নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মনে আছে, মাত্র কয়েকদিন আগে, গত ডিসেম্বরে ফ্রান্স ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পক্ষে পার্লামেন্টে ভোট দিয়েছিল? শার্লি হেবদোর ঘটনার পর ফ্রান্সবাসী কিংবা পার্লামেন্টারিয়ানদের মানসিক অবস্থা কি আগের মত আছে? না, নেই। থাকার কথাও নয়। পুরো ইউরোপসহ বাকি বিশ্ব আজ মুসলমানদের এই অপকর্মের জন্য ঘৃণা প্রকাশ করছে। তাদের উপর আক্রমনাত্ব হয়ে উঠছে। মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি এই ঘৃণা সৃষ্টির জন্যই শার্লি হেবদোর এই কাণ্ডটা ঠিক এই সময়ে ঘটানো হয়েছে। কারা ঘটিয়েছে? ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা যাদের জন্য ক্ষতিকর তারাই। এ জন্যই ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতাকে দাবিয়ে রাখা সেই ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গত রবিবার শার্লি হেবদো কাণ্ডে নিহতদের স্মরণে যে অনুষ্ঠান হয়েছে তাতে অনাহুত অতিথি হয়ে হাজির হয়েছেন। যদিও তার উপস্থিতিকে পছন্দ করেননি খোদ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওঁলাদ।
হ্যা, এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল মুসলমানদেরই একটি অংশ। তবে এটা আংশিক সত্যি। পুরো সত্যি হচ্ছে এই কাজে তাদেরকে ব্যবহার করা হয়েছে। শার্লি হেবদো বহু আগে থেকেই ইসলামের বিরুদ্ধে, ইসলামের নবীর বিরুদ্ধে ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন আঁকার কাজ করে আসছিল। কাটতিহীন এই পত্রিকাটির কর্মকাণ্ডকে আগে থেকেই মুসলমানরা ঘৃণা করে আসছিল। কিন্তু পত্রিকাটির প্রায় পড়ন্ত বেলায় এই আঘাতের মাধ্যমে পত্রিকাটির কাটতি ধুম করে বেড়ে গেছে। বিশ্ববাসীর দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম হয়েছে পত্রিকাটি। এতে ক্ষতিটা হয়েছে একমাত্র সেই মুসলমানদেরই। শার্লি হেবদো কর্তৃপক্ষ (১২টি প্রাণ) এখানে শুধু ব্যবহৃত হয়েছে ঠিক মুসলমানরা যেভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। কিন্তু এই একটি ঢিলে একসাথে তিনটি পাখি মারতে সক্ষম হয়েছে ইসরাইল। একেতো ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতার পক্ষে ফ্রান্স যে উদ্যোগ নিয়েছে তা থেকে তারা সরে যাবে, দ্বিতীয়ত শার্লি হেবদোর প্রচারণার মাধ্যমে ইসলামকে, ইসলামের নবীকে আরো ভালোভাবে ডুবানো যাবে।
তৃতীয়ত, ফ্রান্সকে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরাইল অন্যদের মত তাদের কাছে পাচ্ছিল না। ইসরাইল ফিলিস্তিনের ভূমিকে জোর করে দখল করে নিজেদের রাষ্ট্র গঠন করেছে। আবার যেটুকু ভূমি ফিলিস্তিনের হাতে রয়েছে তাকেও অবরুদ্ধ করে রেখেছে। কিছুদিন পরপরই বিভিন্ন ছুতো ধরে সেখানে তারা চালাচ্ছে গণহত্যা। এই গর্হিত কাজে অর্থ, অস্ত্র ইত্যাদি দিয়ে ইসরাইলকে সর্বতোভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পৃথিবীর সব শান্তিকামী মানুষ এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করলেও নির্লজ্জভাবে যুক্তরাষ্ট্র তাদেরকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েই যাচ্ছে। ইসরাইলের এই ঘৃণ্যতম কাজে জাতিসংঘে নিন্দা প্রস্তাব আনা হলেও যুক্তরাষ্ট্র একাই সেই প্রস্তাবনাকে ভেটো দিয়ে নাকচ করে দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র-ইসরাইলের এই জোটের সাথে ইউরোপিয়ান অনেক দেশও আছে। কিন্তু এতকিছু হওয়া সত্বেও ফ্রান্স ইসরাইলের স্বাধীনতার পক্ষে ছিল। ফিলিস্তিনিদের উপর ফ্রান্সের একটি সহানুভূতিশীল মনোভাব ছিল। যুক্তরাষ্ট্র-ইসরাইলের এই জোটের এই অগ্রযাত্রাকে নিরঙ্কুশ করতে ফ্রান্সকে তাদের সাথে রাখা একান্তই প্রয়োজন ছিল। আর তাই শার্লি হেবদোর এই ঘটনা। এখন ফ্রান্স ইচ্ছে করলেও আর ফিলিস্তিনিদের পক্ষে কথা বলতে পারবে না। খোদ ফ্রান্সের নাগরিকরাই সেখানে বাধা হয়ে দাঁড়াবে।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:২১
উড়োজাহাজ বলেছেন: ইউরোপীয়ান জ্ঞানীরা কিন্তু এখন দেখতে পাচ্ছে!
