নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এস এম আল-আমিন এর জগৎ ..।

এস এম আলআমিন

নিজে ছোট্ট মানব। তাই কারো সাথে টক্কর দিতে চাইনা। ছোট পত্রিকায় কাজ করি তাইতো অপসাংবাদিকতা করতে পারিনা। নিজেকে, নিজের লেখাকে ছোট্ট হিসাবেই জাহির করতে চাই।

এস এম আলআমিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ষক ষাটোর্দ্ধ বৃদ্ধ হাজী বিয়ে করল ধর্ষিতা অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীকে

৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:৫৯

বগুড়া শাজাহানপুরে ধর্ষণ মামলা থেকে বাঁচতে দালালদের সহযোগিতায় প্রলোভন দিয়ে ধর্ষিতা অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীকে বিয়ে করল ধর্ষক ষাটোর্দ্ধ বৃদ্ধ হাজী। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে।
জানা যায়, উপজেলার আশেকপুর গ্রামের মৃত ফয়েজ প্রামানিকের ছেলে আলহাজ্ব আব্দুস সাত্তার (৬২) নামের এক প্রভাবশালীর ধর্ষণের শিকার হয় তারই প্রতিবেশী ভ্যানচালক আব্দুল মজিদের কন্যা গোলাপী খাতুন (১৫)। বৃদ্ধের হুমকির ভয়ে মেয়েটি নিজের বাবা মাকে জানাতেও সাহস পায়নি।মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে ধর্ষণের ঘটনাটি জানাজানি হয়ে যায়। পরে ধর্ষিতা কিশোরীর দরিদ্র পিতামাতা সুষ্ঠু বিচারের আশায় স্থানীয় মাতব্বরদের দ্বারা দ্বারে ঘুরলেও ধর্ষক সাত্তার ও তার সন্ত্রাসী ছেলে রাজুর প্রভাবে কোথাও সুষ্ঠু সমাধান না পেয়ে অবশেষে থানায় মামলা করে এবং বিষয়টি সাংবাদিক মহলে জানায় ধর্ষিতা কিশোরী গোলাপী এবং তার পরিবার।
থানায় মামলা হওয়ার পর থেকেই পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নেয়। তবে মামলার পর থেকেই ধর্ষক আলহাজ্ব সাত্তার ও তার ছেলে রাজু পলাতক ছিলো।
স্থানীয়দের বরাতে আরো জানা যায়, পলাতক অবস্থায় ধর্ষক ও তার ছেলে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে স্থানীয় কিছু দালাল নিয়োগ করে মামলা থেকে বাঁচতে। দালালদের পরামর্শে ও বিভিন্ন কৌশলে ধর্ষিতার পরিবারকে ম্যানেজ করে রবিবার রাতে স্থানীয় কাজী অফিসে নাবালিকা কিশোরী ধর্ষিতা গোলাপী খাতুনের সংগে ষাটোর্দ্ধ বৃদ্ধ আলহাজ্ব সাত্তার হোসেনের বিবাহ রেজিষ্ট্রি হয় এবং মৌলভীর দ্বারা ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক বিবাহ পোড়ানো হয়।
এ ঘটনায় স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক ও মানবাধিকার সংগঠনের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই মনে করছে ধর্ষকের শাস্তি যদি বিয়ে হয় তাহলে সমাজে ধর্ষিতার পরিমাণ আরো বেড়ে যাবে।
উভয়ের পরিবারের ঘনিষ্ঠ জনেরাই বিয়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন তবে কি প্রক্রিয়ায় হলো তা জানতে চাইলে কেউ মুখ খোলেননি এবং নবদম্পতির সাথে দেখা করতে চাইলে পরিবারের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের দেখা করতে দেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে শাজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মান্নান এর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, বিবাহের খবর জানিনা তবে, ধর্ষিতা কিশোরীর দায়েরকৃত মামলার তদন্ত চলছে। তদন্ত পূর্বক মামলা তার নিজস্ব গতিতেই চলবে।
ধর্ষণের বিচারপ্রার্থী নাবালিকা কিশোরীর কোন প্রক্রিয়ায় বিবাহ রেজিষ্ট্রি হলো তা জানতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবায়েত খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি জানিনা। তবে যদি এ ব্যাপারে কেউ জড়িত থাকে তাহলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
রিপোর্টঃ এস এম আল-আমিন
রিপোর্টার, দৈনিক ভোরের ডাক, দৈনিক মুক্তবার্তা।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২২

হাসান মাহবুব বলেছেন: এইডা আবার কোন বিচার? মানি না মানবো না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.