নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি তোমাদেরই

আশমএরশাদ

শিশিরের শব্দের মত

আশমএরশাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সংবিধান মানুষের জন্য তাই সংবিধানের ভেতরেই রয়েছে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অনেক সমাধান।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫২

আমাদের একটা হাইপোথিসি হলো এই সরকার তথা ক্ষমতাশীন দলের পক্ষে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব নয়। আবার অন্যদিকে অনির্বাচিত কাউকে নির্বাহী প্রধানের পদে দেখলে সংবিধানের বেসিক স্ট্রাকচারের সাথে সাংগর্ষিক হয় এবং তিন মাসের জন্য "জনগণের শাসন" অনুপস্থিত থাকে এবং প্রেসিডেন্টের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দেখাশুনা নিয়ে এক ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়। পুরা সংবিধানটাই লিখা হয়েছে একজন নির্বাচিত নির্বাহীর কথা মাথায় রেখে । সেখানে ৩ মাসের জন্য অনির্বাচিত কেউ আসলে যে বিষটা সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক হবে সেটাতো পাগলেও বুঝবে। যেহেতু রায় বলবৎ আছে তাই নিশ্চয় পুরনো অনির্বাচিত ১০ দেবদুতের মাধ্যমে ইলেকশন আর সম্ভব নয়। "৫ বছরের জন্য একদল আলীবাবাকে নির্বাচিত করিয়ে আনার জন্য ১০ দেবদুতের আগমন " ফর্মুলাটা আমরা অন্যভাবেও দেখতে পারি। সংবিধানের ভেতর থেকেও দেখা সম্ভব। কিন্তু সেটার জন্য দরকার ইগোহীন আলোচনার সুত্রপাত। কিন্তু সেটা আর জনদরদীরা করবেন কেন? তারা শুধু মুখেই বলে যাবেন দরজা খোলা । "সংলাপ জরুরী" এই সব আপ্ত বাক্য। হরতাল ঘোষণা করে ফেলেছি এখন আর সম্ভব নয় এই সব ইগোটাইপ কথাবার্তার বলি হচ্ছে আজকের সাধারণ জনগণ।

কেন আগের তত্বাবধায়ক মানুষ চাইতে পারে না সেটা পড়তে ক্লিক করুন এখানে।



অনির্বাচিত তত্বাবধায়কের দাবী কোন যৌক্তিক দাবী নয় বরং নির্বাচিতদের নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকারের স্থায়ী সমাধানের পথ বাতলে দেয়া জরুরী। প্রধানমন্ত্রী স্বপদে থাকলে - রোলস অব বিজনেস পরিবর্তন করেও তার ব্যাপক ক্ষমতা হ্রাস করা যায়। "প্রধানমন্ত্রীর একক সিদ্ধান্ত নয়, কেবিনেটের সর্বসম্মত সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত এমন আইন করেও নির্বাচনকালীন সরকার চালানো যায়।"(আইডিয়া আকবর আলী খান)

আবার নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নিজ দলের অথবা দলের মধ্যে গ্রহনযোগ্য কাউকে দিয়েও নির্বাচনকালীন সরকার করা যায়। ৩০০ জন সংসদের ভেতরে এমন নিশ্চয় কেউ আছে যিনি কিনা নিরপেক্ষতা দেখাতে বললে দেখাতে পিছপা হবেন না।



এ সব কিছুর জন্য আসলে দরকার সংলাপ এবং দুই দলের পুর্ণ সদিচ্ছা।

একদল যদি মনে করে সংলাপের কি দরকার- আমি ইলেকশন না করলে এমনিতেই সরকার বিপদে পড়বে । আরেক দল মনে করে বড় বিরোধীদলকে বাইরে রেখে যদি অন্যদেরকে লোভ দেখিয়ে ইলেকশন করে ফেলা যায় বিরোধীদল আর কয়দিন আন্দোলন করবে?



আমি খুব অবাক হয়েই লক্ষ্য করি উভয় জোটের যত আলোচনা সব কিছু কিন্তু নিজেদের ক্ষমতায় থাকা এবং ক্ষমতার নির্বিঘ্ন আরোহনটাই প্রধান এবং একমাত্র বিবেচ্য। জনগণের ইনসিকিউরিটি বা টোটাল জনগনের প্রতি দায়বদ্ধতা এখানে বেশ অনুপস্থিত। তারানকোকেও তারা যা বলবে সেখানেও মুল কথা ক্ষমতা। সেখানে জনগণের মুক্তির বার্তা নেই। কাজী জাফরের সাথে বৈঠক হোক আর তরিকত ফেডারেশনের সাথে বৈঠক হোক: সেখানে আলোচনাটা নিশ্চিত্ ভাবে হয় ক্ষমতার ভাগাভাগি নিয়ে। মানুষ পুড়িয়ে কাবাব বানানোর আবেগী কথা বার্তা সেখানে থাকে না। জনগণ যে কষ্ট পাচ্ছে সেটা কোন মতেই আলোচ্যসুচি হয় না তাদের। আমরা এজেন্ডা হতে পারলাম না- যেখানে সংবিধানে বলা আছে "জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস।" আমরা উৎসই থাকলাম পরিণতি বা ফলাফল হতে পারলাম না।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
তারাংকো vs গোলাপি সংলাপ ফলপ্রসু হবে না,

যতক্ষন না জামাতিদের হাইকমান্ডের কেউ তার পাসে না থাকে।
কারন হাসিনার সাথে টেলি সংলাপে বলেছিল -

"১৮ দলের সাথে কথা না বলে আমি কিছুই বলতে পারছি না"

২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:০৪

শ্রাবণধারা বলেছেন: "তিন মাসের জন্য "জনগণের শাসন" অনুপস্থিত থাকে"

ঠিকই বলছেন ভাই, দেশে জনগণের শাসনই চলছে :)

৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৩৭

দিশার বলেছেন: যতক্ষন না জামাতিদের হাইকমান্ডের কেউ তার পাসে না থাকে।
কারন হাসিনার সাথে টেলি সংলাপে বলেছিল -

"১৮ দলের সাথে কথা না বলে আমি কিছুই বলতে পারছি না"

৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:২২

রাজীব বলেছেন: ৩০০ জন সংসদের ভেতরে এমন নিশ্চয় কেউ আছে যিনি কিনা নিরপেক্ষতা দেখাতে বললে দেখাতে পিছপা হবেন না।


না, নেই। কারন আমরা এমন মানুষ নির্বাচিত করি না। আমরা সবসময় দলকানা। একজন এইদলকে সাপোর্ট করি তো একজন অন্য দলকে সাপোর্ট করি। এবং কোন কিছু না দেখে না বুঝে শুধু মার্কা দেখে ভোট দেই।
আর রাজনীতিকরাও জানে নিরপেক্ষ হয়ে বা ভালো হয়ে কোন লাভ নেই। তাদের দরকার মার্কা রক্ষা করা, কারন মার্কা থেকে নমিনেশন না পেলে ভোটও পাওয়া যায় না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.