নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি তোমাদেরই

আশমএরশাদ

শিশিরের শব্দের মত

আশমএরশাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

"উৎসব সবার" শুধু এইটুকু মানেনতো? উৎসব বলিতে তাহারা শুধু ধর্মীয় উৎসব ভাবিলেন কেন?

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৬

"ধর্ম যার যার" শুধু এইটুকু বলা হলে সবাই মানেন। আবার "উৎসব সবার" এইটুকু বলা হলেও মানেন কিন্তু দুই অংশকে এক সাথে করা হলে মানেন না। মাংস হালাল কিন্তু মাংসের আলু না জায়েজ টাইপের ফেতনাগিরি ? :) ফেসবুক আসার আগে মানুষে মানুষে এত ফেতনাকারী-বিভেদকারী আগে দেখা যায়নি। আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম----

বাক্যেটা নিয়ে কম বুঝদার লোকেরা যারা জ্ঞানকে এক কিতাবে এবং এক সম্প্রদায়ে সীমাবদ্ধ করে ফেলেছে এবং ইসলামের মুলথিম না বুঝে শুধু খন্ডিত আয়াত বা হাদিসের সাথে ইসলামকে গুলিয়ে ফেলেছেন তাদের জন্য মাঝে মাঝে মায়া হয়। প্রত্যেকটা হাদিস বা সূরার শানে নযুল আছে, প্রেক্ষাপট আছে।

বাক্যটার প্রথমে বলা হচ্ছে "ধর্ম যারা যার" এবং এটা স্বীকার করে নেয়া হয়েছে প্রথমেই । মানে গরু আপনি খাবেন কিন্তু আর কাউকে জোর করে খাওয়াবেন না, পুজা আপনি করবেন কিন্তু কাউকে বাধ্য করছেন না। মানে হইলো ধর্মের যে সব কাজ কারবার অন্য ধর্মের লোকেরা করতে পারবেনা সেটা তার তার নিজস্ব। এর পরেই বলা হচ্ছে ধর্মের সাথে সম্পর্ক না এমন উৎসব গুলা বা যেকোন উৎসবের যে এন্টারটেনিং পার্ট আছে , যেখানে একটা সমাজের অংশগ্রহণের ব্যাপার থাকে, মানসিক সহযোীতা থাকে সে সব জায়গার ক্ষেত্রে বলা হচ্ছে উৎসবটা "সবার।" উদাহরণের সাহায্যে বুঝিয়ে বলি। যেমন ধরেন কিছু উৎসব আছে ধর্মীয় এবং কিছু উৎসব আছে রাস্ট্রীয়। রাষ্ট্রীয় উৎসবের মধ্যে আছে নববর্ষ উদযাপন স্বাধীনতা দিবস/ বিজয় দিবস উদযাপন ইত্যাদি। এই উৎসব গুলা সবার । বিজয় দিবসের দিন সবাই উৎসব করবে শহীদের জন্য কেউ মসজিদে কেউ মন্দিরে প্রার্থনা করবে । এখানে ধর্ম যার যেটাই হোক না কেন উৎসব কিন্তু সবাই মিলে করছি।

এবার আসা যাক ধর্মীয় উৎসব গুলার দিকে।
এক রাস্ট্রের অধিবাসী হওয়ায় দেশের অভ্যন্তরে যাই হোক না কেন সেটা সাফল্য মন্ডিত করার জন্য রাস্ট্রের প্রত্যেক নাগরিক দায়বদ্ধ। পারস্পরিক সহযোগীতার প্রয়োজনী্য়তা অপরিসীম। যেমন ধরুণ হিন্দুরা যেমন মুলসমানের উৎসবে বলতে পারে না "দা-বটি-ছুরি বেচবো না" "কাপড় বেচবো না" "কাপড় সেলাই করবো না" "ঈদে চুল কাটবো না"- ইত্যাদি । তেমনি হিন্দুদের উৎসবে কোন মুসলমান বলে না "তোমরা রাস্তায় গেট করবা না" "ঢোল তবলা বাজাবা না" "ছাগল বেঁচবো না" ইত্যাদি। সুতরাং দেখা যাচ্ছে ধর্মীয় অনুষ্টান হলেও আমাদের মধ্যে উৎসব চলাকালীন কিছু সমস্যা হলেও আমরা মেনে নিই এবং নির্বিঘ্ন করতে সহযোগীতা করি। দেবী দুর্গার মুর্তি আমার ভ্যান গাড়িতে তুলবোনা পরিবহণে সেটা বলছেনা কোন ভ্যানগাড়ি বা পিকআপ।

মুলত বাক্যটির আবেদন চমৎকার । মানুষের মধ্যে সহযোগীতার মনোভাব তৈরী করে। কিন্তু কেউ যদি ত্যানা প্যাঁচায় কম জ্ঞানের সাথে তাইলেই সমস্যা। ইসলাম যদি বলে থাকে সংখ্যা লঘুদের জানমাল এবং তাদের ধর্মীয় উৎসব পালনে তোমরা বাঁধা দিবে না এবং তাদেরকে খোশ রাখা সংখ্যাগরিষ্ঠের দায়িত্ব তাহলে কেন বলবেন না উৎসব সবার?

