নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আতাহার হোসাইন

উড়োজাহাজ

ফেসবুক প্রোফাইল-https://www.facebook.com/ataharh

উড়োজাহাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানবজাতির ঐক্যের অন্তরায়

২৬ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ৭:২৭





আমরা যারা আজকে পৃথিবীতে পশ্চাদপদ জাতি হিসেবে নিজেদেরকে আবিষ্কার করছি, পরস্পরে মারামারি করে কাহিল হয়ে পড়ছি, তারা সকলেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে শক্তি অর্জন করার কথা বলছি কিংবা ঐক্যের অবশ্যম্ভাবীতা উপলিব্ধি করছি। সেই সূত্রে অতি কট্টর ও গোড়াপন্থীদের ছাড়া সকলকেই দেখি শিয়া-সুন্নি, আহলে হাদীস ইত্যাদি সকল দলকেই ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দিতে। যারা আরেকটু হৃদয় খোলা, কিংবা ধর্মের জটিল মাসলা-মাসায়েলে যারা জড়িয়ে পড়ে নি, কিংবা মুক্তমনা (সঠিক মুক্তমনাদের কথা বলছি) তারা অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদেরকেও আদম হাওয়ার সন্তান অর্থাৎ একই দম্পত্তি থেকে আগত বলে নিজেদেরকে ভাই-বোন মনে করে ঐক্যের দিকে ডাকেন, শুধু শুধু নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ-বিগ্রহ, দাঙ্গা-হাঙ্গামা না করতে বলেন, এসবের অসারতার কথা বলেন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমরা অন্যদের ঐক্যের দিকে ডাকি নিজেকে সঠিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত রেখে। আর ডাকি কেবল নিজেদের বিশ্বাসের দিকেই। স্বাভাবিকভাবেই নিজেদেরকে সঠিক বোধ করা হোক বা অহংকার থেকেই অন্যরা আমার কাছে আসে না। তাই বলি এভাবে সবাই কেয়ামত পর্যন্ত ডেকে গেলেও আমাদের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা হবে না। এবং আমাদের বর্তমানের মতই আমরা মার খেয়ে যাব, সুযোগ পেলে সংখ্যালগুদেরকে নিজেরাও মেরে যাব।



তাই বলি আপনি যদি সত্যিকার অর্থেই এসব থেকে মুক্তি চান তাহলে ছাড় দিতে শিখুন। রসুলাল্লাহ বলেছেন, যে লা ইলাহ ইল্লাহর স্বীকৃতি দেয় সে ব্যক্তি জান্নাতি। এই প্রসঙ্গে বহু হাদীসের কথা উদৃতি দেওয়া যায়। বক্তব্য দীর্ঘায়িত হয়ে যাওয়ার আশংকায় তাই বিস্তারিত লিখছি না। এ ব্যাপারে কোন পক্ষই আশা করি দ্বিমত করবে না।



তাহলে প্রশ্ন হলো, লা ইলাহ'র স্বীকৃতি দানের পর আমরা কেন খুঁজি সে শিয়াপন্থী না সুন্নিপন্থী? কারো বিশ্বাস, কারো আমলের যাচাই-বাছাই করার অধিকার আমাকে কে দিয়েছে? কেউ যদি কোন আমল করে আল্লাহর জান্নাতে চলে যেতে পারবে বলে একান্তই বিশ্বাস করে, তবে সেই তাই করুক। তাতে আমার ক্ষতি কি? আল্লাহর জান্নাত কি তুরাগ বাস যে লোক বেশি হয়ে গেলে আমার স্থান সংকুলান হবে না?



তাহলে আমরা কেন লা ইলাহায় বিশ্বাসী হয়েও একে অপরের সাথে ঐক্যবদ্ধ হতে পারছি না?

সে তার বিশ্বাস এবং তার আমল নিয়ে থাকুক। আমি যা বিশ্বাস করি তাতে আপনি আঘাত করবেন না, আর আপনি যা বিশ্বাস করেন তাতে আমি কখনো আঘাত করবো না- উভয়েই এই নীতি যদি বজায় রাখি তাহলে কিন্তু আমাদের মধ্যে আর কোন বিভেদ থাকতে পারে না। আর বিশ্বাসের ব্যাপারে কি জোর করা যায়? কাউকে কি বলপ্রয়োগ করে বিশ্বাসী বানানো যায়? আর আল্লাহ নিজেই তো বলে দিয়েছেন দীনের ব্যাপারে জোরাজুরি, বাড়া-বাড়ি না করতে।



