নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানবিকতা যার মধ্যে আছে সেই আল্লাহকে পায়

আতা স্বপন

আমি একজন মুসলমান। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি আমার ধর্ম ও আমার দেশকে ভালবাসি। ভালবাসি ধর্মমত নির্বিশেষে আমার দেশের সকল মানুষকে।আমি সৎ মানুষ ভালবাসি। নিজে সৎ হতে চাই।

আতা স্বপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

তরুন তুরুনিদের চরিত্র হরনের পর তাদরে দ্বারা ধর্ষন হলে এ দোষ কার?

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩০

অশ্লিলতা বেহায়া পনা যেহারে বেরে চলছে তাতে ধর্ষন এর ঘটনা বৃদ্ধি পাবে এটাই স্বাভাবিক। আধুনিকতার নামে পোষাক আশাক থেকে শুরু করে শিল্প সংস্কুতীতে অশ্লিলতার প্রসার লক্ষ করার মত। অথচ ধর্মীয় মূল্যবোধ যদি কোন পরিবারে মুল মন্ত্র হতো তাহলে সে পরিবারের ছেলে মেয়েরা হাতো চরিত্রগত ভাবে শালিন। কারন প্রায় প্রতিটি ধর্মগন্থই বলে শালিন পোষাক পরিধানের কথা। হিজাবের কথা। সেজন্য খৃষ্টানদের ধর্মীয় পোষাক হিজাব। মুসলমানদের সার্বক্ষনিক পোষাক হল হিজাব। মহিলাদের মাথা থেকে পা পর্যন্ত পুরো শরির ঢেকে রাখতে হবে। পুরুষদের নাভির নিচ থেকে টাকুন গীরা পর্যন্ত । এটাকে ইসলামে সতর ঢাকা বলা হয়। এই আবৃত জায়গাগুলো বিপরিত লিংগকে আকৃষ্ট করে বলে এগুলো ঢাকার বিধান ধর্মে রয়েছে।

আজ রাস্তা ঘাটে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মের এই বিধান মানা হচ্ছে না। এই বিধানকে মধ্যযুগীয় বলে দুরে ঠেলে আধুনিকতার নামে পশ্চিমা কালচারে অভ্যস্ত হচ্ছি আমরা।

আমাদের শিল্প সংস্কৃতিতেও এর প্রভাব লক্ষ করা যায়। স্যাটালাইট টিভি আর চলচিত্রের বর্তমান হাল হকিকত দেখলে তা অনুমান করা যাবে। সিনেমা আর নাটকে ইভটিজিং একটা সাধারন বিষয়। নাইকাকে নায়ক ইভটিজিং করেই প্রথমে দৃষ্টি আকর্ষন করে। আর এই অনুকরন যেকোন তরুন দর্শক করতেতো চাইবেই। হিন্দি ছবিগুলোতে দেখানো হয় আইটেম গান হিসেবে খোলামেলা নাচের দৃশ্য। যা দেখে তরুন তরুনিরা যৌন সম্পর্কেরে দিকে এগিয়ে যায়। এটা সত্যই উদ্বেগ জনক। ভারতে তাই ঘটে গেল জঘন্যতম এক নির্মম ঘটনা। তাই বলি ধর্ষন এর কোন সিন সিনেমায় না দেখানোয় উচিত। এসব সিন দেকে ধর্ষনকারীরা উৎসাহিত হয়।



তরুন তুরুনিদের চরিত্র হরন করার পর তাদরে দিয়ে পাপ কাজ বা ধর্ষন হলে এর দোষ কার? যারা তরুন তরুনীদের অশ্লীলতা বেহায়াপনার পথে নিয়ে গিয়েছে তাদের। আগে তাদর বিচার হওয়া দরকার। তাদের ফাসিঁ হওয়া দরকার। আমাদের দেশে টাংগাইলে আর সাভারে গন ধর্ষনের স্বিকার হয়েছে ভারতের মত। ধর্ষনের হাওয়া শুরু হয়েছে যেনো চারিপাশে।



আমাদের দেশে ধর্ষনের সেঞ্চুরী হয়। ধর্ষক শাস্তির পরিবর্তে পায় পুরস্কার। ফায়ার এর মত অশ্লীল ছবি মুক্তি দেয়া হয়। ছবির ডায়লগে থাকে অশ্লিল যৌনউত্তেজক শব্দ। ছবির পোষ্টারে থাকে আকর্ষনিয় ভংগিমায় নগ্ন নারী দেহ। তরুনদের আমন্ত্রন জানানো হচ্ছে। তরুনরা আকর্ষিত হচ্ছে ধংস হচ্ছে। এমন উৎসাহ পেলে ধর্ষন কি বারবে না কমবে?



