![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন মুসলমান। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি আমার ধর্ম ও আমার দেশকে ভালবাসি। ভালবাসি ধর্মমত নির্বিশেষে আমার দেশের সকল মানুষকে।আমি সৎ মানুষ ভালবাসি। নিজে সৎ হতে চাই।
ওয়াজ নসিয়ত খুবই্ একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়উপযোগী বিষয়। এর মাধ্যমে নৈতিক চেতনার বিকাশ সাধন করে সমাজকে সুন্দর ও শৃংখলাবদ্ধ করা যায়। তাই ওয়াজিযানদের বা আলেম ওলামাদের যার ওয়াজ করবেন একটু সচেতন হয়ে ওয়াজ করা জরুরী। যাতে তাদের বচন বাক্যে বা কথায় কোন রকম ষরঋপু প্রকাশিত না হয়। যুক্তির মাধ্যমে কোরআান আর হাদিসের আলোকে সব কিছু বলবেন এটাই শ্রোতার আশা করে। কোন প্রকার বিদ্বেষ ছড়ানো বা কুৎসা রটনা এগুলো আশা করে না। হাতের পাঁচ আংগুল সমান নয়। তাইতো দাওয়াতি তরিকায় একেক আলেম একেক ভাবে এগুুমে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আলেম আলেম রেশা রেশি বিদ্বেষ কি ঠিক?
গতকাল ছিল জামিযা হামিদিযা কারিমিয়া সাতাইশ মাদ্রাসার উদ্যোগে হালকায়ে জিকির ও ওয়াজ মহাফিল। আমার মেয়ে দুটি এই মাদ্রাসায় পড়ে । সে সুবাদে এবং এলাকার একজন নাগরিক হিসেবে আমি এই ওযাজ বাস্তবায়ন কমিটির একজন সদস্য ছিলাম। এশার নামাজের পর থেকে একেবারে শেষ পর্যন্ত আমি ওযাজের ষ্টেজে ছিলাম। এ সময়ের মধ্য প্রধান বক্তা সহ আরো দুজনের ওযাজ নসিয়ত শুনার শুভাগ্য আমার হয়েছে। বক্তাদের মধ্যে একজনের বক্তব্য আমার কাছে খুবই বিদ্বেষপ্রসুত মনে হয়েছে। তার যে পয়েন্টগুলো বিদ্বেষপ্রসুত সেগুলো হল-
1. তিনি বলেছেন আলেম ওলাম না হলে ফতোয়া দেয়া যায় না। অন্যকোন পেশার লোক ফতোয়া দিতে পারবে না।
2. টাই সংক্রান্ত একটা বিষয়ে তিনি আমাদের প্রচলিত ধারনার আলোকে কোন তথ্য উপত্ত না দিয়ে একজনকে হেয় করার চেষ্টা করেছেন।
3. ওখানকার আলেমরা যেহেতু চরমোনাই পিরের মুরিদ তাই তারা পুরো ওয়াজজুরে তার বিজ্ঞাপন করেছেন এবং এক্ষত্রে অন্যআলেম যারা চরমোনাইর সমালোনা করেছে তাদের ভ্রান্ত প্রমানের চেষ্টা করেছেন অকথ্য ভাষায় নিজস্ব কাল্পনিক উদাহরনের মাধ্যমে।
4. তিনি একজন নিদৃষ্ট ব্যাক্তি এবং একটি টিভি চ্যানেলকে টার্গেট করে কথা বলেছেন সারা ওয়াজ ব্যাপি।
5. তিনি অন্য আলেমদের যারা তার ভাবধারায় বিশ্বাসী নয় অকপটে ইহুদীদের দালল প্রমানের চেষ্টা করেছেন।
6. তিনি হাটাজারি মাদ্রাসা আর তাবলিগ জামাতের সাথে সেই টিভি চ্যানেলের হুজুরদের একটা দন্ধ উস্কে দেবার চেষ্টা করেছেন।
7. তিনি জনগনকে বলেছেন একজন অন্য পেশার লোকের ফতোয়া না শুনতে।
আরো অনেক কথা বলেছেন........... কথা কেন?
