নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি তোমাদেরই

আশমএরশাদ

শিশিরের শব্দের মত

আশমএরশাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আওয়ামীলীগ সমর্থকের চোখে-বিগত মহাজোট সরকারের ১১ রাজনৈতিক ভুল।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:০৭

আরও একটা বছর যোগ হয়ে গেল আমাদের ব্যক্তি ও রাষ্ট্রীয় জীবনে । প্রতিটা বছরই ঘটনা বহুল থাকে । ২০১৩ শেষ হবার সাথে মহাজোট সরকারেরও শেষ হলো ৫ বছর। আমাদের মত ব্যাপক চাহিদার দেশে সরকারের সাফল্য বলার চেয়ে ভুল গুলিই আমাদের উপজীব্য হয়। ভালো কাজ এবং উন্নয়ন কাজ গুলি সরকারের দায়িত্বের মধ্যেই ছিল। সরকারের সাফল্য গুলি সরকার প্রচার করছে বিভিন্ন ভাবে (বিল বোর্ড থেরাপি)। তবে সাধারণ নাগরিক হিসাবে যে সাফল্যটা আমাকে টাচ করেছে সেটা হলো তথ্য প্রযুক্তির উন্নতি তথা ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে এগিয়ে যাওয়া। ধারাবাহিক অন্য সরকার গুলার চেয়ে এখানে সরকারের ব্যতিক্রম। শিক্ষা ক্ষেত্রে যে সাফল্য সেটাও অনেক বড় অর্জন হিসাবে চিত্রিত থাকবে। আমি সরকারের ছিদ্রান্বেষণে যাবো না তবে যে ভুল গুলা আমাকে বেশ বিচলিত করেছে সে গুলাই আমি উল্লেখ করতে চাই: উল্লেখ্য অসাম্প্রদায়িকতা, ধর্ম নিরপেক্ষতা এবং যুদ্ধাপরাধীর বিচার প্রশ্নে লেখক আওয়ামীলীগ নামক প্রতিষ্টানের সমর্থক।



১. এক জন আবুল হোসেন এর জন্য দেশ এবং আওয়ামীলীগ দুইটাই অনেক বেশী বিব্রত হয়েছিল। সরকার এবং সরকারের প্রধান তাকে তড়িৎ কোরাবানি না দিয়ে অনেক দেরী করে দিয়েছে। এটা নিয়ে সঠিক তদন্ত হয়নি বা দুদককে বা সরকার প্রধানকে এই ব্যাপারে আন্তরিক মনে হয়নি। যার ফল এখন ভোগ করতে হচ্ছে সরকারী দলকে।একই ভাবে সুরঞ্জিতের ব্যাপারেও দৃশ্যমান একশন নেয়া হয়নি। তাকে দীর্ঘদিন দফতর বিহীন মন্ত্রী করে রাখা ঠিক হয়নি। শেখ হাসিনা দুর্নীতির ব্যাপারে জিরো টলারেন্স এই সব ব্যাপারে দেখান নাই।



২. অর্থমন্ত্রী সব ব্যাপারে অরাজনৈতিক এবং হাস্যকর বক্তব্য ক্রমাগত বলে গেলেও তাকে সতর্ক করা হয়নি বা থামনো হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংক, শেয়ার বাজার এবং অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্টানের সাথে তার সুস্পষ্ট বিরোধ থাকলেও তাকে পদ থেকে সরানো হয়নি। তেমনি ভাবে সাহারা খাতুন, ফারুক খান এবং দুপু মনিকেও সরানো হয়নি সঠিক সময়ে। সাহারা খাতুনকে সরিয়ে সেখানে মহিউদ্দিন খান আলমগীরকে দিয়ে বরং ফোঁড়ার উপর বিষ ফোঁড়া হিসাবে তাকে বসানো হয়েছে। যা জনমনে কোন ক্রমেই স্বস্থি দেয় নাই। এমনকি নিজ দল আওয়ামীলীগের জন্যও এই দুই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অস্বস্থিকর ছিল। কারণ দু’জনই সারা দেশ ব্যাপি স্থানীয় আওয়ামীলীগারদের কাছে পরিচিত ছিলেন না। এলাকায় কে প্রকৃত আওয়ামীলীগার আর কে নয় সেটা তারা বুঝে উঠতে পারেন নাই।



৩. ডঃ ইউনুস ইস্যুতে সরকার দক্ষতার পরিচয় না দিয়ে বরং ছেলে খেলায় মেতে উঠেছিল। ডঃ ইউনুস কে আগে নিজেদের বাগে এনে তারপর তার ভুলত্রুটি গুলা ফ্লাস করা উচিত ছিল। যতই হোক তিনি নভেল লরিয়েট এবং এই একটি কারণে সরকার কুটনৈতিক ভাবে অনেক হারা হেরেছে। এর বাইরেও বিষয়টা দিপু মনির স্বামীর সাথে ডঃ ইউনুস এর বিরোধ কিনা সেটাও সরকারের দেখা উচিত ছিল। সরকার একই সাথে বিএনপি, জামাত এবং ডঃ ইউনুসকে নাড়িয়ে সব কটিতেই গুবলেট করে ফেলেছে।



৪. যুদ্ধাপরাধীর বিচারে সরকার শেষ দিকে বেশ দৃঢতা দেখালেও প্রথম দিকে তেমন করে দেখাননি এবং শুরু করতে দেরী করেছে। এর বাইরেও প্রথমে গোলাম আজমের বিচার না করে অনেক দুরের রাজাকার সাঈদীর মত জনপ্রিয় কারো বিরুদ্ধে রায় দেয়াটা বুমেরাং হয়েছে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে সে অনেক জনপ্রিয় এবং এ দেশের মানুষ ধর্মভীরু এটা মেনে নিয়েই বিচারের সিকোয়েন্স তৈরী করা উচিত ছিল। যুদ্ধাপরাধীরা বিদেশে টাকা খাটিয়েই যে নিরব ছিলনা, সেটা ট্রাইবুনালের বিভিন্ন অযৌক্তিক কর্মকান্ডে প্রমানীত। যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য একটা নাগরিক কমিটি করা উচিত ছিল। কেবল মাত্র কামরুল বা আইন মন্ত্রীর উপর দায়িত্ব না চাঁপিয়ে। প্রথমে গোলাম আজম তারপর মুজাহিদ, নিজামীর বিচার করা হলে এবং শেষের দিকে সাঈদীর বিচার করা হলে সরকারকে এত হুমকীর মধ্যে পড়তে হতো না।



৫. সরকারের আগা থেকে গোড়া(ওবায়দুল কাদের, নাহিদ ছাড়া) প্রায় সবাই পাঁচ পাঁচটি বছর অযৌক্তিক, অরাজনৈতিক এবং অতিকথনে দেশবাসীর কানটাকে অতিষ্ট করেছেন। বাংলাদেশের মানুষ এমনিতে এষ্টাবলিশমেন্ট বিরোধী। সেখানে যদি “সুপার এষ্টাবলিশমেন্ট বক্তব্য” শুনতে হয় তাতে মানুষ এমনিতে রেগে ওঠে। সবচেয়ে আশ্চর্য্যের বিষয় প্রধানমন্ত্রীও সমানে অতিকথন করেছেন এবং প্রধানমন্ত্রী সুলভ কথা বলেননি। অনেক সময় বক্তব্যের ফিড ব্যাক না বুঝেই কথা বলা হয়েছে, প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। শেষ সময়ে এসেও সেটার লাগাম টেনে ধরা হয়নি।



৬. বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশে আড়াই বছরের মাথায় মন্ত্রীপরিষদ 80% রিসাফল করতে হয় কিন্তু সেটা শেখ হাসিনার সরকারের সুযোগ থাকা সত্বেও করেননি। আড়াই বছরের ব্যর্থতা গুলাকে ঢাকতে হলে নতুন মুখ এনে নতুন সম্ভাবনা তৈরী করা যেত । প্রাথমিক মন্ত্রী সভায় সংস্কারবাদী হিসাবে পরিচিত অনেকেই জায়াগা পায়নি। তাই তাদেরকে দিয়ে সরকারের শেষ আড়াই বছর একটু কঠোর হাতে দেশ শাসন করা গেলে শেখ হাসিনা এখন অনেক আস্থার উপরে দাঁড়িয়ে কথা বলতে পারতো।



৭. সরকার ভিশন এবং মিশন দিলেও নিজেদের ৫ বছরের রোড় ম্যাপ আগে থেকে ঠিক করে রাখেনি। তারা যে রাখেনি সেটা তাদের নতুন নতুন পদক্ষেপে এবং আনাড়িপনার মধ্যে দেখা গেছে। কোন দলকে কি ভাবে ট্রিট করা হবে,বিরোধীদলকে কেমন করে হ্যান্ডেল করা হবে সে ব্যাপারে সরকারের কোন ভালো রাজনৈতিক উইং কাজ করেনি। প্রায় ধবংস প্রাপ্ত বিএনপিকে গুছিয়ে দিয়েছে মুলত আওয়ামীলীগ। রাজনৈতিক কুট কৌশলের পরিবর্তে দমন পীড়নের মাধ্যমে পরস্পর বিরোধী নেতাদের মধ্যে মানসিক ঐক্য তৈরী করেছে সরকারের রাজনৈতিক শাখার অদক্ষ সৈনিকেরা। এমনকি এলডিপির মত টাকার লোভী দলকেও তারা বাগে রাখতে পারেনি রাজনৈতিক অদক্ষতার কারণে। বলা যায় অতি আত্ম বিশ্বাসের কারণে।



৮. অনেক টিভি চ্যানেলের লাইসেন্স সরকারি দলের মারফতে দিলেও সরকার মিডিয়ার সাথে আত্মিক সম্পর্ক তৈরী করেনি। এ ক্ষেত্রে তথ্য মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ মিডিয়াকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে পারেনি। সরকার বিরোধী চ্যানেল গুলার হরদম অপপ্রচারেও সরকার উদাসীনতার পরিচয় দিয়েছে। আমার দেশের ক্রমাগত ধর্মীয় উস্কানি সরকারের উদাসীনতার সুযোগের ফল। আমার দেশ পত্রিকার উদ্দেশ্যকে প্রথমদিনেই ধরতে পারলেও মাহমুদুর রহমানের গ্রেফতার করেছে অনেক পরে। ততদিনে কর্ম সারা। হেফাজতের উত্থান তখন হয়েই গেছে। মানুষের পারসেপশন তৈরী করতে মিডিয়া ব্যাপক ভুমিকা রেখেছে। মিডিয়া বান্ধব হিসাবে পরিচিত শেখ হাসিনা মিডিয়ার টক শোর বিরুদ্ধে নিয়মিত বিষোদগার করেছেন। টকশোতে উপযুক্ত ব্যক্তিদের না পাঠিয়ে শাজাহান খানদের পাঠিয়ে সরকার বারে বারে সরকার বিরোধী তর্কবাগিশদের তুপের মুখে পড়েছে। শ,ম রেজাউল করিম, এ আরাফাতরা যা একটু মুখ রক্ষা করেছে শানিত যুক্তি দিয়ে কিন্তু সরকার তাদেরকেও যথাযথ মুল্যায়ন করেনি বা প্যাট্রোনাইজ করেননি। কোন মিডিয়ার সাথেই সরকার বন্ধুত্বপুর্ণ সম্পর্ক তৈরী করতে পারেনি। সেটা কি দেশে কি বিদেশে। সরকারের বিরুদ্ধে করা প্রোপাগান্ডা গুলার যতাযথ জবাব সরকারী দল দিতে পারেনি। সরকার বিরোধী পক্ষ লিফলেট পোস্টার এবং অনলাইনে ব্যাপক ভাবে এবং যত গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করেছে সরকার তত গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করেনি।ছাত্রলীগ নামের একটা যে সংগঠন আছে সেটা লিফলেট পোস্টারে দেখা যায়নি। তারা সরকারের সহযোগীতাতো করেইনি বরং সরকারকে বারে বারে বিব্রত করেছে।



৯. দলীয় শৃংখলা বলতে কিছু ছিল বলে জানা যায় না। সৈয়দ আশরাফ সাধারণ সম্পাদক হলেও পুরা ৫ বছরেই দলীয় কাজে তেমন সময় দেননি। আর উনি প্রত্যন্ত্য অঞ্চলের নেতা কর্মীর সাথে ভালো সম্পর্কও তৈরী করতে পারেনি । ঠিক তেমনি ভাবে পারেনি মাহবুবুল আলম হানিফও। আওয়ামীলীগের মত দলের মুখ পাত্র হানিফ সেটাই এক আশ্চর্য্যের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়ে যায়। অপরপক্ষে চমৎকার বাচন ভঙ্গি এবং মোটামোটি সুন্দর ভাবমুর্তি তৈরী করে এগিয়েছেন ফখরুল ইসলাম আলমগীর।



১০. ঢাকা শহরে প্রথম দিকে সাদেক হোসেন খোকার সাথে ভেতরে ভেতরে সম্পর্ক তৈরী করে শেষ পর্যন্ত জনপ্রিয়তা কমায় ঢাকার ইলেকশনই আর করতে পারেনি। তেমনি ভাবে চট্টগ্রামে মনজুরুল ইসলামকে দলে টানার সুযোগ থাকা সত্বেও সেখানে সতের বছর এক টানা মেয়র থাকা মহিউদ্দনকে মনোনয়ন দেয়ায় চট্টগ্রামের মেয়র পদ হারায় সরকার। শুধু সেখানেই নয় যত সিটিতে ইলেকশন হয়েছে প্রায় সবকটিতেই সঠিক মনোনয়ন হয়নি। কুমিল্লাতে তরুন প্রার্থী না দিয়ে অনেক বয়স্ক আফজালকে দেয়া, নারায়নগঞ্জে শামীম ওসমানকে বসিয়ে দিতে না পারা এবং গাজীপুরে নতুন প্রার্থী জাহাঙ্গীরকে মনোনয়ন না দেয়া সিলেটেও সতের বছরের পুরনো মেয়রকে দেয়া ভুল সিদ্ধান্ত বলে বিবেচিত হয়েছে।



১১. সরকার প্রথম বছরটি বাদে অন্য চারটি বছর ব্যাপক ভাবে এক গুয়েমি করেছে।এক সময় যারা আওয়ামীলীগের শুভাকাঙ্খী হিসাবে পরিচিত ছিল সে রকম পরিচিত মুখদেরকেও সরকার ব্যাপক খেপিয়েছে। তাদের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য কোন উদ্দ্যোগ ও নেয়া হয়নি। ডঃ কামালের প্রতি কথায় টিটকারী করা থেকে শুরু করে কোন ছোট খাট দলের সাথেও সম্পর্ক তৈরী করতে না পারা সরকারী দল হিসাবে আওয়ামীলীগের বড় ব্যর্থতা। বিএনপি জামাত ছাড়া নির্বাচন করবে এমন সীদ্ধান্ত যদি তারা আগেই নিয়ে থাকে তাহলে সেটার পিছনে যে হোম ওয়ার্ক সেটা সরকারী দল মুটেই করেননি। বিএনপির তেমন কাউকে নির্বাচনে টানতে না পারা , জাতীয় পার্টিকে বশে রাখতে না পারা, বিনা প্রতিদ্ধিতায় নির্বাচিত করিয়ে আনার দিকে বেশী মনোযোগ সরকারে রাজনৈতিক ব্যর্থতার কথাই প্রমাণ করে। আওয়ামীলীগের সমর্থন এ দেশে ৪০ ভাগের বেশী নয়। তাই তাদেরকে যদি জিততে হয় তাহলে হিসাবের খাতায় মিলিয়ে জিততে হবে। ৪০ ভাগের সমর্থন নির্বাচনে জিতে আসার জন্য কম সমর্থনও নয় কিন্তু ৬০ ভাগের মধ্যে কোন ফাটল না ধরালে সেটা কখনো সম্ভব নয়। আসন ওয়ারী কাকে মনোনয়ন দিতে হবে বিরোধী পক্ষের মধ্যে ঐ আসনে কাকে বিদ্রোহী হিসাবে দাঁড় করাতে পেট্রোনাইজ করতে হবে এ সব রাজনৈতিক কৌশল ঠিক করেই আওয়ামীলীগের মাঠে থাকার কথা ছিল। কিন্তু এ সবের কোনটার হোম ওয়ার্ক আওয়ামীলীগ করেছে বলে মনে হয়নি । এমনকি এক তরফা নির্বাচনের মাঠেও।সর্বোপরি একটা একতরফা নির্বাচন করাও আওয়ামীলীগের ইতিহাসের জন্য একটি কলংক তিলক। সরকার যেহেতু তেমন কোন দলকে মাঠে নামাতে পারেনি। তাই সরকারের উচিত ছিল সমঝোতায় উপনীত হওয়া।



লিখাটা লিখেছিলাম নির্বাচনের আগে আগে । এখন নতুন মন্ত্রীসভা, নতুন মুখ এবং অনেকটা স্বাভাবিক রাজনৈতিক পরিবেশ বিদ্যমান। নতুন মন্ত্রীসভা্য় আবুল মাল মুহিতকে না রাখলেই ভালো হতো অথবা উনাকে পরিকল্পনা মন্ত্রী হিসাবে রাখা যেত। পুরনো উপদেষ্টা গুলাকে বদলিয়ে নেয়া যেত।

(লিখাটা প্রিয় ডট কম এবং শব্দ নীড়ে প্রকাশিত)

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৫৫

অেসন বলেছেন: অনেকাংশে একমত। এছাড়া রয়েছে ছাত্রলীগের অনৈতিক কর্মকান্ডের
নিয়ন্ত্রনে ব্যর্থতা। আর হেফাজতকে রাজনৈতিক ভাবে মোকাবেলায় ব্যর্থতা।
ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.