নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি তোমাদেরই

আশমএরশাদ

শিশিরের শব্দের মত

আশমএরশাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রসংঙ্গ: "কে জিতবে ৩ সিটিতে" আওয়ামীলীগকে কাদম্বিনির মত ইচ্ছাকৃত ভাবে হারিয়া প্রমাণ করিতে হইবে ভোট সুষ্ট হয়েছে!!!

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:২৫

কাদম্বিনি মরিয়া প্রমাণ করিলো সে মরে নাই আর আওয়ামীলীগকে ইচ্ছা করে সিটিতে হারিয়া প্রমাণ করিতে হইবে ভোট সুষ্টু হয়েছে। এই ধরণের একটি কমেন্ট করেছেন একজন আসিফ নজরুলের আজকের লিখাটিতে। আসিফ সাহবে মনে হয় বিএনপির চেয়েও দলান্ধ হয়ে গেছে না হলে কেমনে উনি এমন লিখা লিখতে পারেন-
১। অ্যান্টি-এনকাম্বেন্সি (যেকোনো সরকারের প্রতি জনগণের চিরন্তন ক্ষোভ ও হতাশা) তো বিএনপির দুই সিটির সর্বশেষ মেয়রদের জন্যও হতে পারে আসিফ সাহেব। সাদেক হোসেন খোকা ৯ বছরের মেয়র হয়েও বাসযোগ্য ঢাকা করতে পারেনি আর মন্জুর এত ইনেকটিভ ছিল মেয়র হিসাবে এবং বিএনপির জন্য যে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। মেয়র মন্জুর যে বিএনপির প্রার্থী সেটাইও এক আশ্চর্য্যের বিষয় । আর মন্জুর হওয়া মানে আধা আওয়ামীলীগ হওয়া এবং আওয়ামীলীগের জন্য সেটা কোন বিপদের বিষয়ও নয়।

২। ঢাকা দক্ষিণে বিএনপির প্রার্থী মীর্জা আব্বাস- যিনি আন্দোলনের সময় আত্মগোপনে থাকেন তিনিতো মেয়র হলেও ৫ বছর আত্মগোপনেই থাকবেন সেটা বুঝা যায়। আর প্রার্থী হিসাবে সাঈদ খোকন অন্যপ্রার্থীদের চেয়ে কোন জায়গায় খারাপ সেটা একটু বলবেন? বিএনপির তৃণমুলের ক্ষোভের ভোট গুলাওতো সাঈদ খোকন পাবে। আর একটা বিষয় হলো বিএনপির জিতা প্রার্থী গুলাতো এখন তেমন কোন কাজই করতে পারছে না। গাজীপুরের মেয়র কারাগারে অন্যরা আত্ম গোপনে। আমরা কি এতদিন মেয়র বিহীন থেকে আবারো আত্মগোপনের মেয়র নির্বাচন বানিয়ে ২০২০ সাল পর্যন্ত পরিসেবা থেকে বঞ্চিত থাকবো?

৩। চট্টগ্রাম ছাড়া অন্য দুই সিটিতে আওয়ামীলীগের প্রার্থী পাঁড় আওয়ামীলীগার না। অপেক্ষাকৃত কম দল সংশ্লীষ্ট এবং ভালো ইমেজের নতুন প্রার্থী।
৪। চট্টগ্রাম এখনো ভাসমান এবং মন্জুরের তুলনায় নাছির অনেক বেশী নবীন এবং সংগঠক।
৫। সংখ্যালঘুদের গড় হার সিটি গুলাতে অনেক বেশী - সে হিসাবটা আসিফ সাহেব করেন নি।
৬। হেফাজতের ৫ই মের পরের কয়েকটা মাস ছিল আওয়ামীলীগের জন্য সবচেয়ে খারাপ সময় । আর সে সময়ে দেয়া আওয়ামীলীগের প্রার্থী গুলা ছিল বেশীর ভাগ পুরণো। গাজীপুরের আওয়ামী প্রার্থী আজমত ১৭ বছরের সিলেটের আওয়ামী প্রার্থীও ১৭ বছরের পুরনো মেয়র ছিলেন।
আর এখন আওয়ামীলীগের সবচেয়ে ভালো সময় -সব গুলা বাঁধা অতিক্রম করে তারা এখনো পরিপুষ্ট।
৭। যে রাজনৈতিক দল সরকারেও ব্যর্থ বিরোধীদলেও ব্যর্থ যাদের কোন ইজম নাই ক্ষমতায় যাওয়া ছাড়া তাদেরকে কেন শুধু জনগণ ভোট দিতেই থাকবে। সরকারে ব্যর্থ এই কারণে যে তাদের সময় সচিবরা পর্যন্ত জনতার মঞ্চ করতে পারে। উন্নয়নে ডেসিং কোন ভাব নেই বিএনপির।
৮। ঢাকা উত্তরে বিএনপির প্রার্থীকে সেটা নিশ্চিত না হবার আগেই আসিফ সাহেব বিএনপিকে ৩ সিটিতে জিতিয়ে দিলেন!! মাহী বি যদি শেষ সময়ে বিএনপি সমর্থীত প্রার্থী হয় এবং জিতে যায় তাহলেওতো আওয়ামীলীগের বিপদের কারণ নয়। কারণ সে বিএনপির প্রার্থী নয়।

