![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আইনের ভাষায় তারা এখনো অপরাধী নয় বরং আসামী বা সাসপেক্টেড। কিছু নিশ্চিত আলামত বা দৃঢ পারসেপশন থেকে আমরা হয়ত রায় দিয়ে দিচ্ছি তারা অপরাধী। একজন জঙ্গী বা দুর্ধর্ষ অপরাধী যদি গ্রেফতারের সময় আহত হয় তাহলে কি একজন ডাক্তার তার চিকিৎসা দিচ্ছে না? যে চিকিৎসক চিকিৎসা করেছেন তাকে নিয়ে কি আপনি বিষোদগার করছেন? পদ বা পেশা ব্যাক্তির নিজের সত্তা থেকে আলাদা হতে পারে।
ন্যায় বিচারের স্বার্থে বাদীর আইনজীবীর পাশাপাশি বিবাদীর আইনজীবী থাকা বাঞ্চনীয়। যুক্তিতর্ক অবসানে যেহেতু সত্যটাই উপরে ভাসে তাই উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক চলতে পারে। বাদী বিবাদী যে কারো মামলা নেয়ার পেশাগত শপথ একজন আইনজীবীর আছে। এখানে অন্যায়ের কিছু নেই। এমন কি রাষ্ট্রও যদি কোন আসামীর জন্য আইনজীবী নিযুক্ত করে তাহলেও সে আইনজীবীর অন্তিম দায়িত্ব হলো তার মক্কেলের স্বার্থ সংরক্ষণ। একজন ডাক্তারের কাছে যেমন একজন রুগীর বায়োডাটা বিষয় নয়, তার মুল কাজই হলো রুগীকে চিকিৎসা সহায়তা দেয়া তেমনি একজন আইনজীবীর কাছে মক্কেলের বায়োডাটা বিষয় নয় বরং মক্কেলকে আইনগত সহায়তা দেয়াই মুল কাজ। একজন আইনজীবী নিজে বিচারকের দায়িত্ব পালন করতে পারেন না। নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের সময় যখন আইনজীবী সমিতি কাউকে সহায়তা করবে না বলে ঘোষণা দিয়েছিলো তখনও আমি এর বিরুদ্ধে বলেছিলাম। কারণ এটা একজন আইনজীবী পেশার দায়িত্বের বিরুদ্ধে যায়।
১৩ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:৩৯
আশমএরশাদ বলেছেন: আইনের ভাষায় তারা এখনো চিহ্নিত অপরাধী হয়নি। তাদেরকে আসামী বলা হচ্ছে। তাদেরকে চিহ্নিত করার জন্য উভয় আইনজীবী সহায়তা করছে মাত্র।
২| ১৩ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:২৯
কানিজ রিনা বলেছেন: আমি অনেক আইন জীবির কথা জানি যারা
অন্যায় কেস হাতে নেয়না। কিছু আইনজীবি
অন্যায় কেস হাতে নিলেও ন্যায়ের পক্ষেই
যায় খুব বুদ্ধিমত্তার সাথে। আমি আন্তরিকতার
সাথে বলছি এইসব খুনি ধর্ষনকারীকে আপনারা দৃঢ়তার সততার সাথে অপরাধী পার
না পায় সেই কাজ করুন। ধন্যবাদ,
১৩ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৩২
আশমএরশাদ বলেছেন: ন্যায় অন্যায় আগেই নির্ধারণ করা আইনজীবীর কাজ নয়। আমি মনে করি কুষ্ট রোগী থেকে এইডস রোগী সবার চিকিৎসা দেয়ার মতো সব অপরাধীর আইনজীবী হওয়াতে দোষের কিছু নাই।
৩| ১৩ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:২৭
গোধুলী বেলা বলেছেন: আপনি এক জন আইনজীবী তাই আইনের ভাষায় বলছেন। তিবে যখন আপনি বিবাদীর হয়ে নড়বেন তখন যদি জানতে পারেন আপনার মক্কেল দোষী , তারপরেও যঅদঅদি আপনি কেস লড়ে যান তাহলে আপনি কি নিজের বিবেকের কাছে প্রশ্ন বিদ্ধ না???
