![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাদাসিধে.....মন যা বলে, তাই করার চেষ্টা করি। ঘুরতে খুবই ভাল লাগে। পথ আমাকে টানে। পথের শেষ দেখতে চাই না, শুধু পথের পথিক হয়ে থাকতে চাই। হারিয়ে যেতে চাই, কিন্তু পারি না। (মধ্যরাতের হাইওয়ে)
মানুষ তার জীবনের সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ সময় সম্ববত ছোটবেলাতেই পার করে। অন্যদের কার কি ধারণা আমি জানি না। তবে আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, শৈশব-কৈশোরই এখন পর্যন্ত আমার পার করা শ্রেষ্ঠ সময়। আজ ছোটবেলার খেলাগুলো নিয়ে লিখলাম। আপনারাও আপনাদের ছোটবেলার খেলাগুলো এখানে লিখতে পারেন। মূল পোষ্টে সংযুক্ত করে দেয়া হবে।
১: ছোয়া-ছুই : এই খেলায় একজনকে চোর নির্বাচন করা হত। সে বাকি সবাইকে দৌড়ে ছোঁয়ার চেষ্টা করত। যাকে ছুঁতে পারত, সেই চোর হত।
২: কানা-মাছি : এটি অনেক জনপ্রিয় একটি খেলা ছিল। এই খেলায় একজনকে নির্বাচন করে, তার চোখে কাপড় বেধে দেয়া হত। তারপর সে দেখতে পাচ্ছে কিনা, নিশ্চিত হওয়ার জন্য চোখের সামনে আঙ্গুল ধরা হত। এরপর 'কানা-মাছি ভোঁ ভোঁ, যারে পাবি তারে ছো" এই ছড়া বলতে বলতে সবাই তাকে গুতো দিত। সে যাকে ধরতে পারত, তার চোখেই আবার কাপড় পরানো হত।
৩: লুকোচুরি/ পলাপলি : এই খেলাটাও অনেক জনপ্রিয় একটা খেলা ছিল। লুকোচুরি খেলেননি ছোটবেলায় এমন হয়ত খুব কমই আছেন। এখানেও একজনকে চোর নির্বাচন করা হত। সে একদিকে মুখ করে বা চোখ বন্ধ করে ১-৫০ কিংবা ১০০ পর্যন্ত গুণত। ততক্ষণে সবাই লুকিয়ে পড়ত। গণনা শেষ হলে সে সবাইকে খুঁজে বেড়াত। যাকে প্রথম দেখত তার নাম ধরে ১ টিপ, ২ টিপ এভাবে বলত। যদি কারও নামে ভুল করত কিংবা নাম বলার আগেই কেউ এসে তাকে ছুঁয়ে "টিলো" বলত , সেই আবার চোর হত। অন্যথায় যাকে '১ টিপ' বলা হয়েছে সেই চোর হত।
৪: বরফ-পানি : এই খেলাটি অনেকটা "ছোয়া-ছুই" খেলার মতই। তবে চোর এখানে যাকে ধরত সেই স্থির হয়ে থাকত, যতক্ষণ না অন্য কেউ এসে তাকে ছুয়ে মুক্ত করত। একাধিকবার যদি কাউকে বরফ করা হত, সেই চোর হত। 'কুমির ভাই তোর জলে নেমেছি' এটি বলে কুমিরকে ক্ষেপানো হত।
৫: কুমির-কুমির : এখানে একজনকে কুমির বানানো হত। একটা নির্দিষ্ট জায়গা থাকত কুমিরের। সেখানে সবাই দৌড়ে যেত। এর মধ্যে 'কুমির' কাউকে ধরতে পারলে সেও 'কুমির' হয়ে যেত।
৬: সাত পাতা : এই খেলাটিও অনেক মজার একটি খেলা ছিল। এখানে যে চোর থাকত সে সবাইকে ৭টি পাতার নাম বলত সংগ্রহ করে আনার জন্য। দম নির্দিষ্ট করে দেয়া থাকত। পাতা সংগ্রহ করে আনা হলে মাটিতে গর্ত করে একটি নির্দিষ্ট জায়গা সেই পাতাগুলো লুকানো হত। চোর যার ৭টি পাতা খুঁজে পেত, সেই চোর হত।
৭ : ইচিং-বিচিং : এটা সাধারণত মেয়েরাই বেশি খেলত। একটি দাগের দু'পাশে দু'পা দিয়ে লাফাতে হত। আর বলতে হত 'ইচিং-বিচিং-চিচিং চা, প্রজাপতি উড়ে যা'। দাগে পা পড়লে আউট হিসেবে গণ্য হত।
৮: ওপেনটি বায়োস্কোপ : এই খেলায় দুজন দুহাত উপরে ধরে গেইটের মত বানাত। বাকি সবাই একজন আরেকজনের কাঁধে হাত রেখে সেই গেইটের ভিতরে ঘুরে ঘুরে ঢুকত। যে দুজন হাত উচু করে রাখত তারা একটি ছড়া বলত।
"ওপেনটি বায়োস্কোপ,নাইন-টেন টেস্কোপ
সুলতানা-বিবিআনা, সাহেব বাবুর বৈঠক খানা
বৈঠক খানায় গিয়ে, পান-সুপারি খেয়ে
পানের আগা মরিচ বাটা,স্প্রিংয়ে ছবি আকা
যার নাম রেণুমালা, তাকে দিব মুক্তার মালা"
মুক্তার মালা বলার সময় যে সেই দুজনের হাতের নিচে পড়ত, তাকেই মুক্তার মালা দেয়া হত।
