নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মিম্বারের আহবান

আবু সাঈদ মুহাম্মদ নু’মান

আবু সাঈদ মুহাম্মদ নু’মান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আলবানী সাহেবের মতদ্বৈততা : একটি জ্ঞানগত পর্যালোচনা : পর্ব-০৪

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৩:৩৭

একই হাদীসকে সহিহ ও হাসান বলা

কোন হাদিসকে তিনি এক জায়গায় ‘হাসান’ বলছেন, ঠিক সেই হাদিসকেই আবার অন্য জায়গায় ওই সনদেই ‘সহিহ’ বলছেন, তার এ জাতীয় মদ্বৈত্যতা বিষয়ে আমি তেমন কোন গুরুত্ব দেইনি। তবে এর তুলনায় একই হাদিসকে এক স্থানে ‘সহিহ’ বলার পর সেই হাদিসকেই সেই সনদেই ‘জঈফ’ বলা অবশ্যই গুরতর। আশা করছি স্বতন্ত্র কোন গ্রন্থে আমি তা আলোচনা করবো। এ গ্রন্থে আমি সেগুলো আলোচনা থেকে বিরত থেকেছি। এ খানে আমি যে বিষয়টির অবতারণা করতে যাচ্ছি তা হলো, কোন হাদিসকে তিনি ‘সহিহ বা হাসান’ বলেছেন আবার দেখা যাবে সেই হাদিসকেই অন্যস্থানে ‘জঈফ’ অথবা ‘মওজু’ অথবা ‘খুবই দুর্বল’ বলে আখ্যায়িত করছেন।
তার ‘সহিহ/হাসান’ এর কয়েকটি দৃষ্টান্ত দেখা যেতে পারে।
হাদিস : আবু দারদা রা. বলেন,
أوْصَانِيْ خَلِيْلِيْ صلى الله عليه وسلم أنْ لَا تُشْرِكْ بِاللهِ شَيْئًا وإْن قُطَّعْتَ أوْ حُرِّقْتَ ، وَلَا تَتْرُكْ صَلَاةً مَكْتُوْبَةً مُتَعَمِّدًا فَمَنْ تَرَكَهَا مُتَعَمَّدًا فَقَدْ بَرِئَتْ مِنْهُ الذِّمَّة ، وَلَا تَشْرَبْ الْخَمْرَ فَإنَّهَا مِفْتَاحُ كُلِّ شَرٍّ . (رواه ابن ماجة)
অর্থ : আমার বন্ধু রাসূলুল্লাহ সা. আমাকে নসীহত করে বলেছেন, তুমি আল্লাহর সঙ্গে কোন কিছু শরীক করো না, যদিও তোমাকে কেটে টুকরো টুকরো করা হয়, বা তোমাকে আগুন লাগিয়ে জ¦ালিয়ে দেয়া হয়। ইচ্ছাকৃত ফরজ নামায ছাড়বে না। যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত ফরজ নামায ছেড়ে দিলো তার উপর থেকে আল্লাহর জিম্মা উঠে যায়। তুমি কখনও মদ পান করো না। কেননা, তা সকল অন্যায়ের চাবি।
 আলবানি সাহেব এ হাদিসটির ব্যপারে তার ‘সহিহুত তারগীব ওয়াত তারহীব’ গ্রন্থের ২২৭ নং পৃষ্ঠায় ৫৬৬ নং হাদিসে ‘সহিহ’ বলে উল্লেখ করেছেন।
 আবার ঠিক এই হাদিসটিকেই তিনি তার ‘সহিহ ইবনে মাজাহ’ গ্রন্থের ২ নং খ-ের ৩৭৪ পৃষ্ঠায় ৩২৫৯ নম্বরে ‘হাসান’ বলে উল্লেখ করেছেন।
হাদিস : রাসূলুল্লাহ সা. এরশাদ করেন,
مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَلَا يَدْخُلُ الْحَمَّامَ إلَّا بِمِئْزَرٍ .
