নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আতাহার হোসাইন

উড়োজাহাজ

ফেসবুক প্রোফাইল-https://www.facebook.com/ataharh

উড়োজাহাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ত্রিশঙ্কু অবস্থায় জামায়াত

০১ লা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:১০

জামায়াতের রায় ঘোষণা হোলে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে আশঙ্কা করে গতকাল রাজধানীতে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রায়ের পর বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনা ছাড়া তেমন কোন প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায় নি। তবে অভিজ্ঞমহল ধারণা করছেন জামায়াত যদি চূড়ান্তভাবে নিষিদ্ধ হয়, তাহলেও তাদের পক্ষ থেকে তেমন কোন প্রতিক্রিয়া আসবে না। কারণ ইতিমধ্যে জামায়াতের শীর্ষস্থানীয় ও নীতিনির্ধারকরা জেলে আটক আছেন এবং অনেকের জন্যই অপেক্ষা করছে ফাঁসির দড়ি।





অপরদিকে যদিও জামায়াত দাবি করছে তাদের নেতৃত্ব দেওয়ার মত মধ্যম সারির নেতারা বাইরে আছেন এবং পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তারা দলকে নেতৃত্ব দিয়ে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম, কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। কারণ, জামায়াতের অধিকাংশ নেতাকর্মীরা পুঁজিবাদী ধ্যান ধারণায় বিশ্বাসী হয়ে উঠেছেন। এ ছড়াও অনেক বিশ্লেষক মনে করেন শুরুতে জামায়াতের কর্মীদের যে আদর্শে পরিচালিত করা হয়েছিল বর্তমানে সে আদর্শে তারা আজ আর নেই। দেশের অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, ব্যাংকসহ অন্যান্য অর্থলগ্নীকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিক বনে গেছেন তারা। নানাবিধ প্রশাসনিক পদেও তারা জড়িত আছেন। সুতরাং দল নিষিদ্ধ হওয়ার পর তারা আন্ডারগ্রাউন্ড রাজনীতিতে প্রবেশ করবে বলে যে কথা চাউর আছে তা মিথ্যা প্রতীয়মান হবে বলেই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ। প্রতিষ্ঠিত কোন জনসমষ্টি দ্বারা কোন দিন বিপ্লব বা বিপ্লবমুখী কর্মকাণ্ড সম্ভবপর হয় না। পুঁজিবাদী, ভোগবাদীরা বরং জোয়ারে গা ভাসাতে পছন্দ করে। তারা বড় জোর নিজেদের স্বকীয়তা বিসর্জন দিয়ে গণতন্ত্রের সাথে আপোষ করে আলাদা নাম নিয়ে প্রচলিত ধারার রাজনীতিতে মিশে যাবে। কিংবা হালের মুসলিম লীগের মত কোন মৃতবৎ দল হয়ে নিজেদের অস্তিত্বের জানান দেবে।







জামায়াতের ইতিহাসও এই ধারণাকে সমর্থন করে। স্বাধীনতা যুদ্ধ পরবর্তী থেকে ’৭৫ পর্যন্ত তারা এদেশে নিষিদ্ধ ছিল। তখন তারা ভিন্ন নাম (ইসলামিক আইডিয়াল লিগ) নিয়ে রাজনীতি করেছে। এবারেও গা বাঁচানোর জন্য কিংবা নিজেদের পার্থিব প্রতিষ্ঠা প্রতিষ্ঠিত রাখতে তাই করবে বলেই মনে হয়। তাই তাদের দ্বারা সরকারকে আশঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই। নামের জন্য বিপ্লব করার মত কোমরে তাদের জোর নেই। অর্থ বিত্ত তাদের সে চেতনা কেড়ে নিয়েছে।





আপোষ করার এই নীতিকে জামায়াত হেকমত বলে দাবি করে। কিন্তু আপোষ করতে করতে গঠনতন্ত্র গণতন্ত্রের সার্বভৌমত্বের পরিপন্থি হওয়ায় এবং নির্বাচন কমিশনের চাপের মুখে সংশোধনীর মাধ্যমে দলটি গঠনতন্ত্র থেকে আল্লাহ প্রদত্ত ও রাসূল (সাঃ) প্রদর্শিত ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থার কথা বাদ দিয়ে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার কথা জুড়ে নিয়েছে। এছাড়া ‘আল্লাহ ব্যতীত কাহাকেও স্বয়ংসম্পুর্ণ বিধানদাতা ও আইন প্রণেতা মানিয়া লইবে না এবং আল্লাহর আনুগত্য ও তাঁহার দেওয়া আইন পালনের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত নয় এমন সকল আনুগত্য মানিয়া লইতে অস্বীকার করিবে’ এ নীতিটিও গঠনতন্ত্র থেকে তারা বাদ দিয়েছে। আরো বহু কাটাছেড়া করতে করতে এমন অবস্থায় পৌঁছে যে তারা প্রায় পুরো গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়। তারপরেও খুশি হয় নি নির্বাচন কমিশন। ২০০৮ সালে যে অবস্থায় তারা গঠনতন্ত্র জমা দিয়েছিল তা তখনকার পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে সাময়িক নিবন্ধন দিয়েছিল। কিন্তু সর্বশেষ বৃহস্পতিবারের রায়ের মধ্য দিয়ে তাও বাতিল করা হোল। কিন্তু বাস্তবে জামায়াতের অবস্থা ত্রিশঙ্কু হলেও কার্যত আপোষকামী এই দলটি হয়তো কোন আপোষ করে নতুন নাম নিয়ে, নতুন গণতান্ত্রিক গঠনতন্ত্র লিখে এবং তা জমা দিয়ে নিবন্ধন করে রাজনীতি করবে, কিংবা অন্য কোন গণতান্ত্রিক দলের সাথে মিশে যাবে। কিন্তু অবাক ব্যাপার হোচ্ছে সব কিছু বিসর্জন দিয়েও এরা এখনো নিজেদের ইসলামী দল বা গণতান্ত্রিক ইসলামিক রাজনৈতিক দল মনে করে এবং প্রচার করলে জনগণ সেটা কিভাবে নেবে এখন সেটাই দেখার বিষয়।





একদিকে রাজনীতি অন্যদিকে ইসলাম, একদিকে নেতাদের ফাঁসি অন্যদিকে দল নিষিদ্ধ হওয়ার পথে। এই পরিস্থিতিতে আগামী নির্বাচনে তারা কি করবে সেটা নিয়ে ত্রিশঙ্কু অবস্থায় রয়েছে জামায়াত।







মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩৫

মদন বলেছেন: +

০২ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:২৬

উড়োজাহাজ বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ০২ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৪৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
জামাত শিবির কোন ইসলামিক দল নয়। এরা হল ধর্ম ব্যাবসায়ী। একটি ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাসি দল।
Click This Link

০২ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:২৭

উড়োজাহাজ বলেছেন: সঠিক। লিঙ্ক পরে দেখবো আশা করি।

৩| ০২ রা আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:২৭

নিষ্‌কর্মা বলেছেন: এরা বহুরূপী। এদের মাথায় ছাতা ধরার জন্য বিম্পি আছেই। আছে আরো অনেকেই। এমন কি আম্লীগও এদের ছায়াদানকারী বৃক্ষ হলে অবাক হব না।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:৪৭

উড়োজাহাজ বলেছেন: সঠিক। কিন্তু কোথায় যাবেন? সিস্টেম বদলান।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.