![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি তখন ফেসবুকে একদমই নতুন।
যেখানে মেয়ে আইডি দেখি সাথে সাথে রিকু পাঠাই। এসেপ্ট করলেই 'হাই হেলো' বলে চ্যাটিং শুরু করে দেই। কিন্তু সবার সাথে বেশি দূর আগায় না চ্যাট। দুই তিন কথার পর আর খুঁজেই পাইনা কি বলব। তবে একজন ছিল অন্যরকম।
সেই মেয়েটার সাথে চ্যাট করতে একটুও জড়তা অনুভব করতাম না। পঁচানো,মজা,নানা টপিকে গল্প হত, তরতর করে কবে যে হাজার খানেক চ্যাট হয়ে গেল, টেরই পেলাম না। একদিন খুব স্বাভাবিক ভাবেই নাম্বার চাইলাম, দিল। আমারটাও নিল। তারপর চ্যাট বাদ, শুরু হইলো কথা। ইউনিভার্সিটিতে ক্লাস শুরু হয়নি তখনও। রাতের পর রাত জেগে কথা। কত টপিকে কত কথা। কিন্তু ভুলেও বেলাইনে কথা কইতাম না। সে ছিল আমার লাইফের প্রথম সত্যিকারের মেয়ে বন্ধু। বেঁফাস কথা বলে তাকে হারাতে চাচ্ছিলাম না। যদিও আমি তখন ছিলাম সিঙ্গেল।
সে একটা বেসরকারি ভার্সিটিতে ভর্তি হয়ে গিয়েছিল। একদিন ঠিক করলাম দেখা করব। দেখা করলাম। সামনা সামনি দেখে ধাক্কার মত খেলাম। ফেসবুকে দেয়া ছবির চেয়ে অনেক অনেক সুন্দর সে সামনা সামনি। তবে নিজেকে সামলালাম। এমন একটা ভাব করলাম সে সুন্দর বা বান্দর যাই হোক কি আসে যায়?সেদিন আমিই ট্রিট দিলাম।
দেখা করার পর কথা বার্তা বেড়ে গেল। হাবিজাবি নিয়া কথা বলে রাত পার হয়ে যেত। এর মধ্যে আমি রাজশাহী চলে আসছি। ক্লাস শুরু হওয়ার পর ঢাকায় আসা হত খুব অল্প সময়ের জন্য, দেখা করা হত না আর। তারপর কয়েক মাস কেটে গেল। চোখের আড়াল তো মনের আড়াল- ঐ মেয়ের সাথে নিয়মিত কথা কমতে লাগলো। এর মধ্যে লাইফে বিশাল চেঞ্জ আসলো, সিরিয়াস রিলেশনে জড়িয়ে গেলাম। ফেসবুকে রিলেশনশিপ স্ট্যাটাসও চেঞ্জ করলাম। কিন্তু সেটা দুর্ঘটনাবশত তার চোখে পড়ে নাই।
একবার লম্বা ছুটিতে ঢাকায় গেলাম। সেই সময়ই অনেক দিন পর সে হঠাৎ ফোন দিল। তাদের ক্যাম্পাসে যেতে হবে, খুব শক্ত করে দাওয়াত দিল, না গিয়ে উপায় নাই। হাতে কাজ ছিলনা, সকাল সকাল গেলাম একদিন। সে তার আরো দুই মেয়ে বান্ধবী নিয়ে আমারে নিয়ে গেল এ। সকালে নাস্তা করে নি, আমাদের ট্রিট সেই দিবে। রেস্টুরেন্টে আমি আর সেই মেয়ে বসেছি পাশাপাশি, সামনা সামনি তার দুই ফ্রেন্ড। ভালই আড্ডা দিচ্ছিলাম। তবে বান্ধবী দুইটার হাবভাব ভাল ছিলনা। তারা গা টেপাটেপি করতেসে আমাদের উদ্দেশ্যে। কিছুক্ষণ উক্ষুস করে এক মেয়ে হঠাৎ বলে বসলো, "তা তোমার গার্লফ্রেন্ড আছে নাকি?'' আমি জবাব দিলাম, "আছে তো।"
পাশে বসা সেই মেয়ে চমকে তাকালো আমার দিকে। তার দুই বান্ধবীও দেখলাম যথেস্ঠ বিব্রত। মেয়েটা কাঁপা কাঁপা গলায় বললো "কে?" আমি আমার গার্লফ্রেন্ডের নাম আর ভার্সিটির নাম বললাম । চোখের পলকে তার মুখ কালো হয়ে গেল। সে তখন জানতে চাইলো, "প্রথম বার যখন দেখা করসিলা তখনও ছিল নাকি?" জবাব দিলাম "আরে না...এইতো কয়েক মাস হলো। ফেসবুকে স্ট্যাটাস চেঞ্জ করসি তো, দেখনাই?" সে মাথা নাড়লো। আড্ডা আর জমলো না। পুরো ব্যাপারটা হঠাৎ বুঝতে পেরে মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে গেল। কিন্তু আমার কিছু করার ছিল না। ভাবলাম সেদিনের বিলটা আমি দিয়ে দেই...কিন্তু সে কিছুতেই দিতে দিল না।
পুরো ব্যাপারটা নিয়ে কখনও আমি কথা বলিনি তার সাথে। হয়তো সে আমাকে নিয়ে অন্য রকম কিছু ভেবেছিল, তার বান্ধবীরাও হয়তো কিছু একটা অনুমান করে নিয়েছিল, যাতে তার হয়তো নীরব সম্মতি ছিল। ভাল ব্যাপার এই যে আমাদের বন্ধুত্ব নষ্ট হয়নি। তারও পরে রিলেশন হইসে,কিন্তু আমাদের যোগাযোগ বন্ধ হয় নাই। এখনো রাতের পর রাত চ্যাট হয়, কোনো সমস্যায় আমাকেই আগে ফোন দেয় সে। তবে আমি তার সেই চমকে উঠা আর অসহায় চাওনির কথা কখনো ভূলতে পারবো না ...
[ট্রেনে ঢাকা টু রাজশাহী জার্নিতে বসে বন্ধুর মুখে শোনা তার লাইফের কাহিনী। একটা গার্লফ্রেন্ড থাকবে, একই সময়ে আরেক সুন্দর মেয়ে আমার জন্য দূর্বল হবে- এই কপাল নিয়া আসি নাই মামা :-< ]
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪১
ধাতবগোলক বলেছেন: কিছুটা, বাট সিঙ্গেল লাইফেরও মজা আছে....
২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪০
মদন বলেছেন: আপনের কপালের দু:খ দেইখা মনডা বড়ই ব্যথিত হইলো
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪২
ধাতবগোলক বলেছেন: আবেগে কাইন্দালচি :'(
৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৫
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: একই সময়ে আরেক সুন্দর মেয়ে আমার জন্য দূর্বল হবে- এই কপাল নিয়া আসি নাই মা
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৮
ধাতবগোলক বলেছেন: *মামা
৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩২
আল ইফরান বলেছেন: সেই দুঃখে আমি কান্তেই আছি আর কান্তেই আছি
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪০
ধাতবগোলক বলেছেন: কানতে কানতে আবার হাইসা ফালাইলেন
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৪
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: হুমম... বড় দুঃখে আছেন দেখা যায়...