নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলা ভাষায় কথা বলা মানুষের মুক্তির জন্য লড়াই করি।আমি জাতীয়তাবাদ ও ধর্মবিশ্বাসের চরম বিরোধিতা করি।

মোহাম্মাদ ফারহান খান

মোহাম্মাদ ফারহান খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুহাম্মাদ পৃথিবীর সর্ব শ্রেষ্ঠ মানুষ নয়।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৫:৫৮

মানব সমাজ পরিবর্তনশীল।সমাজের মানুষগুলো একই রকম।সময়ের সাথে সমাজে বসবাস করা মানুষের মূল্যবোধ ও বিশ্বাসের পরিবর্তন হয়।যদি কোন সমাজের মানুষ সময়ের সাথে নিজদের পরিবর্তন না করে তাহলে তারা পিছিয়ে পড়বে।পরিবর্তনশীল সমাজে মানুষ অনেক প্রচীন ধ্যান ধারণা বর্জন করে।নতুন সব আদর্শ,সংস্কৃতি ও সভ্যতা গ্রহণ করে।

সমাজের এই পরিবর্তনশীলতার কারণে আদর্শ,সংস্কৃতি ও সভ্যতার প্রতি মানুষের ধারনার পরিবর্তন হয়।তাই পরিবর্তনশীল মানুষের কাছে কোন ব্যক্তি সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ হিসাবে গণ্য হতে পারে না।পৃথিবীতে এমন কোন লোক খুজে পাওয়া যাবে না যার চরিত্র ও জীবনের আদর্শের সকল দিকগুলো পৃথিবী ধ্বংসের আগ পর্যন্ত মানুষের কাছে সর্বশ্রেষ্ঠ বলে মনে হবে।যদি কোন ব্যক্তিকে সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ দাবি করা হয় তাহলে সেই ব্যক্তির জীবনের সকল কাজ ও তার আদর্শিক ধ্যান ধরনা যুগের মানদন্ডে সফলভাবে উত্তির্ন হতে হবে।তার জীবনের কোন কিছু সময়ের কাছে মেয়াদ উত্তণ হলে সে সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ হবে না।

পৃথিবীতে নিজকে মহামানব তথা সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ বলে ঘোষণা দেওয়া একজন মানুষ ও তার জীবনের কিছু কাজ পর্যালোচনা করে দেখি তিনি সর্বউত্তম বা সর্বযুগের আর্দশ কি না?

মুহাম্মাদ নিজকে পৃথিবীর রহমত,সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ আদর্শ বলে বেশ কয়েক বার দাবি করেছেন।আমরা তার জীবনের তিনটা পয়েন্ট আলোচনা করবো:

১)গড ও তার মেসেঞ্জার হওয়া।

২)বহুবিবাহ করা।

৩)বাল্য বিবাহ করা।

গড ও তার মেসেঞ্জার হওয়া
‌----------------------------------------
আপনারা যারা মানব সভ্যতার ইতিহাস পাঠ করেছেন তারা জানেন গড এর ধারণা সমাজ বিবর্তনের এক পর্যায়ে উদ্ভব হয়।গডের ধারণা মাথায় গজানো নিয়ে সমাজ বিজ্ঞানীদের নানা মত বিদ্যমান।অনেকে মনে করেন টোটেম হচ্ছে আদি মানব সমাজের ধর্ম বিশ্বাসের ভিত্তি ছিল।ক্লানের সদস্যরা তাদের পূর্বপুরুষদের পূজা অর্চনার মাধ্যমে সম্মরণ করার সময় বিভিন্ন জন্তু জানোয়ারকে প্রতিক হিসাবে গ্রহণ করতো।এছাড়া বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যের কারণে মানুষের মধ্যে অলৌকিক শক্তির প্রতি ধারণা জন্ম নেয়।তারা অলৌকিক শক্তির পূজা করা শুরু করে দেয়।
সমাজবিদের মতে ধর্ম বিশ্বাস সম্পূর্ণ ভ্রান্ত।সমাজিক বিবর্তনের ফসল হচ্ছে আমাদের ধর্ম বিশ্বাস।এই রকম ভ্রান্ত মতাদর্শের প্রচার করে সমাজকে পরিবর্তেন চেষ্টা করেছেন মুহাম্মাদ।নিজে মিথ্যার আশ্রায় নিয়ে কোন বড় ধরনের পরিবর্তনের চেষ্টা করা দৃঢ় চিত্তের অভাব ও চারিত্রিক দূরবলতার(অসততা) বহিঃপ্রকাশ করে মাত্র।যে ব্যক্তির মধ্যে দৃঢ় চিত্তের অভাব ও চারিত্রিক দূর্বলতা(অসততা) বিদ্যমান তাকে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব,উত্তম আদর্শ ও চরিত্রের অধিকারী বলে দাবি করা অযৌক্তিক।