৯! আপনি মাঝে মধ্যে আওয়ামীলীগ বিএনপি দুইটার সমালোচনা করেন সে হিসাবেতো আপনার উচিত ছিল জুনায়েদ সাকীর পক্ষ হওয়া। জুনায়েদ সাকীর প্রশংসা করে একটি লিখাও আপনি আগে লিখেছিলেন। কেজরীওয়াল নেই বলে আক্ষেপ করেন আর ভেতরে ভেতরে বুর্জোয়া মিন্টু আর মীর্জাবাড়ির ধনকুবেরদের জন্য দুতিয়ালী করেন বলে অবাক হইলাম।:)

সবচেয়ে অবাক হইলাম উনি পেট্রোল বোমা মারার জন্য বিএনপিকে দায়ী করেনি। আমার প্রশ্ন হলো তাহলে কে মারলো? আওয়ামীলীগ কেন বিএনপির আন্দোলনকে ৩ মাস ধরে চালিয়ে নেবে? ধরেও যদি নিই বিএনপিকে দুর্নামের জন্য আওয়ামীলীগ মেরেছে -তাই বলে ৩ মাস? আওয়ামীলীগ ফেরেস্তা বা ভালো বলে নয়; মোটিভে বা ফেক্টেই বলে না আওয়ামীলীগ সেটা করতে পারে না নিজেদের স্বার্থে।
আমার ফেসবুক আইডি:
https://www.facebook.com/asm.arshad

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৩

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: আপনার ধারণা মারাত্মক ভুল। আওয়ামী লীগ যদি হারার চিন্তাই করত, তাহলে
- বিএনপির লাগার আন্দোলনের সময় নির্বাচন দিতোনা, তারা অংশ নেবেনা - এমনটি ভেবেই নির্বাচন দিয়েছে।
- বিএনপি নেতাদের যেখানেই দেখা যাবে, গ্রেফতার করা হবে - এমন হুমকী পুলিশ দিতনা।
- তুচ্ছ কারণে ঢাকা উত্তরে বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করে দিতোনা।
- এইচএসসি পরীক্ষার সময়ে তাড়াহুড়া করে ইলেকশন করত না।

আওয়ামী লীগ জেতার জন্যই ইলেকশন করছে, তার জন্য যা করা দরকার সবকিছুই করবে। বিশ্ব সম্প্রদায় আওয়ামী লীগের ইসলাম বিরোধী কার্যকলাপের কারণে তাদের পক্ষেই আছে। কাজেই সুষ্ঠু নির্বাচন করায় তাদের এত দায় ঠেকেনি।

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:২৭

আশমএরশাদ বলেছেন: তুচ্ছ কারণ ব্যাপারটি কিন্তু আইনের চোখ তুচছ নয়। এত এত কাউন্সিলর এত মেয়রট প্রার্থী সবাই জানে যে সমর্থককে ঐ এলাকার ভোটার হতে হয় এবং মিন্টু সাহেব প্রার্থী হতে পেরেছেন ঐ এলকার ভোটার বলে সেখানে এটাকে তুচ্ছ ভুল বলতে পারেন না। যখনই তার ছেলেও মনোনয়ন পত্র নিয়েছেন তখনই রহস্যের গন্ধ পাওয়া গেছে। যে মেয়র মনোনয় পত্রের প্রথম শর্তটিকেই আমলে নেন না তিনি কেমন করে দেশের মানুষের সেবাকে আমলে নিবেন ভাবতে পারি না। একটা সফল অপারেশন করে হালকা ব্যান্ডেজ সেখানে ফেলে আসাকে আপনি তুচ্ছ বলবেন না নিশ্চয়? আইনে বলা আছে সমর্থক ঐ এলাকার ভোটার না হলে মনোনয়ন পত্র বাতিল হয়ে যাবে তাইলে আপনি কিভাবে সেটিকে আবার আইনে বৈধ করবেন একটু বলবেন কি?

২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:০৯

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: আইনের চোখে সবাই সমান - তাই খালেদার গ্রেফতারি পরোয়ানা দুই মাসেও থানায় পৌঁছেনা, অপরদিকে সাধারণ মানুষ পরোয়ানা ছাড়াই এ্যারেস্ট হয়ে যাচ্ছে। আইনের এত এত ভুল করে ভিয়াইপিরা পার পেয়ে যাচ্ছে (আজকের প্রথম আলোর হেডলাইন দ্রষ্টব্য)।

আর সামান্য ভুলে মিন্টুর এত বড় শাস্তি! সরকার আসলেই বিএনপিকে নিয়ে ইঁদুরের মত খেলছে।

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৪

আশমএরশাদ বলেছেন: আপনি নিরপেক্ষ না হয়ে যুক্তি দিয়েছেন। প্রসংগে থাকি এবং সেটা আব্দুল আওয়াল মিন্টুর ভুল নিয়েই কথা বলি। আপনি নির্বাচন কমিশনার হলে কি করতেন? ঘষা মাজা করে আরেকজনের নাম বসিয়ে দিতেন নমিনেশন সাবমিট হবার পরেও?টাইম চলে যাবার পরেও। তার ছেলেরটা ঠিক হলো বাবারটা ঠিক হলো না এটা নিয়েও অনেক কানাঘুষা আছে। ছেলেকে(অবশ্য গওহর রিজভির মেয়ের জামাই) লাইম লাইঠে আনার জন্য এটাও একটা কৌশল কিনা। পরীক্ষার খাতায় আপনার রোল নাম্বারে এমন ভুল হতে পারে না যেটা অন্যের নাম্বার। বেহেস্তে যাওয়ার প্রথম শর্ত হলো মুসলমান হওয়া -আপনি যতই ভালো কাজ করেন না কেন প্রথম শর্ত না মানলে কিন্তু হবে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.