![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যেখানে আমাদের দরকার একতার, সেখানেই আমরা বিভেদের দেয়াল খাড়া করে দিয়েছি। কেউ স্বার্থের জন্য, কেউ নিজের অহংকার টিকিয়ে রাখার জন্য, কেউ আবার নিজের আধিপত্যকে টিকিয়ে রাখার জন্য, কেউ আবার ধর্মের দোহায় দিয়ে তৈরি করছি বিভিন্ন দল। এসব দলের মতামত, বিশ্বাস, নিয়মকানুন অনেক সময় সংঘর্ষের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সংঘর্ষ কখনোই কল্যাণ বয়ে আনেনা। এসব সংঘর্ষে নেতৃস্থানীয় সামান্য কিছু লোকই লাভবান হয়, বেশিরভাগই থাকে ক্ষতির পাতায়।
১০০ বছর আগে মানুষ জ্ঞান বিজ্ঞানে যতটুকু উন্নত ছিল তার চেয়ে অনেক অনেক গুণ বেশি উন্নত এখনকার মানুষ। কিন্তু হিংস্রতা আগের থেকে কমেনি বরং বেড়েছে। ধর্ম নিয়ে মারামারি এই আধুনিক যুগে বড়ই বেমানান। আর এই বেমানান কাজগুলোই প্রতিনিয়ত হচ্ছে। ধর্মকে পুজি করে ব্যাক্তিতে ব্যাক্তিতে আক্রোশ বাড়ছে, একজন আরেকজনের উপর অন্যায়ভাবে আক্রমণে ঝাপিয়ে পড়ছে। বিভক্ত হচ্ছে সমাজ, সংস্কৃতি ও দেশ।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে ধর্মগুলো কি এভাবে একজন আরেকজনকে অন্যায়ভাবে আঘাত করতে বলে? যদি উত্তরটা হ্যা হয় তাহলে আমি বলব এমন ধর্মকে বস্তায় ভরে ডাস্টবিনে ফেলে দাও। আর যদি উত্তরটা না হয় তাহলে এই বিভেদ কে সৃষ্টি করছে? কি তাদের উদ্দেশ্য?
বর্তমান যুগ আধুনিক যুগ। এখানে জ্ঞান বিজ্ঞানের প্রতিযোগিতা হবে। এখানে কার থেকে কে কতটুকু বড় তার প্রতিযোগিতা হবে শিক্ষার মাধ্যমে, যুদ্ধের মাধ্যমে না। মানুষ মানুষকে মানুষ হিসেবেই চিনবে, হিন্দু, মুসলিম, বোদ্ধ, খ্রিষ্টান পরিচয়ে চিনবেনা। ধর্মকে পুজি করে সংঘর্ষ, স্রষ্টার থাকা না থাকা নিয়ে আস্তিক নাস্তিকের সাথে সংঘর্ষ এসব কাঙ্ক্ষিত না।
কোন জাতি বা দেশকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হলে প্রথমেই যা প্রয়োজন তা হচ্ছে একতা। একতাহীন জাতি হয় দুর্বল। মানুষ মানুষের সাথে মতের অমিল থাকবেই। অতীতেও ছিল ভবিষ্যতেও থাকবে। কিন্তু নিজের মত বা বিশ্বাসের প্রাধান্য বিস্তার করার জন্য অন্যের মত বা বিস্বাসকে আঘাত করা মোটেই উচিত না। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান সম্ভব। জোড় করে সমস্যার সমাধান হয়না বরং বাড়ে।
কথায় আছে দশের লাঠি একের বোঝা।
একতাই শক্তি, একতাই বল
একতাই মাধ্যমেই জাতি হতে পারে সফল।
©somewhere in net ltd.