নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানবিকতা যার মধ্যে আছে সেই আল্লাহকে পায়

আতা স্বপন

আমি একজন মুসলমান। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি আমার ধর্ম ও আমার দেশকে ভালবাসি। ভালবাসি ধর্মমত নির্বিশেষে আমার দেশের সকল মানুষকে।আমি সৎ মানুষ ভালবাসি। নিজে সৎ হতে চাই।

আতা স্বপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বেদখল সম্পত্তি উদ্ধার করে দায় শোধ করতে চায় যুবক

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৫৫



যারা অন্যায়ভাবে অবৈধভাবে ভোগদখল করছে যুবক এর সম্পদ তাদের কাছ থেকে সম্পদগুলো উদ্ধার করে লাখ গ্রাহকের দায়-দেনা পরিশোধ করতে চায় যুবক। সে লক্ষ্যে ইতিমধ্যে নানা কার্যক্রম হাতে নিয়েছে সংস্থাটি। যুবকের বেদখল হওয়া সম্পদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বর্তমানে জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল আরটিভি, টেলিবার্তা (যুবক ফোন), পুরানা পল্টনের বি.কে টাওয়ার, নয়াপল্টনের রহমত মঞ্জিল বাড়ি, তেজগাঁওয়ের যুবক সিরামিকের বাড়ি, পান্থপথে অবস্থিত ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি, দৈনিক দেশ বাংলা পত্রিকা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যুবকের মূল্যবান জমি ।

যুবক সূত্র হতে জানা যায়যে, সামরিক সমর্থিত তত্ত্ববধায়ক সরকারের সময় দেশের সকল শিল্প উদ্যোগতাদের মত এ সংস্থাটির কর্মকর্তারাও টার্গেটের শিকারে পরিনত হয়। যুবকের দুরাবস্থার সুযোগ নিয়ে এসময় নাটিকিয় ভাবে কেড়ে নেয়া হয় যুবকের প্রায় অর্ধশত কোটি টাকার প্রকল্প আর টিভি।এর ৫৭% শেয়ারের মালিক যুবক। যার লাভ সহ শেয়ার উপভোগ করছে একটি শীর্ষস্থানীয় ব্যাবসায়ী গ্রুপ।


এসময় ঢাকা ব্যাংকের লোন ষড়যন্ত্রের ফাদেঁ পড়ে যুবকের ৪৫০ কোটি টাকার প্রকল্প টেলিবার্তা (যুবক ফোন) হাত ছাড়া হয় বলে জানা যায়।





আরো জানা যায় যে, যুবকের নিজস্ব ভবন পুরানা পল্টনের বি.কে টাওয়ার কিছু বিপথগমী সদস‍্যদের সহযোগিতায় বহিরাগত রাজনৈতিক দলের পরিচয় দানকারী সন্ত্রাসীরা দখল করে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভোগ করছে। গত ১২ নভেম্বর ২০১৯ যুবকের দায়িত্বশীলরা সরকারের আইনশৃংখলা বাহিনির সহযোগীতায় তা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।এই সম্পদ উদ্ধারের মধ্য দিয়ে যুবকের কর্মীদের মাঝে অন্য সম্পদগুলো উদ্ধারের পথ তৈরী হলো। বিকে টাওয়ারে অফিস করছেন দায়িত্বশীলরা।


যাদের হাত ধরে উদ্ধার হলো বিকে টাওয়ার-


যুবকের ভুক্তভোগী কর্মীরা মনে করে , পাওনাদার , অবৈধ দখলদার , যুবকের অর্থ আত্মসাৎকারী কিছু পথভ্রষ্ট লোকদের কারনে তাদের জীবন থেকে তেরটি বছর হারিয়ে গেছে ।তাদের মতে, আমাদের দায় নিজেদেরকেই পরিশোধ করতে হবে । যত কঠোর হুমকিই আসুকনা কেন , আমাদের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছনোর জন‍্য জীবন বাজি রেখে সারাদেশের বে-দখলকৃত সম্পদ উদ্ধার করবো ।


যুবকের কর্মী আবু জাফর এর মতে, যুবক ফোন, আর টিভি সহ সকল সম্পদগুলো যদি আজ আমাদের হাতে থাকতো তাহলে যুবক সমস্যা কবেই কাটিয়ে উঠা যেত। সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।

