![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আরিফ বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে। কিছুক্ষণ আগে ঘুম ভেঙ্গেছে তার। রাত আড়াইটা বাজে। সেহেরীর জন্য সবাই উঠবে আরো আধাঘন্টা পর। আরিফ বারান্দার গ্রিলের ফাঁক দিয়ে নিঃস্তব্ধ শহরের দিকে তাকিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে। কেন সে ঐ স্বপ্নটা দেখলো?
মন থেকে মুছে দিয়েছিলো তাকে আরিফ। আসলেই গত কয়েকমাসে একবারও মনে হয় নি তার কথা। কিন্তু আজ ঘুমের ভিতর অতীত প্রেম বিশাল এক জলোচ্ছ্বাস হয়ে যেন তাকে ভাসিয়ে নিয়ে গেল। প্রথম প্রেমের যে আবেগ সে যত্ন করে মস্তিষ্কের এক অন্ধকার কোষে আটকে রেখেছিল, কে জানে কিসের ইশারায় সেগুলো কয়েকগুণ বেড়ে সব দূমড়েমুচড়ে বেড় হয়ে এলো- আরিফ অনুভব করে,এই আবেগ গুলো সলিডিফাইড হচ্ছে-তার বুকে,গলার কাছটায় জমা হচ্ছে।
মেয়েটি তাকে বলেছিলো-সে আরিফকে পছন্দ করে না-তা না, কিন্তু আসলে কোনো ধরণের রিলেশনে যাওয়ার কথা ভাবছে না সে। আরিফ অনেক পাগলামি করেছে, অনেক বার নিজকে ছোট করেছে তার সামনে,কিন্তু বরফ গলে নি। এক সময় আরিফ বুঝতে পারে, শুধু বন্ধুত্ব রক্ষা তার দ্বারা সম্ভব নয়,তাই ধীরে ধীরে সে সব ধরণের যগাযোগ বন্ধ করে দেয়, এক সময় ভুলেও যায় মেয়েটার কথা। মানুষ প্রেমে পড়ে রূপ দেখে, আরিফ মুগ্ধ হয়েছিল মেয়েটার কিছুটা রহস্যময় ব্যাক্তিত্বে, কেয়ারলেস এটিচ্যুডে...সেই মুগ্ধতা একফোঁটাও কমেনি, আজ আবার সেটা টের পেয়েছে সে। স্বপ্নটা এতটাই বাস্তব ছিল, ঘুম ভাঙ্গার পর তার বুকের ভেতর উথাল পাতাল হাহাকার শুরু হয়ে যায়।কারণ স্বপ্নটায় হ্যাপি ইন্ডিং ছিল।
রুমে ফিরে এসে ছোট ভাই দুটোকে ডেকে তুলতে শুরু করে সে।আর জোর করে মন থেকে মুছে ফেলে স্বপ্নের স্মৃতি। যাকে পাবার নয় কি দরকার তার কথা ভেবে কষ্ট পাবার? নিজের অবচেতন মন টাকে একটু শাসন করে দেয় আরিফ। এসব অবাস্তব স্বপ্ন দেখে মূল্যবান নিউরন খরচ করার কোনো মানে হয় না।
২| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৪৮
মামুন রশিদ বলেছেন: প্রথম প্রেম চাইলেও ভুলতে পারবেন না, বারবার ফিরে আসবে জীবনভর ।
আবেগী লেখা ভালো লাগল । বিলাস বানান টা একটু দেখে নিবেন ।
০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৫:২২
ধাতবগোলক বলেছেন: ঠিক করে নিলাম.......ধন্যবাদ
৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৩৪
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন:
৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:৪৩
মাক্স বলেছেন: বিলাস বানানটার কথা লিখতেই ঢুকসিলাম মামুন ভাই দেখি আগেই বলে দিসে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৪১
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ভালো লাগল।