নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আসলাম নাবির

আসলাম নাবির › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাত জাগা বড় ছেলে

০১ লা আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:০৭

'সংসার' একটি সংসারের সাথে জড়িয়ে থাকে কিছু মানুষের কিছু সময়ের হাজারো সুখ, হাজারো দু:খ। কিছু আবেগের গল্প, কিছু অনুভূতির গল্প আরও কত কি। সংসারের বড় ছেলে। তাকে নিয়ে সংসারে সর্বদাই একটি ভিন্ন গল্প এগোতে থাকে। তার কাছে সংসারের অন্য সকলের কত চাহিদা। তাকে নিয়ে সবার কত স্বপ্ন। আমার ছেলে প্রকৌশলী হবে, আমার ছেলে ডাক্তার হবে, আমার ছেলে এই হবে সেই হবে। বাবা মায়ের এটাই চাওয়া। বাবা মায়ের এমনটা চাওয়া ভুল কিছু নয়। বড় ছেলে বলে কথা। নিজের ছেলেকে নিয়ে এই সামান্য স্বপ্ন দেখার অধিকার সবারই আছে। নিম্ন বিত্ত, মধ্য বিত্ত, ধনী সবার ক্ষেত্রেই প্রায় এক। বন্ধুর বড় ছেলে ২১ বছর বয়সে পরিবারের হাল ধরেছে। কলিগের ছেলেটা নিউইয়োর্কে সিএসই পরছে, কিছু রোজগারও করছে, মাসে মাসে দেশে টাকা পাঠায়। দেশে ফিরে আসলে বেতন কম করে হলেও দুই লাখ। পাশের বাড়ির ছেলেটা রোজ চারটা ছাত্র পরায়। ছোট ভাই বোন সহ নিজের খরচটা চালিয়ে নেয়। এমন হাজারো গল্প সংসারের কিছু বড় ছেলের শুনতে শুনতে মুখস্ত বলতে গেলে। বাবা মা কি সংসারের বড় ছেলে দের মিথ্যে কিছু শোনাচ্ছে? সবই সত্য। বাবার বয়স হয়ে যাচ্ছে ছেলে মেয়ের কামাই খেয়ে যেতে পারবে কিনা সন্দেহ। ছোট ছেলেমেয়ে গুলোর কি হবে? চাকরি/ব্যাবসাটা ফুরিয়ে গেলে সংসার কিভাবে চলবে? এই চিন্তা করে ঘুমোতে যায় হাজারো বাবা। এই সবই আমাদের সমাজের গল্প। আমাদের সংসারের গল্প। আমাদের বাবা মায়ের গল্প।
এবার বলি বড় ছেলেদের কিছু কথা। আমি বাবা মায়ের বড় ছেলে। জীবনে ভাল কিছু একটা করতেই হবে। বাবা মা ভাই বোনদের সুখে রাখতেই হবে। জীবনের ২০/২৫ টা বছর পেরিয়ে এসেছি। এখনও দুই পয়সা রোজগার বাবা মায়ের হাতে তুলে দিতে পারিনি। দিনের পর দিন বাবার অন্ন ধংস করে চলেছি। আমার ইচ্ছা এমন কিছু করবো যেন এক নামে সবাই আমাকে চেনে। অনেক সুখে রাখবো সবাইকে। অনেক টাকা কামাতে হবেই। কিন্তু এমন ইচ্ছার পেছনে স্বপ্ন একেঁ দিনের পর দিন আমি ছুটে চলেছি অজানার পথে। আর এর ভেতর একই বয়সি ছেলেরা টাকা কামাচ্ছে অনেক। আমিতো সংসারের বড় ছেলে, আমার দিকে তাকিয়ে আছে আরও কয়েক জন। তাই আমার এটা করতে হবে, সেটা করতে হবে। এভাবে এগোতে হবে। সেভাবে এগোতে হবে। এই সব চিন্তা করে করে মাথার সব তার ছিড়ে যায়। এক সময় নিজেকে ভীষন একা মনে হয়। তখন পরিবার থেকে নিজে অজান্তেই দূরে সরে যায়। ছিটকে যাওয়া কোন তারাত মত। অনেকের কাছে বন্ধু-বান্ধব, এমনকি প্রমিকাকেও দূরের মনে হয়। তখন সে হয়ে ওঠে এক প্রকার মানষিক রোগী। সে পাগল নয় তবুও পাগল। তার মাথায় কোন গন্ডগোল নেই, তবুও মানষিক রোগী। কিছু কথা যা সে কারও কাছে বলতে পারেনা আবার নিজের ভেতর লুকিয়েও রাখতে পারে না। তাকে বোঝার কেউ নেই। কেউ তার পাশে এসে দাড়ায় না। দাড়াবে কিভাবে? কেউতো জানেইনা তার মনের খবর। তাই গুটি কয়েক আত্মহত্যা বেছে নিয়ে নিজেকে মুক্তি দেয়। আর কিছু নেশাটেশা করে মুক্তি চায়। কিছু ঘর ছেরে পারি দেয় অজানায়। কিন্তু বাকি সবার কি হয়। বাকি সবাই কষ্ট বুকে নিয়ে এগিয়ে চলে। কাওকে বুঝতে দেয়না ভেতরের কষ্ট। কষ্ট নিয়ে ভেবে রাতটা পার করে দেয় কেউ। বেশির ভাগেরই রাত কাটে নিজেকে লক্ষে নিয়ে যাওয়ার চিন্তায়। ভোরে পাখি ডাকার পর তারা ইচ্ছে হলে ঘুমোতে যায়। কেউ আবার ঘুমোতেই পারে না। রাতটা তার সঙ্গী করে নেয়। চোখের নিচে না ঘুমানোর ছাপ পরে যায়। এভাবে দিন যায় রাত যায়।
( নিজের মনের একান্ত কিছু কথা লিখতে চেয়েছিলাম। গুছিয়ে লিখতে পারলামনা বলে দু:খিত। )

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.