যুবকের কর্মী সোলেমান খান বলেন, যুবক এর যে সকল সম্পদ তাদের পাওনা পরিশোধের ক্ষেত্রে ভুমিকা রাখত (যেমন- আ.টিভি , টেলিবার্তা, মেঘনা সী ফুড, ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি প্রভৃতি) বর্তমানে সেগুলো বেদখল হয়ে আছে। আর,টিভি বেংগল গ্রুপ মইন-ফখর সরকারের আমলে জবর দখল করে নেয়।টেলিবার্তা ঋণ ষরযন্ত্রের স্বীকার হয়ে বর্তমানে বেদখল। মেঘনা সী ফুড শরীফ সাহেবের দখলে। জবর দখল করা হয়েছে প্রাইভেট ভার্সিটি ভিক্টোরিয়া। সুযোগ সন্ধানী বর্তমান সরকারের কিছু মন্ত্র্রি এমপি যুবকের ধানমন্ডির বাড়ি খুবই কমমূল্যে কিনে নেয়। এভাবে আস্তে আস্তে যুবক হাড়াতে থাকে তার সম্পদ। এমনি ভাবে যুবকের অনেক জমি ও সম্পদ সারা বাংলাদেশে জবর দখল হয়ে আছে ।যুবকের গ্রাহকরা টাকা পাচ্ছে না। যুবক কমিশনের কাছে তাদের আশাছিল কমিশন তাদের টাকা উদ্ধার করে দিবে। কিন্ত কমিশনের মেয়াদ শেষ হয়ে গেল গ্রাহকদের অনিশ্চয়তা কাটেনি। গ্রাহকরা মনে করে যুবকের হারানো সম্পদ উদ্ধার করা গেলে তাদের পাওনা টাকা তারা পাবে।

যুবকের দায়িত্বশীল মাফুজ রেজা বলেন, আর,টিভি যুবকের একটি উল্লেখযোগ্য সম্পদ। এর ৫৭% শেয়ার যুবকের। বলা যায় ১০০% শেয়ার যুবকের। ৪৩% শেয়ার জনাব ফালুকে তখন যুবক চাঁদা হিসেবে দেয়। বলাচলে আরটিভির পুরটাকাই যুবকের গ্রাহকের । আরটিভি বর্তমানে একটি লভজনক প্রতিষ্ঠান। আরটিভি উদ্ধার করে এর শেয়ার গ্রাহকদের দেয়া হলে তাদের পাওনা কিছুটা হলেও পরিশোধ হবে। যুবক সদস্য ও কর্মীরা এক হলে সবই সম্ভব। আরটিভির মালিকানা ফেরত আসবে। টেলিবার্তা যুবক ফোন ফেরত আসবে। ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকানা ফিরে পাওয়া যাবে। বিকে টাওয়ার থেকে অবৈধ দখলকারীরা যেভাবে উচ্ছেদ হয়েছে ঠিক সেভাবেই রহমত মঞ্জিল আর তেজগাঁওয়ের সিরামিকের বাড়িসহ সকল বেদখলকৃত জমি উদ্ধার করা সম্ভব। এজন্য সদস্য-কর্মীদের সমন্বয়ে যুবকের সম্পদ উদ্ধার কমিটি গঠন করতে হবে। এসব সম্পদ উদ্ধার করে নিজেরা নিজেদের দায়শোধ করতে পারবে।

যুবকের দায়িত্বশীল নেয়ামুল হক নান্নু মনে করেন, মাননীয় সরকার যদি যুবক-কে একবছর বিনা বাঁধায় কাজ করার সুযোগ দেয় তাহলেই অনেক সমস্যার সমাধান হবে। কেননা- একথা এখন প্রামাণিক সত্য যে যুবক পালিয়ে যাবে না। যুবক দায়শোধে তাদের অঙ্গীকার মতো অবিচল আস্থা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এ পর্যন্ত প্রায় এক হাজার কোটি টাকার দায় পরিশোধ করা হয়ে গেছে। সঠিক নিয়ম অনুসরন করলে পাওনার পরিমাণ আর ৫০০-৭০০ কোটি টাকার বেশি হবে না। এই দায় দেনা যুবকের সম্পদ ব্যবহার করেই পরিশোধ করা সম্ভব।