খেয়াল করে দেখুনতো, আল্লাহ কিন্তু মো’মেনদেরকে মানা করেছেন যারা ধর্মের নামে রাহেব হয়েছে, সংসার ত্যাগ করেছে তাদেরকে টার্গেট না করতে। কারণ তাদের বিশ্বাসের ব্যাপারে, তাদের আমলের ব্যাপারে আল্লাহ নিজেই হিসাব নেবেন। অন্যের হিসাব করার ভার আমার নয়। এমনকি আমাদের শেষ নবীরও নয়। আল্লাহ রসুলকে বলছেন, আমি আপনাকে দুনিয়াতে দারোগা/পুলিশ হিসেবে পাঠাই নি। তাহলে আমরা এত পুলিশ সাজতে চাই কেন? আমরা মানুষের আমলের ব্যাপারে আল্লাহর বিচারকের স্থান দখল করতে যাই কেন? পুলিশিং করতে যাওয়াটাই কিন্তু বাড়া-বাড়ি, সীমালংঘন। এত যে আমরা অন্যের বিচার করি, আমরা নিজেদের ব্যাপারে জবাব দিয়ে পার পেতে কতটুকু সক্ষম? তাঁর ক্ষমা, তাঁর দয়া ছাড়া কিছুতেই পার পাওয়া সম্ভব নয়।



কে কোনভাবে ডেকে স্রষ্টাকে পাবে তার আমরা কতটুকু জানি? আপনি সারা জীবন খুব এবাদত বন্দেগী করেছেন, তাতে কিন্তু আপনার একটা অহংকার জাগ্রত হতে পারে যে- আমি তো যথেষ্ট আমল করেছি (ইবলিসের মত)! এতে আপনার মধ্যে আল্লাহর করুণা ও কৃপার আশা কমে যেতে পারে। অপরদিকে যে আমল কম করেছে সে নিজেকে সর্বদাই অপরাধী মনে করবে এবং ভাববে আমিতো ছাড়া পাবো না। এ জন্য তার হৃদয়টাই আপনার হৃদয় থেকে বেশি কোমল থাকতে পারে। (এ ব্যাপারে উপলব্ধি করতে বার্নাবাসের বাইবেলটা পড়তে বন্ধুদেরকে অনুরোধ করছি।) বাস্তব ক্ষেত্র্ওে দেখবেন আনুষ্ঠানিক ধর্ম পালনকারীরা নিজেদের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত মনে করে দান-খয়রাতের ব্যাপারে সাংঘাতিকভাবে অনীহ। কিন্তু অন্যকে দান-খয়রাতের ব্যাপারে উতসাহ প্রদান করে। ক্ষেত্র বিশেষে নিজেরাই দান-খয়রাত প্রা্প্তির যৌক্তিক দাবিদার মনে করে।



তাই বলি, মূলে যেহেতু আমরা এক-সুতরাং এবাদত পদ্ধতিতে একটু আধটু, তাও ফরদের ব্যপারে নয়, নফল-সুন্নাহর ভিন্নতার দোহাই দিয়ে যদি আমরা আমাদেরকে দূরে সরিয়ে রাখি তবে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আমরা লাঞ্ছিত হতেই থাকবো। শুধু গাজাবাসীরাই কেন, যে কেউ যখন তখন আক্রান্ত হবেন। এমনকি আমরা নিজেরাই বাগে পেলে অন্যকে আঘাত করতে দ্বিধা বোধ করব না।



দুই: এবার আসি ভিন্ন ধর্মের কথায়। সকল ধর্মাবলম্বীরাই স্রষ্টায় বিশ্বাসী। যারা অন্য ধর্মের মানুষের বিশ্বাসে (তা আপনার আমার ধর্মগ্রন্থ ও বিশ্বাসের দিক থেকে যতই অযৌক্তিক হোক না কেন) আঘাত করে সে তার নিজের ধর্মের প্রতিও বিশ্বাসী নয়। সে উগ্র, গোড়া। সে কুকুর জাতির মধ্যে জন্ম নিলে পাগলা কুকুর হয়ে জন্ম নিত। চোরের দেশের জন্ম নিলে সে সবচেয়ে আদর্শ চোর হত।