১৩ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৬
আশমএরশাদ বলেছেন: আমি এখনো পুরা আইনজীবী না। এই জন্য বলেছি পদ এবং পেশা আলাদা একটা সত্তা হতে পারে। প্রত্যেকেরই কোন এখটা রাজনৈতিক দলের প্রতি পক্ষপাত থাকতে পারে কিন্তু যখন নিরপেক্ষ জায়গায় দায়িত্ব দেয়া হবে তিনি যেন সেটা করেন।
এখন উনাদের জন্য কোন আইনজীবী না থাকলে উনারা বলতে পারেন আমরা আমাদের বক্তব্য উপস্থাপনের সুযোগ পাইনি। ন্যায় বিচারের স্বার্থে অবশ্যই আইনজীবীদেরকে বাচবিচার ছাড়া মামলা নেয়া উচিত। কোষ্ট রুগী হোক আর এইডস রোগী হোক যেমন করে চিকিৎসক চিকিৎসা দেন সে রকম। আমি যখন আইনজীবী তখন আমার সত্ত আইনজীবী তখন আমি অন্ধ আমার মক্কেলের জন্য।
৪| ১৩ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:১৪
গোধুলী বেলা বলেছেন: মাঞ্চহি ডাক্তার রোগীর সেবা করে কিন্তু কোন রোগী যদি না বাচে সেটাও কিন্তু ডাক্তার বলে দেন। আপনি কখনই রোগী উদাহরন টানতে পারেন না। আর আপনি মক্কেলের জন্য যখন অন্ধ তখন আমাদের সমাজ ও অন্ধ। মানলাম ডাক্তার আর আপনি একই কাজ করেন। তাহলে যে রোগী আর বাচবে না সেটা যদি ডাক্তার বলে দিতে পারে, আপনি কেন দোষীকে তার দোষ স্বীকার করতে বলেন না?
আপনি মক্কেলের জন্য অন্ধ নাকি প্রাপ্ত অর্থের জন্য অন্ধ সেটা ভাবার বিষয়।
১৩ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৮
আশমএরশাদ বলেছেন: আমার অন্ধতা আলো আসার জন্য। আলোকে বাঁচার জন্য। সত্যকে মিথ্যার উপর ভাসিয়ে দেয়ার জন্য। দোকানদার বাধ্য নয় ক্রেতাকে প্রকৃত ক্রয় মুল্য বলা। আইনজীবী পেশাটাই সে রকম। আমি মক্কেল থেকে টাকা নিলাম কিসের ভিত্ততে ? তার জন্য কাজ করবো সেটার ভিত্তিতে । তাহাকে ফাসিয়ে দেবো সেটার ভিত্তিতে নয়। মক্কেলের গোপনীয়তা নীতি রক্ষা করাও আইনজীবীর শপথের অংশ। বাদী এবং বিবাদীর আইনজীবী থাকাটা ন্যায় বিচারের জন্য দরকার। আগেই বলেছি আদালত ফেসবুক বা ব্লগ নয় যে, যাকে তাকে এক পোস্টে অপরাধী বানিয়ে ফেলার জায়গা সেটা নয়। এক জটিল প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় , সে জটিলতারই একটা অংশ আইনজীবী পেশার এহেন দায়িত্ব। আগেই বলেছি সেখানে আমি ব্যাক্তি এরশাদ নয়, আমি একজন আইনজীবী এরশাদ - একজন মক্কেলের এরশাদ বিচারকের সামনে কথা বলছে।
৫| ১৪ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৪২
জোবায়ের বলেছেন: একজন আইনজীবী জ্ঞাতসারে তার মক্কেল অপরাধী যেনেও তাকে নিরপরাধ প্রমাণের দায়িত্ব নেন, এটাই বাস্তবতা। আর এটাকে প্রতিষ্ঠিত করতে আমরা যুক্তি তর্কের বোঝা নিয়ে উঠে পড়ে লেগেছি।
৬| ১৬ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:৩৭
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: পৃথিবী'র অনেক দেশ অতি দ্রুততার সাথে এমন ধরণের অপরাধের বিচার করে। কোন কোন দেশে তা ১-৪ দিনের মাঝে হয়। কেমন করে তারা এমন করতে পারে বাংলাদেশের ডেলিগেশন সেসব দেশে পাঠানো উচিৎ।
আরো পড়তে- ধর্ষণের ইতিহাস এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই অপকর্মের শাস্তি
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:৩৫
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: এক জন চিন্নিহিত অপরাধীকে রক্ষা করা কোন পেশা হতে পারেনা। বরং তাকে দুর্নীতি বলা যেতে পারে।