নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গ্রেফতার হওয়ার অব্যবহিত পূর্বে গোলাম মওলা রনির ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসটি চিত্তাকর্ষক। স্ট্যাটাসটিতে তিনি লিখেন, “আমার একটি বিশ্বাস ছিল- যে সব রাষ্ট্রীয় দূর্নীতি এবং ব্যক্তি বিশেষের অন্যায় ও অবিচার সম্পর্কে আমি সরব ছিলাম তার ?সাথে সরকারের কোনো সংযোগ নেই। নির্বোধের মত এই বিশ্বাসের পিঠে সোওয়ার হয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু আজ সেই বিশ্বাসে চীড় ধরেছে। যেভাবে জামিনটি বাতিল হল- তা স্বাধীন বাংলাদেশে ত নয়-ই, পাকিস্তান আমলেও ঘটেনি।” তার এই লিখনীতে স্পষ্টতই প্রমাণ হচ্ছে তার দীর্ঘ দিনের বিশ্বাসে চীড় ধরেছে। গোলাম মওলা রনির কথার সূত্র ধরেই বলতে হচ্ছে, রনি সিস্টেমের সাথে তাল মেলাতে পারেন নি। রাজনীতি করলে দলের সব কথায় হ্যাঁ বলতে হবে। কোন সিদ্ধান্তের দ্বিমত করা যাবে না। এটাই সিস্টেম। তিনি সে সিস্টেমটি ধরতে পারেন নি। ধরতে পারেন নি বলেই দলের বড় বড় এমপি, মন্ত্রী ও উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে সমালোচনা করেছেন। প্রকট যৌক্তিক কথার জন্য তাকে ধরারও যাচ্ছিল না। কিন্তু এবার ফাঁদে ফেলে ঠিকই সাইজ করা হোল। টকশোওয়ালারা তাকে উপরে উঠিয়েছে বটে, কিন্তু তাতে তাদের লাভ বৈ ক্ষতি হয় নি। টিআরপি বেড়েছে সেই চ্যানেলগুলোর, যারা তার টকশো প্রচার করেছে। মানুষও তা দেখেছে। কারণ মানুষ অসত্যের বিরুদ্ধে দুঃসাহস দেখিয়ে বিদ্রোহ না করতে জানলেও কাউকে আঙ্গুল তুলে কথা বলতে দেখলে আনন্দিত হয়, হাত তালি দেয়। তবে (তার দেওয়া স্ট্যাটাস মোতাবেক ) তিনি না বুঝে-শুনেই আঙ্গুল তুলেছেন সিস্টেমের বিরুদ্ধে। কিন্তু সিস্টেম তাকে তার নিয়ম অনুযায়ী ছুড়ে ফেলেছে। কিন্তু বোঝা উচিৎ ছিল প্রচলিত রাজনীতি করলে আপোষ করেই চলতে হয়। হজম করতে হয় অনেক কিছু চোখে দেখেও। তার বোঝা উচিৎ ছিল রাজনীতি এখন ভালোমানুষের হাতে নেই। সিস্টেমও আজ ধনীদেরই তাবেদারী করে। নির্বাচনের সময় তারাই দলগুলোকে টাকার যোগান দেয়। তিনি কি পারতেন দলের প্রয়োজনীয় মুহূর্তে দলকে উদ্ধার করতে? পারতেন না। তাই দলে তার চাইতে বড় বেশী প্রয়োজন অর্থ-বিত্তশালীদের। এতদিন রাজনীতি করলেন, এমপি হলেন- কখনো কি দেখেছেন দলের কেউ কোনদিন দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কথা বলেছে? আপনার চেয়ে অভিজ্ঞ, পুরাতন অনেক সাংসদ আছেন, কই তারা তো কোনদিন তা করে নি। যাওবা দু’একজন করেছেন, তারা কি দলে আছেন? দল কি তাদের মূল্যায়ন করে? রাজনীতিতে নতুন তো! ভালো করে বুঝতে পারেন নি। হয়তো বুকে অনেক আবেগ নিয়ে, সততা নিয়ে, দেশপ্রেমের মন্ত্রনায় উজ্জীবিত হয়ে রাজনীতি করতে এসেছিলেন তিনি! মনে করেছিলেন বড় বড় দলের সাথে কাজ করে দেশ সেবা, জনসেবা ভালভাবে করতে পারবেন। শেষ পর্যন্ত কি পেলেন? আপনার কথাই আপনাকে শোনাই। আপনি লিখে গেছেন, “আজ মনে হচ্ছে, আমার মত ‘অর্বাচীন’ যেন কারো সন্তান না হয় কিম্বা কোনো স্ত্রী যেন এমন স্বামী না পায়! কোনো সন্তানের যেন এমন পিতা না থাকে! ” শিক্ষাটা ভালই পেয়েছেন! শিক্ষা পাওয়াটা আরো আগেই দরকার ছিল। ইতিহাসে সাংবাদিক তিনিই প্রথম পেটান নি। তার আগেও অনেক এমপি, মন্ত্রী সাংবাদিকদের পিটিয়েছে। একই দলের এক এমপি কিছু দিন আগে এক নারী সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করেছিলেন। উচ্চ বাচ্য সামান্য হলেও তাকে কিন্তু চৌদ্দ শিক দেখানো সম্ভব হয় নি। রনির বড় দোষ তিনি আপোষ করেন নি। আর তার আঙ্গুলটাও অনেক উচুতে উঠে গিয়েছিল। এতকিছুর পরেও বুক ফুলিয়ে চলা যায় না। জলে থেকে কুমিরের সাথে লড়াই করা বোকামীর শামিল? তিনি নির্বাচনের মত জটিল এবং কঠিন বৈতরণী পেরিয়ে পটুয়াখালীর মত প্রায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন একটি