![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজে ছোট্ট মানব। তাই কারো সাথে টক্কর দিতে চাইনা। ছোট পত্রিকায় কাজ করি তাইতো অপসাংবাদিকতা করতে পারিনা। নিজেকে, নিজের লেখাকে ছোট্ট হিসাবেই জাহির করতে চাই।
"বাবারা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হয় । বাবাদের
সারাজীবন অভিনয় করে কাটাতে হয়। কয়েক মাস পড়
নতুন নতুন ব্র্যান্ডের মোবাইল কেনার অভ্যাস ছিল।
কিনে না দিলে খোটা দিতাম
- তুমি আমাকে একটা এন্ড্রোয়েড কিনে দাওনা
- দিব ওয়েট কর
- আসলেই কিপটা তুমি
একদিন কি মনে করে আব্বার
মোবাইলটা হাতে নিয়ে দেখি মোবাইলের তিনটা বাটন
নষ্ট। হুট করে মনে পড়ল আব্বার মোবাইলের বয়স ছয়
বছর। চোখ ফেটে পানি বেরোল। তিন বাটন নষ্ট
ওয়ালা ফোন ইউজ করে মানুষটা আমাদের
অ্যান্ড্রোয়েডের আবাদার মেটায়।
সাথে সাথে নিজে ফোনটা দিতে চাইলাম
- আব্বা তুমি আমার ফোন টা নাও
- হ্যা। কি ওই বাজে ফোন। এইরকম
নোকিয়া পাওয়া যায় নাকি। পাগল। আমারে এক লাখ
টাকা দিলেও তো এই মোবাইল দিবনা কাকে
কি অভিনয়। হায়রে বাপ, তুই এমন কেন। শুধুই
কি দেয়ার জন্য এসেছিস পৃথিবীতে। তখন নতুন নতুন
কনভাস বের হয়েছে। দাম চার হাজার টাকা। আব্বার
কাছে টাকা চাইলাম। মাসের শেষ দিলনা। তুমুল ঝগড়া
- দিতে পারবা না তো বাপ হয়েছ কেন
সেদিন রাতে আম্মা এসে আমার
সামনে একজোড়া জুতা রাখলেন। বহুবার কালি করা তিন
বার তালি মারা।
- এইগুলা তোর আব্বার জুতা
পায়ে ধরে বলেছিলাম আব্বাকে আব্বা আমার কিচ্চু
লাগবে না তুমি একজোড়া জুতো কেন। আবার সে অভিনয়
- নতুন জুতো ভাল নাকি। এগুলা অরিজিনাল ইটালিয়ান
লেদার ...পাগল নাকি অ্যা
এভাবে তালি মারা জুতো পড়ে মানুষগুলো আমাদের কনভাস
জিন্সের আবদার মেটায়।
বাবারা কঠোর থাকার অভিনয় করে।
ভেতরে ভেতরে পূড়ে।তখন আমি ক্লাস এইটে পড়তাম।
বরই পাড়তে গিয়ে ইট মেরে পাড়ার এক ছেলের
মাথা ফাটিয়ে দিয়েছিলাম। বিচার এল বাসায়। ঘরের
দরজা বন্ধ করে আচ্ছামত পিটিয়ে ছিলেন। আমিও
অভিমানে সিদ্ধান্ত নিলাম আর কোনদিন বাপ ডাকব
না। সেদিন কিছু খেলাম না। দুদিন ঘরের দরজা বন্ধ।
তিনদিনের দিন শুনলাম
- তোর আব্বা গত তিনদিন কিচ্ছু মুখে দেয়নি।
সারারাত কেঁদেছে। ছেলেকে মেরে বাপ কিভাবে খায়
এই হল বাবা। আমাদের বাবা অভিনেতা বাবা। যাদের
পুরোন মোবাইল সবসময় নতুন থাকে শুধু এই
জন্যে যাতে সন্তান নতুন আই ফোন টা কিনতে পারে।
যাদের বুকের ব্যাথা থাকা সত্তেও ডাক্তার দেখান
হওনা মেয়ের ভার্সিটির ফিস দিতে গিয়ে। ভাল মন্দ
না খেয়ে এক এক পয়সা করে জমান মেয়ের বিয়ের জন্য।
বাবারা সূর্য হয়। বাবাদের আমরা ভুল বুঝি ,
আড়ালে বকা দেই এড়িয়ে চলি। সব সহ্য
করে বাবারা অভিনয়টা চালিয়ে যায়। বাবাদের কোন
চাহিদা নেই ...নেই কোন স্বার্থ। এতো রক্তের
সাথে রক্তের টান ..."
. . .
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২২
শামস 8929 বলেছেন: এটা িক িলখেলন। বুকটা েতা ফািটেয় িদেলন ভাই।।।।