নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মঙ্গলবার সকালে যখন ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যানের নিহত হওয়ার ঘটনাটি শুনি তখন মনের ভেতর খুব একটা প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়নি। মনে মনে চিন্তা করেছিলাম প্রতি দিনতো কত মানুষই খুন হচ্ছে, এর আর নতুন কী? ঘটনাটি গুরুত্ব বহন করতে পারে এই জন্য যে, একজন গুরুত্বপূর্ণ মানুষ মারা গেছেন। এই টুকুই, এর বেশি আর কী? একজন সাধারণ মানুষ মারা গেলে যতটুকু উচ্চ-বাচ্য হয় তার চেয়ে একটু বেশিই না হয় হবে। আর সাত খুনের নৃশংসতার স্মৃতিতো এখনো মাথায় রয়েছেই। ধীরে ধীরে আমাদের নৃশংসতার ধারণ ক্ষমতা বেড়ে গেছে। তাই ইদানীং আর আমরা অবাক হইনা। এই খুনেও প্রথমে তেমন একটা অবাক হইনি। কিন্তু সত্যিই কি আমাদের অবাক হওয়ার পালা শেষ? অন্তত গতকাল নিহত উপজেলা চেয়ারম্যান একরামুল হক একরামের দেহাবশেষটুকুর ছবিটা দেখার পর আমার সে ধারণা পাল্টে গেছে।
প্রথমে খুব একটা পাত্তা দেইনি। অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলোতে প্রথমে একে গ্যাস সিলিন্ডার বিষ্ফোরণে মারা গিয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করা হচ্ছিল। এমনকি স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে বলা হচ্ছিলো যে, এটি নাশকতা কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কিন্তু সময় যত পার হচ্ছিলো ততই খরটির খুটি-নাটি বেরিয়ে আসছিলো। সর্বশেষ যা জানলাম তাতে মনে হলো- এর চেয়ে নৃশংসতা পৃথিবীর বুকে আর কী হতে পারে? মনুষ্য সন্তানের পক্ষে এর চেয়ে নিষ্ঠুর কাজ আর কি হতে পারে!
প্রাথমিক অবস্থায় যা জানলাম, পরে বিস্তারিত জেনে হতবাক না হয়ে পারিনি। জানা যায়, প্রথমে রাস্তায় ব্যারিকেড সৃষ্টি করা হয়। এর মধ্যে একরামুল হক একরামকে বহনকারী গাড়িটি প্রথম বাধাটি পেরিয়ে গেলেও দ্বিতীয় স্তরেই এসে গাড়িটি আটকে গিয়ে ফুটপাতে উঠে যায়। সেখানে থাকা অবস্থায় দুর্বৃত্তরা প্রথমে গুলি করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে গাড়িতে পেট্রোল ছিটিয়ে পেট্রোল বোমা দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। যতক্ষণ মৃত্যু নিশ্চিত না হয়েছে ততক্ষণ দুর্বৃত্তের দল অপেক্ষা করেছে। কাউকে কাছে ভীড়তে দেয়নি। পরে যখন দমকল কর্মীরা আগুন নিভিয়ে তার দেহাবশেষ উদ্ধার করে এবং সেই সুদর্শন মানুষটির পোড়া বীভৎস দেহের ছবিগুলো দেখি তখন কেমন জানি গা গুলিয়ে আসছিলো। বার বার চোখের সামনে উঠে আসছিলো বিকৃত দেহটি। একটি ছবির দিকে কোন মতেই তিন চার সেকেন্ডের বেশি তাকিয়ে থাকা সম্ভব হচ্ছিলো না। জলজ্যান্ত একজন মানুষ কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেলো! হয়তো একটু আগেও মানুষটি হেসেছেন, কথা বলেছেন। কিন্তু কয়েক মুহূর্ত পরেই তার প্রাণ পাখিটি আগুনের যন্ত্রণা সইতে না পেরে ছটফট করে দেহ থেকে বেরিয়ে গেছে।
প্রকাশ্য দিবালোকে জন সমাগমপূর্ণ রাস্তায় এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়েছে। ভেবে পাইনা কেন এত নিষ্ঠুরতা! কেনইবা একজন মানুষকে হত্যা করতে এতটা নৃশংস ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হয়েছে তাদেরকে? সত্যিই কি এরা মানুষ, অথবা এরা কি কোন মানুষের সন্তান? এর চাইতে বেশি কিছু লেখা সম্ভব হচ্ছে না। চিন্তাশক্তি ফুরিয়ে গেছে, হাত থেমে যাচ্ছে বার বার। এর নরক যন্ত্রনা থেকে মুক্তি চাই, মুক্তি চাই এই আতঙ্কজনক পরিস্থিতি থেকে।
২২ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:৩৮
উড়োজাহাজ বলেছেন: সত্যি দু:খজনক।
২| ২২ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:৪১
পংবাড়ী বলেছেন: ৫০০ উপজেলায়, ৫০০ ডাকাত মাফিয়াকে উপজেলা চেয়ারম্যান করা হয়েছে; ৫ বছরে ২০ জন নিহত হবে, ১২০ জন জেলে যাবে; মরা শুরু হয়েছে।
২২ শে মে, ২০১৪ রাত ১:০৬
উড়োজাহাজ বলেছেন: পাচ বছর পার হতে পারবে তো!
৩| ২২ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:৪২
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: জিঘাংসা কতটা প্রবল হলে এতটা হতে পারে। হায়দার আলীর গানটি কানে বাজছে।।
২২ শে মে, ২০১৪ রাত ১:০৬
উড়োজাহাজ বলেছেন: পাপের পেয়ালা পূর্ণ হোক।
৪| ২২ শে মে, ২০১৪ রাত ৩:০৮
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধীরে ধীরে আমাদের নৃশংসতার ধারণ ক্ষমতা বেড়ে গেছে।
অতি সত্য কথা।
২২ শে মে, ২০১৪ সকাল ১০:৫৫
উড়োজাহাজ বলেছেন: কিন্তু আর কত? আমরা্ওতো মানুষ। আমাদের প্রত্যেকের ভেতরেই একটি কোমল হৃদয় আছে। এর তো একটা সীমা আছে!
৫| ২৩ শে মে, ২০১৪ রাত ১:০৮
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: @ উড়োজাহাজ- আমি বলবো এসিডের পেয়ালা একদিন পূর্ন হবেই,তখন ছলকে যা পড়বে তা কিন্তু নিজের গায়েই পড়বে।।
২৩ শে মে, ২০১৪ রাত ১:৪৫
উড়োজাহাজ বলেছেন: তা অলরেডি পড়ে গেছে এবং এখনো পড়ছেই। কেউ এ থেকে মুক্ত নেই।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:২৯
সুমাইয়া আলো বলেছেন: এইগুলা কেন যেন গা সয়া হইয়া গেছে । মনে হইয় কুকুরে কুকুরে মারা মারি করসে।