আমি আলেম ওলামাদের খুবই সম্মান করি। তাদের নখেরও আমি যোগ্য নই। কিন্তু যখন দেখি তারা নিজেরাই নিজেদের ছোট করছে তখন খুবই দু:খ হয। তার বিদ্বেষ প্রসুত পয়েন্টগুলোর বিষয়ে আমার কিছু প্রতিবাদ আমি করছি।
1. আলেম হলে ফতোয়া দিতে পারবে। এটাই যদি হয় মোদ্দা কথা তবেতো যে কোন পেশার লোক সে যদি আলেম হয় সে ফতোয়া দিতে পারবে। কথা হলো সে যা বলছে তা কুরআন হাদিস এবং ইসলামের অন্যান্য উৎস গুলো থেকে বলছে কিনা। কথা হলো আলেম ওলামা কারা? যারা মাদ্রাসায় পড়ে তারাইকি শুধু আলেম? যারা মাদ্রাসায় না পড়েও সে পরিমান বা তার চেযেও বেশী জ্ঞান অর্জন করেছেন তিনি কি আলেম হতে পারেন না। সার্টিফিকেট না থাকায় তার সঠিক কথাও গ্রহন করা যা বে না এটা কি যুক্তিযুক্ত? ওনি এখানে যেব্যক্তিটিকে টার্গেট করে কথা বলেছন সে লোক কখনো তার কথা মেনে নিতে জোর করেনি। সে বলেছে কোরআন হাদিস মানুন। আমি জিরো। সে কখনো আমি ফতোয়া দিচ্ছি বা আমার ফতোয়া মানুন একথা বলেনি। আমার কাছে এটা অপপ্রচার ছারা কিছুই নয়। উনি কাউকে বাধ্য করেছেন কোনকিছু মানতে কেউ বলতে পারবে না। তবে ওনি ফতোয়া দেবার যোগ্য দাবিদার। তাকে সৌদি সরকার রিসেন্ট তাদের সর্বোচ্চ এওয়ার্ড প্রদান করেছে।
2. আমিও ছোট বেলা থেকে জানি যে তাই ক্রীশ্চানদের প্রতিক।তাই এটা মুসলমানের জন্য হারাম। কিন্তু একটি টিভি চ্যানেলে সর্বপ্রথম একজন ব্যাক্তিকে দেখলাম যে সুট টাই, টুপি আর টাখনুর উপর পেন্ট পরে ইসলামী দাওয়া দিচ্ছে। একটু অবাকতো হয়েছি। কিন্তু টাই সংক্রান্ত তার ব্যাখ্যা শোনার পর মনে হল এটা অতটা সিরিয়াস কিছু না। হ্যা এটা প্রচ্যাত্য সংস্কৃতি সে হিসাবে এটা ইসলামী সংস্কৃতির খেলাপ এর বাইরে আর কিছু না। এটা পড়লে কাফের হবে। মুনাফিক হবে। ইহুদীদের দালাল হবে। এমন প্রচারনা ঠিক নয। যা শুধু এই ওয়াজই নয়া আমাদের এলাকার আারো কয়েকটি ওযাজে প্রচার করা হযেছে। টাই বিষয়ে তার বক্তব্য এটা কোন ধর্মের ধর্মীয় পোষাক নয়। কারন ইসলাম হারাম করেছে ধর্মীয় বিশেষ পোষাক যা পড়ে তারা উপসনা করে। পার্দিরা কখনো টাই পরেছে? তা ছারা টাই যে ক্রুশের প্রতিক এ বিষয়ে মনগড়া কথা না বলে কেউকি কোন তথ্য বা প্রমান দেখাতে পেরেছে যে সেখানে বলা হয়েছে এটা ক্রুশের প্রতিক। আমাদের ওয়াজিয়ান আলেম ওলামারা আরো বলেন টাইকি আমাদের নবি পড়েছে ? আমাদের সাহাবিরা পড়েছে? তাবেতাবেঈন পড়েছে? না তা পড়ে নাই। তাই বলে তা হারম। আমাদের নবীসাহাবীরাতো কখনো জদ্দা খায় নাই। তামাক খায় নাই।তবে তা আপনারা খান কেন? ইসলাম সবসময় শালিন পোষাক পড়তে বলেছে। ঢিলাঢালা পোষাক পড়তে বলেছে। দৃষ্টিকুট নয এমন। আর
