![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিক্ষক সংকট ও নানা অপ্রতুলতায় চলছে বাংলাদেশের একমাত্র ফেনী কম্পিউটার ইনস্টিটিউটের শিক্ষা কার্যক্রম। এই বছর টেলিকমিউনিকেশন নামে নতুন বিভাগ চালু হলেও দেওয়া হয়নি শিক্ষক নিয়োগ। ফলে শিক্ষার্থীরা চরম অনিশ্চয়তায় ভুগছে। প্রাতিষ্ঠানিক শ্রেণি কার্যক্রমের বাইরে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য রয়েছে ছয় মাসের একটি বাড়তি শর্ট কোর্স। অল্প সময়ে যার সুফল ভোগ করছে প্রশিক্ষণার্থী ও শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠার পর থেকে অধ্যক্ষ নিয়োগ হয়নি এ প্রতিষ্ঠানে।
শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরা জানায়, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন ফেনী কম্পিউটার ইনস্টিটিউট দেড় একর জায়গার ওপর ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানে ৭৪টি পদ সৃষ্টি হলেও ২০ জন শিক্ষক ও ২৫ জন কর্মচারী রয়েছে। অধ্যক্ষ ও চিফ ইন্সট্রাক্টরসহ গুরুত্বপূর্ণ বহু পদ খালি দীর্ঘদিন পর্যন্ত। আগের দুটি বিভাগ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ও ডাটা কমিউনিকেশন অ্যান্ড নেটওয়ার্কিংয়ের সঙ্গে নতুন টেলিকমিউনিকেশন বিভাগ চালু হলেও দেওয়া হয়নি শিক্ষক নিয়োগ। এই বিভাগে বর্তমানে ১২০ শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। যাদের পাঠদান করানো হয় অন্য বিভাগের অভিজ্ঞ শিক্ষক দিয়ে।
টেলিকমিউনিকেশন বিভাগে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক মাহবুব হোসেন জানান, টেলিকমিউনিকেশন বিভাগে নতুন শিক্ষক নিয়োগ না থাকায় তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন। এ বিভাগে এখন মাত্র একটি সেমিস্টার হওয়াতে শিক্ষক স্বল্পতার বিষয়টি ছাত্রছাত্রীরা বুঝতে পারছেন না। আগামী বছর থেকে নতুন ছাত্রছাত্রী ভর্তি হলে পাঠদান চরমভাবে ব্যাহত হবে।
ডাটা কমিউনিকেশন অ্যান্ড নেটওয়ার্কিংয়ের শিক্ষার্থী আবু তালেব জানান, ৮ সেমিস্টারে অধ্যয়নরত প্রায় এক হাজার ছাত্রের জন্য প্রতিষ্ঠানে নেই খেলার মাঠ ও শহীদ মিনার। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এসে এই প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করলেও তাদের হোস্টেলে থাকার ব্যবস্থা নেই। প্রচুর টাকা খরচ করে থাকতে হচ্ছে বিভিন্ন বাসাবাড়ি কিংবা ম্যাচে। আর যারা হোস্টেলে থাকছে তাদের থাকতে হচ্ছে বেহাল পরিবেশে। প্রত্যেক কক্ষে ৪ জনের পরিবর্তে রয়েছে আট থেকে দশজন। মেঝেতে বসে পাঠদান ও ল্যাপটপ চালাতে হয় তাদের।
ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম জানান, ইতোমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে শিক্ষক সল্পতার কথা লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। তিনি আরও জানান, দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে হলে প্রয়োজন কারিগরি শিক্ষার প্রতি বাড়তি নজরদারি....!
©somewhere in net ltd.