যেহেতু অন্য ধর্মের মানুষও ( সে যে ধর্মের অনুসারীই হোক) এক স্রষ্টায় বিশ্বাসী (প্রকৃত পক্ষে কোন ধর্মই বহুত্ববাদী নয়), অথবা তর্কের খাতিরে ধরেই নেওয়া হলো সে বহুত্ববাদে বিশ্বাসীই, তবুওতো সে বিশ্বাস করে তার কাছে আসা শাস্ত্র বা ধর্মগ্রন্থের হুকুম পালন করলেই মানুষ শান্তি লাভ করবে-তাহলে তাকে সেটাই পালন করতে দিন না! এখন সে বহুত্ববাদে বিশ্বাসী বলে যদি মারতে যাই তবে তো তার আর আমার মধ্যে কখনোই দূরত্ব দূর হবে না। শত্রুতার কারণে সে আমার থেকে দূরে থাকবে, আমিও তার কাছ থেকে দূরে অবস্থান করবো। অথচ সে এবং আমি যদি এই টুকু বিশ্বাস করি যে তার আগমন একই দম্পতি আদম-হাওয়া থেকে, আমারও তাই। সে অর্থে আমরা ভাই ভাই। তাহলে আমরা ভাইয়ে ভাইয়ে মারামারি করবো কেন? মারা মারি করলে মহান আল্লাহর সেই অভিপ্রায়- সমস্ত মানবজাতীকে এক জাতি করে পুনরায় জান্নাতে ফিরিয়ে নেওয়া- সেটা বাধাগ্রস্ত হয়ে যায়। এসব করে আমরা তাঁরই অভিপ্রায়কে ক্ষতিগ্রস্ত করছি। আমরা তার যতই এবাদত উপাসনা, পূজা-অর্চনা করি না কেন, ওসবের কিছুই কিন্তু তাঁর দরকার নেই। তিনি শুধু চান মানবজাতির মধ্যে শান্তি। শান্তি প্রতিষ্ঠা হলেই তিনি খুশি। কারণ শান্তিতে থাকা ও না থাকাই ইবলিস এবং স্রষ্টার মধ্যে ফ্যাক্টর। এভাবে আমরা অন্যের বিশ্বাসকে সম্মান দিলেই আমাদের মধ্যে ভাবের সৃষ্টি হবে। যারা এরপরেও অনৈক ও মারামারি করবেই, দেখবেন তাদের স্বগোত্রীয়রাই আপনার পক্ষ হয়ে তাদেরকেই প্রতিরোধ করবে।



তিন: নাস্তিকদের ব্যাপারে কথা। আগেই বলেছি, আল্লাহ কাউকে তাঁর অস্তিত্বে বিশ্বাস করতে বলপ্রয়োগ করতে বলেন নি। আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাসের জন্য তিনি বহু সাইন, আলামত দিয়ে রেখেছেন। নিতান্ত স্থুল বুদ্ধি ও জড়বাদী না হলে সেসব যুক্তিকে অগ্রাহ্য করা যায় না। তা ছাড়া আল্লাহর অস্তিত্বের ব্যাপারে যারা সন্দিহান তাদের ফয়সালা তিনি নিজেই করবেন। শুধুমাত্র ধর্ম বিশ্বাসীরা যে আইনগুলো লঙ্ঘন করলে শাস্তি প্রাপ্ত হয়, সেই অপরাধের শাস্তির পরিমাণ তাদের ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করা হবে। তাদের বিশ্বাস ভিন্নতার কারণে কোনভাবেই বেশি শাস্তি দেওয়া যাবে না। এটা সকলের জন্য কমন আইন। অন্যদিকে নাস্তিক বলেই তারা একেবারেই বিবেক বর্জিত নয়। তাদের মধ্যে অধিকাংশই মানবতাবাদী। যদি শান্তি ও ন্যায় বিচার দেখতে পায় তবে তারাও খামোখা ভেজাল করতে আসবে না। তবে কিছু কিছু শুকর ছানা থাকবেই। তাদের বিশেষ চুলকানী আছে। কিন্তু উপযুক্ত পরিবেশ না পেলে তারা চুলকাতে সাহস করবে না। এই শুকর ছানা ধর্মানুসারীদের মধ্যেও আছে। ভয়ঙ্কর চুলকানীওয়ালা আছে। এরা কোন অংশেই নাস্তিক চুলকানীওয়ালাদের থেকে কম নয়। বরং এই অংশটা ধর্মানুসারীদের মধ্যেই বেশি। সুতরাং এই ঐক্যবন্ধনীতে নাস্তিকদেরকে গ্রহণে কিংবা তাদের আগমনে বাধা কোথায়? গোড়াপন্থা, উগ্রতা, মুর্খতা ছাড়া আর কোন বাধা নেই। এর পরেও যারা ঐক্যের এই ডাক এলে নানা মতপার্থক্যের দোহাই দিয়ে সাড়া না দেবে তারা আসলে শান্তি চান না। তারা ভণ্ড, প্রতারক। তারা ভুয়া মানবতাবাদী, ভুয়া ধার্মিক। তাদের এবাদত লোক দেখানো, তারা পার্থিব স্বার্থ, যশ-খ্যাতির জন্য মুখোশ পরিধান করে আছে। এরা শয়তান দ্বারা চালিত অথবা নিজেরাই সাক্ষাত মূতিমান শয়তান। সুতরাং আসুন অন্যকে হুবহু আমার মত না হলে কিছু মৌলিক মিলকে ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করে ঐক্যবদ্ধ হই।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:৪৮