সরাকারের কাছ আকুল আবেদন ধর্ষনের এই জোয়ার রুখতে জাতীয় জিবন থেকে অশ্লীলতার কালো ছায়া দুর করুন। প্লিজ। নয়তো ঘটে যেতে পারে দৈবিক বা জাগতিক কোন বড় দূর্ঘটনা।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৯

ডিজিটাল বোকা বলেছেন: ভাই সত্য কথা বলছেন তো আপনার এসব লেখা কেউ পড়বেও না , মন্তব্যও করবে না । লেখার সাথে ১৮ লেবেল দিয়ে অশ্লীল কিছু লেখেন , দেখেন মৌমাছি কিভাবে আসে ..................।

২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:০৬

টুটুল২০০৮ বলেছেন: সহমত ।
কিন্তু সবার আগে প্রয়োজন নিজেদেরকে সংশোধন করা । নিজের চরিত্রকে মজবুত করা ।

৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৩২

দেখি তো পারি কিনা..... বলেছেন: ভাই আমাদের মতো অতি শিক্ষিত এবং অতি আধুনিক ধারার মানুষেরা মুখে নিজেকে বড় মানবতাবাধী, বড় মানবদরদী হিসেবে জাহির করে।

কিন্তু নিজেদের সুবিধার ক্ষেত্রে এরাই সেটা বেমালুম ভুলে যায়।

৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৩

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: ধর্ম/পোশাক অনেক ভেতরের বিষয়, একটি জাতির শুরুর সাথে মিলে আছে এটা!! চাইলেই উপড়ে ফেলা সম্ভব না.. আমরা সৌদি না, যে সবাই হিজাব পরবে, আবার ইউরোপ না যে যা ইচ্ছা তাই কর কেউ কিছু করবেনা!!

পারিবারিক শিক্ষাটা তাই এখানে খুব গুরুত্বপূর্ণ এটির সাথে একমত... তবে আপনি যদি এখনকার কথা বলেন আমার মতে সমাধান হবে কঠিন আইন ও তার প্রয়োগ, সাথে পূর্ণাঙ্গ সামাজিক সচেতনতা..... সকলের দৃষ্টিভঙ্গি পরিষ্কার করতে হবে... ধর্মের কথা বলেন যদি, ধর্ম মেয়েটিকে যেমন সাবধানে থাকার কথা বলেছে, পুরুষদেরও নিয়ন্ত্রণ করতে বলেছে.... আসুন সামাজিকভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলি...

৫| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৯

মেংগো পিপোল বলেছেন: আমাদের দেশটা যেন কেমন, যখন কিছু আরম্ভ হয় মহামারীর মতন আরম্ভ হয়, কিছু উদাহরন দেইঃ

ইভটিজিং, এমন খারাপ অবস্হায় পৌছালো কিছুদিন আগে যে সরকারও বিব্রত হয়ে গিয়েছিল।
গুমঃ আবারও সরকার বিব্রত, আমরা আতংকিত।
মহানবীকে অবমাননা, এবার আমরা বিব্রত রামুতে আগুন।
ইদানিং আরম্ভ হয়েছে ধর্ষণ, এবার আমরা সবাই বিচার প্রার্থী কিন্তু জেন্ডার বৈসম্ম এবং নারীর পোশাক পরার অধিকার নিয়ে টানা-হেচড়া। এ কোন পথে যাচ্ছে সমাজ?! আমরা খারাপ কে ভালো ভাবা আরম্ভ করেছি ভালো কে খারাপ, এভাবে চলতে থাকতে পারনা, ফ্রগতীর জাতনায় আমরা উন্নতির সভ্য (!) তার চরম গরম জায়গায় পৌছাইতেছি সেটা খুব বুঝতেছি।

কিন্তু এ কি আরম্ভ হল?! মানুষ বিবেক বর্জিত হয়ে যাচ্ছে কিন্তু কেন?

