![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের দুই নেত্রীর ভাষনই বেশ অস্পষ্ট। প্রধানমন্ত্রী যেহেতু টিভি ভাষন দিয়েছেন তাই সেখানে প্রশ্ন করার সুযোগ ছিল না। কিন্তু ওয়েষ্টিন হোটেলে খালেদা জিয়া যেটা করেছেন সেটা হলো সংবাদ সম্মেলন। যেখানে সাংবাদিকদের কিছু প্রশ্ন করার সুযোগ দেয়া উচিত ছিল। তাহলে অন্তত কিছু বিষয় ক্লিয়ার করা যেত। এত সময় নিয়ে ভাষণ লিখেও কেন সেখানে হাজারো অস্পষ্টতা? দেখে শুনে মনে হলো ভাষণটিতে ইউনুছ /ফরহাদ মাজহার অথবা লাল গোলাপ শো এর শফিক রেহমানদের মত নন পলিটিশিয়ানদের হাতের গন্ধ আছে।
তিনি বলেছেন : সংসদ ভাঙ্গার আগে তাদেরকে নির্বাচিত করিয়ে আনতে হবে? তিনি মহিলা সাংসদ /স্পীকার নির্বাচন প্রক্রিয়ার দিকে ইংগিত করেছেন। কিন্তু উপদেষ্টারাতো আর মহিলা নন। তাহলে তাদেরকে কিভাবে নির্বাচিত করিয়ে আনা হবে?
এই প্রসঙ্গে কিছুক্ষণ আগে দেয়া ম্যাঙ্গোপিপল এর নিম্নোক্ত অবজারবেশনটা বেশ চমৎকার হয়েছে:
একটা ক্রাইসিস কালীন সময়ে ক্রাইসিস সম্পর্কে ডিটেলস আলোকপাত না করে, এই ক্রাইসিস এর বিভিন্য ডাইমেনশান আলোচনা না করে, সাধারণ মানুষের ফিলিং অফ ইনসিকিউরিটি কে এড্রেস না করে, আওযামী লিগ এর প্রস্তাব গুলোর আরো ক্রিটিকাল সমালোচনা না করে, এবং ২৫ অক্টোবর এর পর সরকার যে টেকনিকালি ইলিজিটিমেট এই ব্যাপারে আরো চাপ প্রয়োগ না করে এবং সরকারকে কোনো টাইম লাইন দিয়ে প্রেসারে না ফেলে, এবং নিজের প্রস্তাব টাকে আরো ডিটেলস এর আলোচনা না করে জাস্ট একটা ওয়ান লাইনার দিয়ে ছেড়ে দিয়ে - একটা সেমি নির্বাচনী টাইপের বক্তব্য পলিটিকালি ইমেচুর কিনা জানিনা কিন্তু এইটা জানি এইটা এটলিস্ট পিপল ওরিয়েন্টেড না |
৫ জন ৫ জন অনুপাতটাও বোধগম্য নয়। তাহলে জাতীয় পার্টির পছন্দ কই? তাদেরকে কি সরকারে ধরতে হবে নাকি বিরোধী দলে ধরতে হবে?ইতিমধ্যেই যদি তারা মহাজোট ছেড়ে দেয় তখন কি হবে? সরকারী দলের ২৬০ আসনের বিপরীতে ৫ জন আর বিরোধীদলের ৩০ আসনের বিপরীতেও ৫ জন?
প্রধানউপদেষ্টার পদটি কে পাবেন? সেটা কি এই দশ জনের মধ্যেই? নাকি সেটা আলাদা নির্বাচন? যেহেতু উভয় দলের মধ্যে কোন ঐক্যমত্য নাই তাহলে কিভাবে একজনকে ঐক্যমত্যের উপদেষ্টা করা যাবে?
বিএনপির পছন্দের কারা ৫ জন আর সরকারের পছন্দের কারা ৫ জন সেটা কি গোপন রাখা হবে?
যদি ৫ জন ৫ জনই হয় তাহলে বর্তমান নির্বাচিত এমপিদের মধ্য থেকে নয় কেন? কথাতো একই ৫ জন ৫ জন। তিনি নিজের দলের নির্বাচিত এমপিদের বিশ্বাস না করে নন পলিটিশিয়ান সুশীলদেরকে কেন বেঁচে নিলেন। রাজনীতিবিদ হয়ে কেন অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের কাছে হাত পাতেন?
ডঃ ইউনুছ এবং হাফিজ উদ্দিন(টিআইবি) এই দুই জন খালেদার পছন্দের তালিকায় অবশ্যই থাকবে সন্দেহ নেই।
বাকি ৩ জন কারা? প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে তিনি ঘুরেফিরে ডঃ ইউনুছের কথাই বলতে চেয়েছেন। যেটা বর্তমান সরকার কোনভাবেই মানবে না।
৯৬ এবং ২০০১ এর উপদেষ্টা যারা ছিলেন।
আওয়ামী লীগের আন্দোলনের মুখে ১৯৯৬ সালে ত্রয়োদশ সংশোধনের মাধ্যমে সংবিধানে যোগ হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি।
সাংবিধানিকভাবে প্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
তার উপদেষ্টা পরিষদে ছিলেন- ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ, ড. মুহাম্মদ ইউনূস, অধ্যাপক মো. শামসুল হক, সেগুফতা বখত চৌধুরী, এ জেড এ নাসিরউদ্দিন, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আব্দুর রহমান খান, অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ,ব্যবসায়ী নেতা সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী, অধ্যাপক নাজমা চৌধুরী এবং অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী।
২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি লতিফুর রহমান।
তার উপদেষ্টা পরিষদে ছিলেন- ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ, বিচারপতি বিমলেন্দু বিকাশ চৌধুরী, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক এস এম শাহজাহান, ব্যবসায়ী নেতা সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী, আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী, একেএম আমানুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক অডিটর জেনারেল এম হাফিজউদ্দিন খান, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল মালেক, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মইনুল হোসেন চৌধুরী এবং রোকেয়া আফজাল রহমান। সেই ২০ উপদেষ্টা এখন কে কোথায়-http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=17ec14425b8cbfdfc6b3661b286847b8&nttl=21102013232718 সুত্র- বিডি নিউজ
©somewhere in net ltd.