![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুইটা লিখা শেয়ার করছি ফেসবুক থেকে পাওয়া।
প্রথমটি লিখেছেন sanjay dey.
অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় বলেছেন, 'বছরের যে কোনো সময় অ্যাকাউন্টে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত debit কিংবা credit হয় এমন অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে তা পূর্বের ন্যায় আবগারি শুল্ক আরোপ করা হয় না। এখন ১ লক্ষ টাকার উপরের অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। ১ লক্ষ্য টাকার ঊর্ধ্বে হতে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিদ্যমান ৫০০ টাকার পরিবর্তে ৮০০ টাকা, ১০ লক্ষ টাকার ঊর্ধ্বে হতে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত ক্ষেত্রে ১ হাজার ৫০০ টাকার পরিবর্তে ২ হাজার ৫০০ টাকা, ১ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে থেকে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত ক্ষেত্রে ৭ হাজার ৫০০ টাকার পরিবর্তে ১২ হাজার টাকা এবং ৫ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে বিদ্যমান ১৫ হাজার টাকার পরিবর্তে ২৫ হাজার টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করছি।'
এর মানে দাঁড়ায়, একটি একাউন্টে যত টাকাই থাকুক একসঙ্গে কমপক্ষে ১ লাখ টাকা সেখান থেকে না তুললে (debit) বা একসঙ্গে এই পরিমাণ টাকা জমা (credit) না দিলে এই আবগারী শুল্ক কার্যকর হওয়ার কোনো কারণ নেই। এমনকি আপনি প্রতি ট্রানজেকশন ৯৯৯৯৯ টাকায় আটকে রাখলেও আবগারী শুল্ক এড়াতে পারবেন। অথচ বিদায়ী অর্থবছরেও ২০ হাজার টাকা একসঙ্গে তুললে বা জমা দিলে বছর শেষে ৫০০ টাকা শুল্ক যোগ হতো।
এ বিষয়ে আরো পরিষ্কার হতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি, তারাও এই ব্যাখ্যাই দিয়েছেন। এটা সত্যি হলে বরং কম অর্থ (১ লাখের নিচে) লেনদেনকারীদের স্বস্তি বাড়ছে। আর করের বোঝা চাপছে বিত্তশালীদের ওপর।
প্রথম আলো কী করে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সায়েমের ১ লাখ ২০ হাজার টাকার অ্যাকাউন্ট থেকে ৫০০ টাকার আবগারি শুল্ক কেটে নিলো (যদি না তিনি বছরে অন্তত একবার ২০ হাজার টাকা এককালীন লেনদেন করেন) সেটি তারাই বলতে পারবে। আর ৫ কোটি টাকার ওপরে ব্যাংক হিসাবধারীদের 'তেমন সমস্যা নেই' বলতে তারা কী বোঝাচ্ছে সেটাও ঠিক বুঝতে পারিনি, যেখানে এককালীন ৫ কোটি টাকার ওপরের লেনদেনে আবগারি শুল্ক ১৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এমনকি বিডিনিউজ তাদের প্রতিবেদনে মোটামুটিভাবে বিষয়টি উল্লেখ করলেও শিরোনাম কেন 'ব্যাংকে লাখ টাকার বেশি থাকলে বাড়তি কর' হলো তার ব্যাখ্যাও এখনো জানি না।
------------------
২য় পোস্ট
*********
ব্যাংক একাউন্টে আবগারী শুল্ক কাটা নিয়ে বিভ্রান্তি ##
কিছু ‘অন-লাইন’ (ডট.কম) টাইপের পত্রিকার সূত্র ধরে শীর্ষস্থানীয় কিছু পত্রিকার বিভ্রান্তিমূলক প্রকাশনা থেকে আরো বিভ্রান্তি তৈরী হয়েছে। সঠিক তথ্য নিচে দেয়া হলো।