যুবকের দায়িত্বশীল রফিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন, যখনই ‘যুবক’ সংগঠনের নামটি উচ্চারিত হয় তার সাথে আষ্টেৃপৃষ্টে জড়িয়ে থাকে যাদের নাম- মরহুম নজরুল ইসলাম, মরহুম হায়দার আলী, মরহুম আবু মো. সাঈদ এবং বর্তমান চেয়াম্যান (সাবেক পিডি) সৈয়দ রাশেদুল হুদা চৌধুরী, মো. মুনীর উদ্দিন এবং হোসাইন আল মাসুম। যুবক নাম সংগঠনটির প্রতিষ্ঠার পেছনে উল্লেখিত প্রত্যেকের স্ব স্ব ক্ষেত্রে অনবদ্য ভুমিকা ও অবদান অনস্বীকার্য। তাদের মধ্যে অন্যতম একজন বিপরীত স্রোতের মানুষ, আত্মত্যাগী, বিনয়ী, প্রতিশ্রুতিশীল, কর্তব্যপরায়ন দলনেতা, সুসংগঠক, অসীম ধী-শক্তির অধিকারি, সদা চ্যালেঞ্জ গ্রহণে পারদর্শী একজন দায়িত্বশীল অভিভাবক জনাব হোসাইন আল মাসুম। তিনি শত দুর্যোগে অপবাদ, গ্লানি আর বিষেদাগারের ঘোর অাঁধারেও অশেষ প্রাণশক্তি নিয়ে আকড়ে ধরে রেখেছেন যুবক পরিবারটিকে। যুবক নামক সংগঠণটিকে যুবক পরিবার হিসেবে প্রতিষ্ঠার পেছনে এই মহান মানুষটির আত্মত্যাগ ইতিহাসের অমর সাক্ষ্মী হয়ে থাকবে। শত ভুল বুঝাবুঝির মাঝেও, আক্রোশ, ক্ষোভ, অপবাদ, অপমান সয়েও এই মানুষটি এখনো দায়শোধের প্রচেষ্ঠায় একদল নিবেদিতপ্রাণ কর্মীবাহিনী নিয়ে নিভৃতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। যদি তা না হতো- তবে ২০০৯ সালে কারা অন্তরীণের পর যুবক নামটিই মুছে যেত। সকল বাঁধাবিঘ্নতাকে পরিস্থিতির স্বাভাবিক পরিণতি মনে করে তিনি সমমনা ও সহযোগিদের কাছে ডেকে দায়শোধের প্রত্যয় নিয়ে কাজ করছেন অবিরাম। যদিও এই বিশাল দায় স্বাভাবিক কর্মযজ্ঞ পরিচালনা ছাড়া মোচন সম্ভব নয়- তথাপি চেষ্টার কোনো ত্রুটি নেই তাঁর মাঝে। যখন যেমন- তখন তেমন উপায়ে নিবিষ্ট মনে কাজ পরিচালনা করে এখনো ইতিবাচক কর্মীদের সাথে নিয়ে দায়শোধে উত্তরণ কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করার চেষ্টা অব্যাহতভাবে ধরে রাখছেন। সরকার একটু সুযোগ দিলে, আর্থিক নিপীড়িত সংগঠক-সদস্য-কর্মী সবাই সহযোগি ভুমিকায় আসলে দায়শোধের কার্যক্রমকে তিনি আরো দ্রুত গতিতে এগিয়ে নিতে পারতেন।

যুবকের দায়িত্বশীল মোসলেহ উদ্দিন বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে- সরকার আমাদের সমস্যার সমাধান করবে না। সরকার যুবকের পাওনা পরিশোধ করবে না। এটা সরকারের দায় বা দায়িত্ব নয়। সরকার দায়িত্বও নেবে না- কারণ এর সমাধান তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। যুবক-এর সংগঠক, কর্মী ও সদস্যরাই প্রাণশক্তি। আর হোসাইন আল মাসুম ভাই যুবক এর প্রাণভোমরা।