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: অনেকদিন পর আমার বাড়ীতে দেখলাম। এখানে এসেও নূতন লেখা পাই না। ভাল আছেন তো??
এত ভাল লেখাটির পাঠক নেই, নেই মন্তব্যও। এই দৃষ্টি না কাড়ার কারন বুঝলাম না। আমি আগেও পড়েছি কিন্তু এ ব্যাপারে আমার জ্ঞান সীমিত বলে মন্তব্য করি নি। আমার কাছে মানুষ,তার মানষিকতা বড়। সে কোন ধর্মের বা কোন অনুসারী এটা নয়। বড় হয়েছি বিহারীদের সাথে,পড়েছি বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের। সুতরাং জাত-ধর্ম আমর কাছে কখনো বড় হয়ে দেখা দেয় নি।র কিছু জানি না আর জানতেও চাই না।।
ভাল থাকবেন।।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:৩৩

উড়োজাহাজ বলেছেন: হ্যাপী ভাই, এমনিতে ভাল আছি, সুস্থ্য আছি আলহামদুলিল্লাহ। তবে ব্যক্তিগতভাবে একটু অর্থনৈতিক ঝামেলায় আছি। এ জন্য আগের মত সময় দিতে পারছি না। তবে কিছু করতেও পারছি না। টেনশনে সময় পার হচ্ছে। তবে মাঝে মাঝে ফেসবুকে হাজির হলেও ব্লগে আসা হচ্ছে কম। তাছাড়া ব্লগের চেয়ে ফেসবুকটাকে আমার কাছে বেশি ইফেক্টিভ মনে হচ্ছে।
ব্লগে অন্যের পোস্টে মন্তব্য না করলে অন্যরাও আমার পোস্টে আসবে না- এটাই স্বাভাবিক। আমার লেখা্ ব্লগকে উদ্দেশ্য করে নয়, আমি দুই/তিনটা পত্রিকার সাথে জড়িত আছি। তবে বিনে পয়সায়, দায়িত্ববোধ থেকে লিখে থাকি। সেগুলোই মাঝে মধ্যে ব্লগে পোস্ট করি।
তবে মাঝে মধ্যে কিন্তু আমি আপনার ব্লগে যাই। মন-মানসিকতা ভাল থাকে না বিধায় পড়া হয়ে উঠে না।
আপনার সাথে আমার বয়সের ব্যবধান সম্ভবত অনেক বেশি। কিন্তু আমি খেয়াল করে দেখেছি আপনার মানসিকতা আর আমার মানসিকতায় বেশ মিল রয়েছে। এজন্য ব্লগে এলেই আপনাকে আমার মনে পড়ে সর্বপ্রথম। ব্লগের বাইরেও প্রায়ই মনে পড়ে।
আপনি আমার লেখা মনোযোগ দিয়ে পড়েন- এটা ভাবতে আমার কাছে খুবই ভাল লাগে। ভাল থাকবেন। আল্লাহ এই দু:সময় থেকে মুক্তি দিলে আশা করি আগের চেয়েও বেশি কাছা-কাছি থাকতে পারব। ভাল থাকবেন।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:৩৮

উড়োজাহাজ বলেছেন: আর হ্যা, এই লেখাটা ছিল ফেসবুকের জন্য। পত্রিকায় প্রকাশের জন্য পরিমার্জিত রূপটি দু'এক দিনের মধ্যে পোস্ট করার ইচ্ছা আছে। এটা অলরেডি একটি সাপ্তাহিক ম্যাগাজিনে ছাপা হয়ছে।

২| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:১৯

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: জেনে খুশী হলাম। ভাল থাকবেন।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.