নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এ এস এম শিশির

স্বকৃত

এ এস এম শিশির › বিস্তারিত পোস্টঃ

ওয়ার্মহোল: সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৫০

ওয়ার্মহোল: সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা
ওয়ার্মহোল (Wormhole) হলো এমন একটি তাত্ত্বিক ধারণা, যেখানে মহাবিশ্বের এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় খুব দ্রুত যাওয়ার জন্য এক ধরনের শর্টকাট বা সুড়ঙ্গের কথা বলা হয়। এটি অনেকটা ভূগর্ভে সুড়ঙ্গ কাটার মতো, যেখানে দূরত্ব কমানোর জন্য সরাসরি পথ তৈরি করা হয়।

ওয়ার্মহোল কীভাবে কাজ করে?
ধরা যাক, তুমি একটি কাগজের দুই প্রান্তে দুটি বিন্দু আঁকলেই। এখন যদি তুমি কাগজটি মাঝখানে ভাঁজ করে সেই দুটি বিন্দু একত্রে নিয়ে আসো, তাহলে একটি শর্টকাট তৈরি হয়। ঠিক এভাবেই মহাবিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যেতে একটি ওয়ার্মহোল ধারণা করা হয়।

উদাহরণ: সহজে বোঝা
উদাহরণ ১: মহাকাশ ভ্রমণ
ধরা যাক, তুমি পৃথিবী থেকে একটি দূর গ্রহে যেতে চাও, যা আলোর গতিতে ভ্রমণ করেও কয়েক লাখ বছর লাগবে। কিন্তু যদি সেখানে একটি ওয়ার্মহোল থাকে, তাহলে তুমি কয়েক সেকেন্ডেই পৌঁছে যেতে পারবে।

উদাহরণ ২: সুড়ঙ্গের তুলনা
ভাবো, একটি পাহাড়ের এক পাশে তুমি দাঁড়িয়ে আছো। অন্য পাশ দিয়ে যেতে হলে পুরো পাহাড় ঘুরে যেতে হবে। কিন্তু যদি একটি সুড়ঙ্গ থাকে, তাহলে তুমি সরাসরি এক দিক থেকে অন্য দিক যেতে পারবে। ওয়ার্মহোল অনেকটা এই রকম।

বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ
ওয়ার্মহোলের ধারণা প্রথম এসেছিল আইনস্টাইন এবং নাথান রোজেন এর তত্ত্ব থেকে। এটি আইনস্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিকতা তত্ত্ব (General Relativity) অনুযায়ী কাজ করে। তারা বলেছিলেন, যদি মহাবিশ্বে স্থান ও সময়কে ভাঁজ করা যায়, তাহলে দুই দূরবর্তী স্থানের মধ্যে শর্টকাট তৈরি করা সম্ভব।

তবে এখন পর্যন্ত ওয়ার্মহোল শুধু তত্ত্বেই সীমাবদ্ধ। এটি বাস্তবে দেখা যায়নি বা প্রমাণিত হয়নি।

ওয়ার্মহোলের সমস্যাগুলো
স্থিতিশীলতা: তত্ত্ব অনুযায়ী, একটি ওয়ার্মহোল খুব দ্রুত ধসে যেতে পারে। এটি স্থিতিশীল করতে হয়তো এক ধরনের "নেতিবাচক শক্তি" প্রয়োজন।
ভ্রমণযোগ্য নয়: এমনকি যদি ওয়ার্মহোল তৈরি করা যায়, তা মানুষের জন্য নিরাপদ হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
ব্যবহারিক সীমাবদ্ধতা: প্রযুক্তিগত উন্নতির পরও, ওয়ার্মহোল তৈরি বা ব্যবহার করার জন্য আমরা এখনো অনেক দূরে।
মজার বিষয়: সিনেমা ও গল্পে ওয়ার্মহোল
অনেক সিনেমা ও গল্পে ওয়ার্মহোলের ধারণা নিয়ে কল্পনা করা হয়েছে। উদাহরণ:

"Interstellar": এখানে দেখানো হয়েছে, মহাকাশে একটি ওয়ার্মহোল ব্যবহার করে মানুষ দূর গ্রহে ভ্রমণ করে।
"Thor" মুভি সিরিজ: এতে ওয়ার্মহোলকে "বাইফ্রস্ট" নামে দেখানো হয়েছে, যা এক গ্রহ থেকে অন্য গ্রহে যাওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়।
সহজভাবে উপসংহার
ওয়ার্মহোল হলো মহাবিশ্বে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় দ্রুত যাওয়ার একটি শর্টকাট। যদিও এটি এখন পর্যন্ত বাস্তবে প্রমাণিত নয়, বিজ্ঞানীদের মতে এটি সম্ভব হতে পারে।

তুমি যদি কল্পনা করো, মহাবিশ্বের এক কোণ থেকে আরেক কোণে মুহূর্তের মধ্যেই চলে যেতে পারবে, সেটা কতটা মজার হবে, তাই না? এটাই ওয়ার্মহোলের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.