অর্থ : যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখেরাতের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে সে যেন কাপড় ছাড়া হাম্মামে প্রবেশ না করে।
 আলবানি সাহেব এ হাদিসটিকে ‘মিশকাতের’ তাখরিজের সময় ‘সহিহ’ বলেছেন। (২ নং খ-ের ১২৭০ নং পৃষ্ঠায় ৪৪৭৭ নম্বরে)
 ঠিক এটিকেই আবার ‘গাইয়াতুল মারাম’ গ্রন্থে ‘হাসান’ বলে উল্লেখ করেছেন। (১৩৪ নং পৃষ্ঠায় ১৯০ নম্বরে)
একই হাদিসকে একবার ‘সহিহ’ বলার পর সেটিকেই আবার ‘জঈফ’ বলার ক্ষেত্রে আলবানি সাহেবের এই যে মতদ্বৈত্যতা, এর পেছনে উল্লেখ করার মতো তার কাছে কোন যুক্তি নেই। কেবল তারই নয়, বরং যারা তাকে নিয়ে চরম স্নায়বিকতায় ডুবে আছে তারাও এর উল্লেখযোগ্য কোন উজর পেশ করতে পারবেন না। (আল্লাহ আমাদেরকে স্বজনপ্রীতির রোগ থেকে মুক্ত রাখুন)। আলবানি সাহেব ও তার ভক্তদের কারোরই একথা বলার সুযোগ নেই যে এ সকল মতদ্বৈত্যতার কোন কোনটির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কিছু কারণ তো অবশ্যই আছে। আর তা এই যে, কোন হাদিসকে ‘জঈফ’ বলার পর দেখা যায় সেটির সমর্থনে অন্য কোন সহিহ হাদিস পাওয়া গেলো, তখনই কেবল তিনি সেটিকে পরবর্তীতে ‘হাসান’ বলে হুকুম লাগিয়েছেন।
মূলত এ যুক্তি অবতারণা করার কোন সুযোগ নেই। এ যুক্তির আড়ালে নিজের মতদ্বৈত্যতা ঢাকার চেষ্টা করার কোন সুযোগ নেই। এর অবশ্য কিছু কারণ রয়েছে-
ক. যে দুর্লভ মুহাক্কি এ কথা দাবী করছেন যে বিভিন্ন দিক দিয়ে তিনি পূর্ববর্তীদেরকে ছাড়িয়ে গেছেন, হাদিসের বিভিন্ন ‘অংশ’ জানার ক্ষেত্রে তিনি সকলকে অতিক্রম করে গেছেন, যার কাছে বিভিন্ন দৃষ্টিকোন থেকে হাদিস সম্ভারের বহু তালিকা রয়েছে, তার মতো ব্যক্তি এমন মতদ্বৈত্যতায় পতিত হবেন আমরা তা মানতে পারি না। তার জন্য তা শোভা পায় না।
খ. কোন হাদিসকে ‘জঈফ’ বলার আগে এ বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন ছিলো যে, এ হাদিসটির সমর্থনে অন্য কোন হাদিস রয়েছে কিনা, অথবা এ হাদিসেরই কোন অংশ অন্যকোন বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত হয়েছে কিনা যার মাধ্যমে হাদিসটি ‘জঈফ’ এর স্তর থেকে উন্নীত হয়ে ‘হাসান’ এর স্তরে আসতে পারে? যেমনটি তিনি নিজেই সতর্ক করতে গিয়ে তার ‘জঈফুল জামি ওয়া যিয়াদাতিহি’ গ্রন্থের পাদটীকায় করেছন। আপনি চাইলে দেখে নিতে পারেন।