যেমন ধরেন বিয়ে বর কনের বাসর ঘর ও তাদের কোন সমিস্যা নাই । কিন্তু মুরগীর রান জর্দা ভাত কেন আমাদের (সবার) হইবো না? লাইনটাতেই বলা হচ্ছে ধর্ম যার যার কিন্তু উৎসবের যে এন্টারটেইনিং এবং হেল্পিং অংশ সেটাতো সবারই। মানসিক এগ্রিমেন্টে এবং সামগ্রিক সহযোগীতামুলক কাজের জন্য লাইনটার আবেদন আছে। তাই কাঠ মোল্লাদের কথায় বায়াস না হয়ে আমরা বলতে পারি "ধর্ম যারা যার উৎসব সবার।" মোল্লাদের জ্ঞান অর্জনের সীমাবদ্ধতা এবং উদার জ্ঞানের অভাব এবং তাই তারা সমগ্রটা এক সাথে দেখত পারে না । তাদের কথা বিশ্বাস করার আগে নিজের জ্ঞান দিয়ে যাষ্টিফাই করাই ভালো।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:


অনেক ভাবনাচিন্তা করছেন, দেখছি; তবে, এগুলো নিয়ে মানুষ তেমন মাথা ঘামায় না, জীবন তার পথে খুঁজে নেয়

২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১২

ছাসা ডোনার বলেছেন: আমাদের দেশের কাঠ মোল্লারাই তো সমাজে কুসংস্কার ছড়িয়ে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ তৈরী করছে। এরাই হল জাতীর সত্রু

৩| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৪

মলাসইলমুইনা বলেছেন: ঠাকুর বাড়ির মাসিমার গল্প বলি | আমার নানীর বাড়ির একটা বাসা পর ঠাকুর বাড়ি | আমরা কাজিনরা খুবই ছোট | বছরে একটা ঈদ হতো আমাদের নানীর বাড়িতে | আমরা দুপুরে ঠাকুর বাড়ির পুকুরে সবাই গোসল করতে যেতাম | অনেক দিন পর প্রথম নানীর বাসায় গেলে প্রথম দেখার পরই মাসিমা জোরে বলে উঠতেন "এই তুই মিনুর ছেলে না?" মাথায় হাত বুলিয়ে আমার এই কুৎসিত চেহারাটা দেখেও কতবার যে বলতেন রোদে থাকতে থাকতে গায়ের রংটার কি অবস্থা করসে? কি সুন্দর চেহারাটা এই রকম করলি কেমনে? কিন্তু সেই ঠাকুরবাড়ির লাগানো ঘাটেই কিন্তু আমাদের এই খুদে মুসলিমদের যাবার অনুমতি ছিল না | ঠাকুর বাড়ির ছেলেমেয়েদের সাথে খেলতে গিয়ে পুজোর ঘরের দরজা পর্যন্ত গেলেই মাসিমা তেড়ে আসতেন |পুজোর ঘরের ভেতর দরজার চৌকাঠ পর্যন্তও আমাদের ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের যাবার কোনো পারমিশনই ছিল না | এই মাসিমাকে আমরা রেসিস্ট ভেবে কিন্তু কখনো বড় হইনি | এখনো অনেক দিন পর যখন তার কথা মনে হয় তার মায়াময়ী চেহারাটাই আমি শুধু মনে করতে পারি |
এখন আপনি কি বলেন সাম্যবাদী নীতি মেনে তার পুজোর ঘরে ঢুকাই আমাদের উচিত ছিল ? আমিতো তা ভাবি না | তার কতগুলো ধর্মীয় বিশ্বাস, প্রাকটিস ছিল সেগুলো তাকে অবশ্যই রক্ষণশীল করেছে কিন্তু সেগুলো তাকে অমানুষতো করেনি কখনো | এই এতদিন পরও উনি আমাদের সেদিনের ছোটদের সবার কাছেই একজন চমৎকার মহিলা হিসেবেই আছেন | একজন মুসলিম তার বিশ্বাসের কারণে দূর্গা পূজায় নাই পার্টিসিপেট করতে পারে তাতে কিছু আসে যাচ্ছে না | ইসলাম অন্য ধর্ম সম্পর্কে অবশ্যই সহনশীল থাকতে বলেছে,ইসলামিক স্টেটে অন্যধর্মানুসারীদের ধর্মীয় সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বলেছে | সেগুলো ব্যক্তি পর্যায়ে নয় | ইসলাম ব্যক্তিকে তাতে পার্টিসিপেট করতে বলেনি|আপনি পুজো মণ্ডপে গিয়ে ভক্তি গদগদ হলেন সেটা ইসলাম সাপোর্ট করে না| হোলি খেলায় মেতে জীবনের শ্রেষ্ঠ আনন্দ পেলেন -পেতেই পারেন সেটা ইসলাম অনুমোদন করে না | আর এইসব প্রাকটিস না করলে আর পার্টিসিপেট না করলেই তাতে ত্যানা পেছানোর কিছু আছে বলেও আমার মনে হয় না |ওগুলো না করেও মানবিক থাকা যায় নিজের বিশ্বাস পালন করেও সেটা ছোট বেলায় আরো অনেকের সাথে ধর্মীয় ভাবে গোড়া (প্রগতিশীল অর্থে) আমাদের মাসিমাকে দেখেই আমি শিখেছি | সেই ধারণা বদলাবার কোনো কারণ এখনো ঘটেনি |