৯: পলানটুক/ ফুলটোকা : এই খেলাটি দুদলে ভাগ হয়ে খেলতে হত। একজন করে দলনেতা থাকত। তারা যেকোন কিছুর একটা নাম নিত। যেমন, ফুল, ফল ইত্যাদি। দুদল এর সদস্যরা নির্দিষ্ট দূরত্বে মুখোমুখি বসত। সদস্যদের প্রত্যেকের আলাদা নাম ছিল। যেমন, জবা, চামেলি, বকুল অথবা আম, জাম, লিচু ইত্যাদি। এক পক্ষের দলনেতা অপর দলের সদস্যকে পিছন হতে হাত দিয়ে চোখ চেপে ধরত এবং তার নিজ দলের কোন এক সদস্যকে ডাকত( আয়রে আমার জবা ) । সে এসে কপালে
টোকা দিয়ে গিয়ে তার জায়গায় গিয়ে বসত। তখন যার চোখ ধরা হয়েছে তাকে বলতে হত কে তাকে টোকা দিয়ে গিয়েছে।
১০: এ লন্ডি লন্ডন : এটাও কিছুটা লুকোচুরির মত। তবে এখানে চোর দেয়ালের দিকে মুখ করে গুণত, আর অন্যরা একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে তার দিকে আসত। গুণা শেষে পিছন ফিরে তাকানোর সময় কাইকে যদি নড়তে দেখত, সেই চোর হত। আর যে সবার আগে আসতে পারত সে হত প্রথম। এটার ছড়া ছিল - এ লন্ডি লন্ডন, ঘড়ি বাজে টনটন, ১....২....৩ )
১১: নাটবল্টু : এখানে একজনকে চোর বানানো হত। সে কোমর বাকা করে, মাথা নিচের দিকে রাখত অনেকটা নামাযে রুকু দেয়ার মত। অন্যরা তারা পিঠের উপর দুহাত রেখে লাফ দিয়ে অন্য পাশে যেত। কারও পা যদি চোরের গায়ে লাগত, তখন সে চোর হত।
১২: ঝিক/চারা : এটি সাধারণত সমান কোন সিমেন্ট বা ছোট ইটের টুকরা দিয়ে খেলা হত। কেউ একজন ঝিক ছুড়ে মারত, অপরজনকে সেটিতে লাগাতে হত। অনেক জায়গায় এর সাথে আবার সিগারেটে কিংবা ম্যাচ এর প্যাকেট দেয়া হত। গ্রামে অনেককে দেখতাম আমের বারা (আঁটি) দিয়েও খেলত।
১৩: কক ফাইট (মোরগ লড়াই) : এই খেলায় সবাই এক পা পিছন দিতে হাত ধরে রাখত এবং অপরজনকে গুতো দিয়ে ফেলার চেষ্টা করত। অনেকে আবার কনুই দিয়ে মারত। যে পড়ে যেত সে আউট হিসেবে গণ্য হত।
১৪: চড়ুই-পাখি : এই খেলা সম্পর্কে আশা করি কিছু বলা লাগবে না !
'চড়ুই পাখি বারটা
ডিম পেড়েছে তেরটা
একটা ডিম নষ্ট
চড়ুই পাখির কষ্ট'
১৫: রস-কস : এটি সাধারণত ঘরে কিংবা স্কুলে ক্লাসের ফাকে খেলতাম। এটিও অনেকটা চড়ুই-পাখির মত। আঙ্গুল গুণে গুণে 'রস, কস, সিঙ্গাড়া, বুলবুলি, মস্তক' বলা হত। সবার শেষে যার আঙ্গুল বাকি থাকত তাকে দুর্ভোগ পোহাতে হত। অর্থাৎ, সবাই একে একে তার হাতের তালুতে হাত দিয়ে আঘাত করত। যে মিস করত সে বাদ হয়ে যেত।
১৬ : কুতকুত : এই খেলা মূলত মেয়েদের খেলা হলেও বাড়িতে গেলে কাজিনদের সাথে খেলতাম। কুতকুত অনেক ধরনের ছিলো। ৪,৫,৯ ঘরের গুলো মনে আছে।
১৭: বোম বাস্টিং : এই খেলা টেনিস বল দিয়ে খেলা হত। যে যাকে পারত পিঠের মধ্যে টেনিস বল দিয়ে মারত। একে 'পিঠ ফাডান্তিস' ও বলত।
১৮: সাত চারা : ইটের উপর ৭টি চারা/ঝিক রেখে দূর হতে বল দিয়ে মারা হত। বল দিয়ে সেগুলো ফেললে অপরপক্ষ সেগুলো আবার তোলার চেষ্টা করত। এরই মধ্যে বল দিয়ে তাদের কারও গায়ে লাগাতে পারলে তারা জয়ী হত।
১৯: ৫ গুটি/ ধাপ্পা : এটাও মেয়েদের খেলা। তবে আমিও খেলেছি। এই খেলার অনেক গুলো ধাপ ছিল, ভুলে গেছি।
২০: ডাংগুটি : এই খেলাটা সম্পর্কেও নিশ্চয়ই অনেকের ধারণা আছে। দুজন কিংবা একাধিক হলে দুদলে বিভক্ত হয়ে এটি খেলা হত। খেলার সরঞ্জাম ছিল এক হাত সমমানের শক্ত একটি 'ডাং' এবং ক্রিকেটের "উইকেট"এর বেল সমমাপের 'গুটি'। মাটিতে ছোট একটি গর্ত করে সেখানে গুটি রাখা হত। তারপর তার নীচে ডাং ঢুকিয়ে জোরে দূরে মারা হত। কেউ যদি গুটি শূণ্যে ধরে ফেলতে পারত, তবে আউট ধরা হত। আর ধরতে না পারলে সেখান থেকে কুড়িয়ে ডাং এর কাছে ফেলতে পারলে সে মারার চান্স পেত। আর কাছে যদি না পড়ত, তখন ডাং দিয়ে গুটিটিকে তিন বার বাড়ি মেরে দূরে পাঠানো হত। এখানে মারার সময় কেউ যদি গুটিকে একাধিক শূণ্যের মধ্যে ডাং দিয়ে বাড়ি মারতে পারত, সেটার জন্য এক্সট্রা পয়েন্ট পেত। এভাবে যেখানে গুটিটি গিয়ে পড়েছে সেখান থেকে ডাং দিয়ে গুণে গুণে ঘর পর্যন্ত আনা হত। যার পয়েন্ট বেশি হত, সেই প্রথম হত।
