নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানবিকতা যার মধ্যে আছে সেই আল্লাহকে পায়

আতা স্বপন

আমি একজন মুসলমান। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি আমার ধর্ম ও আমার দেশকে ভালবাসি। ভালবাসি ধর্মমত নির্বিশেষে আমার দেশের সকল মানুষকে।আমি সৎ মানুষ ভালবাসি। নিজে সৎ হতে চাই।

আতা স্বপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

হন্টন যুদ্ধে জয় করা ঈদের আনন্দ সবার মাঝে ছড়িয়ে যাক! সবাইকে ঈদ মোবারক!

১৬ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০১

বউ কিছুদিন ধরে ঘ্যান ঘ্যান প্যান প্যান করছিল মার্কেটে যেতে। সময় করে উঠতে পারিনি। কাল বউ নাছোর বান্দা। যেতেই হবে। বাহিরে প্রচন্ড রোদ রোজা রেখে কীভাবে যাই? বললাম আছর নামাজের পর বের হব। টোনাটুনি বাইরেই ইফতার সেরে ফেলব। কতদিন দুজনে একসাথে ঘোরা হয়নি। এ উছিলায় ঘুরাও হবে আর রেস্তোরায় বসে দুজনে লাচ্ছি টাচ্ছি খাব। ভাবনাটা ভালোই ছিল। কিন্তু বাদ সাদলো ঘরেফিরা মানুষের ঢল আর লোকাল বাস এর রিজার্ভ বাস হয়ে যাওয়া। রিক্সা আর টেম্পু গুলার হলো মওকা মারার দিন। গাজীপুরা থেকে টংগী ভাড়া ২০০ টাকা। বউ রে বললাম চল বাসায় যাইগা আজকা আর কাম নাই। বউও নাছোর বান্দা। দুইশ হোক পাচশ যাওন লাগব।
কি আর করা। রিক্সা করে গেলাম টংগী বাজার। কিন্তু
এই বাজারের পরিবেশ নয়তো মজার।
গাদা গাদা মানুষ হামলে পড়েছে। ঠ্যালা ঠ্যালি আর ভ্যপসা গরমে অসস্থী চরমে। কি বাজার করব। কোন দোকানের সামনে দারিয়ে কিছু কেনা তো দুরের কথা দেখতে গিযেই নাকাল । মহা ফাপর। এদিকে বউতো আমাকে নিয়ে এ দোকান সে দোকান করেই চলছে। কোন কিছু কেনা হচ্ছে না। এর মধ্যে হয়ে গেল ইফতারের সময়। একটি হোটেলে ঢুকে ইফতার সারলাম। তারপর চললাম উত্তরার দিকে। না গাড়ি নাই। আবরো রিক্সায়। ভাড়া ২০০ টাকা। কিছুই কিনলাম না টাকা সমানে খরচ। নামাজ পড়ে শুরু হল পুনরায় কেনা কাটার সংগ্রাম।
এখানে এসি। ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব। আমার বউ যথারিতি দৌড়চ্ছে এ দোকান সে দোকান। আমি একটি চেয়ার বসে রইলাম। বাজেট কম তাই যেমন দৌড়াদৌড়ি হইল তেমন কেনা কাটা হইলো না। তারপরও এ কাজ করতে করতে বেজে গেল রাত সারে এগারটা পোনে বারোটা। দুজনে বের হলাম । রাস্তায়া একটা শুপ্রভাত বাস পেলাম। সিটিং সার্ভিস উঠে পড়লাম। ভাড়া নিল ডাবল। সেদিকে আর তাকালাম না । বাস পেয়েছি এতেই আমরা খুশি। কিন্তু এ খুশি বেশীক্ষন স্থায়ী হলা না। টংগী স্টেশন রোড এসে পড়লাম মহা মহা জ্যামে। রাত তখন বাজে সড়ে বারোটা। নেমে পড়লাম দুজনে ......। শুরু হলো হন্টন।

পার্কে হাত ধরে হাটতে হাটতে কপত কপতি চিনে বাদাম খায়। কি মজা। আমারা হাত ধরে হাটছি তবে বাদম খাওয়া সুখের হাটা নয় ঠেকায় পরা ফাপরের হাটা। রাস্তায় প্যাক কাদা, ডাস্টবিন ভাংগা এসব পার হয়ে সাবধানে হাটছি। মাঝে মাঝে মাঝ রাস্তাদিয়ে গাড়ি ফাঁক দিয়েও হাটতে হচ্ছে। ভয়ও করছে কখন গাড়ি ছেরে দেয়। তাহলে আর দেখতে হবে না দু গাড়ির চিপায় পড়ে সেন্ডুইচ। এমন হল্ দিল গাড়ি ছেড়ে। বউকে নিয়ে দিলাম দৌড়। না জম্যামতো গাড়ি আবার থেমে গেলো। আমরা কোন মতে রাস্তার সাইডে চলে আসলাম। এভাবে হন্টন যুদ্ধ শেষে রাত দেড়টায় আমরা গাজীপুরা পৌছলাম।
হন্টন যুদ্ধে জয় করা ঈদের আনন্দ সবার মাঝে ছড়িয়ে যাক! সবাইকে ঈদ মোবারক!

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২০

জুন বলেছেন: হন্টন জয় করে আনা ঈদ মুবারক আপনাদের জন্যও ।

২| ১৬ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


ঈদের শুভেচ্ছা

৩| ১৬ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৮

স্রাঞ্জি সে বলেছেন: ঈদের শুভেচ্ছা

৪| ১৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: চিয়ারআপ ম্যান! আর্জেন্টিনা হারে নাই, ১ পয়েন্ট পাইছে। আইসল্যান্ড জিতে গেলে কেলেংকারি হইতো। ওহ ভালো কথা, ব্রাজিল জার্মানির কাছে ৭টা খাইছে...

বউ এর কথা সব সময় শুনবেন।
ঈদ মোবারক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.