এই দুই শক্তি একে অপরের পরিপূরক। আসুন- সবাই দায়শোধের বৃহত্তর স্বার্থে সব লাঞ্চনা-গুঞ্জনা ভুলে গিয়ে আবারো এক হয়ে- যুবকের প্রাণশক্তি সঞ্চারনের মাধ্যমে যুবকের প্রাণভোমরার পাশে দাঁড়াই। আর দেরি নয়- ১৩ বছর পার হতে যাচ্ছে, আর কীসের জন্য অপেক্ষা। কে দেবে সমাধান? নিজেদের অনাকাঙ্খিত ভুলবুঝাবুঝি আর বিভেদের বিদ্বেষের সুযোগ নিয়ে অনেকেই বিরাট ক্ষতি করেছেন, পাছে কেউ কেউ ফায়দা লুটেছেন- এসবই সত্যি। এখন মোক্ষম সময়- আবারো জাগ্রত হোক যুবক পরিবার। সুদিন আসবেই- ইন-শা-আল্লাহ।

যুবকের দায়িত্বশীল হেনা বেগম এর মতে, বিকে টাওয়ারের যুবকের দায়িত্ব শীল ও কর্মীসদস‍্যদের ৩য় তলার পুরো অফিস দখল করে রেখেছিলেন পল্টন থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আবুল হোসেন সাহেব । স্থানীয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহোদয়ের সহায়তায় তা আজ আমাদের হাতে ফিরে এসেছে । যুবকের ৫৩/১ পল্টনের রহমত মন্জিল বাড়িটির অবৈধ দখলদার ডিএসসিসির ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোস্তফা জামান পপি। বাংলাদেশ প্রতিদিন , ২৮-১০-২০১৯ সূত্রে জানা যায় বর্তমানে তিনি ডিএসসিসি থেকে নিখোঁজ রয়েছেন । । তাকে কাউন্সিলর পদ থেকে অপসারণের জন‍্য আইনি প্রক্রিয়া চলছে । অবৈধ দখলদাররা যত শক্তিশালীই হউক না কেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতায় সকল অপশক্তিকে উচ্ছেদ করে আমাদের দায় পরিশোধ করবো ইনশাআল্লাহ ।

যুবকের দায়িত্বশীল এম এস রাব্বী বলেন, কাউন্সিলর পপি দখল করে রেখেছেন যুবক এর ৫৩/১ পুরানা পল্টন লেনের বাড়ি। শ্রমিক লীগের অপু গং দখল করে রেখেছেন ৪৩০ তেজগাও শিল্প এলাকার সিরামিকের ৩০ কাঠার প্লটটি। কোটি কোটি টাকার ভাড়া ভোগ করছেন বছরের পর বছর। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শুদ্ধি অভিযান ওদের বিরুদ্ধে কার্যকর হবে এটাই প্রত্যাশা।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স ঘোষনার প্রেক্ষিতে সারাদেশে চলছে শুদ্ধি অভিযান। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে যুবকের বেহাত হওয়া সম্পদ উদ্ধারে ন্যায্য পাওনা আদায়ের জন্য যুবক ঐক্য পরিষদের ব্যানার প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সরাষ্ট্রমন্ত্রী সহ সকল আইনী প্রতিষ্ঠানে আবেদন করা হয়।

যুবক ঐক্য পরিষদ যুবকের দায় মুক্তির জন্য যুবকের সম্পদ উদ্ধারে ব্যাপক প্রচার প্রচারনা শুরু করেছে। তাদের শ্লোগান এক হলে পারি।
তারা স্ব সম্মানে দখলদারদের দখল ছেরে দেবার আমন্ত্রন জানান-
যুবকের সকল কে এ পরিষদের পক্ষ থেকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সম্পদ উদ্ধারের আহবান জানানো হয়-


বর্তমান সময়ে সরকারের শুদ্ধি অভিযান কালে যুবক এর সম্পদ উদ্ধার এর মাধ্যমে দায় মুক্তির এ উদ্যোগটি কতটুকু সফল হয় এটাই দেখার বিষয়। বিকে টাওয়ার দখল মুক্ত করায় যুবকের কর্মী বাহিনির মাঝে যে গতি সৃষ্টি হয়েছে তা পরবর্তী সফলতায় কতটুকু সহায়ক হবে তা সময়ই বলে দিবে।
যুবক ঐক্য পরিষদ

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: এই সমস্যা থেকে পুরো মুক্ত।
দুনিয়াতে আমার কোনো সম্পদ নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.