২১: ঘুড়ি: ঘুড়ি উড়াতে আমি পটু ছিলাম না। ভাল ঘুড়ি উড়াতে পারতাম না। তবে আমার মা খুব ভাল ঘুড়ি বানাতে পারত। আমি আমার মায়ের কাছ থেকেই ঘুড়ি বানানো শিখেছিলাম।
২২: চোর-পুলিশ : কাগজে-কলমে এই খেলাটিও অনেক জনপ্রিয় একটি খেলা ছিল। চোর, পুলিশ, বাবু, ডাকাত। চোরের পয়েন্ট ৪০, ডাকাতের ৬০, পুলিশের ৮০ আর বাবুর ছিল ১০০। কি মনে পড়েছে? কাগজে কলমে আরেকটি খেলা ছিল। গ্রামে বেড়াতে গেলে এই খেলাটি খেলতাম। "যদু, মধু, রাম, সাম"।
২৩: মি : এই খেলাটি সবাই হাত ধরে গোল হয়ে খেলত। 'মি' বলে সবাই হাত ছেড়ে লাফ দিয়ে পিছনে সরে যেত। তারপর একজন আরেকজনের পায়ে পা লাগাতে পারলে সে আউট হয়ে যেত।
২৪: যুদ্ধ যুদ্ধ : ছোটবেলার একটা সময় বান্দরবানে কাটিয়েছি। তখন 'টিপু সুলতান' নামে একটা এপিসোড হত। সেটার দেখাদেখি আমরাও যুদ্ধ যুদ্ধ খেলতাম। বড় ভাইয়েরা পাহাড় থেকে বাঁশ কেটে আনত, তারপর সেগুলো দিয়ে তলোয়ার বানাত। আমাদেরকেও বানিয়ে দিত। কাঁঠাল পাতা দিয়ে বানাতাম মুকুট। কাশফুল মুকুটের সামনে জুড়ে দিতাম। তারপর শুরু হত যুদ্ধ। আহ ! কি সেই সময়গুলো।
এছাড়া আর এক রকম যুদ্ধ যুদ্ধ খেলতাম। সেটা হল গোলাগুলি। এক দলের উপর আরেক দল ছোট ছোট ইটের টুকরা (বোমা) ছুড়ে মারতাম, বড় ভাইদের থাকত স্টেনগান। কি সুন্দর করে বানাত বাশ দিয়ে। আমরা অবশ্য সেগুলো পেতাম না। কাগজের পিস্তলই ছিল পিচ্চিদের ভরসা !
২৫: টুনটুনি পাখি : এই খেলায় একজন হাটু গেড়ে বসে এবং দুহাত প্রসারিত করে রাখে। অন্যরা একে একে হাতের উপর লাফ দিয়ে পার হয় এবং নিচের ছড়াটি বলে। চোরের হাতে কারও পা লেগে গেলে সে চোর হত।
'টুনটুনি পাখি
নাচোতো দেখি
নারে বাবা নাচবো না
পড়ে গেলে বাচবো না
বড় আপুর বিয়ে
লাক্স/কসকো সাবান দিয়ে'
২৬: নাম মনে নেই : এটিও উপরের খেলাটির মতই। তবে এখানে চোর দুজনও হতে পারে। তারা মুখোমুখি বসে পা বিছিয়ে। এখানে প্রথমে এক পা , তারপরে আরেক পা, তারপর এক হাত, এরপর আরেক হাত এভাবে উচ্চতা বাড়াতে থাকে। অন্যরা ধাপে ধাপে এসবের উপর লাফ দিয়ে পার হত। যার পা চোরের গায়ে লাগত সেই চোর হত।
২৭: কিংকং : এই খেলাটি কিছুটা বোম বাস্টিং খেলার মতই। তবে এখানে একজন চোর থাকে যে বল ছুড়তে পারে। সে ছাড়া বল হাত দিয়ে আর কেউ ধরতে পারে না। হাত মুষ্টিবদ্ধ করে বল ধরে দূরে সরিয়ে দিতে পারবে। তবে কেউ যদি 'সারেন্ডার' বলত, তাকে মারা হত না। এভাবে শেষ পর্যন্ত যে টিকে থাকত, সেই রাজা হত।
২৮: ক্রিকেট (খাতায়) : এই খেলাটি সাধারণত ক্লাসের ফাকে খাতায় খেলা হত। দুজন দুটো টিম সিলেক্ট করে ৫ কিংবা ততোধিক প্লেয়ার নিত। তারপর খাতায় গোল বৃত্ত একে সেগুলো কে চার, ছয়, দুই. তিন, সিঙ্গেল, বোল্ড, ক্যাচ, স্টাম্পিং এমন করে আলাদা ঘরে লিখা হত। তারপর চোখ বন্ধ করে বৃত্তের মাঝখানে একজন কলম ধরত আর অপরজন খাতা ঘুরাত। এরপর যে কলম ধরত সে অনুমান করে একটি ঘরের উপর কলম রাখত। এভাবে রান হলে রান, আউট হলে আউট হিসেব করা হত।
২৯: খাতার আরও কিছু খেলা :
শব্দ বানানো : এই খেলায় নির্দিষ্ট ঘরে একজন একজন করে একটি করে অক্ষর লিখত। যে পরের শেষ অক্ষর লিখত সে পয়েন্ট পেত। যেমন, একজন লিখল o, অন্যজন তার পাশে যদি N লিখত, তাহলে সে দু পয়েন্ট পেত।
ঘর মিলানো : ডট ডট দিয়ে সমদূরত্বে কিছু লাইন আকা হত। তারপর এক বিন্দু থেকে আরেক বিন্দুকে একবার করে রেখা টেনে সংযুক্ত করা হত। এভাবে শেষ পর্যন্ত যে যতগুলো ঘর বেশী পূরণ করতে পারত সে জয়ী হত।
কাটাকুটি : এই খেলাটি ছিল ৯ ঘরের একটি খেলা। একই সারিতে যে তিনটি X বা O বসাতে পারত সে জয়ী হত।
.............................................................