২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:২৯
ইছামতির তী্রে বলেছেন: আপনার বিশ্লেষণ ভাল লেগেছে। আসলেই এই ঘটনার সব'চে বড় বেনিফিশিয়ারী হলো পারতপক্ষে ইসরাইল। আমার প্রথম থেকেই একটা প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খেয়েছে। তাহলো, প্যারিসের মত অত্যাধুনিক একটা শহরের একটা পত্রিকা অফিসে একে ৪৭, রকেট লাঞ্চার নিয়ে ঢুকে গেল অবলীলায়। বাধা দেয়ার কেউ থাকল না!! বড়ই অদ্ভুত! এ যেন আর এক ৯/১১।
নীল আকাশ ভাইয়ের মত আমার একই প্রশ্ন। কিন্তু ক্ষতি যা হবার মুসলিমদের হয়ে গেল।
তবে ওদের ষরযন্ত্র একদিন ছিন্ন হবেই ইনশাআল্লাহ।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৪৪
উড়োজাহাজ বলেছেন: ওদের ষড়যন্ত্র ততক্ষণ ছিন্ন হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা সচেতন না হই, তাদের ফাঁদে পা দেওয়া বন্ধ না করি। অবাক বিষয় হচ্ছে, শার্লি হেবদো কাণ্ডে বহু মুসলমানকে দেখা যায় অস্ত্রধারীদের সমর্থন করতে। এরাও নিশ্চয় অন্যক্ষেত্রে মানবতার শত্রুদের হয়ে কাজ করে যাবে। কিন্তু বুঝবেও না কিভাবে তারা ব্যবহৃত হচ্ছে।
৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:১৯
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
সুন্দর বিশ্লেষন।+++++
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৪
উড়োজাহাজ বলেছেন: সত্যিকার অর্থে বিশ্লেষণ করতে বসিনি। বাস্তবতাটা কি তাই তুলে ধরতে চেয়েছি মাত্র। ধন্যবাদ আপনাকে।
৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৩৬
শ্রাবণধারা বলেছেন: হুম ঠিকই বলেছেন । সবই ইহুদি নাসারাদের ষড়যন্ত্র । শুধু প্যারিসের এই হত্যাকান্ড নয়, কদিন আগে পুলিশের বাসে বোমা মেরে যে ৪০ জনের অধিক মানুষ মারা হলো, পেশোয়ারে স্কুলের শিশুদের নৃশংসভাবে মেরে ফেলা হল সবগুলো ইহুদি ষড়যন্ত্র । বোকো হারাম নাইজেরিয়ার স্কুলের মেয়েদের ধরে নিয়ে গিয়ে ছহবত করছে তারাও আসলে মোসলমান জংগী নয়, ইহুদি !!!!!
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:০০
উড়োজাহাজ বলেছেন: নিজ থেকে সব এত আগ বাড়িয়ে বলে দিচ্ছেন কেন? আমার চিন্তা তো এখনও অতদূর পর্যন্ত যেতে পারেনি?