এই কেনোর উত্তর টা জানা থাকলে যে কেউ একটু জানিয়ে যাবেন প্লিজ।

View this link

৬| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৩

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: বাংলার বুকে মানুষ রূপি হায়নাদের উৎপাত এর তিব্র প্রতিবাদে সবাই আওয়াজ দিন ।



ধর্ষণ , ইজ্জত লুণ্ঠন , যৌন হয়রানি এবং নির্যাতন করে নির্বিশেষে হত্তা প্রভৃতি ভারত ও প্রাশ্চাত্য অন্যান্য ভবগুরে সমাজের মত আমাদের বাঙ্গালী সমাজেও প্রতিনিয়ত দেখছি এর বিস্তার ।
আমাদের রুখে দাড়াতে হবে ।নয়ত এদেশ এ জাতি আবারও বিষাক্ত কাল থাবায় নেমে আসবে অন্ধকার । মেয়েরা হারাবে তাদের পূর্ণ অধিকার । আসুন সচেতন মহল জানাই আজি তিব্র প্রতিবাদ ,
, চাই উপযুক্ত বিচার , চাই হায়েনা মুক্ত বাংলাদেশ / জানাই ধিক্কার ।

গ্রাম বাংলার সব স্থানে তাই তিব্র প্রতিবাদ জানাই
আসুন সবাই মিলে এ কর্মসূচিকে সফল করি
সত্যর আওয়াজে / বাচতে হলে লড়তে হবে সমাজে ।

লেখক বলেছেন: পশুদের পাশবিকতা

: হে নরাধম পশু ধিক্কার
কেন এ কুলুসিত জীবন ঐ বোন টার
ধিক আজি মানবতায়
সমাজ বিমুখ আজি এ লজ্জায়

যৌবনের নষ্ট সময়ে
নেমে পথে নাও কার বোনের লজ্জা ছিনিয়ে
নেই কি তোদের বোন
তাদেরকেও ছোবল দিলে গড়িয়ে ।

এই কি মনুষ্যত্ব নষ্ট বিবেক
কেন সমাজে এসে হান আঁধার
ধিক সেই নরাধম পাপিষ্ঠের
হতে হবে উপযুক্ত বিচার ।





বন্ধু অপূর্বের আহবান

সামুকে ধন্যবাদ জানাই । আশা করি একটা বড় এবং কঠিন প্রতিবাদ হতে যতটুকু সময় লাগে সামু তা দিবে ।

প্রতিবাদ চাই । প্রতিবাদে অংশগ্রহণ করুন । ভার্চুয়ালি কিংবা রাজপথে । প্রতিবাদ কর্মসূচী ও আপডেট আসলে সাথে সাথেই জানানো হবে । বড় ধরনের একটা প্রতিবাদের আয়োজন করা হচ্ছে । ছোটখাটো বিচ্ছিন্ন প্রতিবাদে কাজ হবে না । বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের সহযোগীতা কামনা করছি । প্রতিবাদের মূল একদফা দাবী '' ধর্ষকদের ফাঁসী চাই , কোন কথা নাই । '

***আমার আহবান , তিব্র প্রতিবাদে
আমার সাথে সবাই আওয়াজ দিন
ঢাকার বন্ধুরা মিলে প্রতিবাদ সভা এবং সারা বাংলায় যেন সব স্থানে স্কুল ,কলেজ ,বিশ্ববিদ্যালয় ,মাত্রাসা সহ সকল প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রিদের মধ্য সাড়া ও সচেতনতা জাগে সেই বিষয়ে সোচ্চার
হওয়ার জন্য আহবান করা গেল , প্রত্যক সচেতন ব্লগারকে এ
বিষয়ে অন্তত একটা করে পোষ্ট লিখে আওয়াজ দিন

ধর্ষক দের ফাঁসি চাই ।
বাংলার মাটিতে মেয়েদের নির্যাতন করা
চলবেনা বন্ধ হোক ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.