ব্লগারদের সংযুক্তি
৩০: রুমাল চোর : এটি অনেক জনপ্রিয় একটি খেলা ছিল। রুমাল চোর নাম হলেও আমরা সাধারণত স্যান্ডেল দিয়েই খেলতাম। এখানে সবাই গোল হয়ে বসত। যে চোর হত, সে সবার পিছনে ঘুরে ঘুরে যে কোন একজনের পিছনে স্যান্ডেলটি রেখে দিত। আর একবার ঘুরে আসার আগেই স্যান্ডেল যদি যার পিছনে রাখা হয়েছে, সে পেয়ে যেত তবে সে উঠে স্যান্ডেল নিয়ে ঘুরা শুরু করত। আর না পারলে চোর এসে তার পিঠে দুম দুম কিল বসিয়ে দিত এবং তাকে মুরগী বানিয়ে সবার মাঝখানে বসিয়ে রাখা হত। (ব্লগার 'জু ন'-চতুর্মাত্রিক")
৩১: কাং : গোল একটা চাকতি থাকতো। অনেক গুলা বক্স থাকতো। চাকতি দিয়ে বক্স গুলাকে বিভিন্ন কায়দায় ফেলতে হতো। (ইমন কুমার দে)
৩২: চড়ুইভাতি : এই খেলাটি খেলেননি এমন কেউ হয়তো নেই। এখনো বাচ্চারা এই খেলাটি খেলে। নিজেরাই নিজেদের সংসার পেতে, রান্না বান্না করে। কি যে মজার এক খেলা। (ইমন কুমার দে)
৩৩ : দড়ি টানাটানি : এখানে বড় একটি দড়ি নিয়ে দুদলে ভাগ হয়ে দড়ির দু-প্রান্ত ধরে টানা হত। শক্তি পরীক্ষার মত। যারা দড়ি নিজেদের দিকে টেনে নিয়ে আসতে পারত, তারাই জয়ী হত। ( ফাইরুজ)
৩৪: বৌ-চি : এই খেলায় বৌ তার দলের জন্য নির্দিষ্ট ঘর থেকে দূরে আরেকটা ঘরে অবস্থান করত। আর প্রতিপক্ষের দলের খেলোয়াড়দের কাজ ছিল বৌ যাতে তার ঘর থেকে দৌড়ে তার দলের ঘরে পৌছতে না পারে। আর বৌ-এর দলের একজন করে সদস্য দম নিয়ে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের ছুয়ে দেয়ার চেষ্টা করত। ছুয়ে দিলে সে বাদ। তাই ছোয়া বাঁচাতে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়রাও এদিক সেদিক দৌড়ায় আর তার ফাঁকে বৌ চেষ্টা করে এক দৌড়ে তার দলের নির্দিষ্ট জায়গায় চলে আসতে। বৌ প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়ের কোন রকম ছোঁয়া ছাড়া নির্দিষ্ট স্থানে চলে আসতে পারলে বৌ-এর দল জয়ী আর যদি আসার সময় প্রতিপক্ষের কোন খেলোয়াড় ছুঁয়ে দেয় তবে প্রতিপক্ষ জয়ী। (ইনক্রেডিবল)
৩৫: নাম না জানা : আরেকটি খেলা খেলতাম। কিভাবে খেলতাম তেমন মনে নাই। তবে ছড়াটা মনে আছে- টগর মগর ঘী মলি, ঘী দে (দিয়ে) বেগুন চচ্চড়ি ....... , তারপর আরেকটি খেলা খেলতাম তাতে বলতাম এলপাত বেলপাত উঠাও তোমার সোনার হাত, আরেকটি খেলা ছিলো যেটাতে বলতাম থাল মাজি থাল মাজি উপুড় করো ......। আর ছোট বেলার সবচেয়ে মজার যে খেলাটি ছোটদের সাথে খেলা হয় সেটা হলো ছোট্ট বাবুটার হাত টেনে তালু পেতে বলা হতো ভাত দিলাম পোলাও দিলাম গোস্ত দিলাম ...এবার একটি বিড়াল আসছে গুড়ম্যও গুড় ম্যও গুড় ম্যও বলতে বলতে দু আঙুল হাতের উপরে হাটিয়ে নিয়ে তার বগলে সুড়সুড়ি দেয়া (মাধুকরী - আমার ব্লগ)
৩৬: জোড় জোড়: (তেতুলের বিচি বা খেজুরের বিচি দিয়ে খেলা হয়)
ট্রাই খেলা - এটা একটা চাড়া (মাটির পাত্রের ভাঙ্গা অংশ বা লোহার প্লেট) দিয়ে খেলতাম, আর টাকা বানানো হত বেবী লজেঞ্চ এর মোড়ক দিয়ে।একজন তার চাড়া ছুড়ে মারত আর টাকা (লজেঞ্চ এর মোড়ক) মুট করে ধরে বলত সেখানে চাড়া ফেলার জন্য, অন্যরা সেই চাড়ার ৪ আঙ্গুলের মদ্ধে ফেলতে হত, ফেলতে পারলে প্রথম পক্ষ তার ধরা টাকা দিয়ে দিত। আর না পারলে ২য় পক্ষ তার সম পরিমান টাকা দিত।