৫| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৪২
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: সেই পত্রিকাটি একপ্রকার জেহাদ ঘোষনা করেছে ইসলামের বিরুদ্ধে।। বন্ধ করবে না তাদের কার্যক্রম।
ভাবছি আরেকটা ৯/১১ ঘটে গেল কি না?? বিশ্লেষনটা যুক্তসংগত।।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:০২
উড়োজাহাজ বলেছেন: যা হওয়ার তা যত দ্রুত হবে তা ততই মঙ্গলজনক। বর্তমান সময়টা বড় শ্বাসরুদ্ধকর। এসপার-ওসপার একটা কিছু হয়ে যাওয়াই ভাল।
৬| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৩৫
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: বলার কিছুই নেই।। শুধু আবেগ দিয়ে যুদ্ধজয় হয় না।। ধ্বংশই শেষ কথা।।
৭| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:২২
ইছামতির তী্রে বলেছেন: নিচের লিঙ্কে যান। এটা আসলেই সাজানো একটা ঘটনা।
এই লিঙ্কে
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:১৮
উড়োজাহাজ বলেছেন: এত বড় লেখা পড়ার ধৈর্য নেই। তবে ঘটনাটি কারা ঘটিয়েেছে তা বুঝতে বোধ হয় খবু বেশি জ্ঞানী হওয়ার প্রয়োজন নেই। লাভ-ক্ষতি কার হয়েছে সেটা বিবেচনা করলেই বুঝে যাওয়ার কথা। ধন্যবাদ আপনাকে।
৮| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৩০
জনাব মাহাবুব বলেছেন: আপনার বাস্তবতা বিশ্লেষণটি ভালো লাগলো। এত গভীরে গিয়ে ঘটনাটি ভাবিনি।
মুসলমানরা এখন সারাবিশ্বের ক্রীড়ানকে পরিণত হয়েছে। সবাই মুসলমানদের নিয়ে খেলছে এবং হত্যাও করছে
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:২৪
উড়োজাহাজ বলেছেন: কিন্তু সত্যিকার মুসলিমদের এমন অবস্থা হওয়ার কথা নয়। দুখের সাথে বলতে হয় ১৮০ কোটির জলে ভেসে যাওয়া আবর্জনা এরা। স্মরণ করুন, রসুলের সেই বাণীটির কথা যেখানে তিনি বলেছিলেন এমন এক সময় আসছে যখন অন্যরা তোমাদেরকে হত্যার জন্য একে অপরকে এমনভাবে আহ্বান করবে যেমন করে আহ্বান করা হয় খাওয়ার জন্য।
একজন তখন জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রসুলাল্লাহ! তখন সংখ্যায় কি আমরা এতই অল্প হয়ে যাব? তিনি বললেন, না, তোমরা তখন সংখ্যায় হবে অসংখ্য। কিন্তু তোমরা হবে ভেসে যাওয়া আবর্জনার মত...(ভাবার্থ)।
ঐক্যহীন জাতি আবর্জনা না তো কী?
৯| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৫৩
যুদ্ধবাজ বলেছেন: দুঃখ একটাই, বাংলার মানুষ এখনও গোঁড়া ধর্মান্ধ রয়ে গেল। নবীজি-কে তার জীবিত অবস্থাতেও তো অনেকেই অনেক ভাবে অপমান করেছে, তার প্রতিক্রিয়া হিসেবে কি নবীজি তাদের হত্যা করেছেন? নিশ্চয়ই না। কোন ভাবেই কোন হত্যাকান্ডকে সমর্থন করা যায় না, সেটা যে কারনেই হোক। আমি মুসলমান এবং আমি শার্লি এবেদোর হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা জানাই।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:২৫
উড়োজাহাজ বলেছেন: তার চেয়েও দুখজনক এই বোকা জাতিটাকে শত্রুরা কী নিষ্ঠুর খেলাটা খেলছে! এরা মানুষ নয়, এরা মানবতার শত্রু । দাজ্জালের অনুসারী।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:১০
নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: জীবনে শুনিনাই কেউ ডাকাতি করে তারপর ঘটনাস্থলে নিজের পরিচয়পত্র ফেলে আসে।