নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঘরকুনো ভবঘুরে। পথের প্রতি কি এক ভীষণ আকর্ষন অনুভব করি। অজানা অচেনা পথের ডাক শুনতে পাই। কিন্তু, সে ডাকে সাড়া দায়ে হয়না, দিতে পারিনা।

আতিক ইশরাক ইমন

প্রলাপ বক্তা

আতিক ইশরাক ইমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বীকারোক্তি

৩১ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৫

স্বীকার করে নিচ্ছি, যত ভুল আর ব্যর্থতা, তার সব দায়ভার আমার। শুধুই আমার; না আমার ভাগ্যের, না আশপাশের মানুষের। এতদিন আমার ব্যর্থতার জন্য অন্যদের কিছুটা হলেও দায়ী করতাম। ঐটা যদি সেভাবে না হয়ে এভাবে হতো বা সেটা না হয়ে এটা হতো তাহলে ফলাফল অন্যরকম হতো, এমনসব খোঁড়া অযুহাত দিয়ে নিজেকে দায়ভার থেকে মুক্ত রাখতে চাইতাম। অনেকদিন সেসব কথা বিশ্বাস ও করেছি। কিন্তু আর করছি না। মাত্র একটাই জীবন। সেটাকে ভুল বিশ্বাসে জড়িয়ে শেষ করে দিলে জীবনের সঠিক ব্যবহারটা হয় না আসলে। তিন চারটা জীবন থাকলে অবশ্য সেটা অন্য ব্যাপার ছিল, কিন্তু তেমন তো না। একটা জীবন, তাও সেটার সময়ই বা কত সেটা অজানা। এমন অনিশ্চয়তায় ভরা সময়টাকে সঠিকভাবে ব্যবহার করাটাই দরকার।

তাছাড়া আমি একজন পলায়নপ্রবন মানুষ, escapist, অর্থাৎ বাস্তবতা থেকে পালিয়ে বেড়ানো একজন মানুষ। তো এমন মানুষের ক্ষেত্রে নিজের ব্যর্থতাকে ঢাকতে অন্যদের উপর দোষ চিপিয়ে দেয়াটাই স্বাভাবিক। তেমনটাই করেছি এতদিন। কিন্তু সত্যিকথা বলতে কি, আমার নিজের কাছেই নিজের এই দিকটা ভালো লাগেনা। আসলে প্রত্যেক মানুষের মাঝেই একটা দ্বিত্ব সত্তা আছে, যে প্রচ্ছন্ন থাকে, কিন্তু মূল সত্তাকে পর্যালোচনা করে। আত্মসমালোচনা বলতে পারেন, ইচ্ছা হলে একটু ভারিক্কি চালে alter ego বলতে পারেন, কিন্তু যাই বলেন না কেন, সেটার কাছে আমি আজ নিজের দোষ, ভুল আর ব্যর্থতার সম্পূর্ন দায় স্বীকার করে নিচ্ছি।
এখন আশা আছে এক metamorphosis ঘটানোর। শুঁয়োপোকা থেকে প্রজাপিত হয়ে ওঠার আশা। প্রজাপতি, অথবা papillon। যে প্যাপিলন বার বার কয়েদখানার শেকল ভেঙে মুক্তির স্বাদ নেয়। আমিও তো আমার মনের কয়েদখানায় বন্দী, I'm a prisoner of my own mind।
এখন তো শুয়োপোকার মত নিজেকে কোকুনের মধ্যে গুটিয়ে রেখেছি। ভয়, হীনমন্যতা আর দুর্বলতার কোকুনের মাঝে গুটিয়ে আছি। এ কোকুন কেটে স্বাধীন প্রজাপতি হয়ে বেরিয়ে আসতে চাই। সেই প্রজাপতি, যে প্যাপিলনের মত সব বাঁধা পেরিয়ে নিজের লক্ষে এগিয়ে যাবে। মুক্তির লক্ষে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৩:১৪

কানিজ রিনা বলেছেন: খুব ভাল লাগল আসলে নিজেকে বিচার করতে পারাই মহত্ব্য়। আমি আমার ছেলে মেয়ের কাছে স্বীকার করি, তোমাদের এত দু:খ তার জন্য় দায়ী
আমি, কারন আমি জীবনের সঙ্গী নিরুপন করতে ভুল করেছিলাম যে কিনা ওদের বাবা। ওরা আমাকে প্রশ্ন করে মা তোমার এত বুদ্ধি কিন্তু এই
লোকটাকে ভালবেসে বিয়ে করেছিলে কেন? যে বাবা হওয়ার যোগ্য়তাই রাখেনা। ওরা এত শিক্ষিত হয়েও বাবার কারনে পরিচিত মানুষের কাছে মুখ
আড়াল করে রাখে। ওদের বাবা মাতাল লম্পট। দুইযুগ অতিক্রম করেছি কত নির্মমতা সয্য় করেছি সাথে সাথে ওরাও বাবার নির্মমতায় অসয্য়।
তারপর ওদেরকে বাঁচানর জন্য় আলাদা থাকি। ছেলে রড় হতে লোকটা আরও উচ্ছৃংখ্য়ল হয়ে তার ব্য়াভিচারের রাজত্ব কায়েম করল দেশ থেকে
বিদেশ। তাই ছেলে মেয়েকে বলি তোমাদের মনের কষ্টর জন্য় আমিই দায়ী। আমি কিছু দিয়েই ওদের লজ্জা দু:খ ঢাকতে পারিনা।
আপনার লেখায় নিজের দোশের কিছু প্রকাশ করলাম। আপনাকে অসংখ্য় ধন্য়বাদ।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৫

আতিক ইশরাক ইমন বলেছেন: আপনার বাদবাকি লেখাগুলো পড়লাম। আসলে আপনাকে কোনোকিছু বলে সান্তনা দেয়ার ক্ষমতা আমার নেই, আমি সে চেষ্টা করবোও না। নিজেকে দিয়েই তো বুঝি, সান্তনায় কোনো কাজ হয় না। তবে এটুকু বলতে পারি, আপনি একজন সংগ্রামী মানুষ। কারন এতকিছুর পরেও আপনার সন্তানদের মানুষের মত মানুষ করতে পেরেছেন, পিতার কুপ্রভাব সন্তানদের উপর পড়তে দেননি, এটাও তো আপনার একটা বড় সার্থকতা। হ্যাঁ, আমরা সবাই জীবনের কোনো এক পর্যায়ে ভুল করি, সেই ভুলের মাশুলও আমাদেরই দিতে হয়, কিন্তু সত্যি কথা বলতে কি, সংগ্রামী মানুষদের জীবন হারতে দেয় না। আপনিও হারনেন না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.