ভর্তুক - এটা নরম মাটি দিয়ে খেলা হয়, প্রথমে একজন নরম মাটি দিয়ে একটা ছোট পাত্রের মত (বাটি) তৈরী করে মাটিতে ছুড়ে দিবে, ফলে বাতাস বের হওয়ার সময় জোরে শব্দ হবে আর গর্ত তৈরী হবে, তখন অন্যরা তাদের মাটি দিয়ে ঐ গর্ত পুরণ করবে। এর পর অন্য জন একই ভাবে পাত্র বানিয়ে মাটিতে ছুড়বে। এভাবে সবার মাটি এক জনের দথলে চলে যাবে। তখন খেলা শেষ।
ভিতর - বাহির : প্রথমে মাটিতে দাগ কেটে একটি ঘর তৈরী করে নিতে হয়। তারপর একজন সামনে দাড়িয়ে বলবে ভিতর, তখন সবাই এক লাফ দিয়ে ঘরের ভিতরে দাঁড়াবে, পরমুহুর্তেই বলবে বাহির, সবাই এক লাফে বাহিরে দাড়াবে, এভাবে ভিতর -বাহির, বলতে বলতে হঠাৎ ভিতর-ভিতর বা বাহির - বাহির বলবে, যারা লাফ দিয়ে উল্টো করবে তার বাদ যাবে, অবশেষে যে থাকবে সে জয় লাভ করবে। (যুবাইরআজাদ)
৩৭: দাড়িয়াবান্ধা: এই খেলায় প্রথমে মাটিতে দাঁগ কাটা (কোট) হয়। দুটি গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলা হয়। একদল প্রতি দাগে একজন করে পাহারা দেয়। অন্যদলের উদ্দেশ্য থাকে প্রথম থেকে শুরু করে একদম শেষ পর্যন্তু গিয়ে আবার প্রথমে ফিরে আসা (প্রতিপক্ষের কেউ যাতে কখনো ছুতে না পারে)। এতে বিভিন্ন রকমের পাস এর ও ব্যবস্হা থাকে। কেউ একজন যদি প্রথম ঘর থেকে শেষ পর্যন্ত যেতে পারে তাহলে সে রেড মার্কড হয় এবং যদি আবার তার শুরুর অবস্থায় ফিরে আসে তাহলে গেম হয়। বিজয়ী গ্রুপ আবার প্রথম থেকে খেলা শুরু করে। (ইমন কুমার দে)
খেলায় চোর নির্বাচন কিংবা টস করার ব্যাপারটিও অনেক মজার ছিল। কেউ একজন আঙ্গুল ফুটাত। ফুটানো আঙ্গুলটি যে ধরত, সেই চোর হত। অথবা তিনজন তিনজন করে হাতের পাতা একসাথে করেও এটি করা হত। লক্ষণীয় ব্যাপার হল এই , অনেক খেলাতেই চোর একটি কমন বিষয় ছিল। যদিও তার কাজ ছিল পুলিশের অর্থাৎ খোজাখুজি কিংবা কাউকে ধরা, কিন্তু তার নাম চোর হত কেন এটার ব্যাখ্যা আমার জানা নেই।
উপরের খেলাগুলো ছাড়াও আরও অনেক খেলা ছিল। যেমন, গোল্লাছুট, মার্বেল, দড়ি লাফ, ছক্কা/লুডু, পুতুল খেলা, পাথর চুরি, মাংস চুরি ,এক্কা দোক্কা, হাডুডু। এছাড়া গতানুগতিক খেলার কথা বাদই দিলাম। বাবার চাকুরীর সুবাদে অনেক জায়গায় থাকা হয়েছে, সেই সুবাদে অনেক মানুষের সাথে মিশেছি, অনেক খেলাধুলা সম্পর্কে জেনেছি, খেলেছি। এখনকার ছেলে-পুলেরা হয়তো এসব খেলার কথা শুনে হাসবে।
>> অনেক খেলার নাম হয়তো জায়গাভেদে ভিন্ন হতে পারে। সেগুলো উল্লেখ করে দিন।
(উৎসর্গ - আমার ছোট ভাই ফারহানকে)
১২ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৫:৫৮
আসকওয়ানমি বলেছেন: আমা আসলে আমার খেলাগুলোই তুলে ধরেছি। তবে হ্যা, এটি কিন্তু একটি সংগ্রহের মত হতে পারে।
ধন্যবাদ
২| ১২ ই আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১১
জোম্বি বলেছেন: নাম,দেশ, ফুল, ফল খেলেন নাই ভাইজান? কাবাডি? দাড়িয়াবান্ধা?