বিশেষ করে তার তাখরিজের ব্যপারে যাদের অবস্থান চরম প্রান্তিকতায়, যারা তার বক্তব্যকে দ্বিধাহীন চিত্তে গ্রহণ করছেন, তারা মূলত তার পুরো তাখরিজের প্রতি নজরই দেন না। তারা কেবল তার বক্তব্যের প্রথম শব্দের দিকে নজর দিয়ে ক্ষ্যান্ত করেন। তার এই প্রথম শব্দটিই অধিকাংশ ক্ষেত্রে হাদিসের ব্যাপারে তার পুরো বক্তব্যের সারনির্যাস হয়ে থাকে। যেমন, “জঈফ” অথবা “সহিহ” ইত্যকার শব্দ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এ শব্দগুলো লেখা হয় কালো কালির মোটা অক্ষরে। এ শব্দগুলো ব্যতিত তার পুরো বক্তব্য- যা তিনি তাখরিজে হাদিসের নামে বা গবেষণার নামে উপস্থাপন করেছেন- থেকে তারা থাকেন জোযন জোযন দূরে।
আর এটাই তাকে নিয়ে তাদের ¯স্নায়বিকতার প্রধান কারণ। তার তাখরিজের ও বক্তবের সত্যাসত্যি যাচাই না করার মূলরহস্য। অথচ এরাই জনগনকে ‘ইজতেহাদের’ আহবান করে। ‘পূণ্য যুগের বরিত আদর্শ ইমামদের’ তাকলিদ থেকে সাধারণকে নিষেধ করে। কিন্তু আশ্চর্য এই তারাই ‘নিন্দনীয় তাকলিদের বেড়াজালে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িত। বরং তারা এই নিষিদ্ধ তাকলিদের সাগরে ডুবন্ত।
সুতরাং হে বন্ধু! সময় হয়েছে জেগে ওঠার, সতর্ক হওয়ার। সত্য গ্রহণে আমাদের সামনে আজ আর কোন বাধা নেই। একথা আজ আমরা দ্বিধাহীন চিত্তেই বলতে পারছি, কেবল বক্তার ব্যক্তিত্ব দেখেই তার কথাকে মেনে নেয়া যাবেনা। সত্য ও সত্যাশ্রিত কথা থেকেই উপদেশ গ্রহণ করা অধিক যুক্তিযুক্তএকই হাদীসকে সহিহ ও হাসান বলা

কোন হাদিসকে তিনি এক জায়গায় ‘হাসান’ বলছেন, ঠিক সেই হাদিসকেই আবার অন্য জায়গায় ওই সনদেই ‘সহিহ’ বলছেন, তার এ জাতীয় মদ্বৈত্যতা বিষয়ে আমি তেমন কোন গুরুত্ব দেইনি। তবে এর তুলনায় একই হাদিসকে এক স্থানে ‘সহিহ’ বলার পর সেই হাদিসকেই সেই সনদেই ‘জঈফ’ বলা অবশ্যই গুরতর। আশা করছি স্বতন্ত্র কোন গ্রন্থে আমি তা আলোচনা করবো। এ গ্রন্থে আমি সেগুলো আলোচনা থেকে বিরত থেকেছি। এ খানে আমি যে বিষয়টির অবতারণা করতে যাচ্ছি তা হলো, কোন হাদিসকে তিনি ‘সহিহ বা হাসান’ বলেছেন আবার দেখা যাবে সেই হাদিসকেই অন্যস্থানে ‘জঈফ’ অথবা ‘মওজু’ অথবা ‘খুবই দুর্বল’ বলে আখ্যায়িত করছেন।
তার ‘সহিহ/হাসান’ এর কয়েকটি দৃষ্টান্ত দেখা যেতে পারে।
হাদিস : আবু দারদা রা. বলেন,
أوْصَانِيْ خَلِيْلِيْ صلى الله عليه وسلم أنْ لَا تُشْرِكْ بِاللهِ شَيْئًا وإْن قُطَّعْتَ أوْ حُرِّقْتَ ، وَلَا تَتْرُكْ صَلَاةً مَكْتُوْبَةً مُتَعَمِّدًا فَمَنْ تَرَكَهَا مُتَعَمَّدًا فَقَدْ بَرِئَتْ مِنْهُ الذِّمَّة ، وَلَا تَشْرَبْ الْخَمْرَ فَإنَّهَا مِفْتَاحُ كُلِّ شَرٍّ . (رواه ابن ماجة)
