![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সৎ মেধাবী এবং সাহসী এই তিনটা জিনিস একজনের মধ্যে খুজতে হলে ছাত্র জীবনে রাজনীতি করা মানুষদের মধ্যে খুজতে হবে। পুতুপুতু আমলাদের মধ্যে খুঁজলে বর্তমান কমিশনের মতো পাবেন। সৎ নিরপেক্ষ মেধাবী লোক খুঁজার আয়নাই বা কি?
একটি গণতান্ত্রিক দেশে আলাদাভাবে নিরপেক্ষ লোক খুঁজতে হবে কেন? মেধাবীদের রাজনীতিতে আসতে বলবেন আবার নিরপেক্ষ মেধাবীও খুঁজবেন নির্বাচন কমিশনার পদের জন্য ? রাজনৈতিক ভাবে নিরপেক্ষ না হয়েও একটা লোককে তার পদ পদবী সৎ করতে পারে নিরপেক্ষ করতে পারে। মানুষ মাত্রই রাজনৈতিক জীব হওয়া সত্বেও যে মানুষটি তার ছাত্রজীবনে সেটা ভোগ করেনি , পতাকাশোভিত মিছিলে যায়নি তার জীবন কয় আনা মিছে? যে লোকটি নিরপেক্ষ সে হয় খুব বোকা না হয় ধুর্ত।
নিরপেক্ষ বলে যারা তারা একটু বোধাই টাইপের হয় এবং কম সাহসী হয়। ছাত্রজীবনে পলিটিকেল ছাত্রদের কানমলা খেয়েও চুপ থাকা ছাত্রছিলো তারা। খুঁজতে হবে পদে সৎ থাকা লোক। আবার সৎ থাকা ব্যাপারটা বায়ীয় বা বিমুর্ত টাইপ ব্যাপার। কেবল মাত্র হইপো দিয়েই নির্ধারণ করতে হয়। রাজনৈতিক দল গুলা ব্যক্তির নাম দেয়ার সময় কোন জিনিসটা দেখবে ? দেখবে এই লোকটা বিএনপি ঘেষা কিনা, এই লোকটা আওয়ামী ঘেষা কিনা। তাইলে ঐ লোক গুলা নিয়ে সন্দেহতো রয়েই যাবে। আর সরকারে যারা আছে তারা জেনে যাবে বিএনপির পক্ষ থেকে কোন লোক গুলার নাম দিয়েছিলো । আর তখন থেকেই সে লোক গুলার উপর বিএনপি সংশ্রব প্রকাশ হতে থাকবে । এতদিন তাদের নিরীহ নিস্তরঙ্গ জীবনটা রাজৈতিক বিষে ভরে যাবে। একটা টকশোর হোস্ট দেখেন না কেমন করে নিরপেক্ষ লোকদের ব্যালেন্স করে- এক পাশে বসায় -একজন বিএনপি নেতার সাথে রাখে একজন বিএনপি ঘেষা বুদ্ধিজীবি আবার অন্য পাশে রাখে একজন আওয়ামীলীগ নেতা এবং আওয়ামীলীগ ঘেষা বুদ্ধিজীবি। উভয় বুদ্ধিজীবিই আবার দাবী করে তারা নিরপেক্ষ।
সো সৎ এবং নিরপেক্ষ হতে হবে নেত্রীদ্বয়কে আগে । নিরপেক্ষ মানে পদ নিরপেক্ষ কর্ম নিরেপক্ষ। গণতন্ত্র চাইলে আগে বড় দল গুলার ভেতরের গণতন্ত্র চর্চা করতে হবে। একদিনের নির্বাচন কেন্দ্রীক গণতন্ত্র চাইলে হাওয়া ভবন ও রাকিব কমিশন হবেই।
©somewhere in net ltd.