১২ ই আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২২
আসকওয়ানমি বলেছেন: কাবাডি খেলা হয়নি। দাড়িয়াবান্ধার কথা কিন্তু লিখেছি। আর নাম, দেশ, ফুল, ফল ও খেলেছি। ধন্যবাদ মনে করিয়ে দেয়ার জন্য
৩| ১২ ই আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৩
নীল-দর্পণ বলেছেন: ১-১০, ১৩, ১৪, ১৫, ১৬, ১৯(এটা যদিও ভাল পারতআম না) সব খেলেছি
১২ ই আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪০
আসকওয়ানমি বলেছেন: আপনি পাকা খেলোয়াড়
৪| ১২ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:০৩
মাহমুদুল হাসান কায়রো বলেছেন: বরফ পানি..........অনেক মজার খেলা এন্ড অনেক খেলেছি।
১২ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:১১
আসকওয়ানমি বলেছেন: ধন্যবাদ
৫| ১২ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:০৪
মাহমুদুল হাসান কায়রো বলেছেন: পাতা গারন্তি, মজার একটি খেলা।
১২ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:১২
আসকওয়ানমি বলেছেন: এটা কি সাত পাতার অন্য নাম নাকি আলাদা একটি খেলা ? আলাদা হলে বর্ণনা দিন।
৬| ১২ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:২৬
নীল-দর্পণ বলেছেন: ১১ নং খেলাটাও খেলেছি গ্রামে গিয়ে। এটা মনে এভাবে খেলে,
দুই জন সামনা সামনি বসে একজন এক হাত(ধরেন বাম হাত) সোজা করে অন্য হাত দিয়ে সোজা করা হাতের কবজি ধরে। সামনের জনও সেভাবে হাত বক্স করে এবং দুই জন দুই জনের হাত মেলায়। তার পরে একজন একজন করে দুই বক্সের মধ্যে যায় আর ছড়া কাটে। কারো পা কোন হাতের সাথে লাগলে সে বাদ।
ইচিং বিচিং খেলতে যেয়ে একবার উল্টে পড়ে ঠোট কেটে ফেলেছিলাম।
খুব মিস করি খেলাগুলো
১২ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:৩৯
আসকওয়ানমি বলেছেন: ধন্যবাদ
৭| ১২ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:৩১
ত্রিনিত্রি বলেছেন: সেই রকম নস্টালজিক পোস্ট!! পোস্ট সরাসরি প্রিয়তে!
কুমির কুমির আমার বড় প্রিয় খেলা ছিলো। একটা ছড়া বলতাম, কুমির তোর জলে নেমেছি
হাড্ডি দিয়ে মাংস খেয়েছি।
মোটামোটি এসবই খেলতাম, নতুন কিছু মনে পড়ছে না। তবে পলানটুক কে আমরা বলতাম ফুলটোকা।
১২ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:৪৪
আসকওয়ানমি বলেছেন: ককফাইট খেলছেন
ফুলটোকা যুক্ত করে দিলাম, ধন্যবাদ
৮| ১৩ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৩:৫৬
পাগলা যোদ্ধা বলেছেন: সেই গ্যান্দা কালের কথা মনে করায়ে দিলেন রে ভাই....
১৩ ই আগস্ট, ২০১১ ভোর ৪:১২
আসকওয়ানমি বলেছেন: আহা, কতই না ভালা আছিল দিনগুলান
৯| ১৩ ই আগস্ট, ২০১১ সকাল ১০:৪৮
নাঈম আহমেদ বলেছেন: দড়ি লাফ
১৩ ই আগস্ট, ২০১১ সকাল ১০:৫১
আসকওয়ানমি বলেছেন: ধন্যবাদ
১০| ১৩ ই আগস্ট, ২০১১ সকাল ১০:৪৯
ইমন কুমার দে বলেছেন: ছোটো বেলায় অনেক খেলাই খেলেছি। বেশি খেলেছি দাঁড়িয়াবান্ধা, মার্বেল, ছোয়াছুয়ি, লুকোচুরি........ কুমির কুমির....... কতো কিছু!! মনিপুরী পাড়ায় থাকার সুবাদে এক ধরনের খেলা খেলেছি যার নাম কাং। গোল একটা চাকতি থাকতো। অনেক গুলা বক্স থাকতো। চাকতি দিয়ে বক্স গুলাকে বিভিন্ন কায়দায় ফেলতে হতো।
সবচাইতে বেশি যে খেলাটি খেলেছি সেটা হচ্ছে চড়ূইভাতি চড়ূইভাতি খেলা।
১৩ ই আগস্ট, ২০১১ সকাল ১০:৫৪
আসকওয়ানমি বলেছেন: দাড়িয়াবান্ধার নিয়মটা আমি ভুলে গেছি, মনে থাকলে লিখে দিন।
কাং যুক্ত করে দিলাম। আর চড়ুইভাতির কথা সবার প্রথমেই দিব ভেবে রেখেছিলাম, অথচ সেটাই মিস হয়ে গেছে।
ধন্যবাদ ইমন ভাই
১১| ১৩ ই আগস্ট, ২০১১ সকাল ১০:৫৭
ফাইরুজ বলেছেন: এপেনটি বায়স্কোপ আর ফুলটোকাটা খুব খেলেছি। বৌচি টাও খেলতাম। গোল্লাছুট, দাড়িয়া বান্দা। নামটা মনে আছে কিন্তু খেলার ধরণটা মনে নেও। দড়ি টানাটানিটাও ভাল লাগত।
