![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমরা আসলে সবাই সেফ জোনটা পছন্দ করি। সুবিধাজনক একটা অবস্থানে থেকে নিজেকে জাহির করার একটা চেষ্টা থাকে আমাদের। একবারও ভাবি না আমাদের বক্তব্যের আসল ভেল্যু কি অথবা যা বলছি তা আসলেই উচিত কথা কিনা। অন্যায়কে অন্যায় বললে যদি নিরপেক্ষ তকমা হারিয়ে যায় তাহলে অসুবিধা কি? আমরা নিরপেক্ষের মোহ চাই নাকি সৎ মানিসকতার বক্তব্য চাই? এবার আসুন "নামাতে না পারলে থামেন এবং না থামাতে পারলে নামেন " এই বক্তব্যটাকে বিশ্লেষণ করি। এই বক্তব্যে চাতুর্যতা আছে কিন্তু সৎ মনোবৃত্তি আছে কতটা? "থামেন" মানে কি থামাবে? সমসাময়িক ঘটনা প্রবাহে বলা যায় "থামেন" মানে পেট্রোলবোমা মেরে মানুষ মারা থামানো, ব্যাপক জনগণের অনিহা সত্বেও কিম্ভুতকিমাকার অজনসমপৃক্ত আন্দোলন অবরোধ থামানো। বিএনপির একজন পাঁড় সমর্থকও জানেন তারা এমন টাইপ আন্দোলন চায়নি। অথবা একজন উম্মুক্ত মনের মানুষও বলবে আন্দোলনের যৌক্তিকতা আছে কিন্তু আন্দোলন যে প্রক্রিয়ায় চলছে সেটা কেবল অযৌক্তিক নয় ব্যাপক প্রাণহানিকর এবং হঠকারী যেটা "এজ আরলি এজ পসিবল থামায়ে দেয়া উচিত।
যেখানে সাধারণ মানুষের আতংক জড়িত যেখানে ১৫ লাখ পরীক্ষার্থীর জীবন জড়িত যেখানে মানুষের বাঁচার অধিকার জড়িত সেখানে পেট্রোল বোমা মারা আগে এবং সবার আগে থামানো উচিত। আমি বক্তব্যটা সুবিধাবাদী এই জন্য বলছি যে - আমি এই বক্তব্যের যে কোন একটা অংশকে সাপোর্ট করতে পারি কিন্তু দুইটা এক সঙ্গে অবশ্যই না। না থামাতে পারলে নামেন সেটাকে যেমন আমি আলাদা অংশে সমর্থন করতে পারি তেমনি না নামাতে পারলে থামেন সেটার প্রতিওও আলাদা ভাবে। বলতে চাই দুইটা এক সঙ্গে উচ্চারণের মধ্যামে সুবিধাবাদীতা প্রকাশ পায় এবং প্রায়োরিটি বেইস ব্যাহত হয়। "থামা" বলতে পেট্রোল বোমা যদি হয় তাহলে সেটা থামানো অনেক অনেক জরুরী; একটা লিডিং সরকার নামার চেয়ে এই ধরণের সহিংসতা আগে থামানোর প্রতি আমার বক্তব্য। আমি সব সময় বক্তব্যে রহস্যের চেয়ে ক্লিয়ার কাট বেশী পছন্দ করি। সুবিধাবাদী সুশীলতা মুলক এই ধরনের বক্তব্যের কোন ফিড ব্যাক থাকে না অনেকটা মুরগী আগে না ডিম আগে থিওরীর মত। বলতে মজা কিন্তু কাজের কিছুই না। দুই টা আলাদা ঘটনার মধ্যে ভেরিয়েবেল যোগ করে আমরা আত্মতৃপ্তি পেতে পারি কিন্তু সার্বিক স্বস্তি মেলে না। আমাদের বক্তব্য স্পেসিক হওয়া জরুরী। পক্ষপাত মুক্ত হতে গিয়ে আমরা যেন ক্রিটিকেল বক্তা না হই। যেমন না থামাতে পারলে নামেন এই বক্তব্যের মধ্যেও থামানোর প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করা হয়েছে। আরো স্পস্ট করলে বলা যায় সরকার নামলে পেট্রোলবোমা মারা থামবে এমন একটা বক্তব্যেকে স্বীকার করা হয়েছে। এই স্বীকারোক্তিই বলে দেয় আসলে পেট্রোলবোমা মারার দায় কার কারা মারে!
আমার বক্তব্য স্পষ্ট "না নামাইতে পারলে থামেন " থামান পেট্রোল বোমা। যেহেতু নামার ব্যাপারটি অনেক লম্বা প্রক্রিয়ার বিষয় তাই আমি আগে মানুষের বাঁচার অধিকারটির কথা বলি, না পোড়ার অধিকারের কথা বলি।ভোটাধিকার সেটাতো বেঁচে থাকার পর। তা নয় কি?
https://www.facebook.com/asm.arshad
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:১৫
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
"নামাতে না পারলে থামেন; থামাতে না পারলে নামেন"
এটা প্রথম কার স্ট্যাটাস ছিল?