নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি তোমাদেরই

আশমএরশাদ

শিশিরের শব্দের মত

আশমএরশাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শ্রমিক তার ন্যূনতম চাহিদাটা না পেলে কিভাবে "অন্যতম" সন্তান জন্মদিবে

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১১



দেশের পোশাক খাতে বর্তমানে কর্মরত প্রায় ৩৬ লাখ শ্রমিকের জন্য সর্বশেষ ন্যূনতম মজুরি কার্যকর হয় ২০১০ সালের নভেম্বর থেকে। পোশাক কারখানার শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি দুই হাজার ৮০০ টাকার বেশি দিতে কোনোভাবেই রাজি হচ্ছিল না মালিকরা। অবশেষে তাঁদের ডেকে নিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ‘এক দিনের বাজার খরচের টাকা’ চেয়ে প্রধানমন্ত্রী সেদিন ন্যূনতম মজুরি কিছুটা বাড়াতে মালিকদের রাজি করান। ১৬৫০ টাকা থেকে বেড়ে গার্মেন্ট শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি হয় তিন হাজার টাকা।



অবশ্য মালিকরা দরকষাকষি শুরু করেছিলেন মাছের বাজারের মতো। ১৬৫০ টাকা থেকে দুই হাজার, সেখান থেকে বাড়িয়ে ২২০০ টাকা। পরে আরো ৩০০ বাড়িয়ে ২৫০০ টাকা। সর্বশেষ ২৮০০ টাকায় সম্মত হন তাঁরা, পরে যা তিন হাজার টাকা হয়।

২০১০ সাল আর ২০১৩ সাল- ব্যবধান তিন বছরের।



গত ১৭ সেপ্টেম্বর বিজিএমইএ মাত্র ২০ শতাংশ মজুরি বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে মজুরি বোর্ডে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, পোশাক খাতকে টিকিয়ে রাখার বদলে বিজিএমইএ তার ভোটের রাজনীতি করছে। মালিকদের এ প্রস্তাব নিয়ে ইতিমধ্যে সমালোচনা শুরু হয়েছে। পাশাপাশি শ্রমিকদের মধ্যে বড় ধরনের ক্ষোভের তৈরি হচ্ছে।



১৯৮৬ সালে পোশাক শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণের পর ১৯৯৪ সালে দ্বিতীয়বারের মতো ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হয় ৯৩০ টাকা। ২০০৬ সালে শ্রমিকদের তীব্র আন্দোলনের পর বোর্ড গঠন করে ন্যূনতম মজুরি ১৬৬২ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়।



সবচেয়ে কম বাংলাদেশে : শ্রমিকদের পক্ষ থেকে মজুরি বোর্ডে যে প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়েছে ওই তথ্য অনুযায়ী প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম মজুরি পাচ্ছে বাংলাদেশের গার্মেন্ট শ্রমিকরা। এতে দেখা যায়, প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মজুরি পাচ্ছে পাকিস্তানের গার্মেন্ট শ্রমিকরা। প্রতিমাসে তারা পাচ্ছে ১১৫.২ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় ৯ হাজার ২১৬ টাকা। এরপর ভিয়েতনামে ১১০.২৪ ডলার (৮,৮১৯.২০ টাকা), ভারতে ১০৬.০৮ ডলার (৮,৪৮৬.৪০ টাকা), শ্রীলঙ্কায় ৯১.৫২ ডলার (৭,৩২১.৬০ টাকা), ইন্দোনেশিয়ায় ৯১.৫২ ডলার (৭,৩২১.৬০ টাকা), নেপালে ৮৩.২ ডলার (৬,৬৫৬ টাকা), কম্বোডিয়ায় ৮০ ডলার (৬,৪০০ টাকা)। আর একজন বাংলাদেশি গার্মেন্ট শ্রমিক মাসে ন্যূনতম মজুরি পাচ্ছে ৩৭.৪৯ মার্কিন ডলার বা তিন হাজার টাকা।



অন্যান্য খাতের চেয়েও কম : মজুরি বোর্ডে শ্রমিকপক্ষের দেওয়া প্রস্তাব অনুযায়ী, নির্মাণ ও কাঠশিল্প খাতের শ্রমিকরা ন্যূনতম মজুরি পাচ্ছে ৯ হাজার ৮৮২ টাকা, যা ঘোষিত হয় ২০১২ সালের অক্টোবরের ৮ তারিখে। এ ছাড়া ট্যানারি খাতের শ্রমিকরা পায় ৯ হাজার ৩০০, অয়েল মিল অ্যান্ড ভেজিটেবল মিলের শ্রমিকরা ৭ হাজার ৪২০, ব্যক্তিমালিকানাধীন পরিবহন খাতের শ্রমিকরা ৬ হাজার ৩০০, রি-রোলিং মিলসের শ্রমিকরা ৬ হাজার ১০০ এবং গ্লাস ও সিলিকেট খাতের শ্রমিকরা ৫ হাজার ৩০০ টাকা পাচ্ছেন।

তথ্য সুত্র কালের কন্ঠ-http://kalerkantho.com/print_edition/index.php?view=details&type=gold&data=news&pub_no=1371&cat_id=1&menu_id=13&news_type_id=1&news_id=380378#.Uj6hXH9qPmg



আমার মতামত:

আমি মালিক পক্ষের স্বার্থকেও প্রাধন্য দিয়ে থাকি। কারণ মালিক মানে উদ্যোক্তা। মালিকেরা গার্মেন্ট দিয়েছে বলেই আজকে শ্রমিকরা কাজ পেয়েছে এবং দাম বৃদ্ধির কথা উঠেছে।

তার অর্থ এই নয় যে মালিক পক্ষ তার খেয়াল খুশি মতো বাড়াবেন বা কমাবেন। মালিক পক্ষ ঢাকার মত শহরে সুইমিং পুল সমেত বাড়ি বানিয়ে থাকতে পারলে শ্রমিকের নুন্যতম মজুরী নিয়ে কেন তালবাহানা করবেন। বৈশ্বিক দুনিয়ার সাথে আমাদের ব্যাপক জনগোষ্টিকে তাল মিলিয়েই দেখতে হবে। একজন শ্রমিকের বেতন বৃদ্ধি মানে তার সাথে সাথে তার জীবন মানেরও উন্নতি হয়। তার গর্ভের সন্তান অথবা ভুমিষ্ট সন্তানও বাড়তি পুষ্টি পাবে। এতে করে দেশের সামষ্টিক মানুষের মধ্যে শারিরীক এবং মানসিক উন্নতি সাধিত হবে। নুন্যতম নিয়ে কোন আপোস থাকার কথা নয়। একজন শ্রমিক তার নুন্যতম চাহিদাটা না পেলে সে কিভাবে অন্যতম সন্তান জন্মদিবে। অপুষ্ট আগামী প্রজন্ম নিয়ে দেশ কিভাবে আগাবে? শারিরীক ভাবে সক্ষম এবং অপুষ্ঠির স্বীকার না হওয়া “অন্যতম প্রজন্মই” গড়তে পারে সুন্দর বাংলাদেশ।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪২

আরিফ আহমেদ বলেছেন: ৫০০০/= হলে ভাল হয়

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.