বহুবিবাহ করা
--------------------
সভ্য সমাজে বহু বিবাহ গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে।নারী শিক্ষার প্রসার,কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও নারীর ক্ষমতায়ানের ফলে নারীরা প্রচীন যুগের চেয়ে এখন অনেক সচেতন ও স্বাধীনচেতা।বর্তমানে কোন নারী তার স্বামীকে বহুবিবাহ করতে দিবে না।যদি কোন মুসলিম পুরুষ বহু বিবাহ করে তাহলে স্ত্রী তাকে লকাপে(জেলে)পাঠাবে।

প্রচীন কালে নারীদের দূর্বল সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থানের সুযোগে পুরুষ বহুবিবাহ করতো।মুহাম্মাদ নিজেও এই সুযোগের ব্যবহার করেছেন।।মুহাম্মাদ জীবনে অনেকগুলো বিয়ে করেছিল এবং তার অনেক ক্রীতদাসী ছিল।নবীর বহু স্ত্রীরা পরস্পরের সাথে বিদ্বেষপূর্ণ মনোভাব পোষণ করতো।নবী মুহাম্মাদ জীবন দশায় কয়টি বিয়ে করেছিল তা নিয়ে মত ভেদ আছে।তবে এটা বলা যায় তার ১৩ জন স্ত্রী এবং কয়েজন ক্রতদাসী ছিলো।
All but two of his marriages were contracted after the Hijra (migration to Medina). Of Muhammad's thirteen wives, at least two, Rayhana bint Zayd and Maria al-Qibtiyya, were actually only concubines;however, there is debate among Muslims as to whether these two became his wives.Of his thirteen wives and concubines, only two bore him children, a fact which has been described as "curious" by Cornell University Professor of Near Eastern Studies David S. Powers.

তথ্যসূত্রঃ Click This Link

উন্নত রুচিসম্মত মানুষের কাছে এতগুলো বিয়ে দৃষ্টিকটু।আধুনিক মানুষের কাছে বহুবিবাহ একটা প্রচীন প্রথা হিসাবে বিবেচিত হয়।এই রকম প্রচীন প্রথা ও রীতিনীতি নিজের জীবনের অংশ করে নিয়েছে মুহাম্মাদ।বর্তমান সময়ে তার কাজ অত্যান্ত রুচিহীন ও শাস্তি যোগ্য।তাহলে মুহাম্মাদকে কি ভাবে সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ বা আদর্শ বলে প্রচার করেন?