মুশরিকদের সাথে মিলে যায় এমন পোষাক। আচ্ছা টাই যে দেশের পোষাক সেই দেশে কি মোসলমান নাই। তারা কি টাই ক্রুসের কারনে পড়ে? অবান্তর সব প্রচার প্রচারনা চলছে। যা আমাদের আলেমরা বুঝাতে না পেরে গালাগালির আশ্রয় নিচ্ছে। যুক্তি শেষতো গালাগালি। শিষ্টাচার বহির্ভুত । আমাদের নবি সবসময় ডিবেটের পক্ষে। ওনি চাইতেন তার সাথে বিরোধীরা তর্ক করুক। তিনি তাদের সাথে তর্ক করে বুঝানোর পক্ষে ছিলেন। তিনি ক্রিশ্চান পার্দিদের আহবানও জানিযেছেন তর্কযুদ্ধে। কাজেই গালাগালি না করে তর্কযুুধ্দে আহবান করুন তাকে। সবার সামনে তাকে পরাজিত করুন।
প্রসংগ ক্রমে বলতে হয় ইসলাম সকল নেশা জাতিয় দ্রব্য হারাম করেছে। কিন্তু আমাদের আলেম ওলামারা পানের সাথে তা নির্বিঘ্নে খাচ্ছে। তামাক নেশা দ্রব্য । অথচ জদ্দা আর খয়ের এগুলো ছাড়া আমাদের ওয়াজিযানদের আমি খুব কমই দেখেছি। সেটাতো ইসলামের নবী কখনো খাননি। এইটা কেন আপনারা করেন? এটাতো সনাতন ধর্মের সংস্কৃতি। জোসে নয় তাই হুসে আসার জন্য সম্মানিত ওয়াজিয়ানদের প্রতি অনুরোধ।
3. তোমরা আল্লাহর রজ্জুকে শক্ত করে আকরে ধর। পরস্পর বিচ্ছিন্ন হইয়ও না। এটাই আল কুরআনুলকরিম বলে। সেই যুক্তিতে সম্মানিত আলেমে দ্বীন চরমোনাই এর পাগরীকে সেই রম্শি বলে বুঝাতে চেয়েছেন। ওনি যা করেছেন তা এক অর্থে ঠিক করেছেন। আপনি যে পানিটি খাচ্ছেন তার স্বাধ আপনার কাছে ভাল লেগেছে। আপনি চাচ্ছেন আরো একজন তার স্বাধ পাক। কিন্তু এটাভাবচ্ছেন না যে আরো একজনে কাছে সেটা ভালো নাও লাগতে পারে। তার কাছে এর চেযেও আারো ভাল পানিয় থাকতে পারে। সমস্যা হলো আমাদের মানসিকতা। আমি যেটা ভাল পেযেছি এটাই ভাল। বাকি সব মিছা। কাল্পনিক কিচ্ছা কাহীনি দিয়ে কেন ওয়াজ যেখানে রযেছে সহিহ হাদিস আর আল্লাহর পাক কুরআন। এটা স্বাভাবিক যেকোন দৃষ্টিভংগী সবার একরকম হবে না। এটাই স্বাভাবিক মানবপ্রকৃতি। ক্লাসে স্যার কোন বিষয়ে লিখতে দিলে তা কি সবার একরকম হয়? তাহলে ধমীয় দৃষ্টিভংগী বা ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে ভিন্নতা থাকাটা অস্বাভাবিক নয়। তবে নিজের মত চাপিযে দেযার জন্য গালাগালি ঠিক নয়।