প্রান্তিক জেলা থেকে এমপি নির্বাচিত হয়ে এসেছেন। দেশ বিদেশ অনেক ঘুরেছেন। বহু বইপত্র, ইতিহাস দর্শনও জানা আছে। তার অভিজ্ঞতার কমতি থাকার কথা নয়। সেই অভিজ্ঞতা দিয়ে তার বোঝা উচিৎ ছিলো সততা, সৎসাহসকে এই সিস্টেম মুল্যায়ন করে না। আপোষ করে ভাগাভাগি করে মিলে মিশে খেতে হয়। তা করলে মিডিয়া তার পেছনে লাগত না, বরং মিডিয়া তার পিছে পিছে ঘুর ঘুর কোরত। যাই হোক, আপাতত এটা তার ক্যারিয়ারে হয়তো বড় একটা ল্যাং। এর মাধ্যমে তাকে চিরদিন হয়তো জেলবন্দি করে রাখা হবে না। সাময়িক ভোগান্তির পর নিশ্চয় বেরিয়ে আসবেন। কিন্তু প্রশ্ন হোল, বেরোবার পর তিনি কি করবেন? তিনি কি আপনার সমালোচনার কণ্ঠ উর্দ্ধেই রাখবেন, না কি আপোষ করবেন? যদি এই সিস্টেমের সাথে আপোষ করেন তাহলে হয় তো সাধারণ মানুষ তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে। তাদের আবেগে ভাটা পড়বে। তিনিও হয় তো সিস্টেমের সাথে মিলিয়ে যাবেন। তার কোন সমস্যা হবে না। আর যদি আপোষ না করেন তাহলে তাকে সিস্টেমই আউট করে দেবে। তাই তাকে ভেবে দেখতে হবে- তিনি বিবেকের কাছে সৎ থাকবেন, নাকি সিস্টেমে গা ভাসিয়ে দেবেন। কারণ আজকাল সিস্টেম আর সততা উভয়ই মুখোমুখি। এর একটা পেতে গেলে আর একটা হারাতে হয়।
২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৫৫
উড়োজাহাজ বলেছেন: সবটা পড়তে হবে বন্ধু! আমি তেল মেরেই ঝাল মেরেছি। পুরোটা পড়তে হবে। আর এইসব হলুদদেরকে মারারও দরকার আছে। এরা সাংবাদিক নামের কলঙ্ক। মালিকের পক্ষে চামচামি করতে গেছিল।
২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৫৮
উড়োজাহাজ বলেছেন: রনি আসলে একটা বলদ। রাজনীতি করবে আবার, আম্লীগ করবে আবার দরবেশের বিরুদ্ধে কেন কথা বলতে গেল?
২| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৩৩
বিক্ষত বলেছেন: লুল
২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৫৫
উড়োজাহাজ বলেছেন: লুলস
৩| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৫৯
উড়োজাহাজ বলেছেন: লাইনে আইসা গেছে। এইটা রাজনীতিবিদদের আসল চরিত্র। Click This Link
৪| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:০৬
নীল_সুপ্ত বলেছেন: রনির সমস্যা হইছে দুটা জায়গায়, বেশি বুঝলে যা হয়; আওয়ামীকে বাঁচাতে চাইছিল বেচারা... ১, দুর্নীতি নিয়ে রসাত্মক আলাপ , ২, বামদের বিরুদ্ধে কথা বলা...
ফলাফল তো দেখতেই পাচ্ছেন।
অ্যানিওয়ে,
লেখাটার এঙ্গেল পছন্দ হয়েছে।
২৬ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৪২
উড়োজাহাজ বলেছেন: বামদের নিয়ে তো পীর সাবও কথা বলেন। তার তো কিছু হোল না। আসল ব্যাপার দরবেশ বলেই মনে হয়। আরো একটা ব্যাপার থাকতে পারে। সেটা হোল মিডিয়া যাকে উঠায় মিডিয়াই তাকে নামায়।
একটুর জন্য দুইটা পত্রিকায় লেখাটা আজ ছাপানো সম্ভব হোল না। প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:২৭
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: তিনি নির্বাচনের মত জটিল এবং কঠিন বৈতরণী পেরিয়ে পটুয়াখালীর মত প্রায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন একটি প্রান্তিক জেলা থেকে এমপি নির্বাচিত হয়ে এসেছেন। দেশ বিদেশ অনেক ঘুরেছেন। বহু বইপত্র, ইতিহাস দর্শনও জানা আছে। তার অভিজ্ঞতার কমতি থাকার কথা নয়। সেই অভিজ্ঞতা দিয়ে তার বোঝা উচিৎ ছিলো সততা, সৎসাহসকে এই সিস্টেম মুল্যায়ন করে না।
তেলের ড্রাম দেখি উল্টে ফেললেন! এত তেল অখন কই রাখি! পুরা রাস্তা তো দেখি তেলময়। দেশে এরকম চামচা আছে বলেই তেলের অভাব হয় না হাসিনা খালেদা আর তার শয়তান সব স্যাঙ্গাতদের।
ভিডিওটা দেখেন আরেকবার। এরকম ভিডিও দেখার পরও কি মনে হয় না এরে ধইরা থাপড়ানো উচিত? এখন কামাল মজুমদারের বিচার হয় নাই দেইখা রনির বিচার হইবো না এইটা কি চামুচীয় আব্দার?