১৩ ই আগস্ট, ২০১১ সকাল ১১:০৫
আসকওয়ানমি বলেছেন: হুমম... দড়ি টানাটানি.......ধন্যবাদ মনে করিয়ে দেয়ার জন্য
১২| ১৩ ই আগস্ট, ২০১১ সকাল ১১:২৯
ইনক্রেডিবল বলেছেন: ২-১ টা ছাড়া মনে হয় সব গুলোই খেলেছি
বৌ-চি খেলায় বৌ তার দলের জন্য নির্দিষ্ট ঘর থেকে দূরে আরেকটা ঘরে অবস্থান করত। আর প্রতিপক্ষের দলের খেলোয়াড়দের কাজ ছিল বৌ যাতে তার ঘর থেকে দৌড়ে তার দলের ঘরে পৌছতে না পারে। আর বৌ-এর দলের একজন করে সদস্য দম নিয়ে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের ছুয়ে দেয়ার চেষ্টা করত। ছুয়ে দিলে সে বাদ। তাই ছোয়া বাঁচাতে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়রাও এদিক সেদিক দৌড়ায় আর তার ফাঁকে বৌ চেষ্টা করে এক দৌড়ে তার দলের নির্দিষ্ট জায়গায় চলে আসতে। বৌ প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়ের কোন রকম ছোঁয়া ছাড়া নির্দিষ্ট স্থানে চলে আসতে পারলে বৌ-এর দল জয়ী আর যদি আসার সময় প্রতিপক্ষের কোন খেলোয়াড় ছুঁয়ে দেয় তবে প্রতিপক্ষ জয়ী।
আরেকটা খেলা খেলতাম যেটা এখানে নেই। একটু পর নিয়ম সহ লিখব।
১৩ ই আগস্ট, ২০১১ সকাল ১১:৪৮
আসকওয়ানমি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ.... সংযুক্ত করে দিচ্ছি
১৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১২:৪৯
জাহিদুল হাসান বলেছেন: ভাই, নষ্টালজিক করে দিলেন, আহা, সেই ছোটবেলাটা যদি আবার ফিরে পেতাম।
১৩ ই আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১:০৪
আসকওয়ানমি বলেছেন: ফিরে তো পেতে চাই, কিন্তু ..........
১৪| ১৩ ই আগস্ট, ২০১১ দুপুর ২:৫৪
সারু বলেছেন: কুথ কুথ, পিঠ জলান্তিস (টেনিস বল দিয়ে ছুড়ে মারা হত আরেকজন এর পিঠে), সাত চারা .....................
দারুন উদ্যো। চালিয়ে যান।
১৩ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৩:৪৬
আসকওয়ানমি বলেছেন: ধন্যবাদ
১৫| ১৩ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৪:৩৬
মাইন রানা বলেছেন: মার্বেল গুল্লি খেলা। বাটু খেলা ( সিগারেটের প্যাকেট দিয়ে টাকা বানিয়ে খেলা), চাড়া খেলা (মাটির হাড়ি পাতিলের ভাঙ্গা অংশ), কুতকুত খেলা, কিলাকিলি খেলা, পিঠ গরম কেলা, ডিলা ডিলি খেলা (দুই দল হয়ে জমিনে দাগ দিয়ে ইচ্ছা মত ডিলাডিলি; ভয়ংকর খেলা), লোকালুকি খেলা (পালান টুকটুক) আরো অনেক খেলা।
১৩ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:০৮
আসকওয়ানমি বলেছেন: আপনার উল্লেখিত অনেকগুলোই দেয়া আছে। তবে পিঠ গরম টা কিভাবে খেলত?
১৬| ১৩ ই আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৬
যুবাইরআজাদ বলেছেন: ১২, ১৫, ২৩ ও ২৭ নং ছাড়া সব গুলো খেলেছি, তবে ১২ নং টার অনুরূপ একটা খেলা খেলতাম যার নাম বলতাম ট্রাই খেলা। এটা একটা চাড়া (মাটির পাত্রের ভাঙ্গা অংশ বা লোহার প্লেট) দিয়ে খেলতাম, আর টাকা বানানো হত বেবী লজেঞ্চ এর মোড়ক দিয়ে।
তা ছাড়া আরও কিছু খেলা খেলতাম, যেমন -
আঁচকোঁচ
গুল থেলা / গুলবাড়ি / ডানডা কুলুপ / ডাংগুলি (দুই ধরনের)
দাইড়ে / দাড়িয়া বাঁধা
বাঘ ছাগল / বাঘ বন্ধী
জোড় জোড় (তেতুলের বিচি বা খেজুরের বিচি দিয়ে খেলা হয়)
ট্রাই খেলা - এটা একটা চাড়া (মাটির পাত্রের ভাঙ্গা অংশ বা লোহার প্লেট) দিয়ে খেলতাম, আর টাকা বানানো হত বেবী লজেঞ্চ এর মোড়ক দিয়ে।একজন তার চাড়া ছুড়ে মারত আর টাকা (লজেঞ্চ এর মোড়ক) মুট করে ধরে বলত সেখানে চাড়া ফেলার জন্য, অন্যরা সেই চাড়ার ৪ আঙ্গুলের মদ্ধে ফেলতে হত, ফেলতে পারলে প্রথম পক্ষ তার ধরা টাকা দিয়ে দিত। আর না পারলে ২য় পক্ষ তার সম পরিমান টাকা দিত।