4. যে ব্যাক্তিকে উনি টার্গেট করেছেন তিনি আমার মত একজন জেলারেলশিক্ষিত মানুষ। কাজেই আমার সমস্যাগুলো উনি খুব সহজেই ধরতে পারেন। আর সে আলোকে কুরআন ও হাদিসের আলোকে সমাধানও দেন। ফলে তা আমাদের কাছে গ্রহযোগ্যতা পায়। তিনি একজন জেনারেল শিক্ষিত হয়ে একটা টিভি চ্যানেল করে তাতে ইসলাম প্রচার করছেন সা্রা বিশ্বে। কোন নির্দিষ্ট অঞ্চলে নয়। এটাকে হেলাফেলা করা কোন প্রকারেই ঠিক নয়। আমাদের আলেম ওলামারতো এমন একটি মিডিয়া করে দেখাতে পারে নাই। যাতে ইসলাম প্রচার করা যায়। উল্টা শয়তানের বাক্স হেন তেন বলে দুড়ে রেখেছে।
5. কেউ বলতে পারবে মহানবী বা সাহাবীরা কাউকে গালিগালাজ করেছে বা অপবাদ দিয়েছে। কারো সম্মানহানি করেছে? করে নাইতো? তবে কেন এই ব্যাক্তিগত গুষ্ঠিগত তরিকাগত রেশারেশি?
6. আমি এই পর্যন্ত তার যত লেকচার দেখেছি কোথাও তাবলিগ বা চরমোনাইকে ছোট করে কোন কথা বলতে শুনিনি। তিনি বলেছেন তাবলিগের 40দিন সংক্রান্ত একটা ধারনা বিষয়ে। আর বলেছেন কিচ্ছা কাহীনি না মানা প্রসংগে। তার কথা হলো তালীগের যে কথাটি কুরআন আর হাদিসের সাথে যায তা মানতে হবে। তাবলিগ যদি পুরাটাই কুরআন আর হাদিস মতো চলে তবেতো তার কথা মতো তিনি তাবলিগ মানতেই বলেছেন । নয় কি?
http://www.dailymotion.com/video/x2k26rb
7. আমরা সাধারন জনগণ আছি মহা বিপদে এ এসে বলে ওমুক হাক্কানি আলেম । ওমুক তরিকা হাক্কানি। আসলে একে অপরের বিপক্ষে চান্স পেলেই বিষেদগার করে। যা সত্ত্যই দু:খ জনক। ফতোয়া যে কার মানব আমরা বুঝে উঠতে পারিনা।
কারন ফতোয়াও আজকাল টাকায় মর্যদায় বিকিকিনি হয়। গ্রামের নিরিহ মেয়েরজন্যএক ফতোয়া। আবার রাজা বাদশাহ মন্ত্রীদের সন্তান আর আত্মিয়দের জন্য এক ফতেযা। তবে এখানে যার ফতোয় না মানার জন্য বলা হচ্ছে তিনি কোন ফতোয়া দিয়েছেন এমন আমি শুনিনি কোন লেকচারে। বা তিনি ফতোয়া দিচ্ছেন এমনও বলেন নি কখনো। তিনি শুধু যুক্তি দিয়েছেন আপনার ইচহ্ছ হলে মানুন না হলে মানবেন না ।
আমি কোন আলেম ওলামদের ছোট বা বিদ্রুপ করার জন্য নয় জাস্ট আমার কাছে কিছু ওয়াজ সংক্রান্ত বিষয় সমস্যা মনে হয়েছে তা তুরে ধরেছি । নিজের কিছু মতামত দিয়েছি। আমার কথায় কেউ কষ্ট পেলে আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাই। প্লিজ ক্ষমা করে দিবেন। আর আপনাদের কাছে বলবোনাতে কাকে বলবো বলেন? কনস্টেগুলোতো ক্লিয়ার হওয়া চাই। আল্লাহ আমাাদের কে হেদায়েতের পথে পরিচালিত করুন, আমিন।
©somewhere in net ltd.