১। পত্রিকার মতে, "ব্যাংকে ২০ হাজার টাকার বেশি জমা দিলে বা তুললে প্রতি লেনদেনে কমপক্ষে ২০০ টাকা আবগারী কর দিতে হবে" -এ কথাটি ১০০% মিথ্যা। ব্যাংকের চলতি বা সঞ্চয়ী হিসাবে টাকা একটি সীমা স্পর্শ করলে প্রতি বছরে একবার নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা আবগারী শুল্ক হিসাবে কাটা হয়। এটি ১৯৪৭ সাল হতে প্রযোজ্য আছে। এবার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ পরিমাণ নির্ধারণ করা হয় ২০১৫ সালে। এটি নিয়মিত ভাবে ২/৩ বছর পর পর পরিবর্তন করা হয়। এবারও তাই হয়েছে।
২। সাধারণত সেভিংস বা কারেন্ট একাউন্টে সরকার মুলত দুই ধরনের শুল্ক (Tax) কাটা হয়।
>(ক) একাউন্টে জমা টাকার প্রাপ্ত লাভের উপর TIN ধারী হলে ১০%, TIN না থাকলে ১৫%।
>(খ) আবগারী শুল্ক (Excise Duty): এটা কাটা হয় বছরে একবার, ৩১ ডিসেম্বর অথবা ০১ জানুয়ারীতে। পুরানো ব্যাংক ষ্টেটমেন্ট দেখুন, তাহলে বুঝবেন যে আবাগরী শুল্ক আগে থেকেই আপনার একাঊন্ট থেকে কাটা হতো। এবার বাজেটে এই শুল্ক এর পরিমাণ বাড়ান হয়েছে। এবার দেখা যাক কি হিসাবে এ শুল্ক কাটা হয়।
>>(১) সারা বছর আপনার লেনদেন এর উপর ভিত্তি করে এই আবগারী শুল্ক কাটা হয়। নুতন বাজেটের প্রস্তাবনা অনুযায়ীঃ সারা বছর যদি একাউন্টের ব্যালেন্স এক লক্ষ টাকার কম থাকে তাহলে কোনো আবগারী শুল্ক দিতে হবে না।
>>(২) ব্যালেন্স যদি ১ লক্ষ টাকা হতে ১০ লক্ষ টাকার মাঝে থাকে তাহলে ৮০০/- আবগারী শুল্ক দিতে হবে।
>>(৩) ব্যালেন্স ১০ লক্ষ টাকার উপরে গেলে ২৫০০/- আবগারী শুল্ক দিতে হবে।
>>(৪) আবগারী কর/শুল্ক বছরে একবারই কাটা হয়, ৩১ ডিসেম্বর/ ০১ জানুয়ারি।
৩। FDR এর কথা
>(ক) FDR সাধারণতঃ ১/৩/৬/১২ মাস - যে মেয়াদেই রাখেন, ওই একই হিসাব প্রাপ্ত লাভের উপর TIN ধারী হলে ১০%, TIN ধারী না হলে ১৫% কর কাটা হবে।
>(খ) আর আবগারী কর/শুল্ক ঐ একই হিসাবে (উপরের ২খ), অর্থাৎ FDR এর টাকার পরিমাণ যদি ১ লক্ষ এর নিছে থাকে- তাহলে আবগারী শুল্ক দিতে হবে না, আর যদি ১ লক্ষ টাকা হতে ১০ লক্ষ টাকার মাঝে থাকে তাহলে ৮০০/- এবং ১০ লক্ষ টাকার উপরে গেলে ২৫০০ টাকা হবে।
>(গ) ৩/৬ মাসের FDR এর হিসাবে একটা ধারা আছে। FDR যদি বছরের মাঝে শুরু হয়ে বছরের মাঝেই শেষ হয় তাহলে আবগারী শুল্ক একবার দিতে হবে। কিন্তূ তা যদি এক বছর শুরু হয়ে পরের বছর শেষ হয় (উদাহরণঃ অক্টোবর বা নভেম্বরে শুরু হয়ে পরের বছর জানুয়ারি/ফেব্রুয়ারিতে শেষ হয়) তাহলে দুইবার দিতে হবে।
>(ঘ) এক বছরের বেশি মেয়াদে FDR করলে বছর প্রতি হিসাব হবে।
৪। TIN এর বেলায় একই কথা, যে মেয়াদেই রাখেন - প্রাপ্ত লাভের উপর TIN ধারী হলে ১০%, TIN ধারী না হলে ১৫%। DPS এর আবগারী কর/শুল্ক প্রতি বছর জমা হওয়া টাকার পরিমানের উপর ঐ একই হারে ( ১ লক্ষ টাকা হলে শুন্য শুল্ক, ১ লক্ষ টাকার উপরে ৮০০/-, ১০ লক্ষ টাকার উপর গেলে ২৫০০/-)।
৫। কোনো প্রবাসি'র ব্যাংকিং চ্যানেল/ মানি এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে পাঠানো রেমিটেন্স এর উপর কোনো আবগারী কর/শুল্ক নেই। তা যত তাকাই পাঠানো হোক না কেন। বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর জন্য যে ফি দিতে হয়, এবার বাজেটে একটা প্রস্তাব আছে টাকা পাঠানোর ফি এর উপর ভর্তুকি দেয়ার- যদি বাজেট পাশ হয়।
Compiled By Shanto Rahman
২| ০৩ রা জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। খুব সুন্দর পোষ্ট।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা জুন, ২০১৭ সকাল ১১:২৯
সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ বলেছেন: এটা পড়ে দেখুন, সরাসরি আইনের রেফারেন্স আছে।
Excise duty