অর্থ : আমার বন্ধু রাসূলুল্লাহ সা. আমাকে নসীহত করে বলেছেন, তুমি আল্লাহর সঙ্গে কোন কিছু শরীক করো না, যদিও তোমাকে কেটে টুকরো টুকরো করা হয়, বা তোমাকে আগুন লাগিয়ে জ¦ালিয়ে দেয়া হয়। ইচ্ছাকৃত ফরজ নামায ছাড়বে না। যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত ফরজ নামায ছেড়ে দিলো তার উপর থেকে আল্লাহর জিম্মা উঠে যায়। তুমি কখনও মদ পান করো না। কেননা, তা সকল অন্যায়ের চাবি।
 আলবানি সাহেব এ হাদিসটির ব্যপারে তার ‘সহিহুত তারগীব ওয়াত তারহীব’ গ্রন্থের ২২৭ নং পৃষ্ঠায় ৫৬৬ নং হাদিসে ‘সহিহ’ বলে উল্লেখ করেছেন।
 আবার ঠিক এই হাদিসটিকেই তিনি তার ‘সহিহ ইবনে মাজাহ’ গ্রন্থের ২ নং খ-ের ৩৭৪ পৃষ্ঠায় ৩২৫৯ নম্বরে ‘হাসান’ বলে উল্লেখ করেছেন।
হাদিস : রাসূলুল্লাহ সা. এরশাদ করেন,
مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَلَا يَدْخُلُ الْحَمَّامَ إلَّا بِمِئْزَرٍ .
অর্থ : যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখেরাতের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে সে যেন কাপড় ছাড়া হাম্মামে প্রবেশ না করে।
 আলবানি সাহেব এ হাদিসটিকে ‘মিশকাতের’ তাখরিজের সময় ‘সহিহ’ বলেছেন। (২ নং খ-ের ১২৭০ নং পৃষ্ঠায় ৪৪৭৭ নম্বরে)
 ঠিক এটিকেই আবার ‘গাইয়াতুল মারাম’ গ্রন্থে ‘হাসান’ বলে উল্লেখ করেছেন। (১৩৪ নং পৃষ্ঠায় ১৯০ নম্বরে)
একই হাদিসকে একবার ‘সহিহ’ বলার পর সেটিকেই আবার ‘জঈফ’ বলার ক্ষেত্রে আলবানি সাহেবের এই যে মতদ্বৈত্যতা, এর পেছনে উল্লেখ করার মতো তার কাছে কোন যুক্তি নেই। কেবল তারই নয়, বরং যারা তাকে নিয়ে চরম স্নায়বিকতায় ডুবে আছে তারাও এর উল্লেখযোগ্য কোন উজর পেশ করতে পারবেন না। (আল্লাহ আমাদেরকে স্বজনপ্রীতির রোগ থেকে মুক্ত রাখুন)। আলবানি সাহেব ও তার ভক্তদের কারোরই একথা বলার সুযোগ নেই যে এ সকল মতদ্বৈত্যতার কোন কোনটির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কিছু কারণ তো অবশ্যই আছে। আর তা এই যে, কোন হাদিসকে ‘জঈফ’ বলার পর দেখা যায় সেটির সমর্থনে অন্য কোন সহিহ হাদিস পাওয়া গেলো, তখনই কেবল তিনি সেটিকে পরবর্তীতে ‘হাসান’ বলে হুকুম লাগিয়েছেন।
মূলত এ যুক্তি অবতারণা করার কোন সুযোগ নেই। এ যুক্তির আড়ালে নিজের মতদ্বৈত্যতা ঢাকার চেষ্টা করার কোন সুযোগ নেই। এর অবশ্য কিছু কারণ রয়েছে-
