নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আতাহার হোসাইন

উড়োজাহাজ

ফেসবুক প্রোফাইল-https://www.facebook.com/ataharh

উড়োজাহাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সম্পর্ককালীন শারীরিক মিলন (প্রেম) বনাম ব্রেক-আপ পরবর্তী ধর্ষণ মামলা

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:২১

কি কালচার শুরু হয়েছে বুঝতে পারছি না। তরুণ ছেলে-মেয়েরা পছন্দ মত মানুষটির সাথে চুটিয়ে প্রেম করবে, সম্পর্ক গড়বে, এক সাথে ঘোরাঘুরি করবে, সময় কাটাবে নির্জনে আর এভাবে চলতে গেলে প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ী যা হওয়ার তাই হচ্ছে। অর্থাৎ তারা (বিবাহ বহির্ভূত) শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছে। এই চলার পথে কখনো কখনো মতের অমিল হলে ভেঙ্গে যাচ্ছে এই সম্পর্ক। এই সম্পর্কের কোন কাগুজে স্বীকৃতি নেই, দলিলও নেই। তবুও আমাদের সমাজ এই অলিখিত সম্পর্ককে বৈধতা দিয়ে যাচ্ছে। এর প্রমাণ হচ্ছে ‘ব্রেক-আপ’ পরবর্তী সময়ে একটি মেয়ে যখন সেই সময়ের সম্মতিক্রমে শারীরিক মিলনকে ধর্ষণ হিসে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ তার গৃহিত হওয়া। ধর্ষণ ছাড়াও একে অপরের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ গ্রহণ করতে গিয়ে তারা নানা ধরনের কর্মকাণ্ড, আপত্তিকর ভিডিও, ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়া।

সম্মতিক্রমে এই শারীরিক মিলন নৈতিকতা এবং ধর্মের ভাষায় সুস্পষ্ট ব্যভিচার। বিষয়টাকে সেটাকে সেভাবে না দেখে শাস্তিযোগ্য বা বিচারযোগ্য বলে গ্রহণযোগ্য হওয়া প্রমাণ করে এই ব্যভিচারই আমাদের সামাজিক মূল্যবোধ দ্বারা স্বীকৃত।

তবে আমার আপত্তি এইখানে যে- পারস্পরিক এই শারীরিক মিলনকে ধর্ষণ হিসেবে গণনা করা হবে কেন? অভিযোগে বলা হয়ে থাকে, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। অথচ সম্পর্ক থাকা অবস্থায় সেটা বিবেচিত হয় প্রেম হিসেবে। আমার কথা হচ্ছে কোন প্রকার ডকুমেন্ট না রেখে একটা ছেলের সাথে একটা মেয়ে মিলিত হয় কেন, তার সর্বস্ব বিলিয়ে দেয় কেন? প্রলোভন দেখিয়েছে বলে তুমি প্রলুদ্ধ হয়েছ সেটাইতো তোমার সবচেয়ে বড় অপরাধ। আর এই অনৈতিক কাজে প্রলুদ্ধ হওয়াটা বোকামী এবং লজ্জাজনকও বটে। কিন্তু আমাদের তরুণীরা সেটাতে লজ্জা পান না। বরং রেডিওতে নিজের নাম পরিচয় প্রকাশ করে হাজার হাজার শ্রোতদের সামনে সেই কাহিনী বর্ণনা করে। কিছু মানুষ তার প্রতি সহমর্মিতা ও করুণাও দেখিয়ে থাকেন। সেই বোকাদের জন্য আমারও করুণা হয়, তবে করুণা হয় তাদের বোকামীর কারণে। করুণা হয় সেই মানুষদের জন্যও যারা এই বোকাদের জন্য করুণা দেখায়। করুণা হয় সেই সমাজের প্রতি যে সমাজ বিয়েকে নিরুৎসাহিত করে সুস্পষ্ট ব্যভিচারকে বৈধতা দেয়, আর সেই ব্যভিচারকে ধর্ষণ হিসেবে গ্রহণ করে।

অথচ যদি এই ব্যভিচারকে ব্যভিচার হিসেবে প্রথমেই বিচার করা হত তবে ধর্ষণ মামলাটিই হতো না। এতে শাস্তি পেত বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক সৃষ্টিকারী তরুণ-তরুণি উভয়েই। সমাজ মুক্ত হতো পাপের ভার থেকে, পাপের কুফল থেকে। কিন্তু আমাদের সমাজব্যবস্থা তা না করে যখন প্রেম ঘটিত মিলনকে ধর্ষণ মামলা গ্রহণ করছে তখন বুঝতে হবে এটা সমস্যা নির্মূলের উপায় নয়। বরং গোড়া কাটা গাছের আগায় পানি ঢালা মাত্র।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৫২

নিলু বলেছেন: ধর্ষণ কেন হয় তার ব্যাখ্যা আগে প্রয়োজন ,

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১৭

উড়োজাহাজ বলেছেন: বৈধতা দেওয়া ব্যভিচার কঠোর হস্তে নির্মূল করুন, স্রষ্টা প্রদত্ত শাস্তি দিন, ক্যারিয়ার-ফ্যারিয়ারের প্রতিযোগিতা বাদ দিয়ে সময় মত বিয়ে দিন, বস্তুবাদী আচরণ হ্রাস করুন। ব্যাস ধর্ষণও কমে যাবে।

২| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১৯

জ্যানাস বলেছেন: বিয়ের প্রলোভন দেখিয়েও কি ধর্ষন সম্ভব!!
এটাতো হওয়ার কথা উভয় এর সম্মতিতে!

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৬

উড়োজাহাজ বলেছেন: উভয়ের সম্মতিতে 'ব্যভিচার'। খিটিমিটি বাধলে সেটাই হয় ধর্ষণ।

৩| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:১৮

নিলু বলেছেন: সমাজে কি অহরহ ধর্ষণ হচ্ছে না , আসল কথা দৈহিক সম্পর্ক একটা জৈবিক চাহিদা , এটা জোর পূর্বক বা ইচ্ছার বিরুদ্ধে হলে হয় ধর্ষণ আর ইচ্ছা করে হলে হয় সম্পর্ক এবং পরিকল্পিত ভাবে হলে হয় মামলা কখনো কখনো নয়তো জোর করে পরিনয় কিংবা প্রেমের ফাঁদ আর লিভ টুগেদার হলে কি হয় ?

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩১

উড়োজাহাজ বলেছেন: বুঝলাম না। মাথার উপ্রে দিয়া গেছে।

৪| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১:০৪

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: ভালবাসার পবিত্রতার মূল্যই এখানে।। এর অর্থ আমাদের কাছে!!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.