বাল্যবিবাহ
---------------
যে কোন মানুষকে খারাপ বা ভাল বিচার করতে হবে সেই মানুষ যে যুগে বাস করতো তখনকার সমাজিক,রাজনৈতিক মূল্যবোধ দ্বারা।মুহাম্মাদের ক্ষেত্রে তাই প্রযোজ্য কিন্তু যদি মুহাম্মাদকে ইশ্বরের পাঠানো কোন মহামানব দাবি করা হয়।যিনি সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ যার আদর্শের উপরে অন্য কোন মানুষের আদর্শ শ্রেষ্ঠ হতে পারে না মনে করেন তখন তাকে(মুহাম্মাদ)প্রচলিত সমাজের কাছে গ্রহণ যোগ্য হতে হবে।মুহাম্মাদ যিনি স্বঘোষিত একজন সর্বশ্রেষ্ঠ মানব।তার জীবনের বিতর্কিত কাজগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে শেষ জীবনে এসে ৬-৯ বছর বয়সী মেয়েকে বিয়া করা।
প্রচীন কালে তার এই বিয়ে মানুষের কাছে গ্রহণ যোগ্য ছিল।বর্তমানে সময়ে ৯ বছর বয়সী একজন শিশুকে বিয়ে করা বাল্য বিবাহ এবং সমাজিক সমস্যা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।একবার চিন্তা করুন যে কথিত আল্লাহ মুহাম্মাদকে সকল মানুষের থেকে শ্রেষ্ট ঘোষণা করলো অথচ জানতেন না পৃথিবীর মানুষ মুহাম্মাদের অনেক সমালোচনা করবে এক সময় ৯ বছর বয়সী মেয়ে শিশুকে বিয়ে করার জন্য।

অনেক মুসলিম বিভিন্ন কবি,সাহিত্যিক,রাজনীতিবিদ ও দার্শনিকের জীবন পর্যালোচনা করে দাবি করেন যদি তারা কম বয়সী মেয়ে বিয়ে করতে পারে তাহলে নবী (স:)কেন ৯ বছর বয়সী মেয়েকে বিয়ে করতে পারবেন না।

মুমিন ভাইরা নবীকে বাঁচাতে গিয়ে যে সব জ্ঞনী মানুষকে টার্গেট করে তাদের মধ্যে দুইজন হচ্ছেন শেখ মুজিব ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

বাঙ্গালী জাতির পিতা জন্ম গ্রহণ করেন ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ।বঙ্গমাতা জন্ম গ্রহণ করেন ১৯৩০ সালে। দুইজনের মধ্যে বয়সের ডিফারেন্স ছিল মাত্র ১০ বছর।

তথ্যসূত্রঃ
১) Click This Link

২) Click This Link

অন্যদিকে মুহাম্মাদ ও আয়েশার বয়সের ডিফারেন্স ছিল আকাশ পাতাল।একজন জীবনের অন্তিমকালে অন্যজন নব যৌবনে পা দিচ্ছিলেন।মুহাম্মাদ জন্মগ্রহণ করে ৫৭০ সালে।মা আয়েশা জন্ম গ্রহণ করেন ৬১৩ সালে।পার্থক্য অনেক বিশাল।

তথ্যসূত্রঃ
১) https://en.m.wikipedia.org/wiki/Aisha

২) https://en.m.wikipedia.org/wiki/Muhammad

মুমিনরা নবীকে আধুনিক মানুষ প্রমাণ করতে গিয়ে জাতির পিতাকে তুলে ধরে কিন্তু তাতে সমস্যা আরো প্রকট হয়ে দাঁড়ায়।মুহাম্মাদ ও আয়েশার বয়সের পার্থক্য মুজিব দম্পতির চেয়ে অনেক বেশি।

বিভিন্ন জ্ঞানী মানুষের সাথে মুহাম্মাদের বিয়ে তুলনা করা যাবে না।কারণ গুলো নিম্নেঃ

১)কবি,সাহিত্যিক ও রাজনীতিবিদরা নিজকে নবী দাবি করতেন না এবং তাদের কাছে কোন ফেরেস্তা আসতো না।অথচ মুহাম্মাদ দাবি করেছে তিনি আল্লাহর নবী এবং তার নিকট ফেরেস্তা আসে।