ক. যে দুর্লভ মুহাক্কি এ কথা দাবী করছেন যে বিভিন্ন দিক দিয়ে তিনি পূর্ববর্তীদেরকে ছাড়িয়ে গেছেন, হাদিসের বিভিন্ন ‘অংশ’ জানার ক্ষেত্রে তিনি সকলকে অতিক্রম করে গেছেন, যার কাছে বিভিন্ন দৃষ্টিকোন থেকে হাদিস সম্ভারের বহু তালিকা রয়েছে, তার মতো ব্যক্তি এমন মতদ্বৈত্যতায় পতিত হবেন আমরা তা মানতে পারি না। তার জন্য তা শোভা পায় না।
খ. কোন হাদিসকে ‘জঈফ’ বলার আগে এ বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন ছিলো যে, এ হাদিসটির সমর্থনে অন্য কোন হাদিস রয়েছে কিনা, অথবা এ হাদিসেরই কোন অংশ অন্যকোন বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত হয়েছে কিনা যার মাধ্যমে হাদিসটি ‘জঈফ’ এর স্তর থেকে উন্নীত হয়ে ‘হাসান’ এর স্তরে আসতে পারে? যেমনটি তিনি নিজেই সতর্ক করতে গিয়ে তার ‘জঈফুল জামি ওয়া যিয়াদাতিহি’ গ্রন্থের পাদটীকায় করেছন। আপনি চাইলে দেখে নিতে পারেন।
বিশেষ করে তার তাখরিজের ব্যপারে যাদের অবস্থান চরম প্রান্তিকতায়, যারা তার বক্তব্যকে দ্বিধাহীন চিত্তে গ্রহণ করছেন, তারা মূলত তার পুরো তাখরিজের প্রতি নজরই দেন না। তারা কেবল তার বক্তব্যের প্রথম শব্দের দিকে নজর দিয়ে ক্ষ্যান্ত করেন। তার এই প্রথম শব্দটিই অধিকাংশ ক্ষেত্রে হাদিসের ব্যাপারে তার পুরো বক্তব্যের সারনির্যাস হয়ে থাকে। যেমন, “জঈফ” অথবা “সহিহ” ইত্যকার শব্দ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এ শব্দগুলো লেখা হয় কালো কালির মোটা অক্ষরে। এ শব্দগুলো ব্যতিত তার পুরো বক্তব্য- যা তিনি তাখরিজে হাদিসের নামে বা গবেষণার নামে উপস্থাপন করেছেন- থেকে তারা থাকেন জোযন জোযন দূরে।
আর এটাই তাকে নিয়ে তাদের ¯স্নায়বিকতার প্রধান কারণ। তার তাখরিজের ও বক্তবের সত্যাসত্যি যাচাই না করার মূলরহস্য। অথচ এরাই জনগনকে ‘ইজতেহাদের’ আহবান করে। ‘পূণ্য যুগের বরিত আদর্শ ইমামদের’ তাকলিদ থেকে সাধারণকে নিষেধ করে। কিন্তু আশ্চর্য এই তারাই ‘নিন্দনীয় তাকলিদের বেড়াজালে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িত। বরং তারা এই নিষিদ্ধ তাকলিদের সাগরে ডুবন্ত।
সুতরাং হে বন্ধু! সময় হয়েছে জেগে ওঠার, সতর্ক হওয়ার। সত্য গ্রহণে আমাদের সামনে আজ আর কোন বাধা নেই। একথা আজ আমরা দ্বিধাহীন চিত্তেই বলতে পারছি, কেবল বক্তার ব্যক্তিত্ব দেখেই তার কথাকে মেনে নেয়া যাবেনা। সত্য ও সত্যাশ্রিত কথা থেকেই উপদেশ গ্রহণ করা অধিক যুক্তিযুক্ত।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.