ভর্তুক - এটা নরম মাটি দিয়ে খেলা হয়, প্রথমে একজন নরম মাটি দিয়ে একটা ছোট পাত্রের মত (বাটি) তৈরী করে মাটিতে ছুড়ে দিবে, ফলে বাতাস বের হওয়ার সময় জোরে শব্দ হবে আর গর্ত তৈরী হবে, তখন অন্যরা তাদের মাটি দিয়ে ঐ গর্ত পুরণ করবে। এর পর অন্য জন একই ভাবে পাত্র বানিয়ে মাটিতে ছুড়বে। এভাবে সবার মাটি এক জনের দথলে চলে যাবে। তখন খেলা শেষ।
লাটিম
বন্দুক ফোটানো - বাঁশের নল কেটে তার মধ্যে হিজল গাছের ফল (কাগজ ভিজিয়ে নরম করে ও করতাম) আটো সাটো করে ঢুকিয়ে একটা কাঠি দিয়ে জোরে ধাক্কা মারলে সজোরে শব্দ হত।
ফোস্কা বানানো - হিজল গাছের ফল বেটে পানিতে গুলিয়ে বা ঢেকি ভেন্রার ডালের কষ সেপটিপিনে লাগিয়ে দিয়ে ফু দিলে ফোস্কা হত।
তীর ছোড়া - বাঁশের শলা তৈরী করে তার এক পাশ চিরে সেখানে তাল পাতা ভাজ করে গুজে দিয়ে সুতা দিয়ে বেঁধে দিতাম । তার পর সুতা লাগিয়ে ছুড়ে মারতাম (খুবই বিপজ্জনক খেলা)
পান্জা লড়াই
লাঠি খেলা
ষোল ঘুটি
পুতুল বিয়ে (আমি এটা খুব কম খেলতাম, লজ্জা লাগত বলে)
কন্দা চালানো - ভাঙ্গা মাটির কলসির মুখের অংশ সুন্দর ভাবে আলাদা করে বাঁশের কঞ্চি দিয়ে চালাতাম।
লোহার রিং বা সাইকেলের রিম চালানো।
ঘুড়ি ওড়ানো - ৪ রকম ঘুড়ি উড়াতাম।
১। কোয়াড়ে
২। পতেং
৩। চিলে ঘুড়ি
৪। জের ঘুড়ি
৫। মানুষ ঘুড়ি (এটা আমাদের বাড়ীতে তৈরী করতে দিত না তাই উড়াতে পারি নাই)।
তালপাতা দিয়ে ঘড়ি, চশমা ও অংটি, ও বল বানাতাম।
তালপাতা ও খেজুরের পাতা দিয়ে চরকা বানিয়ে ঘুরাতাম।
কাগজ দিয়ে নোওকা, বল, ফুল ইত্যাদি বানানো
কলার খোলা দিয়ে ছই আলা নোওকা বানানো
মাটি ও পাট কাঠি দিয়ে গাড়ি বানানো
জাহাজ বানিয়ে কনডমের মুখের রাবার এর সাথে বাঁশের চটা দিয়ে ইঞ্জিন বানিয়ে চালাতাম।
লুডু
কাটা কুটি
কনডম ফুলানো (বাড়ীতে পছন্দ করত না)
ইফতারের সময় হয়ে গিয়েছে। পরে পারলে বিস্তারিত লিখব।
১৩ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:২৩
আসকওয়ানমি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ
১৭| ১৩ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:৪৩
ইমন কুমার দে বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে। দাঁড়িয়াবান্দা খেলায় প্রথমে মাটিতে দাঁগ কাটা হয়। উপরের ছবির মতো। দুটি গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলা হয়। একদল প্রতি দাগে একজন করে পাহাড়া দেয়। অন্যদলের উদ্দেশ্য থাকে প্রথম থেকে শুরু করে একদম শেষ পর্যন্তু গিয়ে আবার প্রথমে ফিরে আসা (প্রতিপক্ষের কেউ যাতে কখনো ছুতে না পারে)। এতে বিভিন্ন রকমের পাস এর ও ব্যবস্হা থাকে। কেউ একজন যদি প্রথম ঘর থেকে শেষ পর্যন্ত যেতে পারে তাহলে সে রেড মার্কড হয়। একজন রেড মার্কডই যদি আবার তার শুরুর অবস্থায় ফিরে আসে তাহলে গেম হয়। বিজয়ী গ্রুপ আবার প্রথম থেকে খেলা শুরু করে।
১৩ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:৪৭
আসকওয়ানমি বলেছেন: দারুণ। এবার মনে এসেছে।
অনেক ধন্যবাদ
১৮| ১৫ ই আগস্ট, ২০১১ দুপুর ২:৫৬
যুবাইরআজাদ বলেছেন: ভিতর- বাহির
১৫ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৩:০২
আসকওয়ানমি বলেছেন: শুধু নাম দিলে অনেকেই বুঝবে না, বর্ণনা দিলে ভাল হয়...
ধন্যবাদ
১৯| ১৭ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১১:০৫
যুবাইরআজাদ বলেছেন: ভিতর - বাহির : প্রথমে মাটিতে দাগ কেটে একটি ঘর তৈরী করে নিতে হয়। তারপর একজন সামনে দাড়িয়ে বলবে ভিতর, তখন সবাই এক লাফ দিয়ে ঘরের ভিতরে দাঁড়াবে, পরমুহুর্তেই বলবে বাহির, সবাই এক লাফে বাহিরে দাড়াবে, এভাবে ভিতর -বাহির, বলতে বলতে হঠাৎ ভিতর-ভিতর বা বাহির - বাহির বলবে, যারা লাফ দিয়ে উল্টো করবে তার বাদ যাবে, অবশেষে যে থাকবে সে জয় লাভ করবে।
১৮ ই আগস্ট, ২০১১ সকাল ৯:৫৮
আসকওয়ানমি বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৫:৫৬
বরফ গলা পািন বলেছেন: হুম ভাল উদ্যাগ।