২)বিভিন্ন গুনীজন যারা কম বয়সী মেয়ে বিয়ে করেছিল। তারা নিজকে মহান চরিত্র,আর্দশের ধারক বাহক বলেন নি।অন্যদিকে মুহাম্মাদ নিজকে পৃথিবীর রহমত,সর্বশ্রষ্ঠ মানুষ দাবি করেছে।

৩)মুহাম্মাদ বিয়ে করেছেন কম বয়সী মেয়ে আবার মুহাম্মাদের মৃত্যুর পর তার বিবিদের বিবাহ করা হারাম ছিল।রবীন্দ্র ও জাতির পিতা বলে যান নি "আমি মরার পর আমার বউকে কেউ বিয়ে করতে পাবে না"।

৪)সাধারণ মানুষ যারা আল্প বয়সী মেয়ে বিয়ে করেছেন।সেই পুরুষের সাথে কন্যার বয়সের পার্থক্য কম ছিল।বিপরীত দিকে মুহাম্মাদ ও আয়েশার বয়সের পার্থক্য প্রায় ৫০ বছর।

মুহাম্মাদের অনুসারীরা তাকে সকল যুগের সর্ব শ্রেষ্ঠ মানুষ বলে দাবি করে। অন্য দিকে তার ৯ বছরের মেয়ে বিয়ে করা সমাজিক সমস্যার সৃষ্টি হিসাবে বর্তমানে চিহ্নিত।এখন বলুন একজন সর্ব শ্রেষ্ঠ মানুষের কোন কাজ সমাজ ও জাতির জন্য ক্ষতি কর কি?

মুসলিমরা আবার প্রশ্ন করতে পারে তাহলে জাতির পিতা শেখ মুজিব ও রবীন্দ্রনাথের মত মানুষেরা কি সামাজিক সমস্যা সৃষ্টি করেছিলেন?

উত্তর মানুষ মুহাম্মাদ,রবি দা,জাতির পিতা মুজিব কেউ ৯বছরের মেয়ে বিয়ে করে সমাজিক সমস্যা সৃষ্টি করেন নি।তারা সবাই সাধারণ মানুষ।সেই সময়ে কোন মানুষ অল্পবয়সী মেয়ে বিয়ে দেওয়ার কুপ্রভাব সম্পর্কে সচেতন ছিলেন না।তাদের সময় এই কাজ সাধারণ সামাজিক রীতিনীতির মধ্যে পড়তো।কিন্তু যদি মুন্সি গিরি করে বলেন মুহাম্মাদ পৃথিবীর সর্ব শ্রেষ্ঠ মানুষ,সব যুগে তার আদর্শ সর্বশ্রেষ্ঠ,আল্লাহ তাকে নবী বানিয়ে ছিলেন।তাহলে দাবি করবো এ কেমন নবী!কেমন আল্লাহ যে নবীকে দিয়ে বাল্যবিবাহ করিয়েছেন।

পরিশেষে,বলি পৃথিবীর একজন মানুষকে খুজে পাওয়া যাবে না যে সকল যুগের সর্বশ্রষ্ঠ মানুষ,সর্বযুগের আদর্শ ও সর্বত্তম চরিত্রের অধিকারী।প্রত্যেক মানুষের কিছু খারাপ দিক থাকে মুহাম্মাদ থেকে শুরু করে আমি আপনি সবাই এই চিরন্তন নিয়মের মধ্যে পড়ি।মুহাম্মাদ একজন সমাজ সংস্কারক মাত্র। তিনি সমাজের পরিবর্তনের তাগিদে ধর্ম বানিয়েছেন।তিনি কোন নবী নন এবং আল্লাহ বলে কেউ নেই।সুতরাং মুহাম্মাদও তার বিতর্কিত কাজকর্মের বিচারে পৃথিবীর সর্ব শ্রেষ্ঠ মানুষ নয়।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:১২

রাজীব নুর বলেছেন: হুম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.