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৫

আশমএরশাদ বলেছেন: পোস্ট খানা পুরা মন দিয়ে পড়লে এত কিছু বলা লাগতো না। আমার পোস্টের মুল জিনিসটা হলো বাক্যটাকে ঘিরে সমালোচনা এবং তার জবাব ঠাকুর ঘরে যাওয়া হুলি খেলে এসবে যাওয়া না যাওয়া নিয়ে কোন কথা ছিলো না। আপনি নিজেকে খুব ভালোবাসেন তাই অন্যের লিখা মনে হয় মন দিয়ে পড়তে পারেন না।

৪| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩২

মলাসইলমুইনা বলেছেন: আমার মন্তব্য সম্পর্কে আমার প্রতিমন্তব্য হয়তো সত্যি, হয়তো নয় -সেটা খুব ইম্পরট্যান্ট না পুরো বিতর্ক বা আলোচনায় | আমার মন্তব্যে আমি যেটা বলতে চেয়েছিলাম সেটা হলো ধর্মীয় আইনের কারণে যদি একটি সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসবে যদি অন্য সম্পদায়ের মানুষের যাবার বাঁধা থাকে সেটা নিয়ে কোনো নেগেটিভ হবার কোনো কারণ নেই (মাসিমার উধারণটা এরজন্যই দেওয়া |উনার ধর্মীয় বিশ্বাস আমার মতো ছিল না | হয়তো খুবই রক্ষণশীল ছিল | কিন্তু ধর্মীয় বিশ্বাসের বাইরে উনি খুবই একজন চমৎকার মহিলা ছিলেন ) | এটার সাথে "ঠাকুর ঘরে যাওয়া হুলি খেলে এসবে যাওয়া না যাওয়া নিয়ে কোন কথা ছিলো না" এই মন্তব্য প্রাসঙ্গিক হলোনা বলেই আমার মনে হলো | আপনি হয়তো খুবই ডিফারেন্টলি আমার মন্তব্য ইন্টারপ্রেট করেছেনা |

আপনার কতগুলো উদাহরণ ঠিক প্রাসঙ্গিক হয়নি বলেও মনে হয়েছে | একজন মুসলিমের পূজায় না যাওয়ার সাথে "বর কনের বাসর ঘর ও ...কিন্তু মুরগীর রান জর্দা ভাত কেন আমাদের (সবার) হইবো না" উধাহরণটার কনটেক্স এক নয় | মুরগীর রান জর্দা ভাত খাওয়া যাবেনা এটাতো কোনো আইনে নিষেধ না ! কিন্তু পূজায় মুসলিমদের পার্টিসিপেশনে কিছু বাধা নিষেধ আছে | আপনার আরো একটা মন্তব্য "ইসলাম যদি বলে থাকে সংখ্যা লঘুদের জানমাল এবং তাদের ধর্মীয় উৎসব পালনে তোমরা বাঁধা দিবে না এবং তাদেরকে খোশ রাখা সংখ্যাগরিষ্ঠের দায়িত্ব তাহলে কেন বলবেন না উৎসব সবার?" আপনার কথা থেকে এটা কি আসলেই ইন্টারপ্রেট করা যায় যে মুসলিমদেরও সেই উৎসবে যোগদিতে হবে ? একটা ইসলামিক স্টেটে অন্য ধর্ম অনুসারীদের তাদের ধর্ম পালন করার করতে পারার সুযোগটা সরকারকেই নিশ্চিত করতে হবে | সরকারের হয়ে এই কারো এই কাজটা করতেই হবে |দ্যাটস ফাইন | সেটাতো পূজা করা হলো না | সেটা সরকারের দায়িত্ব পালন, সরকারতো দেশের সবার |

আর এই বিতর্কতো ধর্মীয় উৎসব নিয়েই | বিজয় দিবসের উৎসব নিয়েতো কথা হচ্ছে না বা উঠেও নি | আপনার লেখার শেষ মন্তব্যটা "তাই কাঠ মোল্লাদের কথায় বায়াস না হয়ে আমরা বলতে পারি "ধর্ম যারা যার উৎসব সবার।" মোল্লাদের জ্ঞান অর্জনের সীমাবদ্ধতা এবং উদার জ্ঞানের অভাব এবং তাই তারা সমগ্রটা এক সাথে দেখত পারে না" খুবই বায়াস আর কঠিন হয়েছে বলে আমার মনে হয় | আপনার মন্তব্য আপনি করতেই পারেন | আমি শুধু আমার দ্বিমতটাই জানালাম | আমার কথা আপনার মানতেই হবে সেটা না | আর আমারও তেমনি | যাহোক, ভালো থাকবেন |

৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩১

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: সুন্দর লেখা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.