নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি তোমাদেরই

আশমএরশাদ

শিশিরের শব্দের মত

আশমএরশাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দশ ট্রাক অস্ত্র মামলা: ভিন্ন মাত্রায় দেখা:

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৪

দশ বছর পরে দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার রায় হয়েছে অবশেষে। প্রত্যেকটা রায় এবং মামলায় দুটি পক্ষেরই নিজস্ব কিছু বক্তব্য থাকে। বিক্ষুব্ধ অংশ এবং জয়ী অংশের বক্তব্য সব সময় তাদের নিজস্ব বলয় এবং স্বার্থকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়। তাছাড়া দুনিয়ার প্রায় সব মামলাতেই বিতর্কিত উপাদান থাকেই অথবা চাইলে যোগ করাও যায়। নির্বাচনের আগে কেন রায় দিল না: পরে কেন দিল: দশ বছর কেন লাগলো: অমুখ সচিব আছে অমুখ সচিব নেই কেন: সে গুলা নিয়ে বড় বড় থিসিস করা যাবে। কৌতুকের ছলে বলা হয়ে থাকে রাজনৈতিক মামলা হলে এবং এর রায় হলে দুই ধরণের প্রতিক্রয়া আপনি পাবেনই : ১। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বশত এবং মিথ্যা এবং অন্যায় রায়। ২।: এই রায় আইনের শাসনের জন্য একটা মাইল ফলক, বিচার হীনতার সংস্কৃতিতে এটা একটা যুগান্তকারী রায়। অথবা এই ভাবে বলা যায় : সঠিক রায় কোনটি: যেটিতে আমার দলের কেউ সাজা পায়নি। মোট কথা রাজনৈতিক দল গুলার ভাষ্য মতে কোন রাজনৈতিক ব্যাক্তি কখনো কোন অপরাধ করেনি, করতে পারে না, করা অসম্ভব। কারণ এই পর্যন্ত কোন দল তার নেতাদের সাজা হওয়াকে সঠিক হয়েছে বলে বিবৃতি দেয় নাই। ৭১ এর প্রকাশ্য এবং ঐতিহাসিক প্রমাণিত বিষয়ে রায় হলেও তাদের অজুহাতের অভাব হয় না।



রায় পরবর্তী আমার যে তাৎক্ষনিক এবং বিক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া হয়েছিল সেটা একটু শেয়ার করি মুল লিখায় যাওয়ার আগে:

@ অবশেষে রায় হয়েছে সে জন্য শুকরিয়া। যেহেতু এটা লেজে গুবরে ধরা খেয়ে যায় তাই এটার রায় হওয়াটাই বাঞ্ছনীয় ছিল। তৎকালীন সরকারই এই মামলার সূত্রপাত করেছিল। সাবেক তত্ববধায়ক সরকার এটির অধিকতর তদন্ত করে। সে সময়ে বিএনপি এই অস্ত্রের চালান আওয়ামী লীগের কাজ বলে অভিযোগ তুলেছিল ৩০ এপ্রিলে সরকার পতনের ডেট লাইনের(জলিল) কথা উল্লেখ করে।

@ ফাঁসি না দিয়ে যাবজ্জীবন হলেই ভালো হতো। ১৪ জনের নামের লিষ্টে আমার পারসেপশন অনুযায়ী অনেকেই ফাঁসি হবার মত অংশগ্রহণ ছিল না। প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তারা ঊর্ধ্বতনের (নির্বাহীর) আদেশ পালন করে মাত্র।

@ বাবরকে যাবজ্জীবন দিয়ে অন্যদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিলেই মনে হয় ভালো হতো। অন্তত দুর্বল এজহার এবং মামলার মেরিট আনুযায়ী।

@ অপরাধের ব্যাপকতা এবং নৈতিকতার জায়গা থেকে দেখলে সর্বোচ্চ সাজাই কাম্য মনে হয়। এই অস্ত্র গুলা দিয়েতো মানুষের জীবনই কেড়ে নেয়া হতো। পাখি শিকার নিশ্চয় করা হতো না।

