![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সার্জেন্ট আলাউদ্দীন ও হেলালের কারণে এই বিশাল অস্ত্রের(দশ ট্রাক) চালানটি আটক হলেও তাঁরা পুরস্কৃত হননি। বরং এ দুজনকে (তৎকালীন জজ মিয়া সরকার) সাজানো অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানো হয়। মামলা নিষ্পত্তির আগেই তাঁদের চাকরিচ্যুত করা হয়। জানা গেছে, গ্রেপ্তার অবস্থায় শারীরিক নির্যাতনে সার্জেন্ট হেলালের বাঁ পা ভেঙে যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর দাবি, আটক অস্ত্র নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাজানো বিষয়ের বাইরে কেউ যাতে ভবিষ্যতে মুখ না খোলে, এ জন্য ‘শিক্ষা’ দিতে বেছে নেওয়া হয় হেলাল ও আলাউদ্দীনকে।
সকাল থেকে অস্ত্র আটক বিষয়ক প্রথম আলোর নিউজ গুলি পড়তে ছিলাম। অনেক কিছু জানলাম যে গুলা আসলে আমাদের চোখের আড়ালেই ঘটে। দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতা বিঘ্ন করার কাজে কেউ জড়িত থাকাটা নিশ্চয় কারো কাম্য হতে পারে না। এই সব নিউজের মধ্যে আমার চোখ যে অংশে আটকে গেলো সেটা উপরের কথা গুলা। এত বড় অস্ত্র চালান আটক করেও হিরো হতে পারেননি হেলাল এবং সার্জেন্ট আলাউদ্দিন? খুবই অবাক হলাম যখন জানলাম সার্জেন্ট হেলালের পাই ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। আলাউদ্দিনের খবর জানি না। কেউ এখন এদের অবস্থা সম্পর্কে জানলে জানাবেন। আশা করবো বর্তমান সরকার এদেরকে রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ পুরস্কারের ভুষিত করবে।
এই পোস্ট লিখতে লিখতে এই মামলার রায় হয়েছে। আশা করবো ভবিষ্যতে বিএনপি সরকার এই সব মরণাস্ত্র এবং দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতা নিয়ে আর খেলা খেলবেন না।
২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৩৭
ওবায়েদুল আকবর বলেছেন: এটাও জানলাম এরা টাকা-পয়সা খাওয়ার জন্য প্রথম দিকে ততপর ছিল, পরে বেশী পেচাইতে গিয়ে এমন অবস্থায় চলে যায় যে এই মামলা ধামাচাপা দেয়ার আর উপায় থাকেনা। যাইহোক তাদেরকে হিরো বলা যায়না কোনভাবেই।
৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৪১
আশমএরশাদ বলেছেন: দেশজুড়ে আলোচিত এ ঘটনার মূল নায়ক ছিলেন সার্জেন্ট হেলাল উদ্দিন ভূঁইয়া ও মো. আলাউদ্দিন।
তাদের সাহসিকতায় উদ্ধার হয়েছিল বিপুল পরিমাণ অস্ত্র। এখন কেমন আছেন তাঁরা। সার্জেন্ট হেলাল বর্তমানে সদর ঘাট ডাম্পিং স্টেশনে ও সার্জেন্ট মো. আলাউদ্দিন ঢাকার স্পেশাল প্রোডাকশন ব্যাটালিয়নে (এসপিবিএন) কর্মরত আছেন।
তাঁরা ভেবেছিলেন পেশাগত দায়িত্বপালনকালে এ ঘটনায় পদোন্নতি ঘটবে। ছড়িয়ে পড়বে সুনাম। সাহসী সার্জেন্ট হিসেবে চিনবে সারা দেশের মানুষ। স্ত্রী সন্তানের মুখ উজ্জ্বল হবে। সন্তানের অসম সাহসিকতায় ভরে যাবে মা-বাবার বুক। সব আশায় গুড়েবালি। বরং এঘটনাকে কেন্দ্র করে তাদের জীবনের ছয়টি বছর হয়েছে কলংকময়। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশ পালন করায় যেন কাল হয়েছে সার্জেন্ট হেলালের। জীবন থেকে হারিয়ে গেছে ছয়টি বছর। তাঁর পরিবারের সদস্যরা সমাজে হয়েছেন হেয়-প্রতিপন্ন।
জীবনের শেষ বয়সে এসে তাঁর ৫৮ বছর বয়সী স্কুল শিক্ষিকা মাকে শুনতে হয়েছে লোকজনের নানা মন্দ কথা। ন্যায্য পাওনা সরকারি রেশনের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন টানা ছয় বছর। পুরস্কারের বদলে লোহার রড দিয়ে ভাঙ্গা হয়েছে হেলালের পা। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পালন করায় যেন তাঁর বড় অপরাধ।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সার্জেন্ট হেলাল তখন কয়লার ডিপো পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ছিলেন। সেদিন তাঁর কারণে আটক হয়েছিল বিপুল পরিমাণ অস্ত্র। দশ বছর পর আজ সেই অস্ত্র মামলার রায় হচ্ছে। অথচ যার সাহসিকতায় ১০ ট্রাক অস্ত্র উদ্ধার হয়েছিলো সেই আলোচিত সার্জেন্ট হেলালের দিন কাটছে চরম নিরাপত্তাহীনতায়। পেশাগত দায়িত্বপালনকালে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পালন করতে গিয়ে সমাজে হয়েছেন ধিকৃত। হয়েছেন মিথ্যে অস্ত্র মামলার আসামি। ২ বছর ৪ মাস কাটিয়েছেন কারাগারের অন্ধ প্রকোষ্টে। ফেরারি আসামি হয়ে পালিয়ে থাকতে হয়েছে এক বছর।
জানা যায়, ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল রাত আনুমানিক বারোটার সময় তৎকালীন উপ-পুলিশ কমিশনার (বন্দর) আবদুল্লাহ হেল বাকী সিইউএফএল ঘাটে থাকা সার্জেন্ট আলাউদ্দিনকে সহযোগিতা করার নির্দেশ দেন। হেলাল তখন পতেঙ্গা কয়লার ডিপো পুলিশ ফাঁড়িতে দায়িত্বরত ছিলেন। উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে ১৫নং ঘাট থেকে নৌকা নিয়ে কর্ণফুলী পার হয়ে সিইউএফএল ঘাটে গিয়ে দেখতে পান ঘাটের চায়ের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন সার্জেন্ট আলাউদ্দিন। একটি কার্গো ট্রলার ও একটি ফিশিং ট্রলার থেকে ক্রেন দিয়ে বেশ কিছু বক্স ঘাটে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে উঠানো হচ্ছিল। এক কোনায় ৭/৮ জন লোক দাঁড়ানো ছিল। মধ্যরাতে ট্রলার থেকে নামানো বক্সে কি আছে জানতে চাইলে দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তি নিজেকে হাফিজ নামে পরিচয় দেয়। তার পাশে আর একজন নিজেকে উলফা নেতা আবুল হোসেন (মেজর লিয়াকত) পরিচয় দিয়ে বলেন, এগুলো অস্ত্র। অস্ত্রের কথা শুনে বক্সগুলো আটক করতে চাইলে তারা গালিগালাজ করেন। তখন উপ-পুলিশ কমিশনার (বন্দর) কে ঘটনাটি জানালে তিনি সার্জেন্ট হেলালের কাছে নিরাপদে আছেন কিনা জানতে চান। পরে কর্ণফুলী থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহাদুর রহমানকে ঘটনাস্থলে যাবার নির্দেশ দেন উপ-কমিশনার (বন্দর)। এ সময় সার্জেন্ট হেলাল ঘাটে থাকা অস্ত্র পাচারকারী দলের পাঁচ সদস্যকে আটক করে হাবিলদার গোলাম রসুলের মাধ্যমে বন্দর পুলিশ ফাঁড়িতে পাঠিয়ে দেন।
আরো বিস্তারিত :
Click This Link
৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৫৮
নিজাম বলেছেন: যেখানেই থাকুন না কেন, আল্লাহ তাদের উত্তম বদলা দান করুন। আমরা তাদের জন্য দোয়া করি। এভাবেই হলমার্ক কেলেংকারী উদঘাটনের নায়ককে তৎকালীন বদলী করা হয়েছিল এবং তাকেও নির্যাতনের শিকার হয়ে হয়েছিল। শত সালাম তাদের।
৫| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:১৭
ওবায়েদুল আকবর বলেছেন: ///চট্টগ্রাম ইউরিয়া সার কারখানার ঘাটে ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল রাতে অস্ত্র আটকের ঘটনা ছিল অনেকটা আকস্মিক। পুলিশের দুই কর্মকর্তার সঙ্গে ক্ষমতার দাপট দেখাতে গিয়ে বিপদে পড়ে অস্ত্র পাচারকারীরা এবং আটক হয় বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র।
অস্ত্র খালাসের সময় ঘটনাস্থলে প্রথম উপস্থিত সার্জেন্ট আলাউদ্দীন ও সার্জেন্ট হেলালউদ্দীন ভূঁইয়াসহ পুলিশের একাধিক সদস্য এবং একাধিক ঘাটশ্রমিকের সঙ্গে দীর্ঘ আলাপচারিতায় এ তথ্য জানিয়েছেন তাঁরা। প্রথম আলোর সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলার সময় তাঁরা বিস্তারিত জানান ১ এপ্রিলের রাতে অস্ত্র আটকের ঘটনা।
২০০৪ সালের ১ এপ্রিল রাত ১০টার দিকে চট্টগ্রামের বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির হাবিলদার গোলাম রসুলের টেলিফোন পেয়ে সর্বপ্রথম ঘটনাস্থলে পৌঁছান ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সার্জেন্ট আলাউদ্দীন ও কয়লার ডিপো ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সার্জেন্ট হেলাল উদ্দীন ভূঁইয়া। এই টেলিফোন পাওয়ার আধঘণ্টা আগে সার্জেন্ট আলাউদ্দীন ঘটনাস্থলের পাশের খেয়াঘাট থেকে নৌকা নিয়ে পার হয়ে ওপারের কয়লা ডিপো হয়ে বাসায় ফিরছিলেন। ঘটনার মাত্র চার দিন আগে হেলালকে বন্দর ফাঁড়ি থেকে কয়লার ডিপোতে এবং আলাউদ্দীনকে কয়লার ডিপো থেকে বন্দর ফাঁড়িতে বদলি করা হয়। এ কারণে তাঁদের বাসা পাল্টানো সম্ভব হয়নি। সিইউএফএল এবং কয়লার ডিপো পুলিশ ফাঁড়ির অবস্থান কর্ণফুলী নদীর উত্তর-দক্ষিণ পারের বিপরীতে। পুলিশের এই দুই কর্মকর্তা চাকরিতে একই ব্যাচের হওয়ায় তাঁদের মধ্যে আগে থেকেই বাড়তি সখ্য ছিল।
ঘটনাস্থলে পুলিশের সংশ্লিষ্ট সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বন্দর ফাঁড়ির দায়িত্ব শেষ হওয়ার আগেই সাদা পোশাকে সিইউএফএল ঘাটের পাশের খেয়াঘাট দিয়ে একটি নৌকায় নদী পার হন সার্জেন্ট আলাউদ্দীন। তখন ঘাটে কোনো ট্রলার ছিল না। তবে অস্ত্র আটক মামলার আসামি দীন মোহাম্মদ, আবুল কাশেম মধু, আরজু পাগলাসহ অন্যরা ঘাটে ছিলেন। সার্জেন্ট আলাউদ্দীনকে ঘাটে দেখে দীন মোহাম্মদ নদী পারাপারের জন্য একটি নৌকা ঠিক করে দেন।
এই নৌকায় ওপারে পৌঁছে ঘাটের পাশে সার্জেন্ট হেলালের সঙ্গে দেখা হওয়ার পরপরই বন্দর ফাঁড়ি থেকে হাবিলদার গোলাম রসুল মুঠোফোনে সার্জেন্ট আলাউদ্দীনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। গোলাম রসুল জানান, সিইউএফএল ঘাটে অস্ত্র নামছে বলে এক ব্যক্তি টেলিফোনে জানিয়েছে। পরপর দুবার ফোন পেয়ে হেলালকে সঙ্গে নিয়ে আলাউদ্দীন একই নৌকায় কর্ণফুলী নদী পাড়ি দিয়ে ছুটে যান সিইউএফএল ঘাটে। সার্জেন্ট হেলাল আগে এখানে দায়িত্ব পালনের কারণে ঘাটের অনেকেই তাঁর পরিচিত ছিলেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ছাড়াই হেলালকে সঙ্গে আনার এটাও অন্যতম কারণ ছিল বলে আলাউদ্দীন জানান।
দুই সার্জেন্ট এ পারে আসার পর দেখেন, দুটি ট্রলার ঘাটে নোঙর করা অবস্থায় আছে। বড়টি ঘাটের পাশে এবং অন্যটি সেটার গায়ে লাগানো।
এরপর দুই সার্জেন্ট ট্রলার দুটিতে কী হচ্ছে, তা দেখতে যান। তাঁরা দেখেন, কিছু শ্রমিক বড় ট্রলার থেকে কাঠের বাক্সগুলো ক্রেনের সাহায্যে ঘাটে রাখা ট্রাকে তুলে দিচ্ছেন।
সার্জেন্ট হেলাল কর্মরত শ্রমিকদের মধ্যে তাঁর পূর্বপরিচিত শ্রমিকসর্দার আরজু পাগলাকে দেখতে পেয়ে এসব মালামাল কার, তা জানতে চান। আরজু পাগলা জানান, মালের মালিক ঘাটে আছে। এরপর দুই সার্জেন্ট ঘাটে গিয়ে মালিককে খোঁজাখুঁজি শুরু করলে হাফিজ ও আবুল হোসেন (একজন শীর্ষস্থানীয় উলফা নেতা) জানান, তাঁরাই মালের মালিক। কোনো ভণিতা না করেই তাঁরা স্পষ্ট জানান, ‘ট্রলার দুটিতে অস্ত্রশস্ত্র আছে। প্রশাসনের সবাই বিষয়টি জানে।’
একপর্যায়ে পুলিশের দুই সার্জেন্টের সঙ্গে আবুল হোসেনকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে হাফিজ বলেন, ‘উনি উলফার নেতা, অস্ত্র তাঁদেরই।’ এসব অস্ত্রের কোনো বৈধ কাগজপত্র আছে কি না, তা পুলিশের দুই কর্মকর্তা জানতে চাইলে খেপে যান হাফিজ। উত্তেজিত হয়ে তিনি বলেন, ‘কিসের কাগজ, এই অস্ত্র আসার খবর সরকারের উচ্চপর্যায়ের সবার জানা আছে, এগুলো নামাতে বাধা দিলে আপনার ক্ষতি হবে।’
জানা গেছে, পুলিশ ও অস্ত্র খালাসকারীদের মধ্যে এভাবে তর্ক শুরু হলে ঘাটের শ্রমিকেরা একে একে সরে পড়তে থাকেন। ঘাটশ্রমিকদের বলা হয়েছিল, পুলিশের বাধা তো দূরের কথা প্রয়োজনে কোস্টগার্ড এসে এগুলো খালাসে সাহায্য করবে। একপর্যায়ে অস্ত্র খালাসের কাজও সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।
ইতিমধ্যে খবর পেয়ে হাবিলদার গোলাম রসুলের নেতৃত্বে বন্দর ফাঁড়ির সব সদস্য, কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহাদুর রহমান, ঘাটের আনসারসহ আরও অনেকে ঘাটে এসে জড়ো হন। নিজেদের শক্তি বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি বুঝতে পেরে তখন দুই সার্জেন্ট অস্ত্র খালাসকারীদের সঙ্গে দরকষাকষির চেষ্টা চালান। কিন্তু হাফিজ টাকা দিয়ে সমঝোতার চেষ্টার পরিবর্তে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কথা বলে পুলিশের ওপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টা অব্যাহত রাখেন। এ সময় তিনি মুঠোফোনে ক্রমাগত বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করছিলেন।
একপর্যায়ে হাফিজ তাঁর মুঠোফোনটি সার্জেন্ট আলাউদ্দীনকে দিয়ে বলেন, ‘তোর বাপের সঙ্গে কথা বল, ডিজিএফআইয়ের বড় অফিসার লাইনে আছে।’ কিন্তু সার্জেন্ট আলাউদ্দীন ভয় পেয়ে ওই ফোনে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি পাল্টা বলেন, ‘আমি এবার তোমার বাপকে খবর দিচ্ছি। দেখি তোমাকে কে বাঁচায়?’
এরপর হেলালের সঙ্গে পরামর্শ করে আলাউদ্দীন ডিসি-পোর্টকে মুঠোফোনে অস্ত্র খালাসের বিষয়টি জানান। একই সঙ্গে তিনি কয়লার ডিপোর সার্জেন্ট হেলালসহ আশপাশের সব ফাঁড়ি থেকে পুলিশ পাঠানোর আবেদন জানান। ডিসি-পোর্ট আবদুল্লাহ হেল বাকি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে তাঁকে আশ্বস্ত করেন। এরপর ডিসি-পোর্ট আশপাশের সবাইকে ঘটনাস্থলে যাওয়ার বার্তা দিয়ে নিজেও আসছেন বলে জানান।
ইতিমধ্যে হাফিজের সঙ্গে থাকা উলফা নেতা আবুল হোসেন নিজের মুঠোফোনে কারও সঙ্গে কথা বলে সার্জেন্ট আলাউদ্দীনকেও কথা বলার অনুরোধ করেন। আলাউদ্দীন ফোন ধরলে অপর প্রান্ত থেকে এক ব্যক্তি নিজের পরিচয় প্রকাশ না করে বলেন, ‘দেখুন, আমরা ১৯৭১ সালে আপনাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে অনেক সহায়তা করেছি। এসব অস্ত্রশস্ত্রও আপনাদের মতো আমাদের একটি স্বাধীন ভূখণ্ড সৃষ্টির কাজে লাগবে, আপনাদের কোনো ক্ষতি হবে না।’ এসব অস্ত্র নামানোর কাজে বাধা না দেওয়ার জন্যও তিনি অনুরোধ করেন।
এ সময় সেখানে উপস্থিত পুলিশের সদস্যরা তাঁদের পরিচিত অন্যান্য পুলিশ, বিডিআর, কোস্টগার্ডসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন সদস্যের মুঠোফোনে খবর দেন। খালাসকারীরা যাতে কোনোভাবেই পার পেয়ে যেতে না পারে, সে জন্য এটা করা ছাড়া অন্য কোনো উপায় ছিল না বলে সার্জেন্ট আলাউদ্দীন জানান।
উপস্থিত পুলিশের একাধিক সদস্য জানান, হাফিজ ও তাঁর সঙ্গী বাদানুবাদের একপর্যায়ে পুলিশের দলকে একটি বড় অঙ্কের টাকা দেওয়ারও প্রস্তাব করেন। কিন্তু ততক্ষণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় পুলিশ টাকা নিতে রাজি হয়নি।
জানা গেছে, এর ঘণ্টা খানেকের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে শুরু করেন। রাতেই বিষয়টি এমনভাবে জানাজানি হয়ে যায় যে, তখন আর কোনোভাবেই তা চেপে যাওয়ার কিংবা অস্ত্রবোঝাই ট্রাকগুলো ও ট্রলার দুটি ছেড়ে দেওয়া সম্ভব ছিল না। এ কারণে ১০ ট্রাক অস্ত্র আটকের সিদ্ধান্ত নিতে প্রশাসন অনেকটা বাধ্য হয় বলে জানা যায়।/////
উপরের রিপোর্ট টি প্রথম আলো থেকে নেয়া। এখানে বোল্ড করা অংশটুকু পড়ে দেখেন দুই নায়কের মূল উদ্দেশ্য কি ছিল? হাফিজ টাকা-প্যসা ছাড়লেই আর এই দশ ট্রাক অস্ত্রের হদিসও আপনার পাওয়া লাগতনা।
৬| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:০১
অন্য কথা বলেছেন: শুনেছি সার্জেন্ট আলাউদ্দীন ও হেলালের পরিবারের সদস্যরা সমাজে হেয়-প্রতিপন্ন হচ্ছেন..... জীবনের শেষ বয়সে এসে আলাউদ্দীনের ৫৮ বছর বয়সী স্কুল শিক্ষিকা মাকে শুনতে হয়েছে লোকজনের নানা মন্দ কথা...... সামাজিক জীবনে তাদের পরিবারের সদস্যরা মানুষের কাছে ঘৃণা ছাড়া আর কিছুই পাননি .......
দেশপ্রেমিক হলে সমাজে হেয়-প্রতিপন্ন হবেন কেন, শুনতে হবে কেন লোকজনের নানা মন্দ কথা !! তাহলে সমাজ এবং লোকজনের কাছে গ্রহনযোগ্য কোনটা ছিলো ??? ভাবনার বিষয় । দেশের লোকজন দেখি সব দেশদ্রোহী হয়ে যাচ্ছে !!!! এ রায়ে লাভবান কে হোল ? ভাবনার বিষয়।
দেশপ্রেমিক হলে এ সরকারের উচিত এদের পুরস্কৃত করা ।
৭| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৩৬
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
অস্ত্র খালাসের সময় ঘটনাস্থলে সার্জেন্ট আলাউদ্দীন ও সার্জেন্ট হেলালউদ্দীন ভূঁইয়া প্রথম উপস্থিত হয়ে ব্যাবস্থা নিয়েছিল সত্য, তবে এরা খবর পেয়েছিল মুলত দুই আনসার সদস্যের কাছ থেকে।
এই দুই আনসার সদস্যরা এই বন্ধ সার কারখানায় ডিউটিতে ছিল, এই দুই আ্নসার মাত্র ২০০টাকা বকসিশ চেয়েছিল কিন্তু স্মাগলাররা দেয় নি উলটা ধমক দিয়েছিল। পরে এই দুই আনসার নিকটস্থ পুলিশ দল সার্জেন্ট আলাউদ্দীন ও সার্জেন্ট হেলাল দের ডেকে আনে।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:২৪
আশমএরশাদ বলেছেন: Click This Link