনি এসব কছু করেন না ! তবে মহিলার একমাত্র ছেলে শুনে তিনি চেষ্টা করতে রাজী হলেন ! তিনি চেষ্টা করে ছেলেটাকে দুষ্ট জ্বীন থেকে মুক্ত করলেন ! আল্লাহ্র তাকে দূর করে দিলেন । শুনলাম সে এখন সুস্থ ।
আর ঐ ঘটনাগুলোর ব্যাখ্যা ঐ - সময় ও তাদের জ্বীন দ্বারা আগেই আক্রান্ত ,তাই মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন ।
২৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৫৬
ধাতবগোলক বলেছেন: চিন্তার বিষয় :/
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৫২
আল ইফরান বলেছেন: ১ম ঘটনাটার ব্যাখ্যা দিতে পারবো না, তবে ২য় ঘটনাটা একটু সুক্ষভাবে চিন্তা করলেই বের করে ফেলা যাবে।
আশা করি বুঝতে পেরেছেন।