@ রায়ের নিউজে বিচারকের নাম প্রকাশ করাটা কতটা যৌক্তিক! আমার জানা মতে অনেক দেশেই চাঞ্চল্যকর মামলায় বিচারকের নাম মিডিয়া সরাসরি প্রকাশ করে না।



দশ ট্রাক অস্ত্র আটক মামলার শুরু থেকে পত্রিকায় প্রকাশিত সব রিপোর্ট পর্যালোচনা করে যে বিষয় গুলো পরিষ্কার ভাবে পাই:



১। রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সংস্থা এবং ব্যাক্তির জানার মধ্যেই সংঘটিত: বিচার বিভাগের উপর হস্তক্ষেপ:

রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সংস্থা এবং ব্যক্তির জানার মধ্যেই এই অস্ত্রের চালানটি হাত বদল হতে চলছিল উলফার হাতে। একটি নগণ্য কারনে বড় এই ঘটনাটা ধরা খেয়ে যায়। বিভিন্ন তথ্য মতে জেটির দুই আনসার ২০০ টাকা করে বখশিশ চেয়েছিল কিন্তু দেয়া হয়নি তাই তারা মেসেজ দেয় দুই সার্জেন্টকে। সার্জেন্ট হেলাল এবং আলাউদ্দিনকে উচ্চ পদস্থের ভয়ভীতির এবং দম্ভ (টেলিফোনে তোর বাপের সাথে কথা বল) দেখানোর ফলে তারা কনভিন্স না হয়ে উল্টো বিগড়ে যায়। পরে সেটা আর টাকা পয়সার লোভ দেখিয়েও সম্ভব হয়নি। মালার দুর্বল এজাহার, প্রথম দিকে মাঝি মাল্লা এবং শ্রমিকদের আসামী করা, উলফা নেতাদের থানা হেফাজত থেকে পুলিশের গাড়িতে পালিয়ে যেতে সহযোগীতা করা, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না হওয়া, পরে সার্জেন্ট হেলালের পা ভেঙ্গে দেয়া এবং সার্জেন্ট আলাউদ্দিন এবং হেলালকে অস্ত্র মামলায় ফাঁসানোর ঘটনা গুলা প্রমাণ করে তৎকালীন চার দলীয় জোট সরকার এই অস্ত্র চালানের ব্যাপারে প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত।



২। উন্নত রাষ্ট্রের অনৈতিক অস্ত্র ব্যবসা:

উন্নত রাষ্ট্র গুলা কিভাবে অর্থনৈতিক ভাবে উন্নতি লাভ করেছে সেটা এই ঘটনায় স্পষ্ট। নৈতিকতাকে তোড়াই খেয়ার করে তারা যার তার নিকট অস্ত্র বিক্রি করে। বৈধতার মানদণ্ড হলো আপনি দশ লাখ ডলার দিচ্ছেন কিনা? অধিকাংশ নতুন অস্ত্র কেনা হয় চায়নার আধা সরকারী কোম্পানি নারিনকো থেকে। আমেরিকা/ চায়না এদের কাছে টাকাই আসল নৈতিকতা। আপনি এই সব অস্ত্র দিয়ে মানুষ শিকার করবেন, না পাখি শিকার করবেন সেটা তাদের দেখার বিষয় নয়। আবার তারাই সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় কোমর বেঁধে নামে । কি হাস্য কর!! অন্যদিকে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা এই কাজে জড়িত থাকার স্বাক্ষর রেখে তারা প্রমাণ দিয়েছে তারা দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতা চায় না। অন্যদেশের আভ্যন্তরীণ গোলযোগকে এবং বিচ্ছিন্নতাবাদকে উস্কে দিয়ে পাকিস্তানও নিজেদের জাতকে স্মরণ করিয়ে দিল।



৩। দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতা ও সার্ক সনদ:

সার্কের মুল মন্ত্রই ছিল এক দেশ আরেক দেশকে সহযোগীতা করা, কোন উলফা নেতাকে অবৈধ অস্ত্র দিয়ে সহযোগীতা করা নয়। কিন্তু বাংলাদেশে এই অস্ত্র আটকের কারণে তৎকালীন সরকার সার্কে নিজেদের অবস্থান দুর্বল করে তোলে এবং মারাত্বক বিশ্বাসঘাতকতার কাজ করে। তৎকালীন চার দলীয় জোট সরকার নৈতিকতার জায়গা থেকে বাংলাদেশকে খুবই দুর্বল করে ফেলে এবং সার্ক সামিটে করা আশ্বাসের বরখেলাফ করে ফেলে।



৪। দশ ট্রাক অস্ত্রই কি বিএনপির প্রতি ভারতের অবিশ্বাসের মুল কারণ :

সর্বশেষ খালেদা জিয়ার ভারত সফর ছিল মিডিয়ার এক বিরাট আলোচিত বিষয়। মিডিয়াকে মাতিয়ে রেখেছিল বিএনপি নিজেই। তারা জনগণকে বুঝাতে চেয়েছিল খালেদা জিয়াকে ভারত আমন্ত্রন জানিয়ে এটাই প্রমাণ দিল যে তারা আর আওয়ামীলীগ ঘরনার নয়। ভারত সফরের পর বিএনপির পক্ষ থেকে ব্যাপক ভাবে প্রচার চালায় যে “দাদারা এখন আমাদেরও”। বিএনপি ঘরনার পত্রিকা গুলোতে সে সময়ে ভারত বিরোধী কোন নিউজও চাপা হতো না। “আমার দেশ” পত্রিকা সে সময়কার কপি গুলা দ্রষ্টব্য। কিন্তু আখেরে আমাদের সে পারসেপশন ধোপে টিকেনি। কারণ কি এই দশ ট্রাক অস্ত্র? ভারত আমেরিকাকে এই ঘটনা দিয়েই কি বুঝাতে চেষ্টা করেছে যে তার আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা এই জোটের কারণে হুমকি স্বরূপ?



৫। আরো কিছু প্রশ্নের জবাব ও ভু রাজনীতির কানাগলি:

আপিলের মাধ্যমে এই মামলার আরো কিছু প্রশ্নের সুরাহা হওয়া দরকার। মাদার ভেসেলের নাম কি ছিল? চায়নার ভুমিকা কি ছিল? সরাসরি বাংলাদেশের সরকার প্রধান জড়িত কিনা? নাকি তৎকালীন সমান্তরাল সরকার “হাওয়া ভবন জড়িত”? বাংলাদেশের ক্ষমতার মসনদ বিএনপি জোট অবশ্যই দাবী রাখে। কিন্তু ক্ষমতায় গিয়ে তারা যেন এহেন অনৈতিক কাজ না করে। ভু-রাজনীতির অনেক গলি কানাগলির জন্য যদি এই অস্ত্রের চালানের সহযোগিতাকে পজেটিভ ধরে নিলেও কথা থেকে যায়। অস্ত্র আটক পরবর্তী অনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং কুশাসনের কি জবাব তারা দিবে? সার্জেন্ট হেলালের পা ভেঙ্গে দেবার ক্ষতিপূরণ কে দেবে “উই লুকিং ফর শত্রুজ” এবং “জজ মিয়া” খ্যাত জনাব বাবর ও তার সরকার?



৬। মতিউর রহমান নিজামী ও তার দলের ভুমিকা:

জোটের শরিক সত্যবাদী এবং নৈতিক পার্টি বলে দাবিদার জামায়াতের আমির ও তৎকালীন সেক্যুলার সরকারের ভাগিদার শিল্প মন্ত্রী নিজামী কি জবাব দিবেন? এই সব অনৈতিক কাজের কথা জানার পর তারা কি পদত্যাগ করেছিলেন? সার্জেন্ট হেলাল ও আলাউদ্দিনের প্রতি অবিচার হচ্ছে জেনেও তারা কি প্রতিবাদ করেছিলেন? অস্বীকার করার উপায় নেই প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসাবে ভারত সুবিধার না এবং উদারও নয়। তাই বলে আমরা কি প্রতিবেশী রাষ্ট্র বদলাতে পারবো? ভারত বিদ্বেষীতায় কি সেটার সমাধান?



পরিশেষে আশা করবো এই সরকার সার্জেন্ট হেলাল সার্জেন্ট আলাউদ্দিন এবং গোলাম রসুলকে পুরস্কৃত করবেন। পাশাপাশি এটাও আশা করবো বিএনপি দেশী বিদেশী উগ্রবাদীদের থেকে দূরে থাকবেন। অন্যদেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করলে নিজের দেশেও সেটার প্রভাব পড়তে পারে। বিশ্বের বর্তমান রাষ্ট্র গুলো আজকে এমন সংগঠিত অবস্থায় এসেছে যে একটি রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে আরেকটি রাষ্ট্র উত্থানের সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। শ্রীলংকার এলটিইটির পতন সে বার্তাই দেয়। তাই পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের অস্থিতিশীলতা যেমন আমরা চাইতে পারি না তেমনি আমাদের প্রতিবেশী ভারতও পার্বত্য ইস্যুতে আমাদের অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করবে না।



তথ্য লিংক:

সেই দিনের দুই নায়ক সার্জেন্ট হেলাল এবং আলাউদ্দিনের কি পরিণতি হয়েছিল সে সম্পর্কে বিস্তারিত পড়তে পারেন এই লিংক থেকে।http://www.dainikpurbokone.net/index.php/-lfontglfont-colorq5a5757qg-lfontg/-lfont-colorq5a5757qglfontg/17229-2014-01-29-20-44-45



ফেইস বুক : [email protected]

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৪

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: অনেক বালছাল যোগ করেছেন: ভারত চাহে না যে, বাংলাদেশের কেহ ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাহায্য করুক; তাই এতগুলো ফাঁসি, এবং সঠিক: প্রতিবেশীর খারাপ করলে, ওরাও আমাদের ক্ষতি করবে।


খালেদা বেগম ও তারেক অস্ত্র ব্যবসার মুল হোতা, কেন এবার তাদের ধরা হলো না, সেটাই বুঝার দরকার!

২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১২

জামাল কুরাইশ বলেছেন: when we were in trouble in 71, they have suffered for us directly, now when they need freedom for us, why we wont support them? When India supported "Shanti Bahini" openly then where was their integrity? Our policy should be continual support to them who wants to get freedom from India and here lies our real and sustainable Independence.

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৩২

আশমএরশাদ বলেছেন: বাংলাদেশের অনিবার্য স্বাধীনতা যুদ্ধের সাথে আসামে স্বাধীনতা দাবী এক কথা নয়। ১৯৭০ এর নির্বাচনে বৈধ এবং সংখ্যাগরিষ্ট আসনে বিজয়ী বাঙ্গালী নেতাকে ক্ষমতা না দেয়ার কারণে একটা বৈধ দল স্বাধীনতার ঘোষণা করে।
উলফাকে যদি তৎকালীন সরকার সাহায্য করাকে নৈতিক মনে করত সেটা জাতিকে জানালেই হতো। না জানিয়ে তারাই প্রথমে মামলা করে।
উদ্দেশ্যটা কাউকে স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য সহযোগীতা ছিল না। ছিল চোরাচালান এবং আইএসআই এর বন্ধুত্ব রক্ষা।
ইন্ডিয়ার সাথে বাইরে বন্ধুত্ব দেখাবে বিএনপি আর ভেতরে উলফাকে অস্ত্র চালানে সহযোগীতা করবে সেটাতো হতে পারে না।

৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৯

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: @জামাল কুরাইশ ,




Go and fight for the independence of Assam.

৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৯

গ্রীনলাভার বলেছেন: @ অপরাধের ব্যাপকতা এবং নৈতিকতার জায়গা থেকে দেখলে সর্বোচ্চ সাজাই কাম্য মনে হয়। এই অস্ত্র গুলা দিয়েতো মানুষের জীবনই কেড়ে নেয়া হতো। পাখি শিকার নিশ্চয় করা হতো না। -

মাঠে এখন যে আর্মস্‌ গুলো আছে এগুলো অতিথি পাখি শিকারের জন্য ব্যবহার হয়। - কি বলেন ভাই?

পুরো পোষ্ট পড়ার ধৈর্য রাখতে পারলাম না ভাই। সরি।

অঃটঃ - আপনার প্রো পিকটা বড়ই সৌন্দর্য।

৫| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৩৩

হোদল রাজা বলেছেন: চমৎকার এনালাইস

একটা কথা জানতে মন চায়।
৫০ গ্রামের বেশী হিরোইন নিয়ে ধরেন কেউ সিংগাপোর বা মালয়শিয়াতে ধরা পরলেন।কিমবা সৌদিতে।সামান্য একটু ড্রাগের জন্য সাজা কি হবে, জানেন?

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৪২

আশমএরশাদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা

৬| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:০৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ফাসি দেয়াতে অবাক হয়েছেন মনে হচ্ছে। এটা মামুলি চোরাচালান মামলা না। যে কোন দেশেই অস্ত্র ও মাদক রাখা একটি বড় ধরণের অপরাধ, অস্ত্র আনা ও এসব স্মাগলিং একটি বড় ক্রাইম। বিপুল সংখক যুদ্ধাস্ত্র এনে দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা আরো ভয়াবহ অপরাধ। সব দেশেই এর জন্য জন্য কঠিন শাস্তির ব্যাবস্থা রয়েছে।


তাদের ব্যবসাগুলোর মাঝে অস্ত্র ব্যবসা বেশ ভালই জমেছিল!

তবে আমার ধারনা খালেদা এসবের কিছুই জানত না। হাওয়া ভবনে সবকিছু হলেও তারেক নেপত্থে একটু সাবধানে আড়ালে থাকায় আদালতে প্রমান উপস্থাপন করা যায়নি।

পাকিস্তানি ISI, আলকায়দা উইং এর সহায়তায় দুবাই কেন্দ্রিক আর্মস স্মাগলার
দাউদইব্রাহিম চক্র এদেরকে এই লোভনীয় ব্যাবসায় উদ্ভুদ্ধ করে। এদের সাথে যুক্ত হয় একদল কট্টর ডানপন্থি উচ্চপদস্থ সামরিক 'অব'। এরা অস্ত্রব্যাবসা ছাড়াও বড় বড় অপকর্ম করে গেছে বেপরোয়া ভাবে।

জামাত নেতা নিজামি এসবের সাথে তেমন ভাবে জরিত ছিল বলে মনে হয় না।
শিল্পমন্ত্রী হিসেবে ঘটনাস্থল কারখানাটিতে পদাধিকার বলে কিছুটা দায় তার উপর বর্তায়, যেভাবে কারখানাটির জিএম কনভিক্টেড। তবে নিজামির মুল অপরাধ ছিল অভিযুক্ত হোতা দের বাঁচানো ও মামলা ভিন্নখাতে নিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার অপচেষ্টা। আদালত এসব বিবেচনা করে তাকে মুল অপরাধীদের সাথেই রেখেছে।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:০০

আশমএরশাদ বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। আমি কেইসের মেরিটের